চলছে নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের পড়তে সহযোগিতা করুন লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম লেখার।
আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে লিখতে সহযোগিতা করবে।
উদাসী মেঘের ডানায়
( ২২তম পর্ব )
সামিয়া জন্ডিস থেকে ভালো হবার পর বাববার ওর কানে ভেসে আসছে সৈকতের কথা ক্লিনিক ছাড়ো
বাসায় চিকিৎসা হবে , নয়তো ডিভোর্স দিবো আজ ও অফিসে এসে আগের মতো আর হাসিখুশি নেই
কেমন যেনো নিরব হয়ে গিয়েছে, তৃষ্ণা কিছু জিগ্যেস
করলে ও কিছু বলেনা। কল করলে ও বলে পরে শুনিস এখন ভালো লাগছেনা। আজ অফিস থেকে
স্যারএর রুম থেকে বেরিয়ে তৃষ্ণা কে বললো আমি
একটু কাজে যাচ্ছি এই বলে বেরিয়ে গেলো।
সামনে এসে দাঁড়ালো একটি খালি রিকসা তাকিয়ে
দেখে মহিলা চালক অবাক হয়ে বললো
-তুমি রিকশা চালাও?
-হ ম্যাডাম, ওডেন কই যাইবেন।
সামিয়া উঠে পড়লো- মেইন রোডে ধরবেনা, লাইসেন্স আছে?
মহিলা - আমিই আমার লাাইসেন্স।
খানিকটা যেয়ে সামিয়া বললো - তোমার নাম?
-নুরজাহান, হাজারিবাগ থানার সামনে থাকে পুলিশ
আমারে কিছু কয়না বেক্কে চিনে নুরজাহান কইলে
কই যাইবেন আপা কইলেন না।
পুরান ঢাকা সুপ্রিম কোটে।
চিনো রাস্তায় ধরবেনাতো তেমায়?
-না চিন্তা কইরেন না।
সামিয়া-তুমি ইন্জিন চালিত রিকশা চালাও কেনো?
নুরজাহান - কি করমু এক্সিডেন্ট আমার স্বামি বাচ্চা মইরা,গেছে আমার একটা হাত-পা ভাঙা,পেটের দায়ে
চালাই।
সমিয়া,অবাক হয়ে ওর জীবন কাহিনী শুনে ভাবলো
ও যদি একা বাচঁতে পারে আমি কেন বাচঁতে পারবোনা আমাকে পারতেই হবে যা,কষ্ট হউক একাই
বাচঁবো আর নয়।
কাজি অফিসে ঢুকে কথা বলে বেরিয়ে এলো
কাজি বললো দুদিনের ভিতর নোটিশ চলে যাবে
সামিয়া,বাসায় ফিরে সুটকেস গুছিয়ে বের হয়ে এলো।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much