২০ জানুয়ারী ২০২২

মানি জামানের ধারাবাহিক উপন্যাস /৪





ধারাবাহিক উপন্যাস

সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল
( ৪ র্থ পর্ব ) 
মনি জামান


মেবিন আর নিলয় অপেক্ষা করছে চারুর জন্য,ট্রেন থেকে নেমে ষ্টেশনে ওরা দুজন প্রায় তিরিশ মিনিট বসে আছে কিন্তু চারু এখনো এলো না।মেবিন ফোনটা হাতে নিয়ে ফোন করলো ওর বান্ধবী চারুর কাছে চারু ফোন রিসিভ করে বলল,কোথায় তোরা এখন,মেবিন বলল,ষ্টেশনে বসে আছি প্রায় আধা ঘন্টা হবে।আমরা ট্টেন থেকে নেমেই তোর জন্য অপেক্ষা করছি।
চারু বলল,নিলয় এসেছে নাকি ওর তো আসার কথা,মেবিন বলল,কি জানি,চারু বলল,তোরা অপেক্ষা কর আমি এখুনি চলে আসছি তোদের নিতে।
মেবিন ফোনটা কেটে দিলো চারুর আসবার অপেক্ষায় নিলয় আর মেবিন বসে রইলো আর বার বার ঘড়ি দেখছে মেবিন।নিলয় আর মেবিন দুজনেরই ট্রেন জার্নিতে রাতে ঠিকমত ঘুম হয়নি মেবিন নিলয় স্বপ্ন ঘুমে আছন্ন ছিল গোটা রাত জুড়ে।
প্রায় আধা ঘন্টা পরে চারু ওর বাবার গাড়ি নিয়ে হাজির হলো স্টেশনে,নিলয়কে দেখেই চারু মেবিনকে বলল,তুই যে বললি নিলয় আসিনি এইতো নিলয় খুব ভালো লাগছে নিলয়কে দেখে।
মেবিন স্বভাব সুলভ হেসে বলল,আরে বললে তুই তো প্যাচাল করতি তাই তোর জন্য সারপ্রাইজ রেখেছিলাম,চারু এক গাল হেসে বলল,হয়েছে এবার গাড়িতে উঠে বসো বস,নিলয় আর মেবিন চারুর গাড়িতে উঠে বসলো,চারু ড্রাইভারকে  বলল,গাড়ি ছাড়তে ড্রাইভার গাড়ি ছাড়লো।মেবিন চারুকে বলল,স্টেশন থেকে  তোদের বাসায় যেতে কত সময় লাগবে
চারু বলল,মাত্র আধা ঘন্টা কেন সমস্যা হচ্ছে তোর মেবিন বলল,খুব ঘুম পাচ্ছে গো চারু বলল,কি ব্যাপার সারারাত বুঝি!মেবিন চারুকে একটা ছোট্ট চড় দিয়ে বলল,খুব ফাজিল হয়েছিস তাই না।
চারু আর মেবিন দুজনেই হেসে উঠলো,
চারু আবার বলল,সত্যি করে বল আমাকে সব মেবিন বলল,কি বলবো সেটাই তো বুঝতে পারছিনা গো।চারু বলল,না বুঝার ভান করছিস না সব আমাকে বল চারু একটু অভিমানের সুরে বলল ঠিক আছে না বলিস শুনবো না আর তোদের কথা।
আমি তো তোর বেষ্ট বান্ধবী হতে পারলাম না,মেবিন চারুকে বলল,এই ফাজিল এখানে শুনবি না বাসায় চল তারপর সব তোকে বলবো।
চারু আর মেবিনের কথোপকথনে সময়টা কখন যে পার হয়ে গেলো একটুও টের পাইনি,এর মধ্য গাড়ি এসে থামলো চারুদের বাসার সামনের গেটে।
চারু গাড়ি থেকে নেমেই মেবিনকে বলল, নিলয় আর তুই নেমে আয়,মেবিন ও নিলয় দুজনেই গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ালো।চারু ড্রাইভারকে বলল,ব্যাগ পত্র নামিয়ে বাড়ির ভিতর আসতে,বলেই নিলয় আর মেবিনকে সাথে নিয়ে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করলো।চারুর মা ওদের জন্য অপেক্ষা করছিল ওদের দেখেই স্বাগতম জানালো এবং নিলয় আর মেবিনকে জিজ্ঞেস করলো তোমরা কেমন আছো,বাড়ির সবাই কেমন আছে নিলয় আর মেবিন সব বললো,চারুর মা মেবিনকে বলল,এই বুড়ো মেয়েটার কথা বুঝি মনে নেই আজ মনে পড়লো।
মেবিন বলল,মনে আছে আন্টি আর আছে বলেই তো মেয়েকে দেখতে এলাম।
চারুর মা চারুকে বলল,তুই ওদের নিয়ে রুমে নিয়ে আয় আমি নাস্তা নিয়ে আসি বলেই রান্না ঘরে চলে গেলো।
নিলয় আর মেবিন চারুর রূমে এসে বসলো,চারু নিলয় আর মেবিনকে ওয়াস রূম দেখিয়ে দিয়ে বলল,তোরা ক্লান্ত তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে নে মেবিন আর নিলয় দুজন ওয়াস রূমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে তারপর এসে সোফায় বসলো,চারু মেবিন আর নিলয় খোশ গল্পে মেতে উঠলো,চারু হেসে বলল,কেমন কেটেছে তোদের দুজনের বল শুনি একটু,মেবিন বলল,কেমন কাটবে আর সবার যে রকম কাটে আমাদেরও তাই কেটেছে,এমন সময় চারুর মা ওদের জন্য নাস্তা বানিয়ে এনে টেবিলে দিয়ে বলল,নাস্তা সেরে নাও তারপর তোমরা গল্প কর বলেই রূমের দিকে চলে গেলো,চারু মেবিন ও নিলয়কে মেবিনকে সাথে নিয়ে নাস্তার টেবিলে এসে বসলো,তারপর নাস্তা পরিবেশন করার ফাকে ফাকে চারু দুষ্টমির তীর ছুড়ছে মেবিনের দিকে।
চারু নিলয়কে বলল,দুলাভাই কেমন কাটলো তোমার লং জার্নিটা বলো শুনি নিলয় কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না বলে দিলো ফাটাফাটি।চারু হেসে বলল,ওটা অমন বলেই,,,আবার হাহাহা করে হেসে উঠলো। মেবিন চারুকে বলল,শোন ইদানীং খুব ফাজিল হয়েছিস তুই!এটা ভালো হচ্ছে না কিন্তু।চারু বলল,ওমা কি বলিস সত্যকে সত্য বলা কি মহা অন্যায়!মেবিন বলল,হয়েছে এবার থাম তো তুই।
চারু আবার নিলয়কে বলল,দুলাভাই আরব্য রজনীর হাজার রাতের গল্পটা তুমি বলো আমি শুনি আমি জানি মেবিন কখনো বলবে না আমাকে,নিলয়ের কেন জানি দুলাভাই শব্দটা মারাত্মক ভালো লেগে গেলো কি একটা যাদু যাদু ভাব আছে দুলাভাই শব্দটার ভিতর।
চারু বলল,কি হলো দুলাভাই বলো শুনি!মেবিন চারুকে বলল,থামবি চারু পরে একসম সব শুনিস,চারু মেবিনকে বলল,আমি চিনি না তোকে তুই বলবি আর আমি শুনবো,আমি তো চিনি তোকে।নিলয় মেবিন আর চারু নাস্তা শেষ করলো তারপর চারু মেবিনকে বলল,আয় তোর রূম দেখিয়ে দেই এখন ঘুমাবি ঘুম থেকে উঠলে ঘুরতে বের হবো,চারু নিলয়ের রূমটাও দেখিয়ে দিল মেবিন আর নিলয় ওদের রূমে গেল ঘুমাতে।

চলবে.....

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much