পোস্টগুলি

নভেম্বর ৫, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি বিকাশ সরকার আলোউৎসবে এবং আমরা দুইজন

ছবি
ভালোবাসা থেকে প্রেম  দেবব্রত সরকার                                ক বিতা নয় কবি।  হ্যাঁ তিনি কবি।  কবি বিকাশ সরকার।  নরম। উজ্জ্বল। মিষ্টি।  সুন্দর। নিরলস।  নির্মম।  সহানুভুতিশীল।  নিরহঙ্কারী একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ।  তিনি কবিতা যোগে নিজেকে মাখিয়ে রাখেন।  উপন্যাস তার প্রতিবাদের কথা বলে।  প্রেম মেখে ওঠে কবিতা।  বোধের মাঝে ডুবিয়ে রাখেন মন।  ভালোবাসার মাঝে খোঁজেন প্রাণ।  উদারতা এক বিস্ময়কর প্রকাশ।  উজ্জ্বল কচি হাসি আর যোগনিদ্রায়িত চোখ।  নিবিড় সান্যিদ্ধে কুড়িয়ে নেয় বুক।  অদ্ভুত মানুষ কবি বিকাশ সরকার।            কবি বিকাশ সরকার  এক বিশেষ  মুহূর্তে                                  (ছবি দেবব্রত ও সানি সরকার )  তাঁর লেখা কবিতার গোপন দৃশ্যে প্রেম প্রকৃতি হয়ে ওঠে অনন্ত।  ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে লেপটে থাকা সম্পর্ক যখনও তাঁর  হিংসা করে।  ভাবুক কবি নিয়তি মায়ায় নিজেকে খুলে খুলে দেয়। আদর ছুঁড়ে দেয় স্নেহভাজনদের দিকে। তাঁর চুপচাপ আর্তনাদ কেও দেখে , কেও দেখেও নির্বাক। অথচ কবি চুপচাপ। নেশা নেই শ্রেষ্ঠত্বের।  কাজ করে জান।  ভালোবাসা ছুঁয়ে ছুঁয়ে ঝরে পড়ে নদী। যেমন প্রকৃতি ভালোবাসে প্রাণ।  তেমনই ভালোবাসে কবি।         কবি

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"২২

ছবি
চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।  উদাসী মেঘের ডানায়                                                         ( ২২ তম পর্ব )                                                              সা মিয়া জন্ডিস থেকে ভালো হবার পর বাববার ওর কানে ভেসে আসছে সৈকতের কথা ক্লিনিক ছাড়ো বাসায় চিকিৎসা হবে , নয়তো ডিভোর্স দিবো আজ ও অফিসে এসে আগের মতো আর হাসিখুশি নেই কেমন যেনো নিরব হয়ে গিয়েছে, তৃষ্ণা কিছু জিগ্যেস করলে ও কিছু বলেনা। কল করলে ও বলে পরে শুনিস এখন ভালো লাগছেনা। আজ অফিস থেকে স্যারএর রুম থেকে বেরিয়ে তৃষ্ণা কে বললো আমি একটু কাজে যাচ্ছি এই বলে বেরিয়ে গেলো। সামনে এসে দাঁড়ালো একটি খালি রিকসা তাকিয়ে দেখে মহিলা চালক অবাক হয়ে বললো -তুমি রিকশা চালাও? -হ ম্যাডাম, ওডেন কই যাইবেন। সামিয়া উঠে পড়লো- মেইন রোডে ধরবেনা, লাইসেন্স আছে? মহিলা - আমিই আমার লাাইসেন্স। খানিকটা যেয়ে সামিয়া বললো - তোমার নাম? -নুরজাহান, হাজারিবা

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত"৯

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত                                                (পর্ব  ৯ )     শামীমা আহমেদ                                                  প্রা য় দুই আলমারী বোঝাই শিহাবের পোষাক,একটি তো স্যুট দিয়ে, তারপরেও তার মায়ের আলমারী দখলের চেষ্টা।আবার কিনতে গেলেই সাত আট সেট পোষাক একসাথে নিয়ে আসে,আরো চার পাঁচ সেট বানাতে দিয়ে আসেন টেইলারিং শপে। একসেট পোশাক একদিন পরলে আবার সেটা পরার জন্য ঘুরে আসতে কখনো দুই মাসও লেগে যায়। কেউ বলবে না এক পোষাকে তাকে দুই দিন দেখেছে।অবশ্য গ্রামে গেলে অনেক কাপড় বিলিয়ে দিয়ে  কিছু  কমিয়ে আসে।আবার যা তাই,নতুন নতুন  কিনে আলমারী ভরিয়ে ফেলা। আর মা এতে বেশ বিরক্ত।দরকারের সময় প্রয়োজনীয়  জিনিসপত্র খুঁজে পায়না।সেই কলেজ লাইফ থেকে শিহাবের এই পোষাক বিলাসিতা।মাতো প্রায়ই বলেন, তোর কাপড়চোপড়ের যন্ত্রণায় আমার বাড়ি ছাড়তে হবে। এগুলো দিয়ে একটা শোরুম খুলে ফেল।বিক্রি হলে কিছু আয় হবে,ঘরে কিছুটা হলেও কাপড় কমবে।  মায়ের এই রাগ সবই বৃথা যায়।মা খুব ভালো করেই জানে কাপড়ের সাথে শিহাবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। সে টিপটপ চলতে পছন্দ করে।সেই যে সেই কলেজ জীবনে ফার্স্ট ইয়ারে কলেজে যাবার জন্য দুই স

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৩৭

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।  'টানাপোড়েন ' (৩৭)   এক রাস্তা হ্যায় জিন্দেগি                                     রে খা হঠাৎ করেই দেখছে পরপর কতগুলো মেসেজ ঢুকছে। রেখা হোয়াটসঅ্যাপটা চেক করে দেখে স্কুল গ্রুপে মেসেজ ঢুকেছে। রেখা চশমাটা পরে ভাল করে দেখল"আরে এ তো এমসিকিউ 'এর মূল্যায়ণের জন্য খাতা ইমিডিয়েট সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে। আগামী পরশু দিন খাতা জমা দিতে হবে।' রেখা দেখল  'আজকে তো  স্কুলে যায় নি। হাতে সময় মাত্র একটা দিন ।কালকে স্কুলে গিয়ে খাতা এনে চেক করে দেয়া অনেকটা টাফ ব্যাপার ।কি হবে এখন ?এদিকে মনোজ ও  ফেরে নি ।ওদিকে কী হলো কে জানে? রিম্পাদিকে বললে হ'তো, খাতাটা যদি নিয়ে আসতো, স্টেশন থেকে সংগ্রহ করা যেত। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ,সে সময় পেরিয়ে গেছে। এখন তো বলেও লাভ নেই। রিম্পাদি তো ট্রেনে চেপে পড়েছে ,কি হবে? শরীরটাও ভাল নেই। কী যে হচ্ছে ,কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না ।সবকিছু কেমন তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে।'  অন্যদিকে মিলি  চেঁচাচ্ছে। বা

গুলশান আরা রুবী

ছবি
অন্তরে যার স্থান তুমি কষ্ট দেয়া বন্ধ করো না- তাতে কি হবে  ভুলতে চাই না সহজে তা আমি  তুমি কি তা বুঝবে। যতদিন বেঁচে রইবো এ ধরণীতে-  কামনা থেকে রেহাই নেই নিশ্চয়ই! তবে একবার ভেবে দেখ তো  যা আছে সব রেখে যাবে কিছুই আপন নয় তো । ঐ কষ্টগুলো ভীষণ মধুরতম-    তোমার কষ্ট থেকে চাই না পরিত্রাণ ! তা নিয়েই যেন পাই পরপারে স্থান।। জীবনে যা ভাবেনি তাই পাই  আসলে এমন বুঝি পৃথিবীর জীবনটাই ! সময়ে সাথে বদলে যায় মানুষের রুপ  বদলে যায় আচার ব্যবহার  বদলে যায় রীতিনীতি এটাই জীবন।

রাবেয়া রুবি

ছবি
ফেরারী মন  সেই কবে হারালো ভালোবাসার নক্ষত্রগুলো লুকায়িত হয়ে প্রাপ্তি খুঁজে পেলনা,  অনুরাগের সবুজ গালিচায় ভালোবাসা আর ঈর্ষা পাশাপাশি  শুয়ে থাকেনা।  রাত নেমে এলেই গোধূলির লালিমা, ধূসর রঙের  সমাপ্তি,  তবুও ডুবন্ত সূর্যের ঝলকানির মাঝেও আকাশ খুঁজে প্রাপ্তি। পরম ভালোবাসা গুলো ঝুলে থাকে শূন্য আকাশে নিস্তব্ধতায়,  আঁকা হয়না  রঙিন আল্পনাগুলো  নির্জন রাতের জ্যোস্নায়।  জীবনের দোলাচলে মিশে আছো জীবনেরই  প্রতিচ্ছায়া  হয়ে,  সব ভাবনাগুলোও  জুড়ে আছো আদুরে মায়া নিয়ে।  প্রকৃতির নিয়মের বেড়াজালে সব ঠিক আছে স্বপ্নগুলো ঘুরেফিরে দমকা হাওয়ার মাঝে। কতদিন হলো একসাথে নতুন সূর্যোদয়  দেখা হয়না, এখন আর শিশিরেও পা ভিজানো হয়না,  মন যমুনায় ঢেউ উঠলে ভোরের শুকতারা হয়ে এসো,  তখন শুনবো পাখ- পাখালির  কলতান, পরিযায়ী পাখিরা দলবেঁধে এসে ফিরে যাবে, হয়তো রেখে যাবে মহা মিলনের  গান। কতটা সময় পাড়ি দিয়েছি কত বাঁধা-বিপত্তির  পথ,  প্রহরগুলো অমলিন সোনালী  ছিল,থমকে যায় সবকিছু হঠাৎ।  সাজানো পৃথিবী  থেমে যায়,সবকিছু  নিস্তব্ধ তায়, থেমে নেই শুধু  সময়ের গতিবেগ, আর নতুন চলার গতি যত, প্রকৃতিও তালে তালে মিলে যায়  সব - ই  আগের মত।

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"১৮

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস "বনফুল"  বনফুল                      ( ১৮ তম পর্ব)    জুঁই উপরে উঠে হাত পা ছেড়ে শুয়ে পড়ল,ঘড়িতে তখন তিনটে বাজে। ফোনটা হাতে নিয়ে পলাশকে ফোন দিল, ওপাশ থেকে পলাশের কণ্ঠে বললো কেমন আছো জুঁই ? স্যরি জুঁই আমি আর তোমাকে ফোন দিতে পারিনি! এপাশ থেকে জুঁই বললো its Okay আমি তো দিচ্ছি, মোট কথা একজন দিলেই হলো। আমিও ব্যস্ত ছিলাম তাইতো তোমাকে ফোন দিতে পারিনি, এখন বল তোমার বন্ধু কেমন আছেন?   হুমমম ভালো আছে, এতক্ষণ পর্যন্ত তোমার গল্পই হচ্ছিল.....  জুঁই হাহাহা হাহাহা হাহাহা  হেসে উঠলো! আমায় নিয়ে আবার গল্প করার কি আছে, আমি সাদামাটা একটা মেয়ে মাত্র,আমি তো ক্লিওপেট্রা নই। আচ্ছা তোমাদের বন্ধুত্বের গল্পে ভাগ বসাতে চাই না, কালকে ঠিক সময়ে চলে এসো। ফোন রাখছি বাই বাই বলে জুঁই ফোন কেটে দিলো। কিছুক্ষণ চুপ করে শুতেই ঘুমিয়ে পড়েছে জুঁই। পাঁচটায় জুঁয়ের ঘুম ভাঙ্গলো, হাতমুখ ধুয়ে নিচে নেমে আসতেই ময়না জিজ্ঞেস করলো আপামনি আপনাকে চা দেবো না কফি?   জুঁই বললো কফি দাও সাথে হালকা কিছু স্ন্যাকস দিও। আজ জুঁয়ের মা ভীষণ ব্যস্ত ক