পোস্টগুলি

জুলাই ১৩, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি গীতা চক্রবর্তী'র কবিতা "পলাশ চেয়েছি"

ছবি
পলাশ চেয়েছি গীতা চক্রবর্তী বসন্ত তোমাকে দোষ দিতে চাই নি, পাশে দাঁড়িয়ে পলাশ চেয়েছি; মনের ভাষায় কথারা বহিরাগত থাক,  ছুঁয়ে থাক দৃষ্টিভ্রম মরীচিকা। জীবনমুখী গানে গানে হারানো সুর খুঁজেছি  বসন্তের মৃদু বাতাসে, সংযত হয়ে মাখতে চেয়েছি  আবিরের রঙ তবু মনে হয় বেবাক হাতছানি  সেই তো ঝরে পড়া শায়িত শিমুল, প্রেম প্রতিবিম্বের আলেখ্য হয়ে থাক মননে। দীর্ঘ লড়াইয়ে সিড়ি উর্দ্ধে উঠুক সগৌরবে, অবচেতনেও প্রশান্তির প্রলেপে শুভ কামনা চেয়ে রাখি   চিরন্তন বসন্তের কাছে।

কবি সারমিন জাহান মিতু "ভালোবাসি তোমাকেই"

ছবি
ভালোবাসি তোমাকেই সারমিন জাহান মিতু  নীল রংমহল দেখতে পাও তুমি,  যেখানে বিরহে কাঙাল মনের  ব্যথিত চোখের জল বিষাক্ত ছোবল  দেয় নিজের অন্দর মহলে ।  জানি দেখতে পাওনা তুমি,  মোটা ফ্রেমের চশমায় ঢাকা পড়ে যায় সবটাই।  দেখেছো কখনো অক্সিজেন লেবেল নেমে এলে  কেমন বাঁচার আকুতি নিয়ে চেয়ে থাকা প্রিয় সেই মুখ।  দেখোনি তুমি,  তবে বুঝতে তেমনই আকুতি নিয়ে  প্রতিটি মুহূর্ত অপেক্ষা আমার  তোমাকে কাছে পাবার। কি রকম করে বেঁচে আছি আধমরা পৃথিবীর বুকে,  একলা একজন আমি তোমার জন্য।  অথচ সে চাওয়া মূল্যহীন, পচন ধরা জেলের ফেলে দেয়া মাছ গুলোর মতো ।  মানুষের মনের দাম কতো হবে আর, বিনেপয়সাতে পাওয়া তো যায়।  অথচ কেউ কেউ ভালোবাসার একটু কাঙালি  হয়ে থাকে জীবন হতে শেষ পর্যন্ত।  বোঝানো যাবে না তোমাকে,  আসলে উচ্চ আদালতের কার্যক্রমে বিচারপতি যখন তুমি নিজেই আমার মতো আসামির শাস্তি দিতে পারো সর্বোচ্চ মৃত্যু দন্ড। আমি সব দন্ড মেনে নিয়ে বলবো, ভালোবাসি তোমাকেই নিরুত্তাপ উদাসী মেঘ হয়ে  গত জন্মে এবং এ জন্মে কি'বা পূর্ণজন্ম বলে কিছু যদি থাকে।

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৮৪

ছবি
উপন্যাস   টানাপোড়েন ১৮৪ লাইফ কেয়ার ইউএসজি মমতা রায়চৌধুরী মনোজ বাথরুম থেকে বেরিয়ে কোনরকমে জামাটা গলিয়ে সেন্ডেল  পরতে থাকে আর রেখাকে তাড়া দিল চলো, চলো চলো ঘোষ দা ফোন করেছিল। যেতে বলেছে ।ডাক্তার বাবু এসে গেছে।  রেখা বললো" ও বাবা ,ওই দেখো পেছনে আবার কিউ কিউ আওয়াজ করছে ।" "কে?" "কে আবার আমাদের তু তু রানি।" রেখা ওর গাল দুটো টিপে দিয়ে বলল" এখন তোকে আদর করার সময় ? এখন ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি। চল, চল ,ঘরে থাকতে হবে না ,বাইরে চল ।তারপর লেজ নাড়তে নাড়তে মনোজ আর রেখার আ আগে তুতু  দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসলো।  রেখা হাঁক দিল "মাসি ,মাসি ,মাসি।" মাসি তখন কলতলাতে বাসন মাজছিল। মাসি বললো "কিছু বলছ?" রেখা একবার দরজার দিকে মাথা বাড়িয়ে বলল 'হ্যাঁ দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে যাও?' মাসির বয়স হয়েছে তো তাই মাসির হঠাৎ করে উঠতে গেলে খুব কষ্ট হয় । পিড়িটা একহাত দিয়ে সরিয়ে দিতে দিতে বলল' এই যাই বৌমা।' রেখা বললো' ঠিক আছে, তুমি এসে লাগিয়ে  দিও ।আমি আসছি তাহলে ,হ্যাঁ মাসি।' মাসি বললো' চাবিটা কার কাছে রাখবো?' "পাশের দোকান

কবি এম, এ করিম এর কবিতা "বর্ষার দিনে" 

ছবি
বর্ষার দিনে  এম, এ করিম  কালো মেঘে সাদা বক উড়ে চারদিকে অন্ধকার জুড়ে হিমেল হাওয়ায় ছুটে যায় টিপ টিপ ঘণ ধারা বর্ষায়, চারদিকে পানি আর পানি খাল বিল নদী নালাই ছোট বড় হরেক মাছ ভেসে বেড়াই ডোবায়,  সাদা কালো  পাতি হাঁস ফ্যাক ফ্যাক ডাকে ডাহুক আর পানকৌড়ি  খেলে একসাথে  নদীর বুকে যৌবন আসে বর্ষায় পানি ঝরে ঝর ঝর জেলে পাড়া থাকে সুখে আনন্দের হাসি  নিথর, কদম তলায় রেনু আসে বর্ষায় আমন্ত্রনের সাথে কাঁশবনে  নানা পাখি বসে  দক্ষিনা বাতাসে বর্ষাতে, পাকা তালের গন্ধে মাতে পিঠা পুলি আর চিড়ে ভাজাতে গল্পে বসে কৃষক কৃষাণী খেতে খেতে  আষাঢ়-শ্রাবনের এই বর্ষাতে,   অবসরে থাকে কত খেলা লুডু কেরাম বাগহাতি-  আর তাশের মেলা এভাবে  কেটে যায় সারাটা বেলা।