পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি মহুয়া চক্রবর্তি কবি ফারজানা আফরোজ কবি সীমা সোম বিশ্বাস

ছবি
 দেখুন স্বরচিত কবিতা পাঠ  https://youtu.be/1F8FjWyvIGI  এখানে ক্লিক করুন সাবস্ক্রাইব করুন ও বেল বোতামে টাচ করে রাখুন সমস্ত আপডেট পেতে আজকের কবিরা  কবি মহুয়া চক্রবর্তি  কবি ফারজানা আফরোজ কবি সীমা সোম বিশ্বাস https://youtu.be/1F8FjWyvIGI কবি মহুয়া চক্রবর্তি  কবি ফারজানা আফরোজ কবি সীমা সোম বিশ্বাস

মধুমিতা রায়

ছবি
মন পথের গল্প... যে সমস্ত কিছু আমার বলে জমিয়েছিলাম আজ শমন এল সেসব কিছু আমার নয়। অথচ কী গভীর বিশ্বাস ছিল! বিশ্বাস ছিল সেই প্রিয় নামের বর্ণগুলো  অন্তত আমার আছে। অন্ধকার ভোরে উঠোনে নেমে দেখি সমস্ত বর্ণগুলো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিক। প্রয়োজন ফুরালে ব্যস্ততার শহর জাগে আলো গুলো ছিঁড়ে খুঁড়ে ঝমঝম শব্দে ব্রীজ কাঁপিয়ে পিষে দেয় পথের গল্প। পথের ধুলো মেখে গাছ ভাবে কেউ তো ফিরুক কেউ তো কাছে বসুক দুদন্ড বলুক... ছিলাম তো। তুমিই বুঝতে পার নি।

শ্যামল রায়

ছবি
  জুঁইফুল কি বলবে? শূন্যের ভেতর ঘুরপাক খেতে খেতে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছি যেন সব সময় জুঁইফুল তুমি কি বলবে? শখ করে রোল খেতে গিয়ে কান্নার রোল শুনে আয়ু কমছে তবুও শূন্যতার ভেতর খুঁজে পেতে চাইছি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বর্ণমালার ভেতর ভালোবাসার শব্দগুলো। জুঁইফুল তুমি কি বলবে? যতসব শর্তগুলো ছুড়ে ফেলে দাও বিবর্ণ অসুখের ভেতর, মায়া আছে একটু খুঁজে নিলে দীর্ঘপথ হবে তুমি যেখানে স্বপ্ন আছে,আছে বেঁচে থাকার শব্দগুলো ওত পেতে আছে সবুজতার দিকে দুচোখ জুঁইফুল তুমি কি বলবে? রাধার শরীরটা জড়িয়ে দাও বন্দর গড়ব, শুধুই ভালোবাসার বন্দর হবে তোমার ভেতর জুড়ে ফুল ফুটবে আমার তোমার জন্য ছায়া দেবে রোজ। শুধুই দীর্ঘ পথে হবে ভালোবাসার জন্য  জুঁইফুল তুমি কি বলবে?

রাকিবুল হাসান উন্নিদ্র

ছবি
সুন্দর তুমি তুমি সুন্দর প্রত্যুষে বিকশিত  নির্ঝঞ্ঝাটে গোলাপের লালাভার চেয়েও তুমি সুন্দর তুমি সুন্দর আরও সুন্দর  ওই সিঁথিতে দোলন্ত লাল সিঁথি পাটি। তুমি সুন্দর রক্তাভ নবোদিত সূর্যের চেয়েও তুমি সুন্দর  তুমি সুন্দর আরও সুন্দর মৃদুগামী অধর হাসি। তুমি সুন্দর পূর্ণিমা তিথির পুষ্করিণীর চেয়েও তুমি সুন্দর তুমি সুন্দর আরও সুন্দর ঔজ্বল্য দু'টি কাজল আঁখি। তুমি সুন্দর দ্যুতিময় ধৌতশিশির বিন্দুর চেয়েও তুমি সুন্দর তুমি সুন্দর আরও সুন্দর  আকর্ষক ওই নাসিকায় উদ্বেলিত নথ। তুমি সুন্দর আরও সুন্দর তোমার দুরন্ত অলক ফের হারালাম পলক প্রাণবন্তক লাবণ্য ওই মুখশ্রীর স্পর্শ পেতে আমি এক তৃষিত চাতক। হাসি যেন তার মায়াময় জোছনা সৌভিক দুটি আঁখি ঠোঁট দুটি তার বর্ণোজ্জ্বল যেন নব্য ফোটা গোলাপ পাপড়ি। চাঁদ বাকা ভ্রু ওই রংধনুর টান সে যেন অতন্দ্রি কবিতার এক সতেজ প্রাণ। বেশ মানিয়েছে ঠিক ওই কপালের কালো টিপ আর চমকানো কর্ণের দুল সে যে বিশ্ববিধাতার গড়া উত্তমা ফুল। মুখ যেন তার ফাল্গুনী আকাশের ঔজ্জ্বল্য চাঁদের গড়ন মাথা ভরা মেঘ কালো কেশে সে যে গন্ধ বিলায় সারাক্ষণ।

হুমায়ুন করির সিকদার

ছবি
স্বর্ণালী ক্ষণ বর্তমানকে নিয়ে ভেবেছি অনেক,  অনেক করেছি গল্প তবুও তাতে পাইনি খুঁজে  অতীতের বিকল্প । ডিজিটালের মেশিনে উঠে  দেখেছি ওজন মেপে বেড়ে গেছি অনেক বেশি - ভুগছি স্নায়ু চাপে। গাড়িতে - বাড়িতে পথে-প্রান্তরে  কোথাও নেই সুখ কখন কোথায় কী ঘটে তাই নিয়ে   জনতার উৎসুক। স্বর্ণালী ক্ষণ আজ হারিয়ে গেছে অন্তরে তবু তারই হাহাকার -- জনতার ভাষা কার আছে মন  থেকে বুঝবার? তাইতো আকুল হয়ে সহসাই গেয়ে ওঠে মন  খুঁজে ফেরে হারানো স্বর্ণালী ক্ষণ।

কাউসার আলী, ( সিডনি অষ্ট্রেলিয়া )

ছবি
শূন্য বৃত্ত কনিষ্ঠা আঙুলে আঙুল গুজে প্রথম শরীরী অনুভব উত্তাপ, নব্য যৌবনের চাঁদ খোঁজে উন্মুক্ত বাঁধাহীন ভালোবাসার উচ্ছ্বাস। নগ্ন স্বপ্নের রংমহল ধূলিসাৎ অতনু ফিরে যায় হানিয়া ফুলাবাদ, আঁড় চাহনীর ইশারায় প্রেমের চাষাবাদ চোঁখ মারামারিতে সম্পর্কের বাজিমাত। অলস দুপুরে লাজুক চুমোর ছুড়াছুড়ি অনভিজ্ঞ আধো আধো অক্ষরে,                        প্রেমপত্র চালাচালি! রোমান্টিক দু‘লাইন গেয়ে গান প্রেমের তানপুরায় অন্তরাত্না টান। দুরন্তপনার ভালোবাসার রেস আজ জমাট বাঁধা আটলান্টিকের বরফ! ফেলে আসা ভুলের স্তুপে চাঁপাপড়া ঘুমন্ত অনুভূতির চিহ্ন ধরে ধরে আজও তোমার সীমান্ত খুঁজি, এখন আমার সীমানার পরিসীমা বলতে অপূর্ণ শূন্যতাকেই বুঝি।

মাসুদ রানা

ছবি
  তুমিত আমাকে নিলেনা    ভালো থাক প্রেম দহনের জ্বালা নিয়ে সিঁদুরের মতো  জ্বলে জ্বলে এই পোড়া কপালে আমার  ভালো থাক বেদনা হৃদয়ের বন্দরে  বেড়ে উঠো দুধে ভাতে নদীর মতোন  পল্লবিত হও শুধু যন্ত্রণা  নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে আমার সারাটা জীবন।  দুঃখের সাথে বারো মাস  বসে থাকি  সোনার পালঙ্কে আমি  ভাবি কোথা তুমি তরুণ যুবক  নিয়তি নিলনা তুলে  তরঙ্গে মাতাল ছোটে তরণী তোমার  কোথা যাবে কোন দূরে  মলিন মলাট খুলে পার হও গোধূলি দিগন্ত বেলা আমাকে নিলেনা।  বিষের বসন খুলে দর্পণের যুবতীরে  কারে করি অর্পন  কিশোর  শিশুর মতো চেয়ে থাকি  তোমার জীবনের দিকে  তোমার চলে যাওয়ার দিকে  আমাকে নিলেনা।  অভিলাষী মন আমার, বিলাসি হতে চায়  তবু সুখ কেবলি আমার কাছে  সন্ন্যাসী সবুজ মাঠ শেষে  মরীচিকা রোদে মিশে  ভুলে থাকা জীবনের অমর আখ্যান  স্বপ্ন কেবল সাধু সুদূর অতীতে পরাহত  পতিত জমির মতো উষর পাষাণ আমি  কেউ চষে ফেলেনি যাকে  খোঁপার ফুল খুলে পাগল পথিক হই কই তুমিত নিলেনা আমাকে।

মোঃ হা‌বিবুর রহমান

ছবি
  অ‌বোলার সঙ্গদান ( ছোট গল্প )               প্রাতঃকালীন হাটাহা‌টি ক‌রার সময় ইদা‌নিং ক‌য়েক‌দিন যাবৎ দে‌খি এক মধ্য বয়সী পুরুষ কুকুর আমা‌দের‌কে অনুসরণ ক‌রছে, বলা যায় রী‌তিমত আমা‌দের সঙ্গ দি‌য়ে যা‌চ্ছে। হঠাৎ ক‌রে কুকুর‌টির সঙ্গ দেওয়ার ব্যাপ‌া‌রে একটা তপসারা খুঁ‌জে বের করলাম। সহসঙ্গী মেজর জামান‌কে বললাম,"জামান বলোতো কেন কুকুর‌টি আমা‌দের হাঁটার পুরা এক ঘন্টা সময়কাল নিঃস্বার্থভা‌বে সঙ্গ দি‌য়ে যা‌চ্ছে"?  উত্তরটা একটু প‌রেই শুনি। হয়ত স্বগোত্রীয় কোন কুকু‌রের সা‌থে কামড়াকাম‌ড়ি ক‌র‌তে যে‌য়ে কিংবা ক‌ঠিন কোন হৃদ‌য়ের মানুষ তা‌কে স‌জো‌রে আঘাত ক‌রে তার এক‌টি পা ভে‌ঙ্গে দি‌য়ে‌ছে। কুকুর‌টি মা‌ঝে মা‌ঝেই খ‌ুড়ি‌য়ে খুড়ি‌য়ে দৌ‌ড়ে আমা‌দের হাঁটা দ‌লের একটু সাম‌নে যে‌য়ে আমা‌দের দি‌কে লেজ নাড়ায় আর চো‌খেমু‌খে কি যেন এক অদ্ভূত আকুল আকু‌তি জানায়। তার ঈশারা আর দেহভঙ্গির মাধ্য‌মে কেমন যেন একটা আহ্লাদ আহ্লাদ আর মায়াময় ভাব। কি মে‌সেজ বা বার্তা সে দি‌তে চায় তা বুঝার ক্ষমতা আমার নেই।  ত‌বে মানুষ হি‌সে‌বে যা বুঝলাম সেটা হ‌লো, সে যে আমা‌দের‌কে খুব অন্তরঙ্গ ভে‌বে আমা‌দের সা‌থে তার সঙ্গটা ম‌নেপ্রা‌ণে উপ‌ভ

মহুয়া চক্রবর্তী

ছবি
ভালোবাসা  ভালোবাসা - তাকে কি দেখেছো কখনো ! সে কেমন হয় গো , তার স্পর্শ পেয়েছো কি?  জীবন জুড়ে শুধু অবহেলার চোরাবালি, যেখানে শুধু তলিয়ে গেছি আমি।  ভালবাসাকে শুধু দূর থেকে দেখেছি, দূর থেকেই সে দিয়ে গেছে হাতছানি। যখন কৃষ্ণচূড়ার বুকে, লাল আবিরের দল খেলে, আমি তখন বিষাদ মনে শূন্য পথ পানে চেয়ে থাকি, সে আসবে ভেবে।  মনের ঘরে জীবন প্রদীপ খানি জ্বালিয়ে রাখি। তুমি আসবে বলে, কামিনীর সাজে সেজে,  আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে হাতে, নিজের প্রাণের মাঝে। কবে আসবে তুমি  সম্মুখের পথে দীপ্ত শিখাটি নিয়ে আছি তোমার পথপানে চেয়ে । পুড়বে বলে রয়েছে আশায়  আমার নিরব হিয়া। কবে পাবো তোমার ভালোবাসার ছোঁয়া।

কবি মিশ্র

ছবি
  অনুভূতির অলিন্দে দশ বাই দশ ঘরটার মধ্যে যখন হাঁপিয়ে উঠি তখন তোমার কাছে যাই। তোমার শীতল স্পর্শ, আলতো অনুভূতি আর কোথাও না পাই।! ইদানিং তোমার পরিবর্তন  বড্ড মন কাঁদায়, তোমার পরিবর্তীত অবস্থানের সঙ্গে আর মানিয়ে নিতে পারি না। রূপান্তর একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তবে আমি কি বেমানান? প্রশ্ন গুলো মনে আছাড় মারে আঘাত করে, হয়তো দুফোঁটা রক্ত চোখের কোল বেয়ে কপাল পেরিয়ে তোমার কাছে ছুটে যায়...  কেউ বলে অশ্রু, কেউ বলে চোখের পানি..  কিন্তু আমি তো কিছুই বলি না!! ওতে ও যে সোঁদা গন্ধ পাই... সেই দশ বাই দশ ঘরটার অন্দরের সাদা দেওয়ালের মতো... তবুও চোখ বোজালেই আমি তোমার কাছেই যাই... সোঁদা গন্ধের টানে, অনুভূতির অলিন্দে।।

মুন চক্রবর্তী

  নিশিতের তারা যাপন ঘরের গোপনে রাখা আছে হিরন্ময়ী  এক এক করে আমার বিশ্বাস আত্মবিশ্বাসের আলোতে  চোখের জলে কখন বৃষ্টি মিশে দীঘির পদ্ম পাতায় স্থির সুখ দুঃখের ভার নিয়ে বৈঠার কঠিণ পথ চলা আজ বুঝি একেলা পথের ঠিকানা বিহীন আমি কিছু আলোক দ্যুতির সন্ধানে নিশিতের তারারা হাতছানি দিয়ে যায়। অনেক ক্লান্তি পার করে জীবন বিশ্বাসে, তারাদের বিজয় সম্মেলনে, হিরন্ময়ী পরশ খুঁজে নেওয়া।

ফারজানা আফরোজ

ছবি
  রূপসী বর্ষা হঠাৎ দমকা হাওয়া ছোটে চারিদিকে আকাশের নীল ঘিরে যায় আঁধারে। মেঘ থেকে ঝরে পরে বরষন ধারা, কখনো অঝোর ধারায় কখনো টুপটাপ সুরে। মনে পড়ে সেই ভুলে যাওয়া গান- বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দে ফিরে আসে সেই চেনা সুর, হারানো স্মৃতিরা ফিরে আসে বারে বারে। বর্ষাকে আলিঙ্গন করার শত আয়োজন- কদম ফুলেরা ফোঁটে গাছের শাখায় ময়ূর পেখম মেলে নাচে তালে তালে মেঠো পথ ভিজে ওঠে বৃষ্টির ছোঁয়ায় সবুজ শ্যামলে ভরে ওঠে ধরনী। নব উল্লাসে জেগে ওঠে হৃদয়, পাহাড়ি ঝর্ণা ফিরে পেল প্রান। সাঁঝের বেলায় ম্রিয়মান আলোয়, ভেসে আসে মেঘের গর্জন। বৃষ্টির নূপুর বাজে তমাল বনে- থৈ থৈ জলে হাঁসেরা খেলে জলকেলি পাল তোলা নৌকা ভাসে ঢেউয়ের স্রোতে। ঘর ছাড়া মন রয়না আজ ঘরেতে- ফিরে পেতে চায় ফেলে আসা দিন কলাপাতার ভেলায় করে ভিজতে বৃষ্টিতে বাদল দিনে হাঁটতে কেয়ার বনে টিনের চালের টুপটাপ শব্দে ঘুমিয়ে পড়তে রূপসী বরষা আসুক নব নব রূপে, বর্ষার স্নানে শুচি হোক ধরা।

l

 l

n

 n

m

 m

q

 q

মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ

ছবি
  সৃষ্টি কর্তা আকাশ পানে চাঁদ সূর্য নক্ষএ কত গ্রহ তারা জমীন পানে জীব প্রজাতি গাছ প্রকৃতি নদী-নালা নীচ থেকে উপর মাঝে,ইট সাজিয়ে ছাদের মতোন দিয়েছো যে পৃথিবীকে আকাশ নামের ছাদটাকে! তারীর মাঝে নাইকো আজ,আমরা সুরক্ষিত। খোদা তোমার রং বে রংয়ের খেলায় যে আজ পৃথিবী নামক গ্রহের মানুষ,করছে হা হা কার। অন্য গ্রহে যেন,দিওনা এই মরণ ব‍্যাথী করুন দোসা। খোদা তুমি করলে ঘোষণা,পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব আমরা। কোন ভুলে দিচ্ছো মোদের এত কষ্ট যন্ত্রণা। হে খোদা তুমিতো দোয়ার সাগর দাওনা মোদের ভিক্ষা। দুহাত তুলে দোয়া করি পৃথিবীকে শান্ত করো আবার। পৃথিবীকে শান্ত করো আবার।

রেবেকা সুলতানা ( রেবা )

ছবি
  স্বরচিত কবিতা পাঠে ক বি     রেবেকা সুলতানা ( রেবা )  তুমিই শুধু  বুঝলে না তোমার মুছকি হাসির মাঝে লুকিয়ে   থাকা দুষ্টুমির ভাষা আমি বুঝি। তোমার গোম্ভিরতার মাঝে লুকিয়ে থাকা অভিমানের ভাষা আমি পড়তে পারি। তোমার মিথ্যে ভালো থাকার পিছনে কষ্টের ব্যাথাগুলো অল্পতেই যে বুঝে ফেলি। তোমার হেঁটে যাওয়ার পায়ের শব্দে  আমি তোমায় চিনতে পারি যে! সেলফোনের ওপাসে কেমন আছো তুমি বুঝতে আমার একটুও দেরি হয় না রে। চোখ বুঝলেই তোমার বদন খানি আঁকতে পারি নিমেষেই শুধু পারিনা ছুঁতে তোমায়। হৃদয়ের ভাজে ভাজে তোমার নামে বৃষ্টি ঝরে অঝর ধারায়  তাই তো এতো কিছু বুঝতে পারি।  শুধু তুমিই বুঝলে না আমায়  নিরব শব্দের ব্যথার পাহাড় শহর জুড়ে আছে আমার বুকের বাঁ পাসের যন্ত্রনার  খবর  কেউ  রাখেনা এখন  আর।

আইরিন মনীষা

ছবি
  বিরহী অশ্রু বিরহী অশ্রুর  আঁখিতে  ভরে চেয়েছিনু  আমি তোমারি পানে, অপেক্ষার প্রহরের যবনিকা টেনে এইতো বুঝি কবি শুধালে কাব্য শানে.  এখনো চোখে ভেসে ওঠে সেই ক্ষণ সেই তোমার ডাগর কালো চোখের চাহণী, সহাস্যে হেসে বলতে তোমাতেই হারিয়েছি মন অথচ, কি আশ্চর্য আজ সেসব কেবলই ধুসর অতীত।  এখন আর বেলকনিতে বসে আমার কাকাতুয়াটি ডেকে ওঠেনা ভুলে গেছে  সে আমার প্রিয়জনের নাম ধরে ডাকতে, ক্লান্ত বিকেলে একাকী প্রহরে আসেনা তোমার ফোন পাইনা আমি নীল খামে পাঠানো তোমার সেই চিঠি। কতদিন যাইনি সাঁঝের বেলায় সূর্যের রক্তিম আভা দেখতে যেখানে করে গোধুলী আলো খেলা একান্ত আপন মনে, তৃষিত আঁখিতে আজ ওঠেনা সুন্দরের সান্নিধ্যে শাণিত জোয়ার সব যেন ধুসর বিবর্ণ ঝরাপাতার অপাংক্তেয় কথন। বাদল দিনের বৃষ্টি ফোঁটায় সঞ্চারিত হয়না তোমার দেওয়া কদম তুমিই তো এক সময় পরম আনন্দে ভালোবাসায় আমার খোঁপায় গুঁজে দিতে, আর গুন গুনিয়ে বলতে আমায় বড়ই ভালোবাসি যেখানে হতো প্রশন্ত বারিধারায়  প্রকৃতির সাথে আলিঙ্গন। বসন্তের মাতাল সমীরণে বাসন্তী রঙে আর সাজা হয়না পায়না শোভা বাসন্তী রঙে ম্যাচিং করে সাজগোঁজ সবই এখন কষ্টের নোনাজলে ভেসে একাকার  জানিনা কবে আমার এই বিরহী প্রহর

মমতা রায় চৌধুরী

ছবি
মেঘ বালিকা মেঘ বালিকা, মেঘ বালিকা আজ তোমায় দিলাম ছুটি। মেঘভেজা রোদদুর এসে হাত বাড়িয়েছে দুটি। টগর ,লিলি ,কেতকী স্মিত হাস্যে উঠেছে মাতি। ওদিকেতে পুকুর জলে ভাসছে মোরোলা, সরপুঁটি। মেঘ বালিকা ,মেঘ বালিকা এবার তোমার ছুটি। তাই বলে ভাই মনে রেখো, আসছে আষাঢ় শ্রাবণে- উড়িয়ে মেঘের ভেলা। বৃষ্টি হয়ে ঝরে প'রো অভিসারিকার পথে। মেঘ বালিকা ,মেঘ বালিকা এবার তোমার ছুটি। নীলাম্বরী শাড়ি পরে, আনমনে যাও তুমি। অনেক দূর যেতে হবে আরো অনেক পথ। এমনই তো ছিল - তোমার আমার শপথ।

শ্যামল রায়

ছবি
ভালোবাসা দেবে না তুমি? তোমাকে শোনাব সমুদ্রের গর্জন তোমাকে দেবো নির্ভেজাল  একটা উঠান ভরা ভালোবাসা ভালোবাসা দেবে না তুমি? তোমাকে দেবো একটা সকাল বেলা তোমাকে দেবো শিউলি ফুল বাগান কখনো তুলে দেব শিমুল পলাশ কৃষ্ণচূড়া জুঁই ফুলের ডালি হ্যাঁ গো ?তুমি ভালোবাসা দেবে না আমায়? বলো বলো একবারের জন্য হলেও বলো আমিতো সর্বক্ষণ অপেক্ষায় থাকি  তোমায় একটু ভালোবাসা দেবো একটুখানি ছোঁয়া লাগিয়ে বলবো আমি অনেকটাই পাহাড় টপকে যেতে পারবো তোমার খুব কাছাকাছি বসবো পাশাপাশি একটা বিকেল বেলায় সবুজ ঘাসে বলো বলো তুমি আমায় ভালোবাসা দেবে না? তুমি ভালোবাসা দিলে আমি ঝর্ণায় ভিজতে পারি তুমি ভালোবাসা দিলে রোদ্দুরে অপেক্ষা করতে পারি তুমি ভালোবাসা দিলে নদী সাঁতারে  ছুতে পারি তুমি ভালোবাসা দিলে এক চাদরে ঘুমোতে পারি তুমি ভালোবাসা দিলে রাত জেগে ভাবতে পারি তুমি ভালোবাসা দিলে দেশ ও গড়তে পারি দায় বোধে দায়িত্ব  নিয়ে লড়তেও পারি তোমায় একটু ভালোবাসার জন্য তোমার জন্য রোদ্দুরে দাঁড়াতে পারি তোমার জন্য ঝড়ি বৃষ্টিতে ভিজতেও পারি শুধুই তুমি একটু ভালোবাসা দিয়ো বলো বলো তুমি কি ভালোবাসা দেবে না?

মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ

ছবি
  বর্ষার ছবি বর্ষা এলে পানিতে ডোবে      পুকুর নদী খাল, মাঠের বুকে শ‍্যাপলা ফোটে    তোলে খুঁকির দল। চারিদিকে থৈ থৈ পানি     জেলে ধরে মাছ, রাখল বালক গুরু নিয়ে     বর্ষায় মাতে গান। মাঠ ভর্তি নানান পাখি আসছে উড়ে অজানার দেশ থেকে,   অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখি মুখ ফেরাতে হয়না ইচ্ছে। বর্ষা হলে বীজ রোপন    করতে হবে ভাই, কোদাল হাতে কাঁধে লাঙল   চলেছে চাষির দল। নদীর বুকে নৌকা চলে      তুলে রঙিন পাল, বৃক্ষ রাজি ফিরে পায়    মুচকি হেঁসে কয়।

ইকবাল বাহার সুহেল ( ইংল্যান্ড )

ছবি
  রক্তহীন বুক আমি শকুন দেখেছি  তোর চোখের সাথে মিলিয়ে  আমি শকুন দেখেছি ! ছিড়ে খাওয়া চোখ  দেখেছি রাতের আধারে সাদা রক্তহীন বুক ! আমি শকুন দেখেছি  স্রোতে ভেসে যাওয়া মৃতদেহের ওপর দাঁড়ানো  একটা আত্মতৃপ্ত, অহংকারী ধরনের শকুন ! কফিনে কাপড় জড়ানো ! গল্পের আদি, মধ্য, অন্তের ধারাকে ভেঙে দিয়েছিলি যখন ! আমি শকুন দেখেছি  মীমাংসা না করেই তুই তোর অসমাপ্ত গল্পটা শেষ করতে চেয়েছিস ! ঘৃণিত হয়েছিস।

তরুণকুমার পাল

ছবি
  জারজ ও নিষ্পাপ মানব সভ্য যুগের অচেতচিত্ত মানব অসভ্য আদিমতায় মত্ত- বিবেকচ‍্যুত মানুষ কি জলাঞ্জলি দিয়েছে মনুষ্যত্ব? নিকষ অন্ধকারে অন্তরালে চলে সভ্য জীবনের নষ্টামি -  কখনো পথের পাশে পোড়োবাড়ির অন্দরে ঝোপঝাড়ে-  কখনো দেখি বা শুনি নোংরা ডাস্টবিনে - পড়ে থাকা সদ্যপ্রসূত পরিতক্ত শিশুর ক্রন্দন।  অনিচ্ছা সত্বেও হিংস্র জন্তুর বলাৎকার - জবরদস্তি ধর্ষণ- নখ দংশনে আত্মসমর্পণ। হয়ে যায় চরম ক্ষতি কুমারী সতীত্বের মরণ-  এক নিষ্পাপ প্রকৃতিও সহসা হলো গর্ভবতী যেন - শেষে নষ্ট ভ্রুণ- নয়তো ভূমিষ্ঠ এক অপুষ্ট সন্তান-  পরিচয় হীন হয়ে ঘৃণা সহে বেঁচে থাকে সারাজীবন। নিষ্পাপ শিশুর আজীবন কলঙ্ক হতে নেই পরিত্রাণ- সে জানলো না কি তার পরিচয় কাদের সে পাপের ফল- যতদিন বেঁচে রবে অন্তর্দাহে বয়ে যাবে অশ্রু অনর্গল। কেউ বলবে অনাথ কেউ বলবে জারজ বা বেজন্মা- এ জীবন তার যেন অভিশাপ অসহন অনুতাপ - আজ মানুষ হয়েও কেন হই আমরা এতো অবুঝ? এতো নিষ্ঠুর অমানবিক এই বিচার কি সঠিক?  সভ্য মানুষের সভ্য সমাজের এহেন ব‍্যবহারে শত ধিক। মানুষের কি থাকবে না এতোটুকু বিবেচনা হুঁশ? অনাথ বেজন্মা সেতো নয় সেও নির্দোষ নিষ্পাপ- মানুষ! তারও সম্মানের সাথে বা

মোঃ হা‌বিবুর রহমান

ছবি
মধ্যম পন্থা জগ‌তে‌ কোন জি‌নিস মাত্র‌ারিক্তভা‌বে বে‌ড়ে গে‌লে; হোক সেটা পরস্পর জানা‌শোনা, যোগা‌যোগ, ভালবাসা, শ্রদ্ধা, ভাললাগা, কিংবা সন্মান প্রদর্শন অথবা হৃদ্যতা তা এক ঝাপোটেই ভে'ঙ্গে কাঁ‌চের দেওয়া‌লের মত খান খান হ‌'য়ে যে‌তে পা‌রে এক নি‌মি‌ষের ম‌ধ্যেই। অথচ এখা‌নে মো‌টেই পরস্পর পরস্প‌রের ম‌ধ্যে তেমন বিবা‌দের কোন কারণ কিংবা নী‌তির কোনই উ‌ল্লেখ‌যোগ্য পার্থক্য নাও থাক‌তে পা‌রে।  এটা বোধ ক‌'রি প্রকৃ‌তির সূচী‌তে লি‌পিবদ্ধ থা‌কে যা সম‌য়ের প‌রিক্রমায় ক্রমধারানুযায়ী অহ‌র্নিশ একটার পর একটা ঘ'ট‌তে থা‌কে আর মান‌বের আন্তঃ‌রিকতা ও সততা য‌থেষ্ট থাকা স‌ত্ত্বেও সে‌টি‌কে নিয়ন্ত্র‌ণে রাখা আর সম্ভব হ‌'য়ে উ‌ঠেনা।  এ প্রস‌ঙ্গে ইসলামেও সবসময় বলা হ‌'য়ে‌ছে  মধ্যম পন্থা অবলম্বন করতে। বাংলায় একটা প্রবাদ প্রচ‌লিত আ‌ছে যা আমরা তা সবাই জা‌নি, অ‌তি বাড় বে‌ড়ো না ঝ‌ড়ে ভে‌ঙে যা‌বে, অ‌তি খা‌টো হ‌য়ো না ছাগ‌লে মু‌ড়ে খা‌বে।

মহুয়া চক্রবর্তী

ছবি
  অভিমানী আষাঢ়  আষাঢ়ের আকাশে আজ কালো মেঘের ঘনঘটা এমনও দিনে পড়ছে মনে পুরনো দিনের সব কথা। যে পাতা ঝড়ে গেছে  সে আর জুড়বে না কোন ডালে কিছু কিছু কথা আজও আছে মনের অন্তরালে। ব্যাথাগুলো সাজিয়েছি অভিমানী মন জুড়ে। মাঝদুপুরে হঠাৎ যখন সন্ধ্যা নেমে আসে  আকাশ কালো করে আসা নাছোড়বান্দা মেঘে হঠাৎ করে তুমুল বেগে পাগল-করা বৃষ্টি শুরু হয়। তোমার কি মনে পড়ে,  আমাদের কথা ছিল সেই বৃষ্টিতে ভিজে নিজেদের ছেলেবেলায় ফিরে যাবার। এমন দিনেই কথা দিয়েছিলাম  একে অপরকে শহর ঘুরে দেখার। বাইরে এখন বইছে ঝড়ো হাওয়া তোমার কি মনে পড়ে, আমরা কথা দিয়েছিলাম, আমরা নিজেদের জীবনের  ছোট বড় ঝগড়া গুলো ভুলে  বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটায় আবার নিজেদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবো  সেই পুরনো দিনে আর  বন্ধ করে দেবো জানালা গুলো যাতে ঝড়ো হাওয়া আর তছনছ করতে না পারে। তারপর বৃষ্টির দুপুরে তুমি আমি পাশাপাশি বসে তোমার আঙুলে আঙুল পেচিয়ে নানা রঙের স্বপ্ন বুনবো। তুমি কি ভুলে গেছো সে সব দিনের কথা যদি আবার কোনদিনও এমন কোন দিনে দেখা হয় কোন পথের বাঁকে সেদিন কালো মেঘের মতো থমকে যেওনা আকাশ তাহলে আর বৃষ্টি ধরে রাখতে পারবে না।

এরশাদ

ছবি
  দীর্ঘশ্বাস   কোন এক সন্ধ্যায়  তোমার সমস্ত স্পর্শ ফিরিয়ে দেবো নারী। দু'জনের কাতর চুম্বন,শরীরের সুনামী অথবা তোমার অধরের উদাম নৃত্য রেখে দেবো তোমার কাতর চাহনীতে। তোমার শিরদাঁড়া বেয়ে হিম শিহরণ  আমাকে দিয়েছিলো যে উষ্ণতা! তোমার কপোলের রাঙা লালীমাও আজ ফিরিয়ে দেবো। কামোক্ত শরীর,গভীর নাভী বেয়ে বুকের বাঁ পাশে রাখা আমার রক্তাত্ত্ব ক্ষত আজ ফিরিয়ে নেবো তোমার কাছ থেকে। বুক বেয়ে উঠে আসা দীর্ঘশ্বাস আজ অনেক ভারী হয়ে তোমার ললাট রেখায় এঁকে দিয়েছে যে মানচিত্র সেখানে এখন আমার বসবাস নেই নারী তুমি এখন প্রেমিকা নও। তুমি এখন নষ্ট রাত তুমি এখন আযৌবনা নৈশপ্রহর তুমি এখন শীতল রাতের বাষ্পিত ধোঁয়া তুমি এখন অনন্ত পৌরুষের সু-নিপুন ত্রাশ! নারী,তুমি এখন কামোক্ত শরীরের টাকায় কেনা দীর্ঘশ্বাস।

কবি সানি সরকার

ছবি
স্বরচিত কবিতা পাঠে কবি সানি সরকার   আপনারাও পাঠান আপনাদের স্বরচিত কবিতা পাঠ করে অবশ্যই প্রকাশ পাবে স্বপ্নসিঁড়ি পত্রিকার পেজে ।

আজ কবিতায় কবিরা হলেন কবি দেলোয়ার হোসেন সজীব , ফিরোজ আহমেদ জুয়েল, ওয়াহিদা খাতুন , বাহাউদ্দিন সেখ , ফরমান সেখ, শ্যামল রায়, শিবনাথ মণ্ডল,

ছবি
  দেলোয়ার হোসেন সজীব শুন্য যাযাবর আমি জীবন কে তাল গাছের মত ভাবি যার প্রতিটি পরদে বাবুই পাখির বাসা দেখি, আমি দেখি স্বপ্ন আশা,অটাল ভালোবাসা বেঁচে থাকার যুদ্ধে আমি তাতে পাই ভরসা। আমার চারপাশে অজস্র বাবুই পাখি উড়ে মুখে কিছু খরখুটো,  খুব যতনে বাসা বুনে, ওরা আমার মত গরীব ডালভাতে সুখি আমি ভাবি হায়  হতাম যদি বাবুই পাখি। আমার ইচ্ছে করে মুক্ত বিহঙ্গ উড়ে বেড়াতে পাখির মত সামান্য খরখুটো তে সুখ পেতে, আমি প্রকৃতি প্রেমী, এক শুন্য যাযাবর লক্ষাধিক জায়গা রাখি বুকের ভিতর। আমি কবিতা লিখি, কবিতায় মিশি কবিতায় ডুব দেই,কবিতা ভালোবাসি,  কবি ও কবিতা দুইয়ে মিশে থাকা আর আছে ভালবাসার দুই পাখা। কলমে-ফিরোজ আহমেদ জুয়েল ভয় ভয়-ভয়-ভয়,চারিদিকে ভয়, আসলে ভয়ের নেইতো কিছুই, আত্মবিশ্বাসের দুর্বলতায় হৃদয়ের ক্ষয়, প্রতিহত হয় ভয়,বিশ্বাসের অটুট ধারায়, মন যদি রাঁঙ্গে বিজয়ের চেতনায়। ভয়! আছে নিরবে মিশে,প্রতিটি হৃদয় জুড়ে, শারিরীক ভয়,মানষিক ভয়, স্মৃতিতে ভয়,দুঃস্মৃতিতে ভয়, হারানোর ভয়,চেতনায় ভয়, সম্ভাবনায় ভয়,পেয়ে হারানোর ভয়, চারিদিকে শুধু ভয়ের শ্বাসন, নিরবে নিভৃতে মিশে প্রতিটি হৃদয়ে, তিলে তিলে করে দেয় হৃদয়টা ক্ষয়। ভয়! কিশোর বেলায় ভয়,বাবা

মুন চক্রবর্তী

ছবি
মুক্তির খোঁজে   কাটাকুটি খেলা শেষে দাঁড়াতে চায় মন্দির প্রাঙ্গণে দুর্বাশার অভিশাপ ভয় মুক্তির প্রার্থনায় দেবতার আয়োজন। চারিদিকে রুগ্ন শিরায় বয়ে চলছে এক বিশাল ট্র্যাজেডি মৃত্যু লগ্নে দাঁড়িয়ে বাঁচার আনন্দে  স্রোতস্বিণী কবিতার ধারায় বহুদূরের সূর্য কে প্রণাম শত যোজন পার করে ছুঁয়েছে গভীর অরণ্য প্রণয় প্রত্যাশায় কাজল টিপে তুলে রেখেছে মুক্তির খোঁজ স্নেহের কঠিণ সময়ে। সব দিতে চাইছে দীর্ঘশ্বাস, নিস্পাপ পরে আছে  কবিতা উচ্চারণে --দেবতাসনে। 

জয়িতা বর্ধন

ছবি
স্বপ্নসন্ধানী স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে  একটা নীল আকাশ দেখতে চাই,  যে আকাশ চেতনার রঙে রঙিন.....  সজীবতার আলোয় অন্তহীন ,  ভালোবাসার কোমলতায় পেলব  জীবনবোধে চির উজ্জ্বল |  এমন একটা আকাশ দিতে পারো ? পারো কি দিতে  যে আকাশে নেই স্বার্থান্ধতার কলুষতা। যেথায় আছে কেবল  স্বপ্নের বিনিসুতোর আলাপচারিতা।

শর্মিষ্ঠা মাজি

ছবি
 রবীন্দ্রনাথ ভোরের আকাশ প্রভাতি সুরে জাগিয়া উঠিলো বিশ্বভুবন, শঙ্খ ধ্বনি আকাশে বাতাসে  সুরের মাধুরি  পঁচিশে বৈশাখে । যত শুনি তোমার কথা তত জুড়ায় প্রাণের ব্যাথা, স্নেহে প্রেমে মান অভিমানে জেগে আছো গীতাঞ্জলীর গুনে । সবার রবি সবার কবি তোমায় গেঁথেছি মনে,  গল্প ছড়া উপন্যাস  কবিতা আর গানে। তোমার বিরহে পাই যত জ্বালা তত জাগে আশা মোহ ভালোবাসা, প্রাণের সাধনা মনের বাসনা মুছে যায় যত মরিচিকা আশা।

প্রদীপ গিরি

ছবি
  জীবনের টানে তোমর জন্য অপেক্ষা করেছি, কত দিন নিদারুন প্রত্যাশা করেছি! আজ রাতটা কাটুক তবে আদ্র ভোরের টানে । যে শতাব্দীর নৃশংস মহামারী পেরিয়ে যখন আমি প্রত্যাশার ব্যার্থতায় প্রাচীর তুলে দাঁড়াবো তোমার সম্মুখে, লজ্জা নিবারণের কোন আবরণ দিয়ে ঢাকতে মুখ আমার সম্মুখে ,  কি শাস্তি মাথাপেতে নেবে নিজের অপরাধের, কিভাবে মানবে নিজের হাতের মুঠোয় থাকা সময় কে হারানোর আফসোস। সময় থাকতে তুমি যে হাত ধরলে না আপন মনে, প্রবল প্রতিকূলতার সময় যে তুমি আলিঙ্গন করতে মুখ ফিরিয়েছো সন্ধে- সকালে। খেয়ালি বালখিল্লোতায় বুঝলেনা সঠিক সময় প্রিয়জন আর প্রয়োজনের সরলরেখার সামানুপাত।

কবিতা হালদার

ছবি
 তুলির  টানে মধ্য গগনে নীল নীলিমায় এঁকেছি তোমায় মনের গহনে কি করে বল ভুলি গো তোমায় পায়ে পায়ে পথ চলা মধুময় জীবনে! কত মান অভিমান কত সুখ দুঃখ সহেছি গোধূলি বেলায় পড়ে আছি একা নদীর ঘাটে দিনান্তের ক্লান্ত রবি যায় জে পাটে। যাবার বেলায় একে দিয়ে যাব কত স্মৃতি কথা, ছবি হয়ে যাবে মনোবীণায় হৃদয়ের ব্যথা। এক দিন এই পৃথিবী নতুন করে জন্ম নেবে  হয়তো সেদিন, থাকবো না আমি এই-ভাবে!

শ্যামল রায়

ছবি
 ইচ্ছে করে রোজ ইচ্ছে করে রোজ ঘাসের উপর তোমার ছড়ানো আঁচলে আকাশী রং হয়ে উঠি ভালোবাসার গল্প কবিতায়। কথা বলতে বলতে নতুন শব্দ সাদা পৃষ্ঠা জুড়ে হিজিবিজি করি রং তুলিতে আঁকি তোমার ব্যস্ততা। তুমি আর ব্যস্ততা দেখিয়ো না সারাদিন ভাবতে ভাবতে নিঃশ্বাস ফেলি গেয়ে উঠি নানান কথায় শুধু গান। তুমি মনের মধ্যে দুচোখ জুড়ে আছো তাই অন্য কিছু ভাবতে পারিনা শুধুই ভাবি তোমার কথা তোমাকে নিয়ে রোজ ভাবি প্রতিটি মুহূর্তে। অবিকল একটা সকাল বেলার মতো তুমি থেকো আমার হৃদয় জুড়ে শুধুই বেঁচে রাখতে আমাকে শুধুই কবিতার পংক্তি জুড়ে বাঁচিয়ে রাখতে শুধুই আমাকে।