পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ২, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অরু চট্টোপাধ্যায় জাপানি কবিতার ভাবানুবাদ)

ছবি
শীত এক রূপকথা (জাপানি কবিতার ভাবানুবাদ)  এই শীতে,হৃদয়কে উন্মুক্ত করেছো কাছে এসো। আমার হৃদয় আগুনের ব্যবহার  ভালই শিখেছে। ২.তুমিছাড়া আর কেউ এই রাত্রে,ফুলতোলা সুচারু দক্ষতায়,পারে? ঝরার আগেই তুমি আহরণ করো, ভালোবাসা মরেনা,ফুল মরে যায়। ৩. যতই রাত্রি গভীর, তোতোবেশি জাগরণ লিপি, আমার পতন নিজে লিখে রাখি, শীত জানে,তাকে ঘুম পাড়ানো খুবই মুসকিল। ৪ আমার কাঙালপনা,কবে যে মেটাবে?এই শীতে আতুর বসেথাকা, তুমি এলে,এই শীতে স্নানহয়ে যাবে, এমন পবিত্র আগুন, ভিসুভিয়াস,আমাকে দেবেনা। ৫ বরফ,একটা ছাতা হেঁটে চলে যায়, আহা,তুষারের এই সাঁঝবেলা, আহা আমি আছি।আমি আছি।

মোফাক হোসেন

ছবি
রোদে ঢেউ লাগে  বিরহের আগুন ওড়ে মাঠের পর মাঠ পৃথিবী যায় ঝলসে়, ডানা ভাঙা আহত পাখির মত, ছেঁড়া বিকেলের নিচে,কাশফুলের বনে। রোদের ঢেউ লাগে, খবরের কাগজে আঙ্গুলের ঠোঁটে উড়ন্ত চুম্বন দিয়ে বলে! শেলাই করা নদীর তীরে পারেনি বিরহ থাকতে লগ্ন আহত পৃথিবীর মুখে ফোঁটাতে হাসি, মিলনের মাঠে বেজে ছিল বাঁশি। সাক্ষী ছিল,প্রসব সকাল শিশির কোনা যেভাবে ভেঙেছিল উন্মাদনার ডানা। আজ ও বোবা কান্না পৃথিবীর পরতে পরতে, ছাতার আকাশে ফানুস ওড়ায় কারা, ইস্কুলের বেঞ্চ আজ সর্বহারা।

শামীম রেজা

ছবি
মাতৃভুমি কত সুন্দর আকাশ বাতাস শান্ত নদীর ধারা,  আর কোথাও পাবেনা খুঁজে এই মাতৃভুমি ছাড়া। এই দেশেতে জন্ম আমার  সার্থক তাই আমি, এই দেশ যে সবার সেরা  প্রিয় মাতৃভুমি। শিশির ভেজা সকাল বেলা রৌদ্র মাখা দুপুর, সন্ধ্যা বেলার সাঝ কুয়াশায়  শান্ত জলের পুকুর। রাত্রি বেলায় ডাহুক পাখি  ডাকছে আপন মনে, বাশিঁর সুরে মন যে কাঁড়ে প্রেমিক প্রিয়জনে।

মোঃ রুহুল আমীন

ছবি
  ক্ষমতার দাপট জনগনের হক নষ্ট করে তুমি      উঠেছ এখন র্্যাঙ্কে  দেশের সম্পদ লুট করে তাই     পাঠাও সুইজ ব্যাংকে। হিসেব করে রাখ নেতা তুমি       কড়ায় আর গন্ডায় একদিন মজাটা টের পাবে      ধরবে যেদিন পান্ডায়। কত রাঘব বোয়াল ধরা খেল      বড় শিকারীর জালে তুমিও কিন্তু ছাড় পাবেনা ভাই      সঠিক সময় হলে। যে জনতা তোমার কথা মত     আজ ওঠে আর বসে সেই জনতাই একদিন দেখো     থাপ্পর মারবে কষে। হাজার কোটি করেছ কামাই     ভাবনি আগে পিছে ধরা পড়লেই বুঝবে তখন     টাকা পয়সা মিছে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়োনা     ওটা চিরস্থায়ী নয় ইতিহাস বলে সকালে রাজা     সন্ধ্যায় ফকির হয়।  ***********************

এম.এ.রশ্মি

ছবি
পরিত্যক্ত সুখের আলপনা তুমি নিরন্তর প্রণয়ের সুখ খুঁজে বেড়াও যেখানে আমি লিখে যাই নিঃস্ব বুকের কান্না নতুন শিরোনামের শিহরণ খুঁজে পেয়েছো তাই আমি আঁকি পরিত্যক্ত সুখের আলপনা শতাব্দী পেড়িয়ে নতুন দিগন্ত ছুঁয়ে যাও বাষ্পে ভাসে এই হৃদয়ের শব্দহীন চিৎকার তোমার গল্পের নতুন নাম হয়েছে জানি তাতে কী বা এসে যায় দুখের অববাহিকার।  অমাবস্যা নেমে আসে নিঃশ্বাসের তলদেশে কুয়াশায় জমে যায় ভেতরে মোড়ানো আবেগ তোমার মস্তিষ্ক জুড়ে অন্য স্মৃতি খেলা করে তবে হারানো তোমাকে নিয়ে কিসের এই উদ্বেগ,  খোলা ডাইরিটা আজো একই ভাবে খুলে রাখি শুধু পড়েনা তাতে ভালোবাসি শব্দের আঁচড় যার নামে জন্ম নিয়েছে এই বুকে নিশ্চল ক্ষত তার তরেই থাকুক আমার সমস্ত অনাগত প্রহর।

ইমন তালুকদার

ছবি
স্বদেশ    কত  সৌন্দর্য আর মাধুর্য  দেখতে লাগে বেশ,  সুজলা সুফলা  শস্য - শ্যামলা সোনার বাংলাদেশ।  শৈশব কৈশোর কাটছে মা'গো  তোমার'ই এই  কোলে,  পেটের দায়ে দূর- প্রবাসে  থাকতে তোমায় ভুলে।  ভূমির কথা মনে হলে  ঝরে দুটি আঁখি,  আসতাম উড়ে তোমার কোলে  হতাম যদি পাখি।  সৌন্দর্যের এই লীলাভূমি  আমার প্রিয় স্বদেশ,  রূপের রাণী স্বদেশ ভূমি গুণের  নেই তো শেষ।  মন যে  কাঁদে প্রাণ যে কাঁদে  মাতৃভূমির জন্য,  তোমার কোলে জন্ম নিয়ে  হলাম মা'গো ধন্য।

নাজনীন নাহার

ছবি
অপেক্ষা  বছর, কতটা মাস, কতদিন চলে গেছে তার হিসেব রাখিনি,  তোমার এক পৃথিবী ভালোবাসাকে আঁকড়ে ধরে যে সমুদ্রকে ছুঁয়ে দিতে চেয়েছিলাম; সময়ের সীমানায় ফিরে দেখি  এখনো নদীর কূলে দাঁড়িয়ে,  যেখানে বিগত দিনগুলো কেবলি বসে রইলাম  ভালোবাসার উষ্ণ পরশ দিয়ে সুখের জোয়ারে তোমাকে ভাসিয়ে রাখবো বলে। কিন্তু নদীতে জোয়ার কোথায় যে  স্রোতে ভেসে ছুঁয়ে দেবো সমুদ্রকে,  মাঝে মাঝে দূর নীলিমায় তাকিয়ে দেখি ছুটে বেড়ায় মেঘ হরিণী নীল আকাশের অচেনা বাঁকে; হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি ঝমঝমিয়ে নামে তাতে অবশ্য উছল হয় নদীর শরীর কিন্তু  জোয়ার আসে না, মেঘবালিকা কোথায়  যেন ছুটে পালায়। আবার তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়ে নদীর চর জানিনা এভাবে আর কত বছরের  মুখোমুখি হতে হবে আমায়।

ওমর ফারুক

ছবি
কখনো জানতে চাওনি তুমি চোখেতে চোখ রাখো এখনি, ভালো লাগবে সর্বক্ষণই।  অভিমান করে কেনো রয়েছো দূরে, থাকতে পারবে কি আমাকে ছেড়ে। তুমি কি এখনো জানতে চেয়েছো, কতটা অশান্তিতে আছি আমি, হৃদয়ের মাঝে যে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছো তুমি।  তোমার ওই বিস্ফোরণে জ্বলে পুড়ে ছাই, তবু্ও তোমার কথা ভেবে ভেবে  মনে শান্তি পাই। জ্বেলেছ আগুন জ্বলেছি আমি তবুও তুমি ভালো থেকো প্রার্থনা করি আমি, দোষ না করিয়া হয়েছি দোষী আমি। মনের আনন্দে সর্বদা ঘুরে  বেড়াচ্ছো তুমি।  এটাই মনে হয়  ভাগ্যে লেখা ছিলো আমার, তাই তো তুমি করেছো বারে'বার।

জলি লায়লা

ছবি
আশা লতা আশা লতায়  কখন যেনো  নিখুঁত করে ধরলো পঁচোন.... ছলনার বাগান জুড়ে কত রং-এর  করুণার ফুল যে ফুটে অকারন ঝড়ে পারে।  হৃদয়ের দেয়ালে কষ্ট দিয়ে  নিষ্ঠুরতার আলতো হাতে নিখুঁত করে আল্পনা আঁকে অবিরত নিঃসঙ্গতা আকাশ ভরা  হাহাকারের তারা জ্বলে..  কষ্টের দল বৃষ্টি রূপে ঝড়ে -ঝড়ে পারে  দুঃখ বলে চোখ পাকিয়ে  আমার সাথে থাকলে পরে-ও   হাসতে হবে কারণে -অকারণে   আশা লতায় ধরলো পঁচোন।

এস, আলম

ছবি
সভ্যতার সাক্ষী  বিশাল মনে তুই চলিস  নিজ তরঙ্গে কথা বলিস,  গগন রঙে সমুদ্র জল  প্রভু বিনা তোর বল !  আমার মনে আছে সেথা  থাকিস কেন তুই একা,  মানুষ সবাই তোর সাথে  সুখে দুখে করে দেখা ।  তোকে নিয়ে গর্ব হয়   কূল বিনা লাগে ভয়,  লোনা জলের গর্জন দেখি  তোর আঙ্গিনায় ঘুরে পাখি ।  বলবি তুই অহংকার ছেড়ে   মানুষ কেন মরে,  পৃথিবীর সৃষ্টির এই পযন্ত   আছিস তুই ঘরে ।   রাম রহিম সবাই দেখি   তোকে নিয়ে গায়,   অমৃত তুই হাজার সাক্ষী    স্মৃতির সন্ধান পায় ।   রাখিস মনে আমায় ক্ষণে    অতীত ছিল ভালো,   আধুনিকতার জনঝামে    অতিষ্ঠ রবির আলো ।