পোস্টগুলি

মার্চ ২২, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শামীমা আহমেদ ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৭৪

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস শায়লা শিহাব কথন   অলিখিত শর্ত (পর্ব ৭৪) শামীমা আহমেদ  শায়লার স্বামী নোমা ন সাহেব কানাডা থেকে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে আসছেন।তার  আসতে হাতে গুনে আর মাত্র তিনদিন বাকী। প্রতিরাতেই তিনি নিয়ম করে শায়লাকে কল দিয়ে যাচ্ছেন। শায়লা তা ইচ্ছা অনিচ্ছায় রিসিভ করছে। বাংলা ইংরেজির মিশ্রণে কথাগুলো শুনতে শুনতে শায়লা অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। নোমান সাহেব  শায়লার জন্য, শায়লার পরিবারের সবার জন্য অনেক শপিং করেছেন। ভিডিও কলে তা দেখাতে চাচ্ছেন।কিন্তু শায়লা  নিজেকে নীরব রেখে শুধু ওপ্রান্তের সব কথা  শুনে যাচ্ছে।একেবারেই ভিডিও কলে কোন আগ্রহ দেখাচ্ছে না কিন্তু দিনে দিনে নোমান সাহেবের শায়লাকে জানার আগ্রহ বাড়ছেই।তবে শায়লা নিজেকে একেবারে শামুকের খোলসে গুটিয়ে রেখেছে।কিছুতেই শিহাবের বেষ্টনী থেকে সে বেরুতে চাইছে না।শিহাবের আবেশ আবেগ তাকে প্রচন্ডভাবে ঘিরে রয়েছে। শায়লা শিহাবকে ছাড়া তার বাকি জীবন ভাবতে পারছে না।মনে মনে সে বহুবার শিহাবের ঘরে ঘুরে এসেছে। শিহাবের সাথে কাটানো সময়গুলো চোখ বন্ধ করলেই যেন ছুঁয়ে দেখতে পারছে।গতরাতে শিহাবের কথাগুলোতে শিহাব তার মনোভাব খুবই স্পষ্ট করে জানিয়েছে। শায়লাকে তার নিজের করে পাওয়ায় সে

কবি মিতা নূর এর কবিতা

ছবি
কেউ ডাকবে না    মিতা নূর  অলস দুপুর আমার মুক্তির পথ খুঁজে  নিরুপায় জীবন আমার একাকীত্বে গুমরে কাঁদে,  এইযে উঠোন ভর্তি জ্বলন্ত রোদ,  বুকের চাপা কান্নার অদৃশ্য প্রাচীর।  পাশেই একটুকরো বারান্দা, এই  ইট-পাথরের রাজ্যে চাপা পড়ে আছে। কতো অভিমান,  অপূর্ণ চাওয়া! অভিযোগ গুলোও  চোখের নালিশে ক্ষয় হতে-হতে, শুকনো কংক্রিটে আজ  আবদ্ধ! বুকের গভীরে একটু একটু করে জমিয়ে রাখা কষ্ট গুলো আকাশ ছুঁয়েছে, তারই কিছু দুঃখ তোমাদের কাছে রেখে! আজ নীরবে চলে যাচ্ছি কোনো অজানায়, একা। জানি, অভিমান ভাঙা ছলে কেউ ডাকবে না।  আর- মিথ্যে আশা করিও না !! 

কবি রুবি রায় এর কবিতা

ছবি
দেবীর তরফ থেকে মেঘেদের কোনো নাওয়া-খাওয়া নেই শুধু ভেসে যায় কালশিটে অভিজ্ঞতা নিয়ে টুটুল তুমি বেঁচে থাকতে পারে আঠালো লালারস কীভাবে রেইড দিয়ে যায়, একটি অকৃপণ ন্যাড়া পেটে তা শুধু জানে রূপালি পক্ষেরা তুমি ওর সাথে কালের মতো জড়িয়ে থাকলে না কেন ? আমিও মেঘ হব, চিন্তা মুক্ত সেই মেঘ  যে বিদ্যুৎ বুকে জড়িয়ে ঝরে পড়তে জানে বিপরীতে হাই রেটিংযুক্ত রোমান্টিক গান        ভিজুক টালির ঘরগুলো        ট্রামলাইনের ধার ধরে হেটে যাওয়া        দুটো মানুষের মাঝে ঝরব নগ্ন-মৌলিক হয়ে  গণতান্ত্রিক ট্রুটি-ফ্রুটি আইসক্রিম বুঝুক ঠোটের গৌণ ভাটা       অচেনা ঠিকানায় ফানুস খুঁজছে  হাত ।                  

কবি বিধানেন্দু পুরকাইত এর কবিতা

ছবি
ভাষার জন্য বিধানেন্দু পুরকাইত একটা ভাষা মানানসই জন্মক্ষণে পাওয়া বুকের ভেতর হাপর চলে জাপটে ধরে মায়া।  জীবন গেল যাদের - তাদের যেখানে হোক বাড়ি বাংলা ভাষা বিশ্বজনীন একুশে ফেব্রুয়ারি।  রক্ত গেল বুকের থেকে হিন্দু বা মুসলিম বাঙালীরা শহীদ হলো সেটাই বড় ঋণ।  কাঁটাতারের নকল বেড়া মানছে না আবেগ ভাষা দিবস তোমার আমার পবিত্র সন্দশ।

কবি নাসিমা মিশু'র কবিতা

ছবি
বিরহ কুহক  নাসিমা মিশু আবাস হীন দ্বার আমার   মাটির বিছানা উন্মুক্ত প্রান্তর  তোমায় সাধিব সাধ্য কী  আমার হিম হিম শীতল সমীর আমায় ছুঁয়ে যায়  খুব সাধ মাটিতে মিশে যাওয়া আমার দেহ নয়ন জ্যোতি হারাবার ক্ষণ তোমায় দেখে দেখে হারায়  বড্ড ভালোবাসি তোমায় হে প্রিয় বিরহ বড্ড ভালোবাসি !  কে কারে মোরা কতটা করেছি জ্বালাতন  কত নিশিযাপন ঘুম হীন অপাত্রে করেছি দান তোমাতে আমাতে নিঃশব্দ অব্যক্ত রোদন আর নয় নয় দূর অচলের সমতা খোঁজা  একই বৃন্ত একই সুর তুমি আমি আপনজনা  নহি দূর  নহি একা !

কবি সুব্রত চক্রবর্ত্তী'র কবিতা

ছবি
এক মুঠো শান্ত রোদ সুব্রত চক্রবর্ত্তী সাত সমুদ্র যদি ডুবে যায়  অনন্ত শূন্যের গর্ভে -- নিঃসীমে যদি মিলায়ে যায়  নগর, প্রান্তর, গিরি ; নিঃশ্বাসের সকল বায়ু যদি শুষে নেয় ক্রুদ্ধ সূর্যতাপ। সীমাহীন মহাকাশে সীমাহীন সকল রাত্রি শেষে  একবার দাঁড়াও এসে পৃথিবীর প্রান্তদেশে। একবার আকাশটাকে দেখো , একবার আরশিতে দেখো নিজের হৃদয়  ভেসে ওঠে কারো মুখ ? যুদ্ধ চাও ? ধ্বংস চাও যে ধ্বংস তোমার আমার ? রণোন্মাদ  যুদ্ধবাজের দল --- তোমাদের আকাশেও তো চাঁদ ওঠে , মাটির সবুজে খায় চুমো। তোমাদের বাগানেও তো ফুল ফোটে।  শুনেছ কি ঝরা ফুলের পাঁপড়িদের আর্তনাদ ? চেয়ে দেখো একবার....  তোমার সন্তানদের মুখের দিকে ! চেয়ে দেখো --- ওরাও তো  বাঁচার ঠিকানা খুঁজতে চায় । বারুদের ধোঁয়া মেঘ ফুঁড়ে  উড়তে চায়। ধরতে চায়...  একমুঠো আলোর আকাশ। একমুঠো শান্ত রোদ।

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৩৯

ছবি
টানাপোড়েন ১৩৯ ভয়েস বিভ্রাট (৪) মমতা রায় চৌধুরী দিদির ফোনটা আসার পর কল্যান একটু স্বস্তি পেল ক্লান্ত অবসন্ন দেহে যেন একটা টাটকা বাতাস। কি শান্তি, কি শান্তি। এবার ভাবছে  একটু ঘুমাবে গতরাত্রে একদমই ঘুম হয়নি। কি করে টাকা পয়সার অ্যারেঞ্জ করা হবে,? কি করেই বা বিয়েটার সঠিকভাবে সমাধান হবে কিছুই বুঝতে পারছিল না। যে কল্যান বুদ্ধিদীপ্ত বলে পরিচিত সেখানেই তাঁর বুদ্ধিনাশ হতে চলেছে। আবার যেন আস্তে আস্তে মাথার জটগুলো খুলতে শুরু করেছে। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে চোখটা লেগে এসেছে ।বেশ কিছুক্ষণ পর হঠাৎ কলিংবেলের আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। ধড়ফড় করে ওঠে বুক। আবার ভাবতে না ভাবতেই,কলিংবেলের আওয়াজ ।ঘড়ির দিকে তাকালো কল্যাণ 'ও বাবা , মাসির আসার সময় হয়ে গেছে তো । ক্লান্ত শরীরকে তুলতে পারছে  না । তবুও আপন মনে বলল 'যাই দরজাটা খুলি। 'আস্তে আস্তে উঠে দরজাটা খুলে দেখল "সত্যিই যেটা ভেবেছিল তাই মাসি এসে দরজায় কড়া নাড়ছে। ঘুমন্ত চোখের দিকে তাকিয়ে মাসি বলল'তুমি কি ঘুমিয়ে পড়েছিলে?' হ্যাঁ,একটু চোখটা লেগেছিলো।' একটা মস্ত বড় হাই তুলল আবার তারপর"ইশারায় চা দেবার কথা বলল।' '