পোস্টগুলি

মার্চ ২৫, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৪১

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৪১ অন্য পৃথিবীর স্বপ্ন মমতা রায়চৌধুরী সাতসকালে কলিং বেল বাজছে ''জয় রাধা মাধব জয় রাধা মাধব।" রেখা বাথরুমে থেকে কলিংবেলের আওয়াজ পাচ্ছে কিন্তু বের হতে পারছে না ,বেরোনোর কন্ডিশন নেই। আবার বাজছে' জয় রাধা মাধব, জয় রাধা মাধব ,জয় রাধা মাধব।' রেখা ল্যাট্রিনের কলটা ফ্ল্যাশ করার পর তাড়াতাড়ি হাত পা ভালো করে ধুয়ে ছুটল দরজা খোলার জন্য। রেখা মনে মনে বলল যেন যমরাজ নিতে  আসলেও এ সংসারে কাজের জন্য আবার ফেরত আসতে হবে। দরজা খুলেই তো রেখা অবাক  'একি মাসি ,তুমি ভোর পাঁচটায় এসে হাজির।' মাসির চোখ মুখ শুকনো লাগছে, কিছু কি  হয়েছে ?মনে মনে ভাবছে রেখা। 'আর বোলো না বৌমা ,আমার ছাগলটা বাচ্চা দিতে গিয়ে কি কষ্ট পাচ্ছে বাচ্চা বের করতে পারছি না।' মাসির চোখ দুটো জলে ভিজে গেল কথা বলতে বলতে। সেকি মাসি? তাই একটু তাড়াতাড়ি আসলাম কাজগুলো  করে দিয়ে চলে যাব। 'তুমি ডাক্তারের কাছে যাও ।তোমাকে আজকে কাজ করতে হবে না।' ' মাসি কেমন অবাক হয়ে রেখার দিকে তাকিয়ে থাকলো। তারপর আর যেন চোখের জল  বাগ  মানলো না। 'কি বলছো বৌমা ,কাজ না করে চলে যাব?' &#

কবি তাহেরা আফরোজ এর কবিতা "শূন্যপুরে"

ছবি
শূণ্যপুরে   তাহেরা আফরোজ নদীর মতো কুলু কুলু শব্দে বয়ে যায়  প্রেম নাকি বিষাদ বুঝতে পারি না  কেবল শূন্যতা টের পাই  যতদূর দৃষ্টির সীমানা, ততোদূর বিস্তৃত শূণ্যতা। পূর্ণতা দেবার প্রতিজ্ঞায় অবিচল থাকা যে মানুষ  সেও শূণ্যপুরে টেনে নেয় আমাকে,  আমার করতলে ফোঁটা সব পদ্ম  হাওয়ায় উড়ে যায়  আমি তাকে ধরতে চাই না  আমি তাকে ধরতে যাই না।

কবি সুপর্ণা চ‍্যাটার্জ্জীর কবিতা

ছবি
হঠাৎ ভালোলাগা  সুপর্ণা চ‍্যাটার্জ্জী কেমন করে হঠাৎ যেন ভালো লেগে গেল সবকিছুকে। ভালো লেগে গেল দূরের সবুজ ও নীল দিগন্তকে। ভালো লেগে গেল  বৈশাখ ও  জৈষ্ঠ‍্যের ঝোড়ো হাওয়া  আর মেঘলা আকাশকে। কেন জানিনা  খুব ইচ্ছে করে হাওয়ার সাথে ছুটে চলি ক্ষেতের পারের আল ধরে। কে যেন শুধালো কেমনকরে লাগল ভালো? বলব নাগো সেই কথাটি, সে যে আমার গোপন ঘরের আসল চাবি কাঠি। ঐটুকু মোর সম্বল, কেউ নিওনা কেড়ে  যা আছে মোর করনীয়  করব আমি সবার তরে।

কবি গোলাম কবির এর কবিতা

ছবি
হাসির রাণীকে নিয়ে কবিতা      গোলাম কবির    ফেসবুকে আমার একজন খুব কাছের    দিদিমণি আছেন, তিনি প্রায়ই লিখেন -    " একদিন হারিয়ে যাবো এই অভিনয়ের    শহর ছেড়ে! " কথাটা ভীষণ সত্যি!   কিন্তু কিরকম সাবলীল ভাবে লিখেন    কথা গুলো ভাবতে অবাক লাগে!    এতো হাসিখুশি মেয়ের এই লিখা পড়ে    হৃদয় আদ্র হয় প্রায়শই, অথচ তাকে     আমি নাম দিয়েছি " হাসির রাণী "!     মাঝেমধ্যে ভাবি কি এমন দুঃখ আছে   ওর যা সকলের কাছেই লুকিয়ে রাখে   অথচ কী সুন্দর করে মজার মজার    পোস্ট দিতেই থাকে অবিরাম!    মানুষের মুখ এখনো পড়তে পারলাম না   ভালো করে, কেউ কি পারে!    একটা মানুষ কী সুন্দর হাসে, সংসার করে,    কবিতা লিখে, মানুষকে হাসিয়ে মাতিয়ে    রাখে অথচ ঝিনুকের মতো নিজের   ভিতরের কষ্টকে লুকিয়ে রাখে সযতনে,    তখন আমারও বলতে ইচ্ছে করে -    সত্যিই সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ    এবং দেশের মানুষ গুলো! ( কবিতাটি কবি বৈশাখী দাস ঝিলিক দিদিমণি কে উৎসর্গ করলাম)

কবি সেলিম সেখ এর কবিতা

ছবি
যুদ্ধ নয় শান্তি চাই   সেলিম সেখ বইয়ের পাতায় পড়েছি মোরা  যুদ্ধের সেই কথা, স্বচক্ষে আজ দেখছে বিশ্ব যুদ্ধের ওই ভয়াবহতা।  মাথার ওপর উড়ছে বোমারু পায়না জনমানব ঠাঁই,  যুদ্ধের ওই রক্ত খেলায় তাদের অনেক মজা চাই?  করতে যুদ্ধ মোকাবেলা নিয়েছে হাতে অস্ত্র,  ভুখা পেটে চলছে তারা পরনে ছিন্ন বস্ত্র। দেশ বাঁচানোর তাগিদে বেঁধেছে মাথায় কাফন,  যদি যায় প্রাণটা চলে হয় যেন তাতে দাফন। স্কুল-কলেজ বৈদ্যশালা করেছে লুটোপুটি ধুলায়,  নতুন সূর্য দেখবে বলে মনকে সদা ভোলায়।  যেথা যাই আঁখি মোর দেখে শুধু শব,  মাটিতে শিশু নর-নারী থামে না মোর ক্ষোভ।  মানুষ হোক শান্তিপ্রিয় ফিরুক আবার শান্তি,  পৃথিবী হোক মানবপ্রেমী কাটুক সকলের ভ্রান্তি।  থামুক যুদ্ধ ফিরুক শান্তি করি মিনতি প্রভু,  এমন দৃশ্য দু নয়নে চাইনা দেখতে কভু।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৭৬

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৭৬) শামীমা আহমেদ  বারান্দায় বসে কাপের চা শেষ করে সিগারেট ফিল্টার এস্ট্রেতে গুজে দিয়ে শিহাব অফিসে যাওয়ার তাড়নায় উঠে দাঁড়ালো। ভেবে নিলো দ্রুত শাওয়ার সেরে বেরিয়ে যেতে হবে। বারান্দায় শুকাতে দেয়া নীল তোয়ালেটি খুঁজতেই দেখা গেলো রিশতিনা টাওয়েল হাতে নিয়ে অপেক্ষা করছে। শিহাব একটু চমকেই গেলো ! তবুও নিজেকে সংযত করে এক হেচকা টানে টাওয়েল নিয়ে বেশ বড় বড় পা ফেলে হেঁটে ওয়াশরুমে ঢুকল। রিশতিনা নির্বিকার দৃষ্টিতে শিহাবের দিকে তাকিয়ে রইল।ভাবলো, এই মানুষটা একসময় তারই ছিলো। সে নিজেও  কতটাই না আপন ছিল তার। দুজন দুজনার জন্য সেকি অনুভুতি আবেগের প্রকাশ ছিল।মনে হতো পৃথিবীর আর সব কিছুই তুচ্ছ।রিশতিনার বিয়ের দিনটির কথা ভীষণভাবে মনে পড়তে লাগলো। সেদিন ছিল অক্টোবর মাসের আঠারো তারিখ।দুজনে সকাল দশটায় শিহাবের এক সিনিয়র ভাই এবং বন্ধু নাঈম ভাইয়ের বাসায় যায়।তখন শিহাবকে  খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত লাগছিল। সেখানে সামান্য নাস্তা সেরে সবাই কিভাবে কি করা যায়বতার আলোচনা চলছিল। রিশতিনার মনে আছে সেদিন সে  নীল শাড়ি পরেছিল আর শিহাব কালো শার্ট আর ক্রীম কালারের প্যান্ট পরেছিল।চোখে সানগ্ল