পোস্টগুলি

নভেম্বর ১৬, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমিনা তাবাসসুম

ছবি
প্রহরের পর প্রহর   একটা মৃত্যুর জন্য অন্তহীন অপেক্ষা দিন পেরিয়ে রাত আসে রাত পেরিয়ে ভোর যার আসার কথা ছিল সে আসে না যার আসার কথা ছিল না সেও আসে না কেবল একটা কালো গোলাপ ফুঁপিয়ে কাঁদে                           প্রহরের পর প্রহর...

গোলাম রববানী

ছবি
সুখ গেছে নির্বাসনে  সুখে থাকলে মানুষের ভূতে কিলায় দুখে থাকলে মারে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা, আ! মানুষের রক্তে মানুষ ডুবে যায় জানো-তো রাস্তায় উঠলে কেরামতি বাড়ে চায়ের দোকানে গেলে সরস্বতী ক্ষ্যাপে আর মাঠে ময়দানে রাজপথে মোড়ে গৃহাঙ্গিণায় মাৎস্যন্যায়ের মতো ওম্নি সব ঢোক গিলে খায় স্পার্টাকাসেরা সব চিতাতলের ছাঁইপাষ হয়ে রয় শুধু আমার এই বোবা মুখটি সদ্য দাফন হওয়া ঘর গোরস্তানের ধুলোবালির  মতো উড়ে উড়ে ক্ষতবিক্ষত হয় দুঃখিনী বর্ণমালা অক্ষম প্রতিবাদী শব্দ তৈরিতে যুগে যুগে কালে কালে কতো কালানল হলো জাহেলি কাল থেকে মহামারি কাল এই আকালের মতো কোনো কাল দেখিনি মালিক এ কেমন মানুষ জন্ম পেলাম মনিব ?

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"২৮

ছবি
চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।  উদাসী মেঘের ডানায়                                       ( পর্ব ২৮ )  সকালে অপুর গায়ে হলুূদ  বুবলির আনন্দ বাপি মাকে খুঁজে পেয়েছে অস্হির হয়ে আছে একটু পর পর প্রশ্ন- বাপি মাম্মা কথন আসবে বলোনা, আমি মম্মার কোলে উঠবো। অপু- কাল আসবে সোনামনি। বুবলি- চলে যাবে নাতো আর,মাম্মিকে আমরা অনেক আদর করে দিবো আর যাবে নাতো। অপু- না যাবেনা তোমাকে ছেড়ে মাম্মির অনেক কষ্ট হয়েছে আর যাবেনা হারিয়ে। এমন সময় অপুর মা এসে নাতনীকে নিয়ে গেলো দুপুরে ঘুম পাড়াতে। তৃষ্ণাদের বাড়িতে বিকেলে শুরু হলো গায়ে হলুদের পালা সবাই আনন্দে মেতে উঠেছে আর সামিয়া ভিডিও করছে অপু দেথতে চাচ্ছে। নাচ গানের পালা শেষ হলো রাত,নয়টায় তৃষ্ণা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে একটানা বিকেল থেকে বসা। তৃষ্ণার মা এসে সামিয়াকে বললো - সামিয়া তৃষ্ণাকে নিয়ে তুমি খেয়ে নাও আজ রাতে তুমি ওর সাথে ঘুমাবে, একা রাখতে নেই।তৃষ্ণা কি আর করবে মার কথা শুনত

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৪৪

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " । টানাপোড়েন (৪৪) প্রস্তুতি                                                   আ জ রবিবার সুমিতা কাজে আসবে না ,তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পরেছে ।গতরাত্রে মনোজের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করে নিয়েছে।একবার দেশের বাড়ি কাকা কাকিমার কাছে যেতে হবে। কাকু অসুস্থ ‌।কাকিমা ফোন করেছিল না গেলে খুব খারাপ দেখায় ।যদিও তার আগেই যাওয়ার দরকার ছিল কিন্তু সময় করে উঠতে পারে নি নানাকারণে । তাই আজকে কোনোভাবেই মিস না হয় সেজন্য রেখা সব প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।তাছাড়া জন্মভিটের প্রতি টানটাই যেন রেখাকে বারবার হাতছানি দিয়ে ডাকছে। সেই সবুজে ঘেরা বাড়ি। সামনে মস্ত বড় উঠোন। যখন ছোট ছিল দেখেছে,সেই উঠোন গোবর দিয়ে মা,কাকিমা ,জেঠিমা কে ভালো করে লেপে দিতে। কাজের জন্য চন্দনা কাকিমা ছিল কিন্তু অতো বড় উঠোন কখনোই তাকে নিকাতে দেখা যায় নি। দুপুরবেলায় দোতলার ঘরগুলো মোছার নাম করে দেখা যেত ফ্যান চালিয়ে দিয়ে কাকিমা সেখানে ঘুমোচ্ছে। আজ কত স্মৃতি মনে পড়ছে। আজ কবি অরুণ মিত্রের কবিতার  ল

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"২৫

ছবি
চোখ রাখুন  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস   "বনফুল"  বনফুল ( ২৫ তম পর্ব )  আস্তে আস্তে ছেলে মেয়েদের ভীড়  কমতেই জুঁই পলাশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল,পলাশ দৌড়ে এসে জুঁইয়ের হতে ধরে বললো জুঁই তুমি খুশি তো?  জুঁই তখন আনন্দে বাকরূদ্ধ হয়ে গেছে,জুঁইয়ের দুচোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। পলাশ জুঁইকে প্রশ্ন করলো জুঁই তুমি কাঁদছো কেন?  জুঁই পলাশের হাত ধরে বললো এমনিই, চলো আগে  গাড়িতে ওঠো, গাড়িতে উঠতে যাবে সেই সময় জুঁইয়ের মাথা ঘুরে চক্কর দিয়ে পড়ে যাচ্ছিলো।ঠিক সময়ে  তখন পলাশ জুঁইকে ধরে গাড়িতে উঠে বসতে সাহায্য করলো। গাড়িতে উঠে পলাশ জিজ্ঞেস করল জুঁই এর আগে ও আমি লক্ষ্য করেছি তোমার মাথা ঘুরে চক্কর দিতে! তুমি কি ডাক্তার দেখিয়েছো?  তখন জুঁই বললো আজ তোমার রেজাল্ট বের হবে বলে সারা রাত ঘুম আসেনি, হযতো সেই জন্য এমন হয়েছে, বাদ দাও তো এইসব কথা। চলো আগে কিছু খাই। জুঁই ড্রাইভার কে রেস্টুরেন্টে যেতে বললো। ড্রাইভার ওদের পছন্দের রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেল। ভিতরে ঢুকে নিরিবিলি দেখে এক সাইডে একটা সিঙ্গেল টেবিলে বসলো। আজ জুঁই পলাশের সব পছন্দের খাবার অর্ডার করলো, জুঁই

শাহীন রহমান

ছবি
আমি এখন খুবই একা   "জোষ্টি মাসের বকুল গুলো,ঝরছে এসে শেষ শরতে, খুব কষ্ট লাগে,তুই কেবলি ঝরে গেলি কাল না-বুঝে!   রেখে যাওয়া স্মৃতিগুলো,থরেবিথরে সাজানো সব, ভুলতে তোকে পারিনারে,হিয়ার মাঝে বেড়াই খুঁজে !!  আকাশ জুড়ে শাওন মেঘের ঘনঘটার ভেজা উঠোন, হারিয়ে গেছে কাদার মাঝে,পিছলে পড়ে গড়াগড়ি !  সেই ভর দুপুরে লুকোচুরি,পোড়োবাড়ির দরদালানে, ঘাম ঝরানো নিঘাদ বেলা,বকুল ফুলের ছড়াছড়ি !!  গভীর রাতে শিয়াল ডাকা,বুুকের মাঝে গুঁজিস মাথা, বাঁশ বাগানের মাথার উপর,কোজাগরী পুর্নিমা চাঁদ!  হারিয়ে যাওয়া হয়নিরে ঠিক,আমি এখন খুবই একা, ভরা গাঙে কাটতে সাতার,আবার মনে জাগেরে সাধ !!  শিউলি ফুলের লাল বোটাতে,সিঁদুর মাখা রক্তজবা, কোন শহরে থাকিস এখন,সে দেশে কি বকুল ফোটে !  গোলাপ কাঁটায় রক্ত ঝরে, সরসে ফুলে মৌমাছিরা, মধুর আশায় ব্যাকুল হয়ে,এ ফুল থেকে সে ফুল ছোটে !!  সারাক্ষণই পায়রা গুলো,বাকুম বাকুম প্রেমের গানে, আবার কিন্তু আসিস ফিরে,আমি এখন খুবই একা!  আমার যাবার সময় হলে,আমি কিন্তু চলেই যাবো, তখন শুধু কাঁদবি এসে,আর পাবিনা আমার দেখা।

মোঃ সেলিম মিয়া'র ছোট গল্প

ছবি
  প্রথম শীতের আভাস                                                      কি শোরী তুল্য নব যৌবন অধিকারিনী ঘণ কুয়াশা যেমন সাদা শাড়ির ঘুমটা পড়ে আন্দোলিত  নব যৌবনটা নিয়ে সরু কোমরটা দোলায়ে দোলায়ে কাঁচা নাচন নাচতে নাচতে সামনের দিকে  ধাপিত হচ্ছে আর খিল খিল হাসিতে নদীর দু'পাড় ঘেঁষে  প্রকৃতির নিয়মে জন্মানো  সাদা বকের পালকের ন্যায় সাদা সাদা পল্লবে কাশবন মাঠে আদরের পরশ বুলাতে বার বার হাসিতে আছর খাচ্ছে। তাই দেখে সূর্যী মামা  তার স্নেহের পরশ আরোও বাড়িয়ে দিতে মেঠু পথের দু'পাশে জন্মানো দূর্বাঘাস, কচুপাতা ও  পত্র পল্লবের উপর জমে থাকা শিশির বিন্দুতে  সকালের সু মিষ্ট রোদে গা বুলিয়ে দিতে কোন রুপ কার্পণ্য করেছে না। নবাগত শীতকে সাদরে সম্ভাষণ জানাতে সূর্যী মামার আদর স্নেহের  পরশ জুড়ি মেলা ভাড়! সাদা সাদা ঘণ কুয়াশা ও শির শির ঠান্ডা বেতাল হাওয়া ভেত করে  গ্রাম্য গেছু সহিষ ভাই দিগন্ত মাঠ জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা খেজুরের গাছ গুলিতে বুক চিড়ে খেজুরের রস তুলতে অনেক বেশি ব্যস্ত সময় পাড় করছেন । খেজুরের গাছ গুলিও তার সুমিষ্ট রসে প্রকৃতির সাথে নিবির সম্পর্কে একত্বা ঘোষণা করছে। গ্রামের মা জননী গণও  বিভিন্ন স্বাদে  পিঠা প

গোলাম কবির

ছবি
পাখি হলাম না কেনো      অনন্ত বিষাদের দীর্ঘ হিম হিম  ছায়ায় ঘেরা শিশিরবিন্দু গুলো   জমে আছে বুকের ভিতর,   এখন এর রঙ হয়েছে   ঘণ হলুদ কফ যেমন ঠিক তেমনি।  বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের দোলায়   দুলতে থাকা মানুষের বিবেক পচনের   গাঢ় ক্ষত, ভাগাড়ে থাকা মানবিকতা  এবং নৈতিক অবক্ষয় ও সাম্প্রদায়িকতার  বিষবৃক্ষের মহীরুহ হয়ে ওঠা ঠেকাতে  আমাদের ভালবাসা হোক আজ   তোমাতে আমাতে, জাতিতে জাতিতে,   দেশ থেকে দেশে ছড়িয়ে যাক সারা   বিশ্বব্যাপী- যতো দূর চোখ যায়, ততো দূর!   কেনো যে এই হানাহানি, রেষারেষি,  হিংসা বিদ্বেষ ও ইর্ষা এবং মিথ্যে অহংকার  বেড়ে যাচ্ছে সাধের এই সুন্দর পৃথিবীর  মানুষ গুলোর মধ্যে অথচ প্রকৃত মানুষের  তো এসব থাকার কথা ছিলো না।   তাই মাঝেমাঝে মনেহয় - বক, রাজহাঁস  কিংবা অন্য কোনো পাখি হলাম না কেনো!  যাদের এসব কোনো কুৎসিত স্বভাবই নেই।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত" ১৪

ছবি
  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শামীমা আহমেদ 'র   নতুন  ধারাবাহিক   উপন্যাস   "অলিখিত শর্ত" শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত                                                (পর্ব ১৪ )     শামীমা আহমেদ                                                          আ জ দুপুরেও প্রতি সপ্তাহের মত রান্নাবান্নার বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।রাহাতের আজ ছুটির দিন।শুক্রবারও ছুটি থাকে কিন্তু সেদিন সে হালকা খাবারে অভ্যস্ত  আর সারাদিন  শুধু ঘুমিয়েই কাটায়। আর শনিবার দিন  থাকে খানাপিনায় মনযোগ। মায়ের হাতের  বিশেষ কিছু রান্নার জন্য সে সারা সপ্তাহ অপেক্ষায় থাকে। শুকনা মরিচ দিয়ে আলু ভর্তা, ঘন মশুর ডাল,কাঁঠাল বিচি আর  ছোট চিংড়ি দিয়ে কচুর লতি, পটলের টক ঝাল মিষ্টির দোঁপেয়াজা, ইলিশ ভাজা,বড় কাতলের মাথা দিয়ে মুড়োঘন্টা,ডিমের কোরমা,ঝাল করে আলু মুরগির  মাংসের  পাতলা ঝোল,গরুর মাংস ভুনা আর শায়লার হাতের কিসমিস দেয়া ঝরঝরে পোলাও, রাহাতের প্রতি শনিবারের খাবারের মেনুতে এসব থাকতেই হবে।সারা সপ্তাহ অফিস করে এই একদিন মায়ের হাতের খাবার খেয়ে মনকে চাঙ্গা করে নেয়। নতুন সপ্তাহে কাজের জন্য নিজেকে তৈরী করে নেয়া। এই একই মে

অলোক দাস

ছবি
আমরা  গণন্ত্রন্তের রক্ষাকবজ বিরোধিতা,  বহুততা বাদ তো থাকবেই -  সবাইকে তো কেউ সন্তুষ্ট কোরতে পারে না I  সবাই সমান হয় না I  যার যা কাজ সে তো করবেই I  শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হোক সর্বত্র I  সংবিধান তো তাই বলে I  এখন যা খেলা চলছে,  রাজনীতির ঢং না দেখে দেশের জন্যে কাজ কোরে যাওয়াই ভালো I  মিনিস্টার না হোলেও দেশের কাজ করা যায় I  মোনে রাখতে হবে যে প্রতিটি আঘাত আমাদের শিক্ষা দেয় I  অনেকে অনেক কথাই বলবে,--, আমাদের যেটা ভালো আমরা করবোই I

ffrza

LOVE