চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"
বনফুল
( ২৭ তম পর্ব )
চারদিক থেকে ক্যামেরা জুম করে আছে।ফ্লাশের আলোর ঝলকানিতে বেশ বিব্রত পলাশ।একের পরে এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে সাংবাদিকেরা। এরপর কি করবেন?কতোক্ষন পড়াশোনা নিয়ে থাকেন, আপনার এ্যাম্বিশন কি?ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে প্রায় সে ক্লান্ত।এমন সময় এসে গেলো অহনা আর সৈকত।ওরা এসে ঘরে বসতেই একজন প্রশ্ন করলো, আপনার কেউ স্পেশাল আছেন? তিনি কি খবর টা জেনে উইস করেছেন?
এবার পলাশ বেশ গম্ভীর হয়ে বললো, ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করবেন না প্লিজ।
অহনা ইশারায় পলাশ কে জানালো ওরা এসে গেছে, সে আসছে।
পলাশ এবারে ইন্টারভিউ টা সংক্ষেপ করতে শুরু করলো। পরিস্কার বলে দিলো,"আমার ইচ্ছে আছে কোনো নামীদামি ভার্সিটি থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করার।কিন্তু সামর্থ্য সায় দিচ্ছে না। দেখা যাক কি করা যায়।পরিবারের মানুষদের সাথে আলোচনা করতে হবে। প্লিজ, আপনারা আজকের মতো এই পর্ব এখানেই শেষ করুন।
সাংবাদিকেরা আস্তে আস্তে নিজেদের ব্যাগ,ক্যামেরা গুছিয়ে নিলেন।
পলাশ টেরও পায়নি,তার ইন্টারভিউ এতোক্ষন লাইভ টেলিকাস্ট হচ্ছিলো। সাংবাদিকরা ধন্যবাদ দিয়ে বেরোবার সময় ও বুঝতে পেরে খুব লজ্জিত হয়ে সৈকত কে বললো, ইস্ আগে বুঝতে পারলে,ওদের সামনে তোমাদের পরিচয় করিয়ে দিতাম।
অহনা বললো, না করিয়ে ই ভালো করেছেন ভাইয়া।জুঁই ফোন দিয়েছে, এক্ষুনি গাড়ি নিয়ে আসছে।ওর আব্বা আমাদের সবাই কে আজ সন্ধ্যার চা'য়ের আসরে দাওয়াত দিয়েছেন। রেডি হয়ে নিন।পনেরো মিনিটের মধ্যে এসে যাবে।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much