বিরহী অশ্রু
বিরহী অশ্রুর আঁখিতে ভরে
চেয়েছিনু আমি তোমারি পানে,
অপেক্ষার প্রহরের যবনিকা টেনে
এইতো বুঝি কবি শুধালে কাব্য শানে.
এখনো চোখে ভেসে ওঠে সেই ক্ষণ
সেই তোমার ডাগর কালো চোখের চাহণী,
সহাস্যে হেসে বলতে তোমাতেই হারিয়েছি মন
অথচ, কি আশ্চর্য আজ সেসব কেবলই ধুসর অতীত।
এখন আর বেলকনিতে বসে আমার কাকাতুয়াটি ডেকে ওঠেনা
ভুলে গেছে সে আমার প্রিয়জনের নাম ধরে ডাকতে,
ক্লান্ত বিকেলে একাকী প্রহরে আসেনা তোমার ফোন
পাইনা আমি নীল খামে পাঠানো তোমার সেই চিঠি।
কতদিন যাইনি সাঁঝের বেলায় সূর্যের রক্তিম আভা দেখতে
যেখানে করে গোধুলী আলো খেলা একান্ত আপন মনে,
তৃষিত আঁখিতে আজ ওঠেনা সুন্দরের সান্নিধ্যে শাণিত জোয়ার
সব যেন ধুসর বিবর্ণ ঝরাপাতার অপাংক্তেয় কথন।
বাদল দিনের বৃষ্টি ফোঁটায় সঞ্চারিত হয়না তোমার দেওয়া কদম
তুমিই তো এক সময় পরম আনন্দে ভালোবাসায় আমার খোঁপায় গুঁজে দিতে,
আর গুন গুনিয়ে বলতে আমায় বড়ই ভালোবাসি
যেখানে হতো প্রশন্ত বারিধারায় প্রকৃতির সাথে আলিঙ্গন।
বসন্তের মাতাল সমীরণে বাসন্তী রঙে আর সাজা হয়না
পায়না শোভা বাসন্তী রঙে ম্যাচিং করে সাজগোঁজ
সবই এখন কষ্টের নোনাজলে ভেসে একাকার
জানিনা কবে আমার এই বিরহী প্রহর হবে শেষ বা আদৌ হবে কিনা।
কি পেলাম আর কি পেলাম না তা নিয়ে ভাবি না আর
আমার বিরহী প্রহরে আমিই আমাতে হাসি কাঁদি,
আমার কষ্টের প্রহরের ভাগ কাউকে দিইনা আর দিতে চাইও না
আমার কষ্ট আমার বিরহী ক্ষণে একান্তই আমার অধিকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much