পোস্টগুলি

জানুয়ারী ১২, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এম রুহুল আমীন

ছবি
 আর করব আশ্বাস বাণীতে কেটে গেছে ১৪ বছর অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে চুকনগর গণহত্যা-৭১ স্মৃতি বধ্যভূমি   খুলনা ”হবে আর করব” এই আশ্বাস বাণীতে কেটে গেছে ১৪ বছর। ২০০৬ সালে নির্মিত চুকনগর গণহত্যা-৭১ স্মৃতিরক্ষা বধ্যভূমিটি আজও পূর্ণতা পায়নি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে অযত্ন অবহেলায়। গত ১৪ বছরেও এর কোন সংস্কার হয়নি। অথচ মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এখানে সংঘঠিত হয়েছিল বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণহত্যা। ১৯৭১ সালের ২০ মে এখানে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি বাহিনী হানা দেয়। ব্রাশ ফায়ার করে প্রায় ১০ হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করা হয় খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। রচিত হয় চুকনগর গণহত্যার ইতিহাস। বাংলাদেশ শুধু নয়, ইতোপূর্বে সংঘটিত বিশ্বের সকল গণহত্যার ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে চুকনগর গণহত্যাই বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণহত্যা। এত অল্প সময়ে এক জায়গায় এতগুলো মানুষকে হত্যার নজির কেথাও খুজেঁ পাওয়া যাবেনা। যেভাবে সংঘটিত হল ইতিহাসের বর্বরচিত এই গণহত্যাঃ ১৯৭১ সাল সারাদেশ জুড়ে শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ।এরমধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ প্রাণভয়ে পালাচ্ছে দেশ ছেড়ে। তেমনি একটি দিন ২০ মে। আগের দিন ১৯ মে বিকেল থেকেই খুলনার বটিয়াঘা

মুন চক্রবর্তী

ছবি
আদিম থেকে সভ্যতায় কখন যে সূর্যালোক পার অন্ধকারে ঢুকেছে অবিশ্বাস্য আদিমতা কে নির্বাসন দিয়ে সভ্যতা কিনেছে পৃথিবী। পাথরে আগুন খোঁজা কাঁচা খাওয়ার দুর্বিষহ যন্ত্রনা সভ্যতার পাথরে খোদিত পাষান হৃদয় যান্ত্রিক,চেতনার বিলুপ্ততে। প্রতিদিন কাকভোরের টিফিন বাক্সে আধুনিক প্রলোভন একটি মানুষ করার খরচের অঙ্গিকারে পরে আছে সস্তা খাবার জীবনের সাজসরঞ্জাম গুলো চ্যাম্পিয়ন ট্রফির মত সাজানো না ছিল না, বাহারি কায়দার সোফা সেট,ভাত ভাগ করা ক্ষমতা ছিল। আলোক সজ্জার চৌমাথায়,হ্যারিকেন নিয়ে চলত মানুষ হওয়ার বিশ্বাস আদিম থেকে সভ্যতায় দাঁড়িয়ে কাঁচা মাংসর লোলুপ নৃশংসতা। দাড় টানা মাঝির ভাটিয়ালি নদী শোনে না উচ্চতার চারিদিকে ভয়ানক সভ্যতার নাগপাশ প্রতি মূহুর্তে বিশ্বায়ন ক্ষয়ে যাওয়ার ভয় তাড়া করছে। শব শকট গুলো বির্বতনের লাশ তুলতে এগিয়ে আসছে গন্ধ পাচ্ছি ট্যাংরা মাছের ঝোলের সম্ভবত অশিক্ষিত মায়ের রান্না  ছাগ শিশুর মূখে কাঁঠাল গাছের পাতা তুলে দিচ্ছে আদিমতা এই তো বুলেট ট্রেনে চড়ে আসল সভ্য মানুষ  দুদিন বড় জোর তিনদিন,বৃদ্ধ বয়সের শান্তনা। হোম ডেলিভারির যুগে ঘরের চারপাশে শ্যাওলার আস্তরণ  মূল্য আর মূল্যায়নে সঞ্চিত আদিম যুগের ভালোবাসা,সভ্

মেহেদি পাতা

ছবি
  ইচ্ছের ডানা থাকা জরুরি বুকের হাপরে আগুন উস্কে রাখি গনগনে আঁচে লোহা পোড়ে, তাকে দেখি সৎভাবে ল্যাংটো হতে আজকাল আর  কাক চিল পড়ে না নিশিকান্তর বাড়িতে  তলোয়ার খসে গেছে কোমর থেকে, জং পড়েছে বার সিঙ্গারের চাকরি ছেড়ে  মেখলা এখন নিপাট ধনেখালি  ধক নেই  ঝগড়া দিয়ে আঠা লাগায় আগুনে।            

তালুকদার ইমরোজ

ছবি
  মেগা শপিংমল নিঃসঙ্গ মেঘের মতো চুপিসারে আমি প্রতিদিন দেখে আসি- তোমার পরিপাটি সাজানো সংসার; কী মায়ায় তুমি আগলে রাখো তোমার কংক্রিট বাগানের প্রতিটি বৃক্ষ, রাত গভীর হলেই তোমার বুকে খেলা করে- পুঁজিবাদের ভয়ংকর-ঝলমলে জৌলুস।  তুমি এখন নন্দনতত্ত্ব ভুলে গেছো, ভুলে গেছো মানবিক উপাখ্যান; তুমি এখন ফরাসি পারফিউমে অভ্যস্ত- বেলি-হাসনাহেনা-চামেলী তোমাকে কাছে টানে না- তুমি নিজেই এখন শহরের মেগা শপিংমল।

মহুয়া চক্রবর্তী

ছবি
কালো মেয়ে  ওগো প্রিয় তুমি যেমন তেমনি থেকো আমার সেই মনের কোণে স্বপ্নে আঁকা স্বপ্ন নীল পরী হয়ে থেকো। রঙিন ওই মেকাপের সাজ প্রয়োজন নেই তোমার  আজ  আমি যে বুঝেছি তোমার মন  সে যে খাঁটি সোনা তা বোঝে কজন।  ছোট্ট টিপ হলুদ শাড়ি তুমি অনন্যা  রূপ দেখে মানুষকে বিচার করোনা।  রূপ যে তোমার মমতাময়ী  মন যে তোমার ফুলের মত  প্রতিদিনই তোমার হোক চিরন্তন অবিরত।  চাঁদের গায়ে ও তো কালি আছে  তাই বলে কি চাঁদ হারিয়ে গেছে -  পূর্ণিমার ওই চাঁদের  আলোয়   মন ভেসে যায় তারই মাঝে।  কৃষ্ণ কালো ,কোকিল কালো  কৃষ্ণপ্রেমে জগত আলো।  বসন্তের ওই কোকিল সুরে  মন করে দেয় সবার ভালো।  মনের ময়লা সরিয়ে ফেলে   চেয়ে দেখো কালো রূপেই যে জগত আলো।

হাকিকুর রহমান

ছবি
অপেক্ষমাণ দাঁড়িয়েছিলাম কাননের ধাঁরে- ফুটেছিলো জুঁই, চামেলী, হাসনুহেনা, বহ্মকমল দু’হাত ভরে ওগুলোকে কুড়োনোর খুব ইচ্ছে ছিলো কিন্তু কেন জানি ফুলগুলোকে কুড়োনোর তরে সময় হয়ে উঠলোনা- দাঁড়িয়েছিলাম পথের পাশে- শত সহস্র পথিকের আনাগোনা চেনা মুখ দেখিনি একটাও সবাইকে কেমন জানি অচেনাই মনে হলো তাই কথপকথন তো দূরে থাক দৃষ্টির আদান-প্রদানও হলোনা একবারের জন্যে হলেও- দাঁড়িয়েছিলাম নিয়ন বাতিটার নিচে- আর কাউকে তো দাঁড়াতে দেখিনি এমন করে দু’একটা ভ্রাম্যমান ছাড়া ওদেরই বা দোষ কি জীবনের তাগিদে এই পথে আসা তা আমার তাতে নাক গলানোর কিইবা আছে আমিও অন্য মুখী হলাম- দাঁড়িয়েছিলাম মরা নদীটার ধাঁরে- অতি দূষণে ও নিজেই নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেনা আর আমি কিনা ভাবছি মনের দু’টো কথা কইবো তার সনে কি আর করা গন্তব্যহীনতায় ভুগে বেলা পার করে স্বঘরেই ফিরে গেলাম।

মুনমুন ইসলাম মুনা

ছবি
মুক্তি রাতের গর্ভে ভোর যখন প্রসব বেদনায় কাতর  মুয়াজ্জিনের শিহরিত ধ্বনিতে  ভূমিষ্ট শিশু সকাল গায়ে মাখে আতর। আর তার সুগন্ধিতে পবিত্র আত্মার হয় ঘুমের বিসর্জন, মিথ্যা স্বপ্নের কপাট খুলে দাঁড়ায় তৃপ্ত স্বস্তির ক্ষনস্থায়ী নীড় গড়া আড়মোড়াহীন বাসিন্দারা।  সাথে আপন সত্বায় বিবেক দরজা কড়া নাড়ায় আকুতির আর্তচিৎকারে। হে ভোরের মালিক,আমি জোড়া হাতে বসে বসুন্ধরায়। আমিও চাই স্বস্তি, চাই শীতলতা, আমার ভোরের ঘুমকে করো তোমার প্রেমের সাধনা। আমার অযুকে করো সকালের  আলো জয় করা ভোর,আমার নামাজকে করো ইহকালের দোষ মুক্ত সনদ,ছিলাম না নামাজ চোর। আমি লোভী হতে চাই তোমার প্রেমের কাঙ্গালে,  আমি লোভী হতে চাই কপালে পড়াতে চাই কালো দাগের টিকলি।  হ্যাঁ আমি লোভী হতে চাই, এই লোভেই যে আমার ইহকালের প্রশান্তি ও পরকালের নাজাত দেখতে পাই।

রিনা দাস

ছবি
সবুজ ঘাস রঙ বে রঙের জুতো পরে হেঁটে যাও গট্ গট্ করে যেতে যেতে কেউ একবার চেয়ে দেখ কি ক্ষনিক তরে ? সবুজ নরম ঘাসের গালিচার দিকে একবার চেয়ে দেখ ভারী ভারী জুতোর চাপে কেমন সকরুন ছবি আঁক ? পথে ঘাটে অনাদরে অবহেলায় আমরা অনায়াসে বেড়ে উঠি প্রকৃতির জল,আলো,মাটি করুনা যে পাই খাঁটি ৷ পশু পালনের মূখ্য আহার আমাদের যোগানে হয় নয়ন ভোলানো সবুজ মাঠ দেখেছো কত আনন্দময় ? দেবতার পূজোপকরনে দূর্বা ঘাসের ভূমিকা জান ? শত ক্ষুদ্রের মত দূর্বা ? আমি সেই সামান্য তৃণ !