পোস্টগুলি

অক্টোবর ১০, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়,১১

ছবি
 চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।                                                                                উদাসী মেঘের ডানায়                                                                                                                          (  পর্ব ১১ )                         তৃ ষ্ণা,অফিস থেকে এসে শাওয়ার,সেরে মায়ের,সাথে চা,খেতে খেতে গল্প করছিলো হঠাৎ তৃষ্ণার মা বললো -তোকে একটা,কথা বলতে চাই। -বলো মা ময়নার মা আজ ময়নাকে খুব মেরেছে, ড্রাইভারের প্রেমে পড়েছে, বিয়ে না দিলে ময়না জান দিয়ে দিবে কি ঝামেলায় পড়লাম। তৃষ্ণা হাসতে হাসতে বললো-তোমার চল্লিশ বছরেরমেয়ে,যদি,প্রেম করে মা ওরতো সবে আঠারে বছর ড্রাইভার মজিদ ছেলে ভালো দোষ কি তাতে।রাবেয়া,বেগম অবাক হয়ে মেয়ের মুখের দিকে    তাকিয়ে থেকে হেসে বললো তুই যদি সত্যি বিয়ে করিস আমার থেকে সুখি কেউ হবেনা কিন্ত কাকে -তুমি জানো মা আমি কাকে ভালোবাসি -ওরতে

ইশরাত জাহান নিরু

ছবি
প্রতিবিম্ব ভোরের প্রাশান্তির ঘুম আর স্বপ্নের পরী  ব্যাস্ত হয়ে উড়ে যায়!  পাঁচটা বেজে গেছে?  আড়মোড়া দিয়ে জেগে উঠে,  রাত্রির ক্লান্তি ঝেড়ে অলসতা মুঁছে,  চোখ তুলে মনের জানালা খুলে, স্বজন মুখ দর্শন করে, সমুখে পা বাড়ায়। নিজেকে নিজেই  বহন করে ধীর পায়ে চলে, যেন হোচট না খায়। চোখের ক্লান্তি ধুতে জলের কলে হাত রাখে, মুখের প্রতিবিম্ব পরে বাথরুমের আয়নায়! আমি কি? সন্দেহ চোখে ছায়া ঝুলে রয়, নিজের মুখ নিজের কাছে অচেনা মনে হয়! সমীক্ষায় সায় নেই শুধু শুধু সময় অপচয়। বহুদিন ধরে আছে নিজের সাথে নিজে দেখেছে বহুবার নিজেকে এপাশ ওপাশ করে, আজ যেন হৃদয়ের পালিত বৃষ্টির তোড়ে নামহীন গোত্রহীন ভালোবাসা হীন  এক বেওয়ারিশ লাশের সাথে নির্বাক কথা হয় ভোরের আলো এসে কড়া নাড়ে, চেনা দড়জায়। নিজেকে  নিজে আহ্বান করে অবাক  বিস্ময়!

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"৯

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায়  লেখক  শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক   উপন্যাস  "বনফুল"                                                                             বনফুল                                                                                        ( ৯ ম পর্ব )                                                                                                                    ম য়না টেবিলে চা নাস্তা দিয়েছে, মা বাবার সাথে বসে চা নাস্তা খেতে খেতে খানিকটা সময় গল্পগোজব হলো। তারপর  মা-বাবা কে বললো আমার কিছু পড়া জমে আছে  কমপ্লিট করতে হবে, আমি উপরে যাচ্ছি।এই বলে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে গেলো। টেবিলে বসলো জুঁই মন দিয়ে ঘন্টা তিনেক পড়লো, হঠাৎ জুঁইয়ের ফোন বেজে উঠল, ফোন হাতে নিতেই জুঁইয়ের মন খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো, ওপাশ থেকে পলাশের গলা ভেসে এলো কি করছো ? উত্তরে জুঁই বললো পড়ছিলাম , পলাশ জুঁইকে বললো রেখে দেবো ফোন?  জুঁই বলে, আরে না আমার পড়া কমপ্লিট, বলো তুমি কি করছিলে?   তিনটে টিউশন সেরে এসে আমার নিজের পড়া শেষ করলাম।  সাথে তিনি, শিমুলের পড়াও বুঝিয়ে দিলাম। -এখন কি করছো

বিধানেন্দু পুরকাইত

ছবি
অপ্রত্যাশা  যেটুকু সন্দেহ করো তার চেয়ে বেশী আকন্ঠ ডুবে আছি প্রেমের সমিধে।  আমাকে মাতাল করে  যে নারীর চোখের পলক তার কাছে আমি আছি আমৃত্যু অবধি।  আমাকে নিঃস্ব কেন এতটুকু ছুঁয়েও দেখনি কতটা শূন্য ছিল নদীগর্ভজাত বৈভব যে নারীর ভালবাসা মাতাল করেছে তাকে শুধু দিতে চাই নিজস্বতা।  নারী ছাড়া পুরুষের আকাল সময় এমনই ভিখারী বলো নারী ছাড়া কে করতে পারে!  আমি সেই-ই নারী পদতলে আমৃত্যু সাধনা করি মেঘরেণু মেখে।

মুহিন তপু

ছবি
আমারে খুঁজবা তুমি (আলো তোমাকে) আমারে খুঁজবা তুমি শুকিয়ে যাওয়া চোখের জলে। আমারে খুঁজবা তুমি একলা দুপুর। গনগনে রোদ। শান্ত দিঘি। মরে যাওয়া ঘাসের ভেতর। পাতা-ঝরা গাছের তলে। আমারে খুঁজবা জানি নিয়মনীতির শিডিউলের ফাঁকফোকরে। ভেঙে যাওয়া আয়নার টুকরোয় খুঁজবা তুমি। শার্টের গায়ে শুকিয়ে যাওয়া কড়া ঘামে। পত্রিকার পাতায় পাতায় নিউজফিডে আমার সব প্রিয় নামে। দরজা খোলা ইশারাতে, রাত্রিবেলা। অন্ধকারে ঘরের ভেতর খুঁজবা আমায় যেন আমার শুয়ে থাকা। বাকির খাতায়। বইয়ের পাতায়। কবিতার সব পঙ্‌ক্তি মেলে লুকিয়ে রাখা গোপন কথায়। খুঁজবা আমায় প্রিয় শাড়ি, হারিয়ে ফেলা। ঘড়ির কাঁটায় চোখ বুলিয়ে কলিংবেলে খুঁজবা আমায়, দরজা খোলা। মধ্য রাতে ভেসে ভেসে পূর্ণিমা চাঁদ, নৌকা দেখে খুঁজবা আমায়। খুব ভোরেতে পাখি ডাকা খুনশুটিতে। খুঁজবা আমায় ধীরপায়েতে তোমার দিকে হেঁটে আসা। চুল সরিয়ে আলতো চুমোয় আদর আদর ভালোবাসা খুঁজবা আমায়। ধুলোজমা দূর-দিনেতে। পাশে বসা হাতটি ধরে। অথবা কিছু অবাধ্য চুল একটু হাওয়ায় উড়ে এলে। মুখের উপর খুব যতনে সরিয়ে দিয়ে, মুখোমুখি লজ্জা পেয়ে লুকিয়ে পড়া বুকের ভেতর ধুপুক ধুপুক, খুঁজবা আমায়। আমারে খুঁজবা জানি ঠান্ডা হওয়া চায়ের কাপে, গরম গ

রাহাত জামিল

ছবি
বিদ্যালয়ও খোলা হোক  যাচ্ছে চলে দিন পেরিয়ে বেশ সময়ের ওই চাকা, পড়াশুনা সব গুমরে কাঁদে লকডাউনে সে ঢাকা। ইচ্ছে ছিলো পড়বো ঢের কলেজে উঠলে পরে, ইচ্ছে গুলো ভয়ার্ত ভীষণ পাছে করোনা যদি ধরে। পড়াশুনা আজ কাছে ঘেষে না লাজুক মেয়ের মত, শিখেছিলাম সব গিয়েছি ভুলে সূত্র-ব্যাকরণ যত। রাত গুলো নিদারুণ উপোস পড়াশুনা নেই বিধায় , আবারো নাও আপন করে করুণাবেদনে সে শুধায়। সকাল গুলো আজ কদর্য খুব নেই টিউশণের ধুম, প্রভাতে বন্ধুদের নেই ডাকাডাকি গেছে হারিয়ে গুম। বছর শেষে ব্যাগে-বাড়িতে নেই নতুন বইয়ের ঘ্রাণ, আট-আঠারোর শিশু-যুবক অতৃপ্ত যে তাদের প্রাণ। শিক্ষার্থীরা সব পড়াশুনা ছেড়ে মগ্ন খুব নেট পাড়ায়, হারিয়ে সৃজন-স্বকীয়তা ভার্চুয়ালে তারা খুব বেড়ায়। করোনার নামে অনলাইনে সব ক্লাসের নামে প্রহসন  বিড়ম্বনার ভার্চুয়াল ক্লাস অক্ষম নিতে বিদ্যালয়ের আসন। কুঁড়েমিতে অভ্যস্ত আজ হোমওয়ার্কে খুব দরাদরি, পড়তে বসেই যায় হারিয়ে পিডিএফ বই ভুরি ভুরি। কাটছে দিবস গোলেতালে পড়াশুনাটাও ঠিক তাই, সাহিত্য-ব্যাকরণ বদ্ধ ফোনে যোগ্যতা যে আমার নাই। শিক্ষালয় গুলো নিঃস্ব নিদারুণ নেই কোলাহল সেথা, আসবে কি ফিরে সুদিন সেখানে ভুলবে কি

নুর আদিল সেখ

ছবি
অসহায় প্রকৃতি    মায়ের কোলে জন্ম আমার । পশুদের সাথে বসে খেলি । প্রকৃতির সাথে বেড়ে উঠি। আর জগতের সাথে চলি। নীল-সবুজের ঘেরা প্রাচীর। এই সবের মাঝে আছি আমি। কিন্তু এই নতুন প্রযুক্তি বিদ্যার ফলেই । হয়েছে অনেক পশু-পাখির কমি। কোথাও পাহাড় ও জলাভূমি । আবার কোথাও সমতল আর বেলাভূমি। কোথাও বা জনশূন্য বরফের ভূমি। এর মাঝে পৃথিবী আজ ধ্বংসের ভূমি।

n m m

LOVE

vgh

LOVE

বাহাউদ্দিন সেখ

ছবি
বিচ্ছেদ প্রতিদিন বিরহ শব্দের স্রোতে নন্দনে ভাসি, এপার হতে ওপার নদী, স্মৃতির বুকে আসি। যতবার দেখি প্রেম-প্রীতি সেই স্মৃতির ভাসমান তরী একবার চাহি আবার তোমার হাত, ওহে তোমায় জড়িয়ে ধরি। এই মহাকাশে দেখিলাম কত সূর্য চন্দ্র নক্ষত্র তারা তোমার বিচ্ছেদ বিরহের পথে হয়েছি দেখো দিশেহারা। এই তোমার প্রেমিক পথের পথিক মৃত প্রায়, হঠাৎ থমকে জীবন হঠাৎ কেঁপে কেঁপে যায়। বিষিয়ে ওঠে স্মৃতির বুক, ওহে পথে পথে কাঁদি, বেঁচে থেকেও মৃত হয়, দিন প্রহর বুকে বাঁধি সমাধি। অরণ্য এ-মন সবুজ মহাবন হয়েছে দেখ অন্ধকার বিচ্ছেদ বিরহের পথে অগ্নিকণা নিভৃত মনে হাহাকার। দিন প্রতিদিন স্মৃতির ক্ষত ক্ষত বিক্ষত হয় যে এ হরণ প্রাণ পথে পথে খুঁজে বেড়ায় মুক্ত স্বচ্ছ প্রেমের শ্বাস প্রশ্বাস সমাধান।

কবি সুবর্ণ রায় এর কবিতা

ছবি
জল হয়ে আছি   জল ভেবেছিলে,জল-ই হয়ে আছি। দানা বাঁধেনি,কেলাসিত হয়নি গলে গলে গেছি,বয়ে গেছি জল-ই হয়ে আছি যেমন  জল ভেবেছিলে শুধু স্ফটিক নয়।

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"২৪

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।                                                            টানাপোড়েন পর্ব ২৪                                                                     নতুন অতিথি রেখার আজ  শুধু আনন্দ আর আনন্দ। মহালয়ার পুণ্য লগ্নে নতুন অতিথির আগমন। ধরিত্রী যেমন সেজে উঠেছে শিউলি, কাশ, পদ্মের সমারোহে, শরতের সোনালী রোদ্দুর মনের মাঝে উঁকি দিয়ে যায় পুজোর গন্ধে মাতোয়ারা মা আসার আর কতদূর? তার মাঝে যদি উপরি পাওনা হিসেবে এসে যায় আরো কিছু বড় প্রাপ্তি তাহলে তো আর কিছু বলারই থাকে না। মহালয়ার পুণ্য লগ্নে যখন সকলে রেডিও-টিভিতে মায়ের আগমনী সুরে মাতোয়ারা, ঠিক তখনই ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দিল রেখার প্রিয় পোষ্য মিলি। আসলে এই মিলি ছিল রাস্তার সারমেয়। লকডাউনের মধ্যে মিলিসহ কয়েকজনকে সন্তানরূপে কাছে পায় রেখা। তার মধ্যে অতি প্রিয় ছিল তার স্নেহের মিলি। তারপর থেকেই তার জীবনে এরা একটা আলাদা জায়গা করে নেয় ।আজ ওকে সারমেয় বললে খুবই খারাপ লাগে ।এটা একটা রেখার বাড়তি গুণ বলা

মাহ্জাবীন মিতি

ছবি
বন্য ছায়া জানি না কি এক অমোঘ শক্তি আছে তোমার মাঝে! কতো সহজেই ছুঁয়ে গেলে আমার অস্তিত্বকে। আমার তপ্ত হৃদয়ে দিলে একপশলা বৃষ্টির প্রশান্তি  শান্ত দীঘির জলে ছুঁড়ে দেয়া কোন এক দুষ্টু বালকের ঢিলে তির তির করে কেঁপে চলেছে বুকের দীঘিটা.... জীর্ণ এক দেবদারুর মাথায় হাত রেখে, চোখে স্বপ্ন নিয়ে অনিদ্রা সাজালে একদিন এমন কি হয়েছে আগে?  কেউ এসে সজোরে ঠিক বুকের ভেতর কড়া নেড়ে সবটুকু বিশ্বাসকে নাড়িয়ে দিয়েছে?  না... মনে তো পড়ে না! বহুদিন, বহুকাল কেউ এভাবে আঁচড় কাটেনি জীবাশ্ম শরীরে। লৌকিক অরণ্য জ্বালিয়ে দিয়ে বাঁচিয়ে তুলেছো আমায়, জড়িয়ে ফেলেছো মন্ত্রের মায়াজালে,  আমি ভেসে যাচ্ছি, আমি ডুবে যাচ্ছি আমি ক্ষয়ে যাচ্ছি তোমার বন্য ছায়ায়...

শিরীন শীলা

ছবি
নারী মানে                        আমরা যাকে বলছি নারীদের জয়গান এখানে দেখি আমি শুধুই অপমান, বলা হয় এই সমাজে লেডিস ফার্স্ট বিপরীতে করা হয় লেডিস ব্লাস্ট । নারীদের আধুনিকতার নামে  চলছে প্রহসন............. নারীরাই হচ্ছে বার বার ধর্ষণ । নারীদের করা হচ্ছে পুরুষের সমান আবার সেই নারীকে দিচ্ছে মরন স্বামী নামের অপদার্থ বেইমান যৌতুকের কারণে নির্যাতন । এ কোন আধুনিকতার ছোঁয়া নারীদের হতে হয় সর্বহারা । নারী দিবসে সমাজের হর্তা কর্তা মঞ্চে উঠে দেন লম্বা লম্বা বক্তিতা অবশেষে উনাদের যায় দেখা..... নারী কেলেংকারিতে যোগানদাতা ।

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়,১০

ছবি
 চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।                                                        উদাসী মেঘের ডানায়                                                                                                 ( ১০ ম পর্ব) তৃষ্ণা মনটা খারাপ নিয়েই বাসায় ফিরে এসে শাওয়ার সেরে চুপচাপ বিছানায় শুয়ে পড়লো। তৃষ্ণার মা রাবেয়া খাতুন চিন্তিত হলো, মেয়েতো অফিস থেকে এসে মার সাথে গল্প করে চা খায় আজ কি হলো বুকের ভিতরটা একটা ভয়,কাজ করলো অপুর সাথে কিছু হয়নিতো। বিছানায় যেয়ে বসে মেয়ের মাথায়,হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো - শরীর খারাপ লাগছে। -না মা মনটা বড্ড খারাপ -কি হয়েছে বল। মাকে সামিয়ার কথা আজ সব খুলে বললো। মা  -সত্যি বলতে কি লোকটা অমানুষ ,কথায়, কথাায় বউয়ের গায়ে হাত তোলে।লেবু বেশি চিপলে তিতা হয়ে যায়, যেদিন সামিয়া প্রতিবাদ করবে আল্লাহ জানেন কি হবে। মন খারাপ করে কি করবি, চল চা খেয়ে নেই।  - না মা তুমি জানোনা সমিয়া অফিস

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ৮

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায়  লেখক  শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক   উপন্যাস  "বনফুল"                                                                               বনফুল                                                                               ( ৮ ম পর্ব )  ওটা আপনি আমার উপর ছেড়ে দিন, এইবার পলাশ জুঁইয়ের দিকে তাকিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।জুঁই প্রশ্ন করলো উত্তরটা এখনো জানা হলো না?  মৃদু স্বরে পলাশ বললো জুঁই তোমার ভালোবাসা প্রত্যাখান করার সাহস আমার নেই। মুহূর্তে জুঁইয়ের মুখ হাসোজ্জল  হয়ে উঠলো, পলাশের দিকে তাকিয়ে জুঁই বললো অনেক ভালোবাসি.....  উত্তরে পলাশ বললো সেম টু ইউ। ওদের কফি খাওয়া শেষ, পলাশ জুঁইকে বললো চলো ওঠা যাক,  জুঁই হুম বলে উঠতে গেলো, অমনি মাথা কেমন চক্কর দিয়ে উঠলো। পলাশ জুঁইকে ধরে আবার  চেয়ারে বসিয়ে দিলো। মিনিট দুয়েক বসে জুঁই পলাশকে বললো চলুন, পলাশ জুঁইকে বললো বেশি খারাপ লাগলে আরো পাঁচ মিনিট বসে রেস্ট নাও, জুঁই বললো না ঠিক আছে চলুন। জুঁই গেটের দিকে এগোতে এগোতে ড্রাইভার কে ফোন দিয়ে সামনে আসতে বললো।জুঁই আবার বললো, আমি কিন্তু আপনাকে বাসায় পৌ

শাহারিয়ার তুষার

ছবি
জড়িয়ে যাই সহজেই জড়িয়ে যাই পুরোনো বিল্ডিংয়ের গুল্মলতার মতো, গুমোট হাওয়ায় উড়ে চুল  শিকড়ের অসুখে মাটির যেমন পরাজয়  ইতস্তত শরীরে দাঁড়িয়ে বেপরোয়া চোখ দেখে নেয় পাতাদের ক্রন্দন। সহজেই জড়িয়ে যাই পোড়া ইটের ধারাবিবরণীতে ঢুকে পড়ি ভাটার শ্রমিকের দুঃখ নিয়ে ভেজা কাপড় যেভাবে সঁপে দেয় ঝলমলে রোদের কাছে কিংবা সমস্ত সবুজ যেভাবে চুমু খায় প্রকৃতির ঠোঁটে  সেইসব বসন্ত হারানো গল্পে’র মর্মার্থ পাঠ করে সহজেই জড়িয়ে যাই  তোমার একটা সুন্দর ভুলের মতো ছেলাবেলায় দাদীর কোলে মাথা রেখে কিৎসা শোনার মতো অদ্ভুত মায়ায়।