পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায় চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস ১০১

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১০১ বুনোঝড় মমতা রায় চৌধুরী রেখার বেখেয়ালী মনে উঠেছে অতীতের ঢেউ সেসব ঢেউয়ের উচ্ছ্বাসে  কখন যে ভোর হয়ে গেল বুঝতেই পারে নি। জানলার ফাঁক দিয়ে সূর্যের কিরণ তেরচাভাবে ভাবে এসে পড়েছে। চমক ভাঙ্গে। অন্যদিকে  তুলি ,পাইলট এত জোরে চেঁচাচ্ছ যে আর বিছানায় শরীরটাকে রাখতে পারল না। কান খাড়া করে শুনল। ওদের আওয়াজটা কি ধরনের আওয়াজ অনুধাবন করার চেষ্টা করলো ।এই আওয়াজ এর মধ্যে দিয়ে বোঝা যায় ওরা কি চাইছে, কি করছে? এখনকার আওয়াজ এর মধ্যে পরস্পর পরস্পরের প্রতি একটা আক্রমণাত্মক মনোভাব প্রকাশ পেল । রেখা ভাবে 'এরা তো খুব সুন্দর মিলেমিশে থাকে। তবে মাঝে মাঝে এতটা রেগে যায় কেন, কে জানে? ' রেখা উঠে পরল দরজাটা খুলেই দেখতে পেল  মনোজের ঘরে আলো জ্বলছে । ওদিকে যেতে গিয়েও মিলি ,তুলি ,পাইলটদের চিৎকারে ,আগে সেদিকটায় গিয়ে ধমক দেয়' তুলি ,পাইলট এত গলার আওয়াজ কেনো?  একটু চুপ করে গেল। তারপর প্রত্যেকে যেন কিছু বলতে চাইল ।পরস্পর পরস্পরের অভিযোগ জানাতে শুরু করলো । রেখা গ্রিলের ফাঁক দিয়ে হাত দিয়ে প্রত্যেকের মাথায় আদর করে  দিল ।তারপর চলে আসলো  । রেখা দ্রুত ছুটল বাথরুমের দিকে। এত জ

কবি শিবনাথ মণ্ডল এর কবিতা

ছবি
শিক্ষার অবদান   শিবনাথ মণ্ডল ওই দেখ মা ছেলে মেয়ে যাচ্ছে বিদ‍্যালয়ে শ্রেণী কক্ষে ঢুকবে সবাই  জাতীয় সঙ্গীত  গেয়ে। মাগো আমি স্কুলে যাব দাওনা ভর্তিকরে ছুটি হলেই তোমার কোলে আসবো আমি ফিরে। আমি যখন বাড়ি ফিরব ব‍্যাগটি কাঁধে করে তুমি তখন দাঁড়িয়ে থেকো ওই রাস্তার ধারে। লেখাপড়ার বিকল্প নেই মা এই বিশ্বের মাঝে ছোটো থেকে বড় হওয়ার একটায় সুযোগ আছে। মা বলে সোনাছেলে আমার দারুণ শিক্ষা দিলে সব মায়েদের কোলে যেন আসে এমন ছেলে।।

কবি পারভীন শীলা'র কবিতা

ছবি
আজও খুঁজে ফিরি  পারভীন শীলা  এখনো এইখানে অনেক কিছু আছে তুমি ছাড়া। রৌদ্রছায়া_নীলাভ আকাশ_মস্ত বড়ো ময়দান,  ফলবতী বৃক্ষ_উঁচু পাহাড়_সুউচ্চ মিনার-মন্দির, রাত্রি -দিন_ চিন্তার আবেগ_ স্বপ্নের সোপান_ সব আছে_শুধু তুমি নেই! তবুও তোমাকেই যেন খুঁজে ফিরি মিলনেই। কত সাম্রাজ্য ভেঙে গেছে কত উত্থান-পতন হয়েছে সমাজের কত নীল-নীলান্ঞ্জনা এসেছে সবুজের মাঠে কত পানকৌড়ি পড়েছে বিলের ধারে আবার ফিরে গেছে দেহ নিয়ে তারা প্রেম বিরহ তখনও ছিলো এখনো আছে ঢের, তারপরও তোমাকেই যেন খুঁজে ফিরি  আমি-আমরা_এই রৌদ্রছায়ার উপর ফের।

কবি নীলাঞ্জন কুমার এর কবিতা

ছবি
জেল্লা জমক  নীলাঞ্জন কুমার  দেখে শুনে তন্ময় আছি জেল্লা জমকে,  কোথা থেকে চিত্রকাব্য হয়ে যায় । তাকে নিয়ে পণ্য করে অসহ্য সময় ।  তুমি আমি তো তাতেই মশগুল । সুন্দর-ই মুখ্য । বাকি সব হাস্যকর । হিসেবী উচ্চারণে  তখন হাজারো ওলটপালট । জমকালো সবকিছু শুধু চোখে । ক্ষণিকের ।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস ৫৭

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৫৭) শামীমা আহমেদ  আরাফের ক্রমাগত বাবা বাবা  ডাকেও শিহাবএকেবারেই নিরুত্তর ও নির্জীব হয়ে রইল।রিশতিনা একদৃষ্টে শিহাবের দিকে তাকিয়ে রইল।শিহাব দেখতে আগেরমত তেমনি সুন্দর আছে। আজ প্রায় চার বছর পর সে শিহাবকে দেখছে।এর মাঝে কোনদিনও আর এক মূহুর্তের জন্য তাদের দেখা বা কথা হয়নি।রিশতিনার চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় কান্না নেমে আসছে।  বাবা বাবা ডেকে ডেকে  আরাফ একটু একটু করে বিছানার কিনারায়  চলে এলো। যে কোন মুহুর্তে সে একটা দূর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবে।এই দৃশ্যে  শিহাব যেন  হুশে ফিরে এলো।শিহাব দৌড়ে গিয়ে আরাফকে বুকে জড়িয়ে নিলো। প্রচন্ড ভয় পেয়েছে সে! আরাফ বাবার বুকে একেবারে খাঁমচে ধরে মিশে রইল। শিহাব যেন প্রাণ ফিরে পেলো।সারাটা সপ্তাহ সে ছেলেটাকে না দেখে থাকে। এমনকি ফোনেও কথা কম বলে। আরাফের মুখে বাবা ডাক শুনলে সে নিযেকে স্থির রাখতে পারেনা। আর মা হয়ে চার চারটি বছর পর আজ সন্তানকে দেখতে আসা? মায়ের অধিকার নিয়ে কথা বলা। যেখানে আবার  আরেকজনের সাথে  নতুন সংসার করছে সেখানে আরাফকে ছেলের দাবী নিয়ে কেন আসা? আর স্বামীর প্রতি কি এমন দ্বায়িত্ব সে দেখিয়েছে। সে লন্ডনে যেতে না চাইলে কেউ কি তাকে জোর কর

মনি জামান এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব৭

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিলো ( ৭ ম পর্ব )  মনি জামান ভবদা গ্রামের এক দিনমুজুর শওকত আলির তিন মেয়ের ভিতর আসমা সবার বড়,আসমার দুচোখ ভরা ছিল স্বপ্ন আর দশটা মেয়ের মত।আসমার স্বপ্ন সে লেখা পড়া শিখে একদিন অনেক বড় হবে যদিও বাবা শওকত আলি গরীব দিনমজুর একজন কৃষক তবুও আসমা এই স্বপ্নটাই দেখতো রাতদিন।একদিন সে বড় ডাক্তার বা ইঞ্জিয়ার হয়ে বাবা মাকে সাহায্য করবে কারণ আসমা খুব মেধাবী একজন মেয়ে, ছোট বোন দু'টোকে লেখা পড়া শিখাবে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তুলবে।আসমা মা বাবার বড় সন্তান ওর কোন ভাই  ছিলনা তাই দায়িত্ব বোধটা ওর ভিতর বেশি কাজ করতো। ভবদা গ্রামের দরিদ্র দিনমজুর শওকত আলি দিনমুজুরের কাজ করতো তারপরও মেয়ের পড়ালেখার খরচের জন্য কখনো কোন সময় কার্পণ্য করেনি,ধার দেনা করে হলেও খরচ ঠিক যোগান দিত। আসমা যেমন সুন্দরি তেমনি বুদ্ধিমতি সে খুব মেধাবি একজন ছাত্রী ছিলো স্কুলের,মাস্টারা আসমার প্রসংশায় পঞ্চমুখ ছিলো,আসমা এস এস সিতে গোল্ডেন প্লাস পেয়ে পাশ করে ভবদা গ্রামের সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো,সবাই প্রসংশায় ভাসিয়েছে হতদরিদ্র বাবা শওকত আলিকে। পাশ করার পর আসমা ভবদা কলেজে আই এ প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছিলো,আস

কবি শিল্পা ম্যাক এর কবিতা

ছবি
একা শিল্পা ম্যাক অবশেষে মানুষ জেনেছে  অনেক ভিড়েও মানুষ একা কেউ কেউ খুব একা নিরাকার অন্ধকারের মতো বিধবার হাহাকারের মতো দূর আকাশের উড়ন্ত চিলের মতো অমাবস্যার দ্বিপ্রহরে করুণ সুরে ডাকা কুকুরের কান্নার মতো ঝুম দুপুরের নির্জনতার মতো ভরা পূর্ণিমায় উছলে পড়া  জোছনার মতো কুয়াশা ভেজা ঘাসের ডগায় এক বিন্দু শিশিরের মতো নিঃসঙ্গতায় ছেয়ে থাকা হলদে রঙের  পড়ন্ত বিকালের মতো সন্ধ্যা নামার মুখে পশ্চিমের আকাশে হেলে পড়া ডুবন্ত সূর্যের মতো ঘোর নিশিতে নিয়ন আলোয়  ঠায় দাঁড়ানো অসহায় ল্যাম্প পোষ্টের মতো কেউ কেউ খুব একা বুকের মধ্যে না বলা কষ্টের মতো  একলা একা ভীষণ একা ।

কবি হা‌বিবুর রহমান হা‌বিব'র কবিতা                   

ছবি
দ্বীপ জ্বে‌লে                                      হা‌বিবুর রহমান হা‌বিব                        জীবন যন্ত্রণার আ‌বেশ আমার ছিল ভূবন ভরা,                    তু‌মি ডে‌কে ছি‌লে আর ডে‌কো না।                                        চ‌লে যাব বহু দূ‌রে রেখ না স্মৃ‌তি আর,                                       নি‌ভির আঁধা‌রে একা ফে‌ল না আঁ‌খি জল,                                 চির নেভা দ্বীপ আর জ্বে‌লো না,                                                    মায়াময় যন্ত্রণার আ‌বেগ আর পর‌শে।                                   অকার‌ণে বাড়া‌বে জা‌নি তোমার ব‌্যাথার মায়া,                        দেখা হ‌বে না কোন নি‌ভির প্রান্ত‌রে,                                            উজ্জল অনন্ত শিখা হৃদয় বৃ‌ন্তে তোমার,                                                    বেদনার হা‌সির মায়ায় ছলনা রে‌খো না ম‌নে,                       ফি‌রে চে‌য়েও না পিছু আর।                জা‌নি ভুল‌তে পার‌বে না জীবন নদীর স্রো‌তে,                           যে পথ চির‌চেনা গেলাম তা‌রে আজ ভু‌লে।                            নিঃশ্বা‌

কবি বর্নালী সেনগুপ্ত'র কবিতা

ছবি
উন্মোচন   বর্নালী সেনগুপ্ত উষ্ণতা দিয়ে মাপতে চাও পুরুষ,নারীত্বকে ! বেশ নগ্ন করে দিলাম তোমার সামনে, ওই দেখো তোমার জন্মস্থান,মাতৃযোনী। দেখতে চাও পাহাড় কেমন উঁচু ? উন্মুক্ত বক্ষে দন্ডায়মান  তোমার সহোদরা, দেখো,উপভোগ করো যতখুশি। কেন নত তোমার মুখ? যৌনতা পাচ্ছোনা বুঝি সুখ? নানান বাহনায় হাত দাও ,বাসে ,ট্রেনে, তবে? কিসের দ্বিধা ? ধর্ষক না হলে পৌরুষের পরাজয় ! এইখানেই তোমার চিরকালের পরাজয়। হায়,পুরুষ স্তন দেখলে, দেখলেনা শিশুর প্রথম আহার ! যোনীকে মাপলে নীল ছবিতে, তোমার জন্ম ওই গভীরতাতে ! ভুলে যাও কি অনায়াসে ! পুরুষ নামে নির্ভয়াদের ঘৃণা আসে।

কবি সজল কুমার মাইতি'র কবিতা

ছবি
মায়ের  উষ্ণতা  সজল কুমার মাইতি একটি কুকুর                   তার চারটি ছানা  নিত্য নতুন খেলা করে                     কেউ করেনা মানা। মা তাদের আদর করে                         বুকের দুধে পালন করে  হেথা হোথা ঘুরে বেড়ায়                       শাসন তাদের নেইকো জানা। মাঠের কোনে গাছের তলায়                        মায়ের বুকে জড়িয়ে সবাই  শীত গ্রীষ্মের বালাই নেই                        ঘুমের দেশে দেয় যে হানা। সকাল সন্ধে স্বাস্থ্য খোঁজে                         মানুষজনের আনাগোনা  লোভী মানুষ তাদের মাঝে                          উধাও করে একেক ছানা। পাগল মা খুঁজে বেড়ায়                         মানুষ দেখলে কামড়ে তাড়ায় মায়ের বুকে ওম খোঁজে                        একটি কেবল কুকুর ছানা।