কবি সৌমিত বসু'র কবিতা
কুয়াশা টুকরোগুলো কুড়িয়ে আনি আর সময় পেলেই জুড়তে বসে যাই। অদ্ভুত জলে ছায়া ভাসে, ভাঙাচোরা ছায়া। টুকরোগুলো এক একটি ছায়ার ভেতর পড়ে লম্বা হয়ে যায়, আর চেনাই যায় না তাদের এতটুকু। টুকরোগুলো লুকিয়ে রাখি দরজার পেছনে সময় পেলেও তাদের কথা মনে পড়ে না আর মনে পড়ে না সেইসব ফাটলের কথাও। জুড়তে বসার প্রশ্নও ওঠেনা। পানবরজেরওপর দিয়ে ঝুপ করে নেমে এলো চাঁদ মাঠের নাড়াগুলোজেগে রয়েছে তখনো মাদা দিয়ে তিরতির করে বয়ে চলেছে জল, খোঁচা খেয়ে চাঁদ ফুঁসে উঠেছে অভিমানে, কি দিয়ে জুড়তে বসি খ'সে পড়া কথা? কি দিয়ে জুড়তে বসি আঁচলের ফাঁক গ'লে নেমে আসা বৃষ্টি কিংবা ফুটো কলসি কাঁখে মেয়েটির বুড়ো আঙুলের ফাঁক গ'লে বের হয়ে আসা কাদার প্রলেপ, জুড়তে বসে কেবলই ভুল হয়ে যায়, জুড়তে বসে ছায়ার মতো ঝেঁপে ধরে এক একটি ডানাকাটা অন্ধকার। রাত ড্রপ খেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ভোরের দিকে জুড়তে বসে এক একটি ভুল হাত ধরে ডেকে আনছে অন্যটিকে।