মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"২২
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক । তার নিত্যদিনের আসা যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন " । টানাপোড়েন ( ২২ ) মন খোঁজে ভালোবাসার নীড় দী র্ঘ ৭৫ বছরের বাড়ি। একসময় এই বাড়ি শহরের লোক চোখ তুলে তাকিয়ে দেখত। নামডাকও ছিল বাড়ির। এখনো চোখ তুলে তাকিয়ে দেখে শহরের সবথেকে জীর্ণ বাড়িটা ,চারিদিক থেকে পলেস্তার খসে খসে পড়ছে ,। আগেকার দিনের কড়ি বর্গার ঘর। যৌথ সম্পত্তি হলে যা হয়। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কারো কোন হেলদোল নেই। চলছে যে রকম চলুক। বাড়ি টা দেখলে মনে হয় দূর থেকে জবুথবু বৃদ্ধ মুখ থুবরে পড়বে। বলে না ভাগের মা গঙ্গা পায় না। বাড়িটা সংস্কার করার জন্য সেই রকমই অবস্থা। এ বলে ও করবে।ও বলে এ করবে। কিন্তু সেদিন দুপুরবেলা জাঁকিয়ে বৃষ্টি পড়ছিল ।খাটের উপর বসে ছাদ থেকে তুলে আনা শুকনো জামা কাপড়গুলো পাট পাট করে ভাঁজ করছে বিপাশা। হঠাৎই মাথার ওপরে একটা ক্রাক করে