চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"
বনফুল
( ৬ ষষ্ঠ পর্ব )
পলাশ বললো জুঁই তুমি কি জানো ? আমি খুব মধ্যবিত্ত ফ্যামেলির ছেলে,আর কোথায় তুমি!
আমার ঠিক কি বলা উচিৎ আমি বুঝতে পারছি না। পলাশেরও যে জুঁইকে ভীষণ ভালো লেগে গেছে, ওর চোখের দিকে তাকিয়ে না করা সম্ভব না।
জুঁইয়ের কাজল কালো চোখে পলাশ নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে...।
জুঁই বললো এখনই বলার দরকার নেই আমাকে ফোনে জানালেও হবে।
বলতে বলতেই জুঁই ড্রাইভার কে ফোন দিয়ে বললো গাড়ি সামনে নিয়ে আসেন।দুজনেই গাড়িতে উঠে বসলো জুঁই ড্রাইভারকে উদ্দেশ্য করে বললো ভালো কোনো রেস্তোরাঁয় চলুন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা বিলাসবহুল চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে গাড়ি থামতেই জুঁই পলাশ কে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে কয়েকটা সিঁড়ি উঠেই রিসেপশনের সামনে থেকে লিফটে ওঠে। পাঁচ তলায় নেমেই চাইনিজের ডিনার হলের এক কর্নারে একটা টেবিলে বসলো। ওয়েটার এসে চার্ট বুক রেখে গেলেন,জুঁই বিশেষ বিশেষ কিছু খাবার অর্ডার করে দুজনের খাবার পরিবেশন করতে বলে আরো চারজনের পার্সেল দিতে বললো। খাওয়ার সময় দুজনের মধ্যে টুকটাক কথা হলো, খাওয়া শেষে বিল পেমেন্ট করে কাউন্টারে এলো, বয় পার্সেল গুলো এনে গাড়িতে উঠিয়ে দিলো।ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিয়ে আগে এজিবি পয়েন্টে পলাশকে নামিয়ে দিতেই জুঁই পার্সেলগুলো হাতে ধরিয়ে দিয়ে হাত নাড়িয়ে বিদায় জানিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে নিজের বাসার দিকে চলে গেল। জুঁই বাসায় আসতে আসতে রাত দশটা বেজে গেল, বেশখানিকটা সময় মা-বাবার সাথে বসে গল্প করে যখন ঘড়িতে এগারোটা বেজে গেল তখন মাকে বললো, আম্মু আমি খেয়ে এসেছি, তোমরা খেয়ে নিও বলেই উপরে উঠে গেলে। আজ মা বাবাও জুঁইকে দেখে বেশ খুশি, কারণ এর আগে কোনো দিন এতো খুশিখুশি ভাব দেখেনি!জুঁই রুমে এসে ফ্রেস হয়ে পড়ার টেবিলে বসলো। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও পড়ায় মন বসাতে ব্যর্থ হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো। বারবার পলাশের ইন্নোসেন্ট মুখটা চোখে ভেসে উঠলো, ওর কথা বলার এটিচিউট, মৃদু হেসে কথা বলা, সব কিছু কেমন যেন চোখে ভাসছে।
ওদিকে পলাশ ও জুঁইয়ের কথা অনেক বার ভেবেছে। কতো ভদ্র অমায়িক, কোনো রকম অহংকার নেই। এখনকার পৃথিবীতে জুঁইয়ের মতো মেয়ে ও আছে!
চলবে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much