পোস্টগুলি

জানুয়ারী ৯, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৮৯ বিদায় মমতা রায়চৌধুরী। ৩১.১২.২১ রাত্রি১.৩৫ আজ একটা দিন গেল বটে রেখার ,কতটা ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।একদিকে গত রাত্রে সাড়ে বারোটায় বাড়ি ফেরা হঠাৎই কাকিমার শরীর খারাপ কথাটা শুনেই ছুটতে হলো ।মনোজকে নিয়ে দেশের বাড়ি কাকিমার কাছে । ফলে স্কুলে যেতে পারে নি । হঠাৎ কোন বাজলো'কেন দূরে থাকো শুধু আড়াল রাখো, কে তুমি কে তুমি আমায় ডাকো'। গাড়িতে যেতে যেতেই ভাবছিল এসমস্ত কথা। ফোনটা বের করে দেখে বড়দির ফোন। রেখা ফোনটা রিসিভ করে বলে' হ্যাঁ দিদি বলুন।' বড়দি বললেন' রেখা আজকে তুমি স্কুলে আসলে না?' রেখা বলল' আসলে দিদি একটা প্রবলেম হয়ে গেছে।' বড়দি বললেন'তুমি না আসলে তো এদিকে প্রবলেম হয়ে যাবে।' রেখা বলল' হ্যাঁ আমি সেটা জানি।' বড়দি বললেন" কি হয়েছে?' রেখা বলল'আসলে আমার কাকিমা  হঠাৎ অসুস্থ। তাই সেখানে যাচ্ছি।' বড়দি বললেন' ও তাই বুঝি?' রেখা বলল' হ্যাঁ ,দিদি।' বড়দি বললেন'হ্যাঁ সেখানে তো যেতে হবেই। ঈশ্বর কাছে প্রার্থনা করি যেন সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যায়।" রেখা বলল' হ

কবি রুকসানা রহমান এর কবিতা

ছবি
গেরুয়া আলোর পথে রুকসানা রহমান  কেন যে শূ্ন্যতায় কষ্টের নীবর বেদনায় ঘুরেফিরে সেই তুমি ভেসে ওঠো আমার সমুদ্রের অতলতায় আধাঁর দৃষ্টিতে স্বপ্ন এসে ভীড় করে  জলজ জানালায়। বসে আছি একোন দিগন্ত ছেড়ে কোন দিগন্তে ভেঙ্গে গেছে যার প্রনয়ের দ্ধার  অনন্ত প্রতিক্ষায় নিশুতি রাতের  বাহুডোর ।  আমার ঘরে রাত নামে,যেন খড়রৌদ্রের বিরহ পত্রনিয়ে। খুঁজিকি আজও  তবে নিরবে নির্জনে সেই স্মৃতিময় তোমাকে... তুমি কি কখনো খোঁজো একা হলে ?  ক্লান্ত অশ্বথের শাখায় মিয়ানো চাঁদের আলোয় চমকে ওঠা মন শিশির ভেজা চোখ আজও হাওয়ার দীর্ঘশ্বাস উড়ে,ওড়ে মরুর বাঁকে ঐ-কারাভ্যানে নিঃশ্বেস হয়ে ও আমি কি দেখেছি তারে নীল নদের তীরে নিঠুর সেই মুখ!  জীবনের কত যে গল্প পড়ে থাকে বিকেলের গেরুয়া আলোর পথে। নিরবে নিশিথে এসেছিলে আশ্চর্য কৌশলে প্রাণের আকুতি জানিয়ে সেই তুমি একটু একটু করে মুছে দিলে স্বপ্নের আত্মার পান্নার সব রঙ যেমন করে মোহের খেলার আর্কষণের ভালোবাসা শেষ হলে পাশ কেটে চলে যায় নীরদ তীর্থস্নানে হৃদয় রেখায় নিরব বিষের শিবিরে কোকিল  পালক ছড়িয়ে।

মনি জামানের ধারাবাহিক উপন্যাস ১ম পর্ব

ছবি
শুরু হলো এই সময়ের অন্যতম তরুণ কবি মনি জামানের ধারাবাহিক উপন্যাস " সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল" সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল (১ম পর্ব) মনি জামান  আজ নিলয়ের মনটা খুব খারাপ মেবিনের কথা বার বার মনে পড়ছে,নিলয় ফোনটা হাতে নিয়ে মেবিনের নাম্বারে ফোন করলো অপর প্রান্ত থেকে জানিয়ে দেওয়া হল,দুঃখিত এই মূহুর্তে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।নিলয় আবার ফোন করলো অপর প্রান্ত থেকে একই উত্তর দুঃখিত এই মুহুর্তে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। বিষন্নতায় ছেয়ে গেলো নিলয়ের মন ফোনটা রেখে দিয়ে মনটা ভিষণ খারাপ লাগছে নিলয়ের,কয়দিন হলো মেবিনের সাথে কথা হয়নি,সেই ২০১৮ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে মেবিনের সাথে প্রথম দেখা ও পরিচয় হয়েছিলো নিলয়ের একটি কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠানে। সেই থেকে দুজনের পরিচয় আর এই পরিচয়ের সূত্র ধরেই ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে দুজনের মাঝে,সেখান থেকে আজ পার্যান্ত কখনো মেবিনের ফোন বন্ধ পাইনি নিলয়। আজ মনটা ভিষণ খারাপ লাগছে মেবিনের জন্য ভাবছে কোন কিছু কি হলো,নাকি ফোনে চার্জ নেই এমন উল্টা পালটা ভাবনা নিলয়কে অস্থির করে তুলছে,মেবিন ফোনটা কেন বন্ধ করে রেখেছে কোন সমস্যা হয়নি তো?আবার ভাবছে ধ্যাত তা কেন হ
ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত (পর্ব ৫১) শামীমা আহমেদ  রিশতিনার প্রশ্ন শুনে বেশ কিছুক্ষণ নীরব থেকে শিহাব বললো, ---আমি ভালো আছি। তা তুমি হঠাৎ দেশে? ---হ্যাঁ, এসেছি একটা জরুরী প্রয়োজনে।শিহাব তুমি সত্যি করে বলো কেমন আছো? রিশতিনা এই নিয়ে তিন তিনবার জানতে চাইল, শিহাব কেমন আছে।কিন্তু কেন এই জানতে চাওয়া? সেতো অন্য একটি জরুরি কাজে দেশে এসেছে।শিহাবের জন্যতো নয়! চার চারটি বছর শিহাবের কিভাবে দিন হয়েছে, রাত কেটেছে, কতটা যন্ত্রনায় অপমানে ক্ষোভে তার প্রতিটি প্রহর কেটেছে।তার হিসেব কি আর এই এক মূহুর্তে দেয়া সম্ভব? শিহাব নিজেকে বেশ শক্ত করে নিয়ে বললো,তুমিই বলো কেমন থাকতে পারি? রিশতিনা এক মূহুর্তও অপেক্ষা না করে বলে উঠলো, আমি জানি আর এই সবকিছুর জন্য আমিই দায়ী। সে আমি ভীষণভাবে বুঝতে পারি। নিজের উপর আমি নিজেই দোষারোপ করি। সেদিন যদি,,, ----থাক সেসব কথা। কেন থাকবে শিহাব?তোমারতো কোন দোষ ছিলনা। আমিই তোমার জীবনটা ওলোট পালোট করে দিয়েছি। --আচ্ছা এখন রাখতে চাইছি।আমাকে আর কল না দিলে খুশি হবো। রিশতিনা যেন এ কথাটি একেবারেই আমলেই নিলো না। সে বলেই চললো,,,তুমি তো এখন উত্তরা থাকো।সেক্টর ১৩ তে বাসা।কুশল সেন্টারে অফিস।গাজীপু

কবি আলমগীর হোসাইন এর কবিতা

ছবি
সুখের বিদায় আলমগীর হোসাইন লাল বেনারসি শাড়ি পরিয়ে বিদায় দিতে পারিনি সাদামাটা গোলাপ পাপড়ির মেহেদী সন্ধ্যায় মন না চাহিতেই রঙ্গ উল্লাসে সাজিয়ে দিলাম সুখ সম্বৃদ্ধি কল্যাণের পথে বাবার গৃহ ত্যাগে নতুন জীবনে নব সাথী লয়ে স্বামী গৃহে যেতে দিলাম।   বিদায় ক্ষণ আখি যুগল নোনা জলে ছলছল তালাবদ্ধ খেলনাগুলো শো কেইস এ সাজানো আজো ধুলোর আস্তরণে ঝাপসা লাগে অতীত স্মৃতির বহু কিছু তোমার বিদায়ে খালিলাগে মায়ের ঘরের অনেক কিছুই । স্বপনে এসে কি যেন বললে বুঝতে পারিনি মাগো বহু চেষ্টা করেও  স্বপনের কথা স্মরণে আসেনি আদৌ সুখের পরশে স্বর্ণালী সময়ে পদার্পন যুগল প্রেমী মন মোর অনাগত সময়ের বিসর্জনে সুখ কামনা তোমার। কতো কথা মনে পড়ে ক্ষণ সময়ে মোর  সুখ বিলাসে রঙ্গিন স্বপ্নে সাজাও তোমার ঘর ছোট্ট বেলার পুতুল খেলার সেই মাটির পুতুল তোমার বিদায়ে ভেঙে গেলো আঠারো বছর পর। মোর জীবনের স্বপ্ন স্বাধ তোমাকে ঘিরে মাগো পুতুল খেলারচ্ছলে তোমায় শাসন করেছি যতোই বিদায় লগ্নের নোনা জলে ধুয়ে মুছে দিও সব মা মনি আমার লক্ষিবতী সুখে থেকো জীবন ভর।

কবি বদরুল আলম এর কবিতা

ছবি
কষ্ট কড়চা বদরুল আলম  কোনহানে তোমার ঘর কোন ইস্টিশানের লগে ? যেইহানে হিজলের নাল ফুল তরতাজা হইয়্যা ফোটে, যেইহানে বটের পাতার আবডালে  কোকিলের কান্দনের সুর বাজে, যেইহানে কালা পানির বিলে পদ্মফুল ফোটে,সেইহানে হিষ হিষ করে সাপেরা মাছ খায়,ধানের ডগায়  নাল ফড়িং আর ভ্রমর নাইচ্যা বেড়ায়, পাখিরা খেলে ডুব সাঁতার ? আমারে তাড়াতাড়ি কও গাঙের কোন দিকে যামু আমি? উত্তরে পাড়ভাঙ্গা ভিষণ রাগ দক্ষিণে কাল নাগিনীর  ফনার মতোন তালগাছ সমান বড় বড় তুফান। বুকের মধ্যিহানে কালধুতরার  বিষের মতো জ্বালা,  চোক্ষে নামে ঘোর কালা সন্ধ্যার মতোন আসমান সমান ঘুম, তোমারে দেহিবার মনে লয়, চাইয়া চাইয়া আমার চোক্ষু দুইহান হইলো ক্ষয়। আমার সোনার গতরহান জ্বলে আমার পরানহান জ্বলে, আহারে ক্ষিধার জ্বালা তার চে ডাঙ্গর য্যান পিরিতের জ্বালা। কোনহানে তোমার ঘর  কোন ইস্টিশানের লগে ?

কবি সুচিতা সরকার এর কবিতা

ছবি
সব শেষের শেষে উপরাম্ভ থাকে না সুচিতা সরকার সব শেষের শেষে উপরাম্ভ থাকে না। গাঢ় নীল আকাশের নীচে শুয়ে থাকা  হলুদ বালিয়াড়িতে রাতে যখন শীত নামে, চাঁদের আলো তাকে উষ্ণতা দিতে পারে না। সব আলোক উৎস জীবনদায়ী হয় না।  কিছু আলো শুধুই স্বপ্ন দেখায়।  স্বপ্নালু চোখে পোকারা একসময় মৃত্যু পায়।