জট
সকালে ঘুম ভাঙলেই আপনার মনে পড়বে একটা জাঁদরেল জট যা আপনি পাকিয়ে ফেলেছেন জীবনের সুতোয় তা আবার ছাড়াতে বসতে হবে।যদিও আগের দিনও ছাড়াচ্ছিলেন।আগামীতেও ছাড়াবেন।তার মানে 'যাচ্ছে দিন'।
না!তেমন যাচ্ছেতাই দিন আপনার নয় এবং সত্যি সত্যি দীন তো আপনি নন।তাই পরোক্ষ
প্রচুর অসুবিধে থাকলেও 'বেলা হবে'।বেলা হলে রোদ উঠবে।বিকেলও হবে আবার রাত।
আবার কিছুক্ষণ স্বপ্নের জটলা।
একে তো চৈত্র মাস দারুণ এ সময়
লেগেছে বিষম ভোট কী জানি কী হয়।
কালকে এক পার্টির অভিনেতা নেতার ভূমিকা পেয়ে পাড়া বেড়াতে এসেছিলেন।মুখে মিষ্টি হাসি।কী সুন্দর চেহারা।লাল টুকটুকে, সর্বহারার ব্যথা নির্ঘাত বোঝেন।
আজ আবার পাশের পার্কে ফুল ভলিউমে মাইক বাজছে।না সিনেমার গান না।সকলে কেন অত্যন্ত সুখে আছি সেই কথা মনে করিয়ে দেবার গান।আশ্চর্য নিম্নমানের লেখা ও সুর।তেমনই গায়কের কণ্ঠস্বর।মাঝে মাঝে বন্দেমাতরম পাঞ্চ করা আছে লিরিকের যেখানে সেখানে।
আমার যে কী আনন্দ হচ্ছে কী বলব।আকাশে বাতাসে আনন্দ থৈ থৈ করছে।
করোনার লকডাউনে মানুষের স্বার্থে পুলিশ মাস্ক ছাড়া লোক দেখলেই কেলিয়ে বৃন্দাবন দেখাত।এখন করোনা নাই?নো মাস্ক। সব ঠিক হয়ে গেছে।ভোট কত বড় বালাই।লার্জার দ্যান লাইফ।আমি কে?মরি বাঁচি কার কী এসে গেল?লোক না পোক!ঠাকুর বলেছেন।
করোনা হোক আর ভোট হোক।জন্ম মৃত্যু তো লেগেই আছে।ওসব বিধাতার কোর্টের বল।
'মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক আমি ভোটার'।যাহ!মিলল না।মিলল না মিলল তোদের .....তো ছিঁড়ল।
এতো সবের মধ্যে মজাটি হলো এই আকালেও দু একজন জুটে যাওয়া যারা জট খুলতে আপনার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।আপনার সন্তান ওই ছুট্টে এসে গলা জড়িয়ে একবার বাবা বলে ডেকে উঠল।
ঠিক মনে হবেই -কোথায় 'বেলা হবে' আর 'যাচ্ছে দিন'।আহা জীবন এসবের অনেক উর্দ্ধে রে পাগলা।চশমা নাকে লাগা,জট খুলতে বোস।
এক কাপ রেড লেভেলের ন্যাচেরাল কিওর চা বানাও রাখী,আমি ব্রাশ করে আসছি।
গদ্য