পোস্টগুলি

এপ্রিল ১২, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি মালা মুখোপাধ্যায় "বসন্তের কোকিল"

ছবি
বসন্তের কোকিল  মালা মুখোপাধ্যায় তোমার ডাকে বুঝি বসন্ত এসে গেছে ? তুমি একদম ভুল করেও ভোলো না ?  তোমার ডাককে নকল করে কত ডেকেছি ছোটতে আমি ডাকলেই তুমি ডাকতে কি জানি কি ভাবতে ?  বড় বড় গাছের কোন ডালে বসে ডাকছো খুঁজে চলতাম ঘাড় বেঁকিয়ে মাথা তুলে দেখতে পেলে কী মজা হতো!  সেই পাখিটা আবার এসেছে বসন্ত এসেছে শীত বর্ষায় কোথায় ছিলে ? জানবার জো নেই দু'বার নড়ে চড়ে বুঝিয়ে দেয় এসেছি ডাকছি এই ঢের,অত খোঁজ নিও না বাপু তোমরা শুধু আমার মিঠে গলার ডাক শুনে যাও।  জানি তো তোমাকে চিনিও তোমাকে মাঝে মাঝে একটু আধটু কাছে থেকে দেখেছি তো বেশ চমকদার তুমি যখন কাকের বাসায় ডিম পাড়তে  কৌশলটি ভারি মজার পুরুষ কোকিল কাককে রাগিয়ে বাসা থেকে বার করে নিয়ে যায় আর তুমি এসে ডিম পেড়ে যাও।  প্রকৃতির কী নির্মম পরিহাস ! তোমার নামেই পড়ে বদনাম।  হবে নাইবা কেন ? অতি চালাকির গলায় দড়ি পারো না একটা নিজের বাসা বানাতে ?  খুব দুষ্টু আমার কথায় কান না দিয়ে একরকম পাত্তা না দিয়ে ডেকেই চলেছো যে, আর হয়েছে কি জানো ? আমার নিজের লাগানো ছোট আম গাছের ডালে তোমাকে সেদিন ডাকতে দেখেছি খুব কাছ থেকে দু'চোখ ভরে আমি তোমাকে শুধু দেখেছি।

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৫১

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৫১ আনন্দ দোলা মমতা রায় চৌধুরী "ছোট বৌদি, ছোট বৌদি', ও ছোট বৌদি' রান্নাঘর থেকে কাকিমা সাড়া দিল কি হয়েছে রে ভোলা? "একবার বাইরে এসো না।" "এখন আমার হাত জোড়া আছে বাইরে গেলে হবে? কড়াইতে খুন্তি দিয়ে কিছু ভাজার আওয়াজ আসলো তুই ওখান থেকেই বল ,আমি কানে শুনতে পাচ্ছি।" "কানে শুনতে পাচ্ছে বললে তো হবে না। এটা দেখতে হবে এসোই না।"খুশিতে ডগ মগ হয়ে ভোলা বলল। একটু বিরক্তি নিয়ে রেখার কাকিমা বলল'" মাঝে মাঝে যে এত জ্বালাস না ভোলা, কি হয়েছে বল? একি করেছিস? মাগো কি সুন্দর !আজকাল তো এই মাছ দেখাই যায় না ।' কাকিমা এতক্ষন চন্ডী মূর্তিতে ছিল এখন ভোলাকে কত নরম হয়ে কথা বলছে । কাকিমা ও মাছগুলো দেখে খুব খুশি হয়েছে। কাকিমা আর ভোলা কাকার এই আওয়াজে রেখাও ঘর থেকে বেরিয়ে আসলো এসে জিজ্ঞেস করল' কি হয়েছে কাকিমা?'. " দেখ ,দেখ ,ননী, সত্যিই আজকে ননিরা আসাতেই মাছগুলো পড়েছে ।ভোলার তো জানিস ও মাছ  ধরার জন্য পাগল। গেছিল নদীতে কিছু পেয়েছে বোধহয় ।মাছ দেখ ,কি ,কি মাছ।  "কি মাছ কাকিমা?" "হ্যাঁ রে ভোলা,  মাছগুলোর না

কবি নর্মদা চৌধুরী (তুলিকা) এর কবিতা "কাল্পনিক রাজকন্যা"

ছবি
কাল্পনিক রাজকন্যা নর্মদা চৌধুরী (তুলিকা) অবিশ্রান্ত বর্ষা শহর জুড়ে, আমার চোখে তখন আবীর রাঙা বসন্তের আগমন , এলোমেলো চারধার। চিরপরিচিত রাস্তায় চলছে ভালোবাসার প্রতিদ্বন্দ্বিতা, দ্রুতবেগে ধাবমান কোন গাড়ির চালকের ভূমিকায় .... তুমিও আমাকে টেনে নিয়ে চলেছো- চিরবসন্তের কোন অচেনা গ্রামে ! নিঃশব্দে শিশিরের বিন্দু ভিজিয়ে দিয়েছে আমাদের আপাদমস্তক, শতঝর্ণা খেলা করছে তোমার এলোচুলে। এখন তুমিও রক্ত- মাংসে গড়া লিওনার্দোর মোনালিসা, আর আমি নিখুঁত কোন গ্রীক যুবক। বাস্তবিক সংসারের সাথে এভাবেই সহাবস্থানে দিব্যি বেঁচে আছে,  আমার স্বপ্নের রাজকন্যা। প্রতিদিনের একঘেয়ে জীবন‌ও মাঝে মাঝে খুব প্রিয় হয়ে ওঠে, একটানা বৃষ্টি রচনা করে প্রেমের কবিতা ; যে জীবন শুধু গদ্যময়, যে জীবনে নিত্যদিনের সঙ্গী অভাব ! সে জীবনও  কাব্যিক হয়ে ওঠে! যদি তুমি হাতে হাত রেখে দিয়ে যাও প্রতিশ্রুতি.......  আজীবন সাথে থাকার!! কয়েকবার মৃত্যু কড়া নেড়ে ফিরে গেছে প্রিয়তমা, আমার বেদনার্ত চোখে সে পারেনি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে ! যে চোখে তুমি করেছো স্থাপন প্রেমের রাজত্ব, সে চোখ তাই চির অপরাজিত অহংকারী মৃত্যুর কাছে। বাস্তবিক সংসারে ভালো

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৮৭

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৮৭) শামীমা আহমেদ  শিহাব,তোমাকে আমি কথাগুলো ওভাবে বলতে চাইনি। আরাফের জন্য তখন আমার মাথা ঠিক ছিল না।আমার কথায় তুমি কিছু মনে করোনা। শিহাব হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল।কথাগুলো তার পেছন থেকে ভেসে আসলে শিহাব পিছন ফিরে তাকালো। পিছনে সুমাইয়া দাঁড়িয়ে।  সুমাইয়া কখন এসেছে শিহাব তা টের পায়নি। শিহাব একটু বিরতি নিয়ে বললো, না ভাবী, আমি কিছু মনে করিনি। তুমিতো ঠিকই বলেছো। আরাফের জন্য এখন মায়ের সান্নিধ্য ভীষণ প্রয়োজন।  আচ্ছা শিহাব একটা কথা জানতে চাইতে পারি ? আবার অন্য কিছু ভেবোনা। না না,, অবশ্যই জানতে চাইবে ভাবী। সেদিন যে শায়লা মেয়েটিকে নিয়ে এলে,তা প্রায় দুইমাস হতে চললো। তার ব্যাপারে তুমি কি  সিদ্ধান্ত নিলে ?মেয়েটিকে তো ভালোই লাগলো। আরাফের সাথে খুব অল্প সময়ে বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। আমরা তো ভাবছিলাম তুমি সহসাই কিছু বলবে।  শিহাব ভাবলো সব না হলেও কিছুটাতো ভাবীকে বলা যায়। ভাবী শায়লার বিষয়টি নিয়ে আমি খুব জটিলতার মধ্যে আছি। যদিও শায়লার দিক থেকে আমার প্রতি পূর্ণ ভালোবাসা আছে। কেন কি হয়েছে ? সে কি আর তোমার সাথে সম্পর্কে নেই ? নাকি তুমি বিবাহিত বলে  ওর পরি

কবি মোঃ শাহিনূর রহমান শাহীন এর কবিতা "আমি সৃষ্টির স্রষ্টা"

ছবি
আমি সৃষ্টির স্রষ্টা মোঃ শাহিনূর রহমান শাহীন  আমি মৃত্যু -আমি জীবন দাতা, আমি মূল -আমি সবার পিতা ?  তোমরা সবাই আমার সন্তান,  তোমাদের জন্যে আমার প্রেমের অনুভব - তোমরা করেছ কী সত্যের সন্ধান ?  আদম কে আমি করেছি সৃষ্টি,  দিয়েছি জ্ঞান বিজ্ঞান সভ্যতা কৃষ্টি !  কত শিল্প - বিকল্প কত কী,  এত পেয়ে আদম অবাধ্য - বন্য  আমাকে দিতে চায় ধোঁকা ফাঁকি ?  আমি সবার মাঝে - জীবন হয়ে,  ক্কলবে বন্ধু কে সাথে নিয়ে !  প্রেমে বিভোর হয়ে - খেলি খেলা,  আমি সত্য জাত আমি ছিফাত বলো " লা ইলাহা ইল্লাল্লা!  আমি সৃষ্টি করি আমি স্রষ্টা,  আমি নতুন জীবনের স্বপ্ন ভ্রষ্টা!  স্বীকার করো বা অস্বীকার,  আমি জীবন মৃত্যু হয়ে - দেহে জীবন্ত আছি সবার ?

কবি শরিফুর রহমান এর কবিতা "শরিফুর রহমান"

ছবি
প্রয়োজন   শরিফুর রহমান  সত্যি বলছি; আমার চেয়ে আমার প্রয়োজন গুলো তোমাকে বড্ড ভালোবাসে। তাঁরা তোমাকে আদর করে; বুকে টানে, দু-হাত দিয়ে হৃদয় ছানে, একটুখানি আড়াল হলে তুমি অস্থির-চোখে জল আসে,  ওঁরা... ওঁরা তোমাকে বড্ড ভালোবাসে। আর; বাসবেই না কেন... বলো ? আমার বুকের পাঁজরভাঙা কষ্ট-পাথরগুলো- ছড়ানো ছিটানো দুঃখগুলো- না পাওয়ার শত-বেদনাগুলো- কেমন করে বুকে তুলে আলতো ঝেড়ে  গুছিয়ে রাখো নিপুণ ভাবে- মিষ্টি হেসে যতন করে তোমার পাশে, তাই তো ওঁরা তোমাকে; বড্ড ভালোবাসে। প্রয়োজন গুলো আমার- বৃত্তের মতো সাজিয়ে রেখেছে আমাকে,  আমাকে ঘিরেই তো ওঁরা- ওঁদের মাঝেই আমি। তাহলে কি এই আমি টাই সবচেয়ে বেশি   তোমাকে ভালোবাসি ?