পোস্টগুলি

জানুয়ারী ২০, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি মুনতাহা জামান মনি  এর কবিতা

ছবি
এলোমেলো পথ মুনতাহা জামান মনি  বলেই তো ছিলেম আমি! আমার পথ এতটা মসৃণ  নয় যতটা তুমি ভাবো। বহুদূর  হাঁটা তো দূরের কথা  হয়ত একটু  হেঁটেই হোঁচট  খাবে যতটাই কাছে টানো দূরত্ব  বাড়াই তবে। দেখোনা নিজের  দৃষ্টিতে - আমাকে বড্ড  গোলাটে  মনে হবে, আমার দৃষ্টিতে  দেখতে জানলে সুন্দর  সঠিক  লাগবে অনুভবে। মানুষ  হলে-ও  মানুষ  আলাদা নিজের  মত পূস্প যেখানে  গোছায় গোছায় কাটা ও বিরাজমান  তত। কড়া  নেড়ে  হৃদ দূয়ারে জোর  খাটানো  ইচ্ছে গুলো মরে গেছে  সে-ই  কবে।  এই তো  বেশ আছি হেসেই  ব্যাথা  উড়াবো, যখন  আমি বন বিলাসী   হব ফুল কুড়াবো -ছেড়ে  দিলেই  তবে।

মানি জামানের ধারাবাহিক উপন্যাস /৪

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল ( ৪ র্থ পর্ব )  মনি জামান মেবিন আর নিলয় অপেক্ষা করছে চারুর জন্য,ট্রেন থেকে নেমে ষ্টেশনে ওরা দুজন প্রায় তিরিশ মিনিট বসে আছে কিন্তু চারু এখনো এলো না।মেবিন ফোনটা হাতে নিয়ে ফোন করলো ওর বান্ধবী চারুর কাছে চারু ফোন রিসিভ করে বলল,কোথায় তোরা এখন,মেবিন বলল,ষ্টেশনে বসে আছি প্রায় আধা ঘন্টা হবে।আমরা ট্টেন থেকে নেমেই তোর জন্য অপেক্ষা করছি। চারু বলল,নিলয় এসেছে নাকি ওর তো আসার কথা,মেবিন বলল,কি জানি,চারু বলল,তোরা অপেক্ষা কর আমি এখুনি চলে আসছি তোদের নিতে। মেবিন ফোনটা কেটে দিলো চারুর আসবার অপেক্ষায় নিলয় আর মেবিন বসে রইলো আর বার বার ঘড়ি দেখছে মেবিন।নিলয় আর মেবিন দুজনেরই ট্রেন জার্নিতে রাতে ঠিকমত ঘুম হয়নি মেবিন নিলয় স্বপ্ন ঘুমে আছন্ন ছিল গোটা রাত জুড়ে। প্রায় আধা ঘন্টা পরে চারু ওর বাবার গাড়ি নিয়ে হাজির হলো স্টেশনে,নিলয়কে দেখেই চারু মেবিনকে বলল,তুই যে বললি নিলয় আসিনি এইতো নিলয় খুব ভালো লাগছে নিলয়কে দেখে। মেবিন স্বভাব সুলভ হেসে বলল,আরে বললে তুই তো প্যাচাল করতি তাই তোর জন্য সারপ্রাইজ রেখেছিলাম,চারু এক গাল হেসে বলল,হয়েছে এবার গাড়িতে উঠে বসো বস,নিলয় আর মেবিন চারুর গাড়ি

মমতা রায় চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস ৯৫ পর্ব

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৯৫ অপ্রত্যাশিত মমতা রায় চৌধুরী নদীর মনের ভেতরের তারগুলি ক্রমশ এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। কেমন যেন একটা বেসুরোভাব । হৃদয়তন্ত্রীতে যেন আর কোনো সুরেলা সুর  বেরোবে না। তার সঙ্গেই কেন এরকম হচ্ছে। নদীর স্বচ্ছন্দ গতিপথ কেন বারবার আটকে যাচ্ছে?তার ভেতরের সাজানো বাগান টা কেন এমনি করে তছনছ হয়ে যাচ্ছে?' অনেক রাত অব্দি জানলার কাছে দাঁড়িয়ে  সিগারেটের পর  সিগারেট খেয়ে যাচ্ছে ।ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে যাচ্ছে চারিদিকটা। তার জীবনটা তো এরকম হওয়ার কথা ছিল না। প্রথমে তার জীবন থেকে তার সব থেকে কাছের মানুষ তার বাপি চলে গেল। বাপিকে তো আর সেখান থেকে ফেরানো যাবে না। ইচ্ছে করলো বাপি কে স্পর্শ করা যাবে না। এরপর মা ও তার থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। হঠাৎই নিচে ঝর্ণা মাসির কথার আওয়াজ পাওয়া গেল। 'বৌদি এখন কেমন বোধ করছ?' নদী কথাগুলো না শোনার চেষ্টা করছিল। তবুও কথাগুলো কানে শোনা যাচ্ছিল ভাসা ভাসা। রুপসা অনেক ক্লান্ত স্বরে বলল' ভাল ।' তারপর হাত বাড়িয়ে টেবিল থেকে কাঁচের জলের ক্লাসটা নিতে যাচ্ছে । তখনই ঝর্ণা ছুটে এসে বলল' একি আমি রয়েছি তো ?তুমি কেন নিতে যাচ্ছো আবার কিছু এক

কবি রাজেশ কবিরাজ এর কবিতা

ছবি
আবার মনে পড়ে  রাজেশ কবিরাজ আমি শহরের মানুষের ভালোবেসে দেখেছি পাইনি গ্রামের মানুষের সেই স্বাদ, সেই স্নেহভরা মায়াবী হাত ।  সেই হাত - কবে ছেড়ে এসেছি  আমি ! তারপর শেষ হয়ে গেছে কত অন্ধকার ভয়ঙ্কর  রাত । তারপর ভুলক্রমে এক অচেনা রূপসী নারীকে ভালোবেসে দেখেছি, তারা শুধু  খোঁজে রুপ আর কোটি কোটি  টাকা । তারা চেনে না'কো কোনদিন মানুষের মন, ভালোবেসে দেখেছি সেই রূপসীদের প্রতিক্ষণ ; তারা করেছে আমায় বারবার বোকা, তাই এখন খুব ভালোবাসি থাকতে  একা একা । আমাকে দেখেনা আর খোলা সবুজ মাঠ, আমিও দেখি না সেই পুরাতন খেয়াঘাট । সেই খেয়াঘাট, যে ঘাটের এপার ওপার - দাঁড়িয়ে থাকে কত অচেনা মানুষ, অনেক প্রতীক্ষায় সেই বয়ে চলা বিশাল জলাধারী ঘোষখালি নদী হবে বলে  পার । আমাকে টানে আমার সেই ফেলে আসা মাতৃতুল্য আগলে রাখা সেই সবুজ গ্রাম, সোনালী ধানের ক্ষেত, সেই - চেনা মানুষের মুখ প্রতিনিয়ত  বার বার । তারা আমাকে বলেছিল জাপ্টে ধরে আমাদের ছেড়ে যাস না এই বিদেশে, তবে যাচ্ছিস যখন যা, বাধা দেব না । তারা বলেছিল আমায় ভালো থাকিস  বারবার, মনে পড়ে যদি আসিস আমাদের দেখতে আবার ।

কবি শামরুজ জবা'র কবিতা

ছবি
আমরা বাঙালী    শামরুজ জবা  পরিচয়ে আমরা বাঙালী, বাংলা আমাদের ভাষা, এই ভাষাতে কথা বলে মিটাই মনের আশা।  বাংলা আমার জন্মভূমি, বাংলা আমার দেশ, এই দেশেতে বসত করে সুখে আছি বেশ। অল্প আয়াসে শস্য ফলে,উর্বর বাংলার মাটি, ফলে, ফুলে ভরা অপরূপ সৌন্দর্যের ঘাটি।  হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সকলে ভাই ভাই,  একে - অপরের বিপদ - আপদে সবাই এগিয়ে যাই।  বাঙালী পরিচয়ে আমরা চলি এক সাথে,  বাধা পেলে প্রতিহত করি শক্ত হাতে।  শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করে দিয়েছি বীরত্বের পরিচয়, কখনই আপোষ করিনি আমরা ছিনিয়ে এনেছি জয়। আমরা বাঙালী বীরের জাতি ইতিহাসের কথা,  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আমাদের মহান নেতা।  আজও আমাদের অধিকার কেও করতে পারেনি খর্ব, বাঙালী বলে পরিচয় দিতে তাই করি সকলেই গর্ব।

শামীমা আহমেদ/পর্ব ৫৪

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৫৪) শামীমা আহমেদ   রাহাতের সাথে কথা শেষ  করে তাকে বাসায় নামিয়ে ঘরে ফিরতে ফিরতে শিহাবের  প্রায়  রাত সাড়ে দশটা বেজে গেলো। সপ্তাহ শেষে   দুজনে  একসাথে আজ বেশ কিছুটা সময় কাটালো  "টেবিল টপ" রেস্টুরেন্টটায়। শিহাব রাতের মত কিছু খাবার খেয়ে নিয়েছে। সেখানে রাহাতকে ডিনার করাতে চাইলেও একেবারেই রাজি  করানো গেলো না।রাহাত জানালো,সারাদিনের ক্লান্তির পর সে বাসায় ফিরবে।মা আর শায়লা আপুর সাথে রাতের খাবার খাবে।শিহাব জানালো,আমার জন্যতো এখানে আর কেউ অপেক্ষায়  নেই। আমাকে এভাবেই জোড়াতালি দিয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে।এভাবেই মানিয়ে নিতে হচ্ছে। রাহাত শিহাবের কষ্ট  বুঝতে পারলো।তাকে আশ্বাস দিলো, শীঘ্রই আপু আপনার জন্য খাবার নিয়ে অপেক্ষায় থাকবে। দিনশেষে আপনি যখন ঘরে ফিরবেন আপু আপনার দরজা খুলবে। আপনাকে অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতে কাপড় এগিয়ে দিবে।আপনার পছন্দের খাবার রান্না করবে।আপনারা একসাথে বসে কফি খাবেন।একসাথে ঘুরে বেড়াবেন! রাহাতের কথায় শিহাবের চোখ চকচক করে উঠছিল!  সুন্দর আগামীর আশায় তার মনে স্বপ্নেরা উঁকি দিচ্ছিল।শিহাব বুঝতে পারলো হয়তো এতদিন সে রাহাতের মতই কাউকে মনে মনে খুঁজছিল যার