পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ১৮, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শামরুজ জবা

ছবি
মনভ্রমর আমার ঘরের দরজাতে কেন? ইচ্ছে হলে দেখে যেতে পারো  কত যত্নে আছো এই বুকে; আমার হয়ে এসো - প্রিয়তম  জীবন কাটে কাটুক,  শূন্য রিক্ত হাতে, খালিপেটে ধুঁকে ধুঁকে।  তুমি শুধুই আমার হবে শুধুই আমার  ধরো;  পেতেছি তো আমি এই বুক  খুলে দিলাম মনের যতো দ্বার  রেখে দিও ভালোবাসা  যত খুশি দিতে পারো ধার।  তোমায় আমি ভালোবাসি ঢের বুঝবো যখনোই ভুল  তোমার জন্য বুকের ভেতর  ফোটাবো অজস্র ফুল।  ভালোবাসো আর নাই বাসো  শুধু এইটুকু মনে রেখো, তোমাকে কতটা ভালোবাসি, নিজেকে প্রশ্ন করে দেখো। তোমার নামে লিখবো দিন তোমার নামেই রাত,  মনের ডাইরি মাথায় রেখে যাক না চলে জাত।

মোঃ হা‌বিবুর রহমান/৯ম পর্ব

ছবি
ইউএন মিশ‌নে হাই‌তি‌তে গমন ( ৯ম পর্ব )  মোঃ হা‌বিবুর রহমান অতঃপর প্লেইন থে‌কে নামার হুকুম হ‌লো। নামলাম পু‌রোটাই মি‌লিটারী কায়দায়। অধীনস্ত‌দের সু‌যোগ ক‌'রে দিয়ে আমরা প‌রেই নে‌মে‌ছিলাম। যতদূর ম‌নে প‌ড়ে বিমান বন্দ‌রে ক্যাম্প সা‌ন্টিয়া‌গো প্র‌শিক্ষণ কেন্দ্র থে‌কে আমা‌দের জন্য গন্ডা চা‌রেক স‌ুন্দর স‌ুন্দর শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত বাস পাঠা‌নো হ‌'য়ে‌ছি‌লো ক‌য়েকজন সা‌র্জে‌ন্টের নের্তৃ‌ত্বে। আমার আজও ম‌নে প‌ড়ে সেই অত্যাধু‌নিক এ‌সি বাসগু‌লোর অভ্যন্ত‌রে আধু‌নিক সু‌যোগ-সু‌বিধার পর্যাপ্ততার কথা। স‌তিই চমৎকার! দীর্ঘ ২৭ বছর পর আমা‌দের বাংলাদে‌শেও অবশ্য বেশ সুন্দর সুন্দর বাস আজকাল রাস্তায় নে‌মে‌ছে। সেনাবা‌হিনীর পদ্ধ‌তি অনুযায়ী জনব‌ল ও অস্ত্রপা‌তির হিসাব-‌নিকাশ পুরামাত্রায় নেবার পর পরম করূণাময় আল্লার না‌মে আমা‌দের এবারের স্হলযাত্রা শুরু ক'রলাম। আমা‌দের এখনকার গন্তব্যস্হল মি‌লিটারী প্র‌শিক্ষণ‌ কেন্দ্র, ক্যাম্প সা‌ন্টিয়া‌গো। বাই‌রো‌ডে ঘণ্টা চা‌রে‌কের রাস্তা হ‌বে। আমা‌দের বাসগু‌লো যেন পিঁপড়ার মত সা‌রিবদ্ধ হ‌'য়ে সমগ‌তি‌তে গন্তব্যস্হ‌লের দি‌কে ছু‌টে চ‌'লে‌ছে একবা‌রে সমান-সমান দূরত্ব

শান্তা কামালী/৪৪ তম পর্ব

ছবি
বনফুল   ( ৪৪ তম পর্ব )  শান্তা কামালী পলাশের বোনের চোখেও পানি জুঁই যেন পাথর হয়ে গেছে। একটুও পানি নেই ওর চোখে।কিন্তু জুঁই য়ের আম্মুর চোখ ছলছল করছে। সবার কাছে বিদায় নিতে নিতে সবার শেষে পলাশ এলো জুঁই য়ের কাছে। জুঁই পলাশের বাঁহাতের কড়ে আঙুল টা ধরে মুখের কাছে এনে কচ্ করে একটা কামড় বসিয়ে দিয়ে বললো, আর কেউ তোমার দিকে তাকিয়ে নজর দিতে পারবে না। আমি তোমাকে দেগে দিলাম, তুমি শুধুই আমার, আমার, আমা.... আর বলতে পারে না।দুচোখে রুমাল চাপা দিয়ে তার আম্মুর কাঁধে মাথা রেখে চুপ করে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে।  পলাশ এগিয়ে যায় তার বডি চেকিং করে ফ্লাইটে ওটার জন্য নির্দিষ্ট চ্যানেলের দিকে।  এরপর সবাই চলে আসেন রানওয়ের থেকে অনেক টা দূরে একটা ঘেরাটোপে, সেখান থেকে তারা মাল্টা যাত্রার এয়ারক্রাফট কে হাত নেড়ে যাত্রা পথ সুগম হওয়ার বার্তা জানায়।ফ্লাইট ধীরে ধীরে রানওয়েতে তার দৌড় শুরু করে হঠাৎ মাটি ছেড়ে ডানা মেলে আকাশে। মুহুর্তে ফ্লাইট উঠে যায় সাঁইত্রিশ হাজার ফুট উচ্চতায়। একটা ছোট্ট চড়াই পাখির মতো দেখাচ্ছে সেটা কে। যাত্রা পথে সে মাটি ছোঁবে কলকাতা, দিল্লি।তারপর তুষারশৃঙ্গ হিমালয় কে ডিঙিয়ে ভূমধ্যসাগরের নীল জলের বুকে মাল্টা&

শামীমা আহমেদ /পর্ব ৩৫

ছবি
কশায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত   (পর্ব ৩৫) শামীমা আহমেদ  -----মা'কে কেবিনে শায়লার সাথে  রেখে রাহাত সারারাত কেবিনের বাইরের লবিতে বড় সোফাটায় বসে রইল। মাঝে মাঝে ঝিমুনিতে ঘুমে ভেঙে পড়ছিল। সারাদিনতো কম খাটুনি যায়নি! যদিও একজন পুরুষের জন্য এই খাটুনিটা খুব একটা বেশি কিছু না। কিন্তু শায়লাকে নিয়ে রাহাত যে ভীষণ  ভয়টা পেয়েছে তা ভেবে বারবার তার গা শিউরে উঠছে! রাহাতের জীবনে সে তার আপুকে কোনদিন একটুও  জ্বরে পড়তেও  দেখেনি।আপু সারাজীবন অফিস  আর বাসা, বাসা আর অফিস করেছে।এই ছিল আপার জীবনের গন্ডী। নাহ! খুব বেশিই  চাপ নিয়েছে  আপা।  রাহাত বারবার একই কথা ভাবছে। আপার প্রতি তার এই উদাসীনতা দেখানো একদম উচিত হয়নি।আপার প্রতি  তার অনেক অবহেলা ছিল। সব কাজ আপু উপর চাপিয়েছে। বাড়ির ছেলে হিসেবে তার কিছু দায়িত্ব নেয়া উচিত ছিল। রাহাত ঠিক করলো ইনশাআল্লাহ আপু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে আপুকে এত কাজের চাপ থেকে রেহাই দেয়া হবে।  রাহাত নিজের ভেতরে কাজের একটা ছক তৈরি করে নিল।বাড়ির বাজার, ইউটিলিটি বিলস আর যাবতীয় কিছু এখন থেকে নিজেই দেখবে।  মায়েরও বয়স হয়েছে।তার দিকটিও দেখতে হবে। রাহাত আজ বুঝলো আসলেই সে দায়িত্ব  নেয়ার মত বড় হয়েছে।মা

তাহসান কামরুজ্জামান

ছবি
মা  মা" এই শহরে এসে উপলব্ধি ক্ষমতা অনেক বেড়ে গিয়েছে।  প্রতিমুহূর্তে তোমার থেকে দূর থাকার যন্ত্রণা তিলতিল করে আত্মার গভীরে রোগের উৎস সৃষ্টি হচ্ছে!  মা"কখনো সামনা-সামনি তোমায় প্রচন্ড রকমের ভালোবাসি শব্দের ব্যবহার করতে পারিনি।  মা"তোমায় জড়িয়ে ডুকরে কেঁদে উঠতে কখনো পারিনি।  প্রচন্ড রকমের দুঃখ কষ্টগুলো অবলীলায় প্রকাশ করতে পারিনি!  কিন্ত বিশ্বাস করো মা" অনেক বার গিয়েছি, তোমায় জড়িয়ে সবকিছু বলতে!  প্রতি মুহুর্তে ব্যর্থতার গ্লানিবোধটুকু কাঁধে চাপিয়ে ফিরে এসেছি।  সময়ের ব্যবধানে সেই না বলা গল্পগুলো বলতে ইচ্ছে করছে!  মনে হচ্ছে আকাশ পথে উড়ে গিয়ে তোমায় জড়িয়ে ধরি।  খুব কষ্টে দিনকাল যাচ্ছে মা" তুমি একটু মোনাজাতে আমায় স্মরণ করে,  স্রষ্টার নিকট দোয়া করো।

মমতা রায়চৌধুরী/৭২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৭২  মায়ের ভাঙ্গা হৃদয় মমতা রায়চৌধুরী কালকের কি দিনটা গেল সকলের মনের ওপর দিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না। মাসিমার দিকে তাকানো যাচ্ছে না ।মাসিমার  দুই ছেলে অন্তপ্রাণ। সন্তানরা তার কাছে হৃদপিণ্ড স্বরূপ। মেসোমশাই মারা যাবার পর থেকে মনের দিক থেকে এমনি ভেঙ্গে পড়েছিলেন ।তবুও দুই সন্তান মাকে যেভাবে আগলে রেখেছে তাতে আস্তে আস্তে মেসোমশাইয়ের শোকটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন ।ঠিক সেইসময় একটা বড় ধাক্কা ।কিভাবে মেনে নেবেন ভাবতেই পারা যাচ্ছে না ।সারাটা রাত আমার কাছেই ছিলেন। পাশে থেকে উপলব্ধি করতে পেরেছি মায়ের যন্ত্রণা। শুভায়নের অ্যাডভেঞ্চার এর প্রতি এতটাই ঝোঁক ছিল যে, সে ,যে কোন ঝুঁকি নিতে পিছপা হতো না ।তার বন্ধু অনীকের কথাটা একদম সত্যি।  ভোর চারটের সময় ফিরে এসে চোখের পাতা এক করতে পারে নি রেখা।চোখ দুটো  জ্বলছে।সারাক্ষণ শুভায়ন এর সুখ স্মৃতি চোখের কাছে ঘুরে বেরিয়েছে। আজকেও সূর্য উঠেছে ।তার আলো ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে ।তবুও বিষন্ন মন আলোর প্রথম কিরণ  তার মেখে  নিতে ইচ্ছে করছে না। মানুষের মনের ভিতরে কত দ্বন্দ্ব , কত টানাপোড়েন, কে কার খবর রাখে ?চেনা মানুষগুলোকে এরকম কষ্ট পেতে দেখতে