পোস্টগুলি

নভেম্বর ১৫, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি ফাল্গুনী চক্রবর্তী এর কবিতা

ছবি
বিরতির শেষে বয়েসের উঠোন বাঁধ ভাঙছে জরি আর রাঙতার ডোরে  তাজ পরা বেশ চাঁদ রুপোলি স্নানঘরে কাঁচা হলুদেরা সোনালি সপ্নের সি৺থি আ্ঁকে আদরের কৌটো খুচরো রাখছে কুয়াশার পানপাত্র চিরে সিলিকন হয়ে নামে অজানার পিয়াল তুমি আমি বিশেষণ নই তাই প্রেম ঈশরীয় হয়ে একটু একটু কথা ইটের গায়ে মিলিয়ে যাচ্ছে বেপনাহ। 

আমিনা তাবাসসুম সম্পাদিত "শব্দ পিয়াসী"র আত্মপ্রকাশ

ছবি
তারুণ্যের সৃষ্টির ঢল নেমেছে শব্দ পিয়াসী পত্রিকায়          অনুষ্ঠানের উপস্থিত সম্মানীয় অথিতিদের সঙ্গে সম্পাদক আমিনা তাবাসসুম   তিথি সরকার , বহরমপুর : তরুণ কবির হাতে তারুণ্যের সাহিত্য ধ্বজা। যে কোন একটি পত্রিকাকাকে কেন্দ্রে রেখে গড়ে ওঠে এক বিশেষ পরিবার। এই পরিবারের সঙ্গে পত্রিকা, পাঠক ও লেখকদের মাঝে যে আত্মিক যোগাযোগ তৈরি হয় তা যে-কোনও সম্পর্কের ঊর্ধ্বে। একটি পত্রিকা এমনই চম্বুকীয় টান বহন করে সবসময়। এক্ষেত্রে সমস্ত দিক দিয়ে সতর্ক কিন্তু খোলামেলা পত্রিকা সম্পাদক, যিনি নেতৃত্ব দেন সেই পরিবারের।  পত্রিকা হাতে নবীন প্রজন্ম ও প্রবীন প্রজন্ম সৃষ্টির উল্লাসে কবিবৃন্দ      তেমনই একটি নতুন পত্রিকা এমনই মাধুর্যে ভরা। যেখানে তারুণ্যের সৃষ্টিতে ঢল নেমেছে বললে কম বলা হয়। এমনই তো একটি পত্রিকার চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক মহল। অনেকের মন্তব্য, পুরনো দিনের কথা আবার মনে পড়ল। আমরা পোস্টকার্ড-এর দিন দেখেছি, পত্রিকা দপ্তরগুলিতে তারুণ্যের উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল, পোস্টকার্ড, ইনল্যাণ্ড লেটারে।               খোশ মেজাজে কবিরা  এখন বৈদ্যুতিন মাধ্যমের যুগ। যে-কোনও মুহূর্তে পৌ

মাহ্জাবীন মিতি

ছবি
তোমাকে পাবার ছলে তোমার ওই বুকে বুনোফুলের গন্ধ হব তোমার কপালে শেষ বিকেলের মিষ্টি রোদ তোমার উড়নচণ্ডী চলমান জীবনে একটা দমকা হাওয়া হয়ে  উড়িয়ে নেবো তোমায়... সবকিছু ঠিক করার ছলে  বার বার অগোছালো করে দিব ..... পারিপাট্যয় আমার বড্ড অনিহা  আমি চাই বিস্তীর্ণ সবুজের ঢাল যেথায় আমি আদিম মানবীর মত চাষে বেড়াবো তোমার শরীরের প্রতিটি কোষ বন্য বাইসনের পায়ে শেকল পড়ানোর চেষ্টায় নিজেকে প্রকাশ করবো এক সুদক্ষ তীরন্দাজ হিসেবে প্রচন্ড ঝড়ের কবলে অর্ধ ডুবন্ত  জাহাজের, নাবিক হয়ে  ঠিক সামলে নেব তোমায়...  তুমি শুধু এক পৃথিবী বিশ্বাস নিয়ে  আমার চোখে, চোখ রেখো...

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত" ১৩

ছবি
  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক শামীমা আহমেদ 'র   নতুন  ধারাবাহিক   উপন্যাস   "অলিখিত শর্ত" শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত                                                (পর্ব  ১৩ )     শামীমা আহমেদ                                          গ তকাল ফ্যামিলির সাথে খুব ঘুরে বেড়ালেন বুঝি? শায়লার এ প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে শিহাব পাল্টা প্রশ্ন লিখে দিল। ----আপনার  কেমন কাটলো? কেমন আছেন আপনি? শুভ সকাল। ---ভালোই কেটেছে। আমি ভালো  আছি।এখনো বিছানা ছাড়েন নি?ভাবী বেড টি দেয়নি? শিহাব এবারও শায়লার কথাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিলো।এইতো উঠবো!আপনি চা খেয়েছেন? হ্যাঁ, সেই কোন ভোরবেলা।এখন কয়টা বাজে সে খেয়াল আছে?খুব ক্লান্ত বুঝি? ---হ্যা,অনেকটা।ছুটির দিন হলেও অনেক ইনফরমাল কাজ থেকে যায়।যা সারা সপ্তাহ জমিয়ে রাখা হয়।আমরা তো কেউ সংসার পরিবার ছাড়া নই? হু, সেতো অবশ্যই। তা পরিবারে কে কে আছে?আপনার বাবু ক'জন? শায়লা আজকাল বেশ গুছিয়ে কথা বলা রপ্ত করেছে।কর্মক্ষেত্র  মানুষকে অনেক কিছু শেখায়। সুন্দর করে কথা বলায় নিজেকে যেমন প্রকাশ করা যায় আবার নিজেকে ডিফেন্ডও করা যায়। শায়লা ভাবলো, এভাবে পরিচয়ের প্রথমে কাউকে

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"২৪

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস   "বনফুল"  বনফুল                 ( ২৪ তম পর্ব )                                                      হ ঠাৎ করে সৈকতের ফোন বেজে উঠল। সৈকত ঘুমিয়ে পড়েছিলো ফোন বাজতে ঘুম ভাঙ্গলো, ফোন হাতে নিতেই চমকে উঠলো!  অহনা ফোন করেছে। ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে অহনা বললো আসলামু য়ালাইকুম, সৈকত প্রতিউত্তরে অভিবাদন জানালো ওয়ালাইকুম আসসালাম ,  অহনা বললো কেমন আছেন ভাইয়া?   সৈকত ভালো আছি, তুমি? হুমম আমিও.... ; না মানে ভাবলাম নাম্বার যখন এনেছি একবার ফোন দিই।  খুব ভালো করেছো, আমি ও ফোন দিতাম না, ঠিক তা নয়, হয়তো সকালে ফোন দিতাম। তুমি আগে ফোন দেওয়ায় তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অহনা, আমি খুব খুশি হয়েছি।  অহনা বললো ভাইয়া,জুঁইদের বাড়িতে যে রক্তকরবী ফুল টা বুকপকেটে ভরে দিয়েছিলাম, সেটা কোথায় রেখেছেন?  ওহ্,ওটা জামার বুক পকেটেই  আছে।  মশাই কোথায় রাখতে বলেছিলাম?  সেখানেই রাখতাম, কিন্তু আমরা দুজন একই ঘরে, তাই..… ওহ্, লজ্জা করছে! ঠিক আছে, সকালে একবার দেখবেন সে কেমন আছে।  সৈকত আমতাআমতা করে জবাব দেয়,নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই দেখবো। 

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৪৩

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " । টানাপোড়েন (৪৩)   খুনসুটি                                                      

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"২৭

ছবি
চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।  উদাসী মেঘের ডানায়                                                (পর্ব ২৭ )                                     দু ই বাড়িতে আনন্দে মেতে আছে সবাই, আত্বীয়- স্বজনদের নিয়ে। তৃষ্ণা অপু কখনো সামিয়াকে নিয়ে মার্কেটিং এ ব্যাস্ত। কাল গায়ে হলুদ কেনাকাট শেষ করে বাসায় ঢুকতেই তৃষ্ণাকে বললো- আর কিন্তু  মার্কেটে যাওয়া নয়, সব কেনাকাটা শেষ।? তৃষ্ণা- মা আর কেনাকাটা নেই। মা-কি হাল,করেছো এই কয়দিনে চেহারার, যাও হাতমুখ ধুয়ে খেয়ে রেষ্ট নাও। আজ আর রাত জাগবেনা। এই বলে চলে গেলেন রান্নাঘরে। সামিয়া-সত্যি রে তোকে ক্লান্ত দেখাচ্ছে, আজ একটু কম কথা বলিস পরশুদিন চলে যাবি তখন যত পারিস গল্প করিস। তৃষ্ণা- অপু কথা বললে আমি কি করে মানা করি বলো! সামিয়া - আমি বলবো না হয়। তৃষ্ণা- না-না তুমি কিছু বলবেনা। সামিয়া হেসে বললো-আচ্ছা যা বলবোনা। তৃষ্ণা-  সামিয়া আকাশটা কেমন থমথমে ভাব মেঘ করেছে, বৃষ্টি হবে

সাবিলা রওশন

ছবি
আমি ওদের বীরাঙ্গনা বলি   যে মুখোশগুলো রোজ সুখ বিক্রি করে আমি তাদের বীরঙ্গনা বলি, ওরা শোক বহন করে  ওরা কষ্ট পায় রাতের অগোচরে।  ওরা বোঝাটাকে পরতে পরতে উপলব্ধি করে।  ওরা শুধু তোমাদের মতো অমানুষ নয়। ওরা সভা করে না উশৃংখলার। ওরা মার খায় রোদেপুড়ে।  ওরা অসহায় হলেও কারও ভালোবাসাকে চাবুক মারে না। ছোবল মারেনা শেষ প্রহরে।  ওরা তোমাদের মতোই আবেগপ্রবণ। ওদেরও কান্না পায়! কিন্তু ওদের রুমাল দিয়ে কেউ চোখ মুছে দেয় না।  ওরা বিচ্ছেদ ঘটায় না দিনরাত্রি,  ওরাও মানুষ তোমাদের মতো,  পার্থক্য এটাই ওরা তোমাদের মতো বেহায়া নয়। ওদেরও মন স্পর্শ পেতে চায়,  ওরাও প্রেমে পড়ার মতো প্রেম করে!

কবি বিকাশ সরকার আলোউৎসবে এবং আমরা দুইজন/

ছবি
ভালোবাসা থেকে প্রেম  দেবব্রত সরকার  (আজ তৃতীয়  কিস্তি)                                                                        ক বিকে   এইদিন  একটু বেশ অন্যরকম মেজাজেই পেলাম।  মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত আদ্যোপান্ত কবি। তবে বেশ ছিমছাম গোছালো পরিষ্কার। নিজে হাতেই চা বানালেন। ঘরের খাটে গিয়ে বসলাম তিনজনে। না ঠিক নয় ! আমি চেয়ারে বসলাম।  কারণ  কবির মুখটি যাতে সামনাসামনি  দেখতে পাই তারই জন্য। সামনে রাখা দোকানের খাস্তা চানাচুর চিপস বিস্কুট অনেক কিছু। 

মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ এর গল্প

ছবি
ভিক্ষারি রাজা                                                 ব ছর তিনেক আগে যে ছেলেটা হাফপ‍্যান্ট পরে এ পাড়ায় ও পাড়ায় ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়াতো,সেই ছেলেটাকে দেখি বুট,র্শাট-র্কোট পড়ে বাইক নিয়ে ঘোরে।হঠাৎ কি এমন কাজ পেল সে এত রাজার বেশে ঘরে।এই প্রশ্ন সবার মুখে মুখে।অবশেষে দেখতে পাই হঠাৎ তার দরজায় লাঠি মারে পুলিশ মামা।গ্রামের দূর্ভীক্ষ পীড়িত মানুষেরা ভিড় জমিয়ে দিল তার দরজার সামনে।তাদের সবার মনে একটাই প্রশ্ন মামা এল কেন?••••কিছু সময় অপেক্ষার পর সবাই জানতে পারে ওর রাজার বেশে ঘোরার কাহিনী।ওর বাবা ঘর থেকে বের হতেই এক পুলিশ মামা বলতে লাগলো যে আপনার ছেলে কথাই?••••ছেলেটির বাবা ভয়ে ভয়ে বলল ছেলেতো বাড়িতে নেই বিদেশ গিয়েছে কাজের জন‍্য।তার পর ছেলেটির বাবা বলল কি হয়েছে স‍‍্যার,আমার ছেলেকে খুজছেন কেনো?••••মামা বলতে লাগল আপনার ছেলে নারী পাচারকারী সে এই পযর্ন্ত পাঁচটা মেয়েকে পাচার করেছে।শুধু তাই নয় সে রাজনীতির দূর্নীতিদের সাথে মিশে একজনকে টাকার বিনিময়ে খুন করেছে।আপনার ছেলেকে বাড়ি আসতে বলুন তা না হলে আপনাকে ধরে নিয়ে যাব,এবং যাবর জীবন জেল হতে পারে,অথবা ফাঁসি হতে পারে।এই কথা শোনার পর ছেলেটির বাবা মাথা ঘুরে মা