পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ২৭, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায় চৌধুরী/৭৮

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৭৮ যন্ত্রণার আঁচড় মমতা রায় চৌধুরী স্কুলে ঢুকতে ই এক অভিভাবক এসে জিজ্ঞেস করলেন'আপনি কি রেখা ম্যাম?' রেখা বলল' হ্যাঁ ।কেন বলুন তো?' অভিভাবক বললেন 'নমস্কার,আপনি ফোন করেছিলেন?' রেখা বলল ' আমি? অভিভাবক বললেন ' প্রজেক্ট এর ব্যাপারে।' রেখা বলল'হ্যাঁ ,ফোন করেছিলাম আপনার মেয়ের নাম কি?' অভিভাবক বললেন' রিয়া মল্লিক।' রেখা হাত বাড়িয়ে বললেন ', হ্যাঁ হ্যাঁ, দিন।' বড়দি লক্ষ্য করে একবার মুচকি হেসে ঘরে ঢুকে পড়লেন। গার্জেনের কাছ থেকে খাতাটা নিয়ে বড়দিকে গিয়ে রেখা বলল'দেখলেন দিদি তাও একজন গার্জেন এসে দিলেন ।বাকিদের মধ্যে কেউ তো সুইচড অফ করে দিচ্ছেন, আবার কেউ ফোন ই  তুলছেন না।' বড়দি বললেন 'খুবই সমস্যার কথা।' রেখা বলল' তাহলে কি করবো এখন?' বড়দি বললেন'আর দুটো দিন দেখো, যদি না দেয়, তখন নয় বিষ্ণুকে পাঠাবো'। রেখা বলল ' ঠিক আছে বড়দি, যেমন বলছেন তেমনই হবে। আসছি তাহলে  বড়দি।' বড়দি মাথা নেড়ে সম্মতি জানালেন। রেখা চলে আসছে ঠিক তখনই পেছন থেকে বড়দি ডাকলেন। 'রেখা শোন।' রেখা গ

ফারজানা আফরোজ 

ছবি
স্বপ্ন বাড়ি   মেঘের ওপার আমার বাড়ি বাড়ি ঘিরে স্বপ্ন বুনি আলোয় সাজুক স্বপ্ন বাড়ি মনের মাঝে পিদিম খানি জ্বলে নিভে দিবা-নিশি। মেঘের ওপর ভাসছে বাড়ি মেঘ থেকে রং করি চুরি তাই তো বাড়ি রং বাহারি বাড়ির মাঝে নকশা আঁকি। চাঁদের বুড়ি নকশা কাটে হরেক রকম গল্প বলে সোনালি সব স্বপ্ন বুনি ছন্দে ছন্দে চলে তরী। দূর্বা ঘাসে শিশির ঝরে রবির আলোর ঝিলিক পেয়ে, মুক্তো যেন হেসে ওঠে। আকুল‌ হল নয়ন খানি ঝরা পাতার শব্দ শুনি। সাঁঝের আকাশ রঙিন হলে নদীর জলে গিয়ে মেশে। ধীরে আঁধার নেমে আসে সন্ধ্যাতারা পূব আকাশে। হৃদ মাঝারে ইমন বাজে রাগে বাজুক তবে বাজুক প্রাণে। কাঁঠাল চাঁপা গন্ধ ছড়ায় বনবীথির নিবিড় ছায়ায়- সবুজ যেথা রং ছড়ায়, কাটে না তার মোহ,মায়া।

ফয়জুর রহমান  ( ইংল্যান্ড ) 

ছবি
দিন চলে যায়  জীবন যখন খুব ছোট্ট হয়ে আসবে,  সেদিন ও গোলাপ ফুটবে,  শাপলা জলে ভাসবে, পাখিরা গাইবে,  চারিপাশে প্রিয়জন থাকবে !  এই সুন্দর রাতদিন, কালের গর্ভে একদিন,  ঠিকই হারিয়ে যাবে।  কেউ না কেউ হয়ত মনে রাখবে ! যতদিন বেঁচে থাকবে। ভালোবাসা কখনো কি ফুরাবে !  প্রতিটি জীবন বেঁচে থাকবে, তারই প্রিয়জনের অন্তরে, সেদিন কেন তুমি কাঁদবে !   সবাই ই একদিন চলে যাবে।

শামীমা আহমেদ /পর্ব ৪১

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত (পর্ব ৪১) শামীমা আহমেদ  মায়ের ডাকে নিজের ঘর থেকে শায়লা বেরিয়ে এলো। ডাইনিংএ এসে মায়ের সাথে নাস্তা সারলো। সব কিছু মা'ই এগিয়ে দিলো। শায়লা  কেমন যেন একটা জড়তা নিয়ে অতিথির  মত বসে রইল।মা যা এগিয়ে দিচ্ছে শুধু সেটাই নিচ্ছে। শায়লা শুধু নিজের গ্লাসে  পানি ঢেলে নিলো। এক গভীর ভাবনায় সে ডুবে আছে।অন্য সময় নিজেই সকালে টেবিলে নাস্তা সাজিয়ে মাকে ডাকতো।একসাথে নাস্তা করতো।মায়ের সবকিছুর খোঁজ নিতো কিন্তু আজ  অন্য রকমের পরিবর্তন তার মাঝে। মা শুধু বিস্মিত হচ্ছিল! শায়লা যে কল্পনায় শিহাবের ভাবনায় ডুবে আছে মায়ের কাছে তো তা অজানা।আজ সকালের শিহাবের মেসেজটি দেখার পর আরো যেন সুখ স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে সে। অবশ্য শায়লার মনের এই পরিবর্তন   এ বাড়িতে একমাত্র রাহাতই বুঝতে পারে। শায়লা নাস্তা সেরে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে টেবিল ছেড়ে উঠে এলো।মা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। দরজায় কলিং বেল বেজে উঠলো। শায়লার সেদিকে একেবারেই খেয়াল নেই।মা এগিয়ে এসে দরজা খুললেন।কাজের বুয়া বাসায় ঢুকলো। শায়লা তাকে পাশ কাটিয়ে নিজের রুমে ঢুকে গেলো।অন্য সময় এই কাজের বুয়ার সাথে  আজ  রান্নায় কী আয়োজন , আর সেজন্য কী কী করণীয় তার ন

শান্তা কামালী/৫০ তম পর্ব

ছবি
বনফুল ( ৫০ তম পর্ব )  শান্তা কামালী বিকাল পাঁচটা বাজতেই জুঁই ছাদে উঠে প্রিয় ফুলের গাছ গুলোতে পানি দিচ্ছে আর দেখছে গাছগুলো কেমন ফুলে ফুলে ভরে উঠছে,ভীষণ সুন্দর লাগছেব !  ছাদে উঠে জুঁইয়ের মনটা ঝরঝরে হয়ে গেলো,ঘন্টা খানিক সময় ছাদেই কাটিয়ে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে নিচে নেমে এলো জুঁই। বেসিনে হাত মুখ ধুয়ে বাবা-মার জন্য অপেক্ষা করছে কখন ওনারা নামাজ শেষ করে আসবে... ময়না টেবিলে নাস্তা পরিবেশন করছে, জুঁইয়ের মা-বাবা নামাজ আদায় করে এলেন। জুঁই বাবা-মার সাথে চা নাস্তা খেয়ে উপরে উঠে এলো। অনেক দিন পড়াশোনার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই....  পড়ার টেবিলে বসে তিনঘণ্টা সময় পড়তে চেষ্টা করলো জুঁই। দশটা বাজতেই জুঁই নিচে নেমে এসে ডিনার শেষ করে বাবা-মাকে গুডনাইট বলে ওপড়ে উঠে গেলো। রাত প্রায়এগারোটা পলাশ যাওয়ার পরে এই প্রথম ভিডিও কল করলো জুঁইকে, আনন্দে বাকরূদ্ধ হয়ে গেছে জুঁই।কোনো রকম কথা বলছে না দেখে পলাশ বললো এই জুঁই কি হয়েছে তোমার, কথা বলেছো না কেন ?   পলাশের কথায় জুঁই নিজের মধ্যে ফিরে এলো...  জুঁই বললো আগে তোমাকে ভালো করে দেখতে দাও,  পলাশ তুমি কিন্তু অনেকটা রোগা হয়ে গেছো।  পলাশ হাহাহা হাহাহা করে হেসে উঠলো জুঁই তুমি স

রাবেয়া পারভীন/১ম পর্ব

ছবি
শুরু হলো রাবেয়া পারভিনের নতুন ধারাবাহিক গল্প " দুরের বাশিঁ " দুরের বাঁশি /  (১ম পর্ব) দুইদিন ধরে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থেকে অস্থির হয়ে উঠেছে লাবন্য। অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছিলো হাসপাতালে, খুব যত্নআত্তিও পাচ্ছে তবুও যেন হাঁপিয়ে উঠেছে,। মনে হচ্ছে  কারাগার। দুই বেলা ডাক্তার আসছে  দেখছে । এক ডাক্তার তো এসেই দাঁত কেলিয়ে  হাঁসে অযথাই  ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করে  করে  ঝালাপালা করে দিচ্ছে লাবন্য কে। একেক সময়  মনে মনে হাঁসিও পায় লাবন্যর। এই দুনিয়ায় কত রকমের মানুষ যে আছে। গতকাল  সারারাত ঘুম হয়নি  লাবন্যর।  ভোর বেলা বিছানা থেকে নেমে কেবিনের বারান্দায়  এলো লাবন্য।  বারান্দাটা  পূব দিকে তাই আজকে  সূর্য উঠা ভোর দেখবে সে। চারপাশে  আবছা অন্ধকার। অন্ধকার ভেদ করে  আলো ফুটছে চারপাশে।  কি মিষ্টি  সকাল, মৃদুমন্দ  হাওয়া বইছে। এমন সুন্দর একটা ভোরে  শুভকে যদি  কাছে  পাওয়া  যেত। শুভর হাতে  হাত রেখে সূর্য  উঠা দেখতে পারতো । লাবন্যর এলো চুলে  হাত বুলিয়ে দিত।   ভাবতে  চেষ্টা করলো লাবন্য  শুভ এখন কি করছে ?  নিশ্চই  ঘুমাচ্ছে। ওকে কখনো জিজ্ঞেস করা হয়নি  খুব ভোর বেলা সে ঘুম থেকে উঠে কিনা ।  আস্তে আস্তে  সূর্য