পোস্টগুলি

অক্টোবর ৭, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"২২

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।                                                                  টানাপোড়েন ( ২২ )                                                           মন খোঁজে ভালোবাসার নীড়                                                         দী র্ঘ ৭৫ বছরের বাড়ি। একসময় এই বাড়ি শহরের লোক চোখ তুলে তাকিয়ে দেখত। নামডাকও   ছিল  বাড়ির। এখনো চোখ তুলে তাকিয়ে দেখে শহরের সবথেকে জীর্ণ বাড়িটা ,চারিদিক থেকে পলেস্তার খসে খসে পড়ছে ,। আগেকার দিনের কড়ি বর্গার ঘর। যৌথ সম্পত্তি হলে যা হয়। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কারো কোন হেলদোল নেই। চলছে যে রকম চলুক। বাড়ি টা  দেখলে মনে হয় দূর থেকে জবুথবু বৃদ্ধ মুখ থুবরে পড়বে। বলে না ভাগের মা গঙ্গা পায় না। বাড়িটা সংস্কার করার জন্য সেই রকমই অবস্থা। এ বলে ও করবে।ও বলে এ করবে। কিন্তু সেদিন দুপুরবেলা জাঁকিয়ে বৃষ্টি পড়ছিল ।খাটের উপর বসে ছাদ থেকে তুলে আনা শুকনো জামা কাপড়গুলো পাট পাট করে ভাঁজ করছে বিপাশা। হঠাৎই মাথার ওপরে একটা ক্রাক করে

কাবেরী মাহমুদ

ছবি
অব্যক্ত কথা আমার কবিতা গুলো ভাষা খুঁজে পায় না... অব্যক্ত কথা গুলো পায়না তাদের কাঙ্খিত রুপ! কাব্য রাজ্যে আমি আজ নির্বাসিত...  গহীন কোণে লুকিয়ে রেখেছি মনের অভিরূপ!  চোখের কোণে জমা শুকনো জলের দাগ আর বালিশে কাটিয়ে দেয়া রাত্রির শেষ ভাগ। দিগন্তের ওপারে সূর্যের কায়া খুঁজি শেষ হতে চলেছে জীবনের মায়া বুঝি!

এন,এন,মুন

ছবি
অব্যক্ত অনুভূতি প্রকৃতিতে প্রভাতরাগ বিরাজমান  বিস্মিত, পুলকিত মানব মন। নতুন ফুলের প্রস্ফুটন, চারদিকে ভ্রমরের গুঞ্জন।  ঘাসগুলি লম্বা,স্নিগ্ধ কোমল  প্রকৃতির কার্পেট, সবুজ  শ্যামল। অতঃপর উত্তরীবায়  সব বিবর্ণ হয়ে যায়। ক্ষ্যপা আগুন তাদের পোড়াতে পারে যদিও বসন্তে তারা পুনরায় জন্মাবে। স্বপ্নেরাও  আত্মিক তাড়নায় নিজ গতিপথ পাল্টায়। আমি বিপর্যস্ত বুড়ো ঈগলের মতো স্বপ্নিল জগৎ সাজাতে ব্যস্ত। আজও খুব কষ্ট পেলে এ মন তোকে খুঁজে ফেরে। তুই আজ দূর আকাশের তারা অলক্ষ্যেপথ দেখাও,দাও পাহারা   সময়ের ছলনায় পরবাসী  আমরা অব্যক্তই থেকে যায় অনুভূতিরা।

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়,৮

ছবি
 চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।                     উদাসী মেঘের ডানায়                                                                                             (পর্ব আট )  ভোরে উঠে পড়লো,ঘুম,থেকে দুজনই তৃষ্ণা,টিশার্ট ট্রাউজার পড়ে রেডি হয়ে,সমুদ্রে গেলো  তৃষ্ণা বললো- তুমি,নামো,আমি,সাঁতার জানিনা,ভয় করেএতো বড় বড় ঢেউ। -আরে আমি,আছিনা সাঁতার কাটার,দরকার,নেই, জলে,নামলেই হবে। সকালে মিষ্টি রোদের আলোয়, তৃষ্ণার মুখ জুড়ে মায়াবী এক আলোক,রশ্মি খেলা,করছে।উদাসীন চোখ জুড়ে বিহব্বলতা ভাবছে একটা ঝড় কে সামলে,নিয়েছিলো আজও কি সব,স্বপ্ব তাছাড়া বয়স ওতো হারিয়ে যায়নি,কিছুটা মূল্যবান সময় পাশ,কেটে,চলে গেছে। সাগর,তীরে দাঁড়িয়ে,অপুও,ভাবছে এলোমেলো জীবনের পথে বাস্তবতার রোমান্সের,চিহ্নমাত্র ছিলোনা সেদিন,নিপূণ,হাতে,মুছে,নেওয়া হয়েছিলো,সেন্টিমেন্ট আর মেলোড্রামার বাস্প   চিরে,চিরে,আলো,ফেলেছিলো লুকিয়ে,থাকা,হৃদয়ের বেদনায়।সেখা

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ৬

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায়  লেখক  শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক   উপন্যাস  "বনফুল"                                                                      বনফুল                                                                                 ( ৬ ষষ্ঠ পর্ব )  পলাশ বললো জুঁই তুমি কি জানো ? আমি খুব মধ্যবিত্ত ফ্যামেলির ছেলে,আর কোথায় তুমি!  আমার ঠিক কি বলা উচিৎ আমি বুঝতে পারছি না। পলাশেরও যে জুঁইকে ভীষণ ভালো লেগে গেছে, ওর  চোখের দিকে তাকিয়ে না করা সম্ভব না।  জুঁইয়ের কাজল কালো চোখে পলাশ নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে...।  জুঁই বললো এখনই বলার দরকার নেই আমাকে ফোনে জানালেও হবে। বলতে বলতেই জুঁই ড্রাইভার কে ফোন দিয়ে বললো গাড়ি সামনে নিয়ে আসেন।দুজনেই গাড়িতে উঠে বসলো জুঁই ড্রাইভারকে উদ্দেশ্য করে বললো ভালো কোনো রেস্তোরাঁয় চলুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা বিলাসবহুল চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে গাড়ি থামতেই জুঁই পলাশ কে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে কয়েকটা সিঁড়ি উঠেই রিসেপশনের সামনে থেকে লিফটে ওঠে। পাঁচ তলায় নেমেই চাইনিজের ডিনার হলের এক কর্নারে একটা টেবিলে বসলো। ওয়েটার এসে চার্ট বুক  রেখে গেলেন,

মামুন তালুকদার

ছবি
শব্দহীন যুদ্ধ বন্দুক-বোমার শব্দ নেই, মর্টার-মেশিনগানের শব্দ নেই ট্যাঙ্ক-কামানের শব্দ নেই, কোন যুদ্ধ বিমানের শব্দ নেই,  কিন্তু যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের বিভীষণে - ছোট্ট শিশুটিও মায়ের কোল ছেড়ে হয়েছে করুণ শরণার্থী। ফোনের ওপাশ থেকে বলে- বাবা, আমাকে তোমাদের কাছে নিয়ে যাও, তোমাদের কাছে যাব, আমাকে তোমাদের কাছে নিয়ে যাও। কিন্তু বাবাকে অদৃশ্য শত্রুদল ঘিরে ফেলেছে, কণ্ঠনালী, ফুসফুস বেশি বিপর্যস্ত, নিঃশ্বাসে নীরব ঘাতক, শিশুটিকে বুকে ধরার সাধ্য নেই। যুদ্ধ আছে, লাশের মিছিল আছে, যুদ্ধের দামামা নেই। সকল অহংকার পায়ে ঠেলে সাদা পতাকা ওড়ানোর ইচ্ছে আছে, কিন্তু কোন সন্ধিপত্র নেই। কান্না আছে, রক্তক্ষরণ আছে, শব্দ নেই, প্রবাহ নেই। যুদ্ধ চলছে, শব্দহীন যুদ্ধ।

মাহমুদা মৌ

ছবি
সময়ের ইতিকথা  তুমি আদর পাঠিয়েছিলে  নিঃশর্ত দাবীতে , শব্দের সাজে রঙিন খামে মুড়ে । ভালোবেসেছিলে দূরন্ত গতিতে, শেফালিকার শুভেচ্ছা জানিয়ে !  যুগল স্বপ্ন দেখিয়েছিলে  দোলনচাঁপা ক্যামেলিয়ার  পাপড়িতে বাসর সাজিয়ে !  ভাবনায় ডুবে যেতে  একান্ত সময়কে বিসর্জন দিয়ে ।  অথচ সময়ের ব্যবধানে  ঘন কালো মেঘ করে প্রবলে বেগে  ঘুর্নিঝড়ের মতো উড়ে চলে গেলে  উপকূলে আছড়ে পরার হুঁশিয়ারী সংকেত জানিয়ে , ডুব দিলে নিজস্ব জগতে ।

vccxv

LOVE

zxv

LOVE

sdfcdv

LOVE

উম্মে হাবীবা আফরোজা

ছবি
ভালোবাসার আত্মকথা ভালোবাসা তুমি, শ্বেত পদ্ম ফোঁটা শুভ্রতার মায়াজল, অনুভবের নদীতে ডুবন্ত এক জোড়া হংস মিথুন। কিংবা শিশিরের স্নানে ভেঁজা স্নিগ্ধতার অনুভবে প্রজাপতি মন।। ভালোবাসা তুমি, অভিমানি কিশোরীর নিকষ কালো চোখের কাজল, চিরকুটের ভাঁজে ভাঁজে ফিসফিসিয়ে তোমার আলতো স্পর্শের আঁছড়।। ভালোবাসা তুমি, গোধূলীর রক্তিম আভায় সমুদ্র তটের গহীন স্রোতে বিলীন হওয়া, নিমগ্ন পিয়াসীর বিমুগ্ধ মন। ভালোবাসা তুমি, বিষাদ অনুরাগে পাশে থাকার প্রত্যয়ে অভিমানি মেঘের সাথে চুক্তিবদ্ধ সন্ধির যুগল প্রেমের বন্ধন। ভালোবাসা তুমি, রবি ঠাকুরের-'' সেই দিন চৈত্র মাস, তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।" কিংবা কবি নির্মলেন্দুর " আমি বলছি না আমাকে ভালোবাসতে হবেই, কেউ একজন অন্তত আমার জন্য অপেক্ষায় থাকুক।" ভালোবাসা তুমি, দীর্ঘনিঃশ্বাসের অসীম যন্ত্রনা, দূরত্বময় আবেগীয় সম্পর্কের পিছুটান।  প্রেমিকের বুকে ঝড় তোলা প্লাবন, প্রেমিকার অন্তরের বোবা কান্না, চাওয়া পাওয়ার গভীর এক আকুতি। ভালোবাসা ও মৌহের মানবিক দ্বন্ধে, ভালোবাসা তুমি যে চির মহান, তুমি যে হৃদ স্পন্দের অপর এক নাম।

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"২১

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।                                                          টানাপোড়েন (২১)                                                                           বোধোদয় দিনকে দিন বুম্বা কেমন বেয়ারা হয়ে যাচ্ছে দেখো।রাতে খাবার টেবিলে কথাটা পারলো সুরূপা।কিন্তু সুধাময় কোনো উত্তর দিলো না। সুরূপা আবার বলল ' কি বলছি, শুনতে পাচ্ছ না?'(একটু ঝাঁঝের সুরে )। এবার সুধাময় খাবার টেবিল ছেড়ে উঠে পড়ল। এবার আরো জোরে সূরূপা চেঁচিয়ে  বলল  'সন্তান কি শুধু আমার?' সুধাময় জানলার কাছে দাঁড়িয়ে সিগারেটের পর সিগারেট খেয়ে যাচ্ছে। কোন কথার জবাব দিচ্ছে না। এতে সুরূপা আরো রেগে যায়। আর বলে 'এই সংসার থেকে আমাকেই চলে যেতে হবে। তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।' এবার সুধাময় বলল 'তুমি বুঝতে পেরেছ বলো ,সুরুপা ?'আজ তোমার জন্যই এসব হয়েছে।' এবার সুরূপা ক্রোধান্বিত হয়ে বলল' 'আমার জন্য হয়েছে?'বলেই কেঁদে ফেলল।' সুধাময় বলল 'ভেবে দেখো

তাজ ইসলাম

ছবি
যাদুকর এসে গেছে যাদুকর এসে গেছে মানুষের গালে কামড়াবে কুকুর মানুষের ভুঁড়িতে কামড়াবে কুকুর মানুষের সম্মানে কামড়াবে কুকুর আপনারা এই কুকুরটিকে দেখবেন  এটি একটি মানুষ কী চমৎকার যাদু না! যাদুকর এসে গেছে এখন যাদু দেখাবেন মানুষের কীর্তি উল্টে দেবে কুকুর মানুষের সুনাম কামড়াবে কুকুর নেকাব কামড়াবে কুকুর লকব কামড়াবে কুকুর খেতাব কামড়াবে কুকুর ইজ্জতে কামড় দিবে কুকুর যাদুকর তার যাদু মন্ত্র বলে এই কুকুরটিকেই দেখাবে  এটি একটি মানুষ। যাদুকরের যাদুর ভেলকিতে বিজ্ঞতা ছাড়া বুঝার উপায় থাকবে মানুষের রূপে এটি আসলে একটি কুকুর কেননা যাদুকর তার যাদু মন্ত্রে মজমায় হাজির করলেন মানুষের মত করেই একেকটি কুকুর যেমন প্রবল কৌতুহলে একটি শিশু ভীড় ঠেলে গিয়ে দেখে চোরটা দেখতে অবিকল মানুষ।

গোলাম কবির

ছবি
কতিপয় মানুষ ও মুশোশধারী বরাহরা   ইউক্যালিপটাসের বাকল যেমন খসে পড়ে   তেমনি আবারও সুন্দর ভাবে যদি    গজিয়ে উঠতো সভ্যতার ছাল চামড়া,   তবে আমার কোনো দুঃখ ছিলো না!    কিন্তু হায়! অশোকের বাকল    ছাড়িয়ে নেবার পরও যেমন বৃক্ষটি    বেঁচে থাকে কায়ক্লেশে তেমনি করেই     কায়ক্লেশে বেঁচে থাকে কতিপয় মানুষ!    অথচ অন্যদিকে মানুষ নামের মুখোশধারী     বরাহরা পৃথিবীকে কাদাজল বানিয়ে     আনন্দে কী ভীষণ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে!

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়,৭

ছবি
 চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।                                      উদাসী মেঘের ডানায়                                                     (পর্ব সাত ) পরদিন ওরা আবার ফিরে এলো কক্সবাজারে বেশ রাত হয়ে গেলো। রাতের ডিনার আজ তৃষ্ণাই অর্ডার দিয়েছে খেতে বসে অপু বললো ঃএকি আজ মাংস দিতে বললি? ঃআমি এসে থেকে দেখছি অপু দিব্য দুবেলা মাংস খেয়ে,যাচ্ছো, মাছ,সবজি নাম মাত্র খাচ্ছো, আজ মাছ সবজি ডাল খাবে। ঃআমার তো তাহলে খাওয়াই হবেনা প্লিজ গরু বা খাসির মাংস না হলে। ঃতাই বেশ মুরগী দিতে বলছি তাহলে। ঃমুরগী আমি খাবোনা। ঃকেন? ঃমুরগী শিয়ালে খায়, আমি কি শিয়াল তৃষ্ণা হাসতে হাসতে বললো তুমি কি,বাচ্চা নাকি, একি সমস্যা মাংস ছাড়া খাবেনা বলছি কিন্ত একপিস রাজি। রাজি। ঃখাও খেয়ে খেয়ে বিশাল ভুড়ি বানাও তখন বুঝবে ঠেলা ঃআমি রোজ এক্সসেসাইজ করি হবেনা। ঃবড্ড পেটুক তুমি। খাওয়া,শেষে দুজন কিছুটা সময় গল্প করলো ঃতৃষ্ণা বললো যাই রুমে ঘুম

আশ্রাফ বাবু

ছবি
শব্দহীন মনের আস্তানা অন্যমনস্ক সন্ধের আঁধারে হাওয়া শুনি  জেগে ওঠে মায়া আর নির্জন ভয়ের আখ্যান পাখিদের ঘিরে জমে ওঠে হেঁসে ওঠে আমার কিছুক্ষণ চুপচাপ ইহকাল ! মেঘের ভাঙা মন মেলে দিয়ে বসে আছে ভেসে আসছে কাঁপানো বীরের বাঘের ডাক  শুনে তবু শুকিয়ে মুখ- চোখ হাতচাপা ! সূর্য গেছে,আলো গেছে,দৃপ্ত গান রচিত হয়েছে।  সুরের গোধূলি জাঁগে আকাশ প্রান্তরে  অকস্মাৎ শব্দহীন মনের আস্তানা জুড়ে অল্প সূত্র জানা আছে আলোর আড়ালে জমে উঠছে অন্ধকার,শান্ত তাকিয়ে গোল চাঁদ। ঘন্টাধ্বনি জেগে থাকে জনপদে রাত্রি বলে চেনা যায় না আজ লুকানো আলোয়, অন্যমনস্ক সন্ধের আঁধারে হাওয়া শুনি  আলো গেছে,মন হারিয়ে যেতে চায় সেখানে।

সফিক ইসলাম

ছবি
মন ভালো নেই মন ভালো নেই আজকে আমার মন ভালো নেই শ্রাবণ মেঘের  বৃষ্টি ঝরার এই দিনেও মন ভালো নেই। নিয়ম ভাঙার লৌকিকতা পার করেছি খুব সহজেই  তবু আমার মন ভালো নেই।  আজকে শুধু তোমার কথা ভীষণ করে পড়ছে মনে বিষের নীলাভ দহন ব্যথাই পুড়ছে কেবল হৃদয় কোণে স্মৃতির বনে জ্বলছে আগুন ; মেঘ চাতালে  বৃষ্টি শুকাই আটপৌরে  সুখ খুঁজতে যেয়ে শ্রাবণ থেকে মুখটা লুকাই।  অথচ কী দারুণ ছিল একটি সময়, পুলক জলে যেতাম ভেসে বৃষ্টি হলে--- অনুভবে জমতো কেবল ব্যাকুল করা ভালোবাসা পলে পলে।  চোখের পাতায় নাচতো শুধু  তোমার দেহের ধ্রুপদী তাল   বৃষ্টিজলের শব্দ শুনে কার যে পায়ের নূপুর ভেবে যখন তখন হতাম মাতাল, ভালো করেই  এসব তোমার ছিল জানা ---- তাই কি তুমি মিষ্টি হাসির ছলনাতে বদলে গেলে এপথ ভুলে! তাই কি তোমার বিষের এমন ছোবল হানা! আজকে কেন  শ্রাবণ আকাশ  বিষণ্নতার মেঘে ভরা আজকে কেন সব কিছুকেই লাগছে এমন দিগম্বরা  কার অপেক্ষায় দিন কাটে তো রাত কাটে না একাকীত্বের যাপনবেলায়  কিছুই তো আর  ভাল্লাগে না।   মন ভালো নেই ---- আজকে আমার মন ভালো নেই হাজার কয়েক বইয়ের মাঝেই  আমার এখন বসত ঘর ভালো করেই জানি আমি বই কখনো করে না পর, বইয়ের সাথেই সখ্য গড়ি, যেমন ইচ

অরণ্য আপন

ছবি
তার মুখ একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পাখি এই আকাশ মরে যাবে; চলে যাবে চোখের ভাষা থেকে যে হৃদয় আমি রেখেছি হাতে ছেড়ে গেছে সে সন্ধ্যা ফুরানো রাতে তারপর অনেকদিন তাকে ঘুঘুর চোখের মতো গেছি ডেকে  শরৎ যেভাবে রোদ ডেকে নিয়ে আসে চোখে  আশ্বিনের এই রাতের গায়ে পড়েছে তার অক্ষরের ছায়া আমার মৃত চোখে অন্ধকার নিবিড় হয়ে আসে, ডাক দেয় কষে তার মায়া  কতদিন হায় ঘর ছেড়েছি তার কাছে হৃদয় রেখে তাকে দেখি না, হয়তো কোনোদিন আমি তাকে দেখিনি অন্ধকারের ঘ্রাণ পেয়ে সে চলে গেছে ভোরের মুখ অন্ধকার করে তার চোখ আমাকে খোঁজে না, তার মন আমার কথা বলে না  আমার পৃথিবী একদিন মরে যাবে তার পেঁচা ডাকা ঘরে  দুপুরের মাঠ ভরে জোহরের আজান একা একা ঘোরে  জানি না আশ্বিনের কোন রাত তাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে আসবে ভোরে...