১২ মার্চ ২০২২

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৩১





উপন্যাস 

টানাপোড়েন ১৩১
হৃদয় জুড়ে

মমতা রায়চৌধুরী

রেখা আজ সকাল সকাল উঠে পড়েছে। না উঠে উপায়ও ছিল না আজ যদি শুধুমাত্র মনোজ,রেখার সংসার হতো তাহলে আরেকটু শুয়ে থাকলে কোন অসুবিধা হতো না কিন্তু সেটা তো হবার উপায় নেই ।বাড়িতে শাশুড়ি মা ,ননদ এসেছেন ।উনাদের যত্নআত্তি তো করতে হবে । অন্যদিকে স্কুলে যেতে হবে। কিছু রান্না তো করতেই হবে। সকালবেলা প্রাতঃক্রিয়া সেরে নিয়ে ঠাকুরঘরে গোপালকে তুলে ,ভোগ চাপিয়ে রান্নাঘরে যায় চা করতে। রেখার আওয়াজ পেয়ে মিলির বাচ্চাগুলো উঠে পড়েছে। ওদেরকে কতগুলো বিস্কিট খাইয়ে আসলো রেখা। তারপর প্রত্যেকের ঘরে চা দিয়ে আসলো। অন্যদিকে জল খাবার রেডি করার জন্য ফ্রিজ থেকে আটা,ময়দা  বের করে রুটি ও পরোটা ভাগে ভাগে  রেখে
 দিল ।এর মধ্যে জয় গনেশ, জয় গনেশ, জয় গনেশ দেবা। কলিং বেলের আওয়াজ।রেখা রান্নাঘরে বেশিনে হাত ধুয়ে আঁচলে হাত মুছতে মুছতে বলল 
'যাই ,যাই ,যাই।'
' আর ভাবলো নির্ঘাত মাসি এসেছে।'
দরজা খুলে দেখল সত্যি সত্যি মাসি এসেছে।
'ও বৌমা রান্নাঘরে প্রেসার কুকারের সিটির আওয়াজ হচ্ছে ।কত সকালে উঠেছ গো?'
রেখা একগাল হাসলো তারপর বললো 
'মাসি এসো কাজ শুরু করার আগে চা খেয়ে নাও।'
'প্রথমেই চা খেয়ে নেব?'
'খাও ।রোজ তো আগে কাজ করো ,তারপর চা খাও ।আজ না হয় তার উল্টোটা করলে।'
'ঠিক আছে তাহলে দাও।'
'ওগো শাশুড়িমা ঘুম থেকে ওঠেনি?'
'সময় হলে ঠিক উঠবে মাসি?'
'কিছু মনে করো না একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?'
'বলো না মাসি, কি বলতে চাইছো?'
'বলছি তোমার শাশুড়ি মা না হয় থাকবেন ঠিক আছে কিন্তু ননদ কদিন থাকবে?'
'থাকবে এতদিন পর বাবার বাড়িতে এসেছে।'
বাবার বাড়িটা তো প্রত্যেকের হৃদয়ে জড়িয়ে থাকে না ,কত স্মৃতি ।সেগুলো কি ভোলা যায় মাসি।'
'তোমার ননদের বাচ্চাকাচ্চা নেই?'
'শুনেছি তো একটা মেয়ে আছে।'
রেখা আর মাসি দুজনে কথা বলতে বলতে চা খাচ্ছে তো আর রেখার ননদ সেটা দেখে গিয়ে শাশুড়ি মাকে লাগিয়েছে ।
'ক্লাসে ক্লাসে মিল কত দেখেএসো মা।'
মনোজের মা মনামীকে ইশারায় বোঝাতে চাইলো মনোজ কথাটা শুনতে পাবে। এই চুপ করে থাকাই ভালো। মনামী মুখ বেঁকিয়ে চলে গেল।
মাসি আবার রেখাকে প্রশ্ন করছে
'তাহলে সেই মেয়েকে কি করে ছেড়ে আছে গো।'
'যা করছে করুক না মাসি।'
'ঠিক আছে আমি উঠলাম বৌমা। কাজে হাত লাগাই। '
 মাসি হাতের কাছে চা এর বাসনগুলো নিয়ে চলে গেল কলতলায় আর রাত্রের  যে বাসনগুলো জমানো ছিল সেগুলো নিও গেলো।
রেখা মনে মনে ভাবতে লাগল সামনেই 'ভাষা দিবস 'ভাষা দিবসের কথা শুনলেই মনের ভেতরে একটা আলাদা আবেগ, উত্তেজনা কাজ 
করে ।.পৃথিবীতে এই প্রথম বোধহয় বাংলা ভাষার দাবিতে শহীদ হতে হয়েছিল ।সেই শহীদের রক্তে ভেজা দিন একুশে ফেব্রুয়ারি ।সেটা এখন 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস,' হিসেবে পরিচিত। 
এই দিনটা তো হৃদয়ের অন্তস্থল চিরস্মরণীয়। এমনিতেও রেখা এই দিনটার প্রতি বিভিন্নভাবে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে আর এখন স্কুলে তো দায়িত্ব পড়েছে।ন্যাচারালি দায়িত্ব পড়েছে রেখার উপর। স্কুলে তো যেতেই হবে। মেয়েদের প্রোগ্রামের জন্য রেডি করতে হবে। ভাষা দিবসের শহীদ পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক রেখার কাছে মনে হয়।ভাষা দিবস আসলেই আবার সেই ঘুরে ফিরে চলে আসে স্বপ্নীল ।ভোরের স্বপ্নের মত আসে। সে বার ভাষা দিবসে ট্রেন লেট ছিল। তাতে কি হয়েছে সেবার এমনিতেও ট্রেনে যায়নি স্বপ্নীলের বাইকে গেছিল। আর ঘটনাচক্রের ওইদিনই ট্রেন লেট ছিল ।এজন্য রেখা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছিল প্রোগ্রামের আগেই স্কুলে পৌঁছাতে পেরেছিল। ভালো কবিতা আবৃত্তি করতে পারত স্বপ্নীল। সারা রাস্তা শুধু ভাষা দিবসের উপযোগী কবিতা আবৃত্তি করেছে।এত অসাধারন করেছিল ।আজও ভুলতে পারে না রেখা। কবিতা আবৃত্তি শুনে রেখা র সারা গা রোমাঞ্চিত হয়েছিল। আজ আবার সেই ভাষা দিবস স্বাভাবিকভাবেই এই দিনটা তো মনের স্মৃতিপটে উজ্জ্বল হয়ে থাকবেই। কত স্মৃতি এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
মিলিদের খাবার খাইয়ে রেখা চটপট রেডি হয়ে নিল। তারপর প্রত্যেককে সকালের নাস্তা দিয়ে নিজের খাওয়ার মতো কোনো সময় ছিল না তাই টিফিন বক্সে নিজের খাবারটা পুরে 
রেখেছিল ।
বাড়ির গেট থেকেই সঙ্গে সঙ্গে অটো পেয়ে গেল অটো করে চলে গেল স্টেশনে ।স্টেশনে গিয়ে শোনে গাড়ি লেট আছে।
কি অদ্ভুত মিল আজকের দিনটা কেউ গাড়ি রেট শুধু মিল নেই আজ রেখাকে পৌঁছে দেবার মতো কেউ নেই ।আজ নেই রেখার পাশে স্বপ্নীল ও ।তবুও যেন ঘুরেফিরে-বুকের সেই যন্ত্রণা টাকে টেনে নিয়ে বেড়াচ্ছে।
অধীরভাবে রেখা প্লাটফর্মে পায়চারি করতে লাগলো। ট্রেন সঠিক সময় না আসলে স্কুলে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাবে। তাহলে বড়দি কে একটা ফোন করে দেয়াই শ্রেয় মনে হয়।
রেখা বড়দিদি। আবোল-তাবোল কত কথা হারিয়ে গেছিল দুজনে র।
এ বাবা এবার ঝমঝম করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজকে কি হবে?
ভাগ্যিস বৃষ্টির আগে স্টেশনে এসে পৌঁছেছে।
এর মধ্যে দুজন যুগল ভিজে একশা হয়েছে।
দুজন পাশাপাশি বসে আছে যেন পৃথিবীর সব সুখ ওদের কাছে।
না ট্রেনের এখনো খবর হলো না। রেখা ঘড়িতে টাইম টা দেখল। এবার ভেতরে ভেতরে ভীষণ অশান্ত হয়ে উঠলো।
রেখা বড়দিকে ফোন লাগাল ।
বড়দি র ফোন রিং হয়ে গেল।
আবার ফোন করল রেখা এবার বড়দি ফোনটা রিসিভ করলেন। "
'হ্যালো'
'বড়দি আজকের ট্রেন লেট আছে কখন স্কুলে পৌঁছাব বুঝতে পারছিনা।'
'সেকি রেখা!'
'কিন্তু তোমাকে তো আসতেই হবে।।'
'কি করে পৌঁছাব বড়দি আমি তো স্টেশনেই আছি।'
'খুব চিন্তায় ফেল্লে রেখা।'
'ঠিক আছে' দেখো কি হয় এমন সময় ট্রেনের খবর হল
একা খুব উৎসাহিত হয়ে বড়দিকে ফোনে বললো 'দিদি ,ট্রেনের খবর হয়ে গেছে।'
'তা বেশ, বেশ একটু দেরী হোক সেটা ম্যানেজ করে নেব ।তুমি এসে পৌঁছাও। বেস্ট অফ লাক। সেফ জার্নি।'
'থ্যাংক ইউ দিদি।'
'ওকে ওকে'।
'রাখি দিদি।'
রেখা ট্রেনের খবর হতেই নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালো।
মনে হচ্ছে যেন বেলা শেষ হতে না হতেই ঘনিয়ে এসেছে অন্ধকার। স্টেশনে অল্প কয়েকজন যাত্রী মাত্র গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে।  আজকে স্টেশনটাকে ঝিমানো মনে হচ্ছে । এর মধ্যে গাড়ি এসে স্টেশনে থামলো প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন মাত্র যারা গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল তারাও কিছুটা শঙ্কিত স্তব্ধ ছিল। গাড়ি এসে দাঁড়ালো কিন্তু গাড়ি দাঁড়ায় মিনিট দেড়েক এই সময়টুকুর ব্যস্ততা যেন আজকে যেন মনে হলো ট্রেন ছেড়ে যেতেই ট্রেন থেকে যারা নেমেছে তারা কোনো দিকে না তাকিয়ে তাড়াতাড়ি গেটে টিকিট দিয়ে নিজে নিজের গন্তব্যস্থলের দিকে দ্রুত পা বাড়ায়। একনজর তাকালেই বোঝা যায় প্রত্যেকে নিজের নিজের তাগিদেই ছুটে চলেছে।
আরে রেখাও গাড়িতে উঠে বসে। আজ গাড়িটার কামরা ফাঁকাই আছে। রেখা জানলার গা ঘেসে বসলো। যদিও বৃষ্টির ছাট আসছে ।তবুও যেহেতু প্যাসেঞ্জারের চাপ নেই। তাই জানলা কিছুটা খুলেই বসল ।ট্রেন দুটো গতিতে ছুটে চলেছে
 বৃষ্টির ছাঁট গুলো চোখে মুখে এসে পড়ছে। রেখা তখনো কল্পনা করছে। এখনো কি সেই যুগলমূর্তি প্লাটফর্মে বসে আছে। ওরা কি এই বর্ষার সৌন্দর্যে নিজেদেরকে হারিয়ে ফেলছে। হৃদয়ের কত কাছাকাছি ।হৃদয় জুড়ে বর্ষা ,বর্ষা জুড়ে হৃদয়।
আজকের হঠাৎ বর্ষা একটু অপ্রস্তুতে ফেলেছে সকলকে। স্কুল হয়তো ছুটি হয়ে যাবে ।আজকে কি প্রোগ্রাম সেরকম হবে?মেয়ে কি আসবে ?রেখা ভাবছে' যাই হোক না কেন  অনুষ্ঠানটা তো করতেই হবে।
মাতৃভাষা আজ বিপন্নতার পথে তাকে রক্ষা করার দায় আমাদের ।অন্তত ২১এর টাটকা ক্ষত জিইয়ে দিয়ে রাখতে হবে।একদিন নয়তো আমরা হারিয়ে যাব মাতৃভাষার সঙ্গে। আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হবে ।এজন্য এই মাতৃভাষার দাবিকে জোরালো করে তুলতে হবে। হৃদয় জুড়ে যে মাতৃভাষা রয়েছে তাকে তার যথাযথ মর্যাদায় ভূষিত করার দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকের।
এইসব কথা ভাবতে ভাবতে যাচ্ছে হঠাৎ করে স্মৃতিদি এসে বললেন 
?দিদিমণি দেখো আজকে কত ভালো শাড়ি এনেছি।'
 হঠাৎ' দিদিমণি 'ডাকে রেখার ধ্যান ভাঙ্গে ।
'স্মৃতিদি কতদিন পর তুমি এই কামড়ায় উঠলে তোমাকে তো দেখাই যায় না 'সেই রিম্পা দি থাকাকালীন।
'আমার শরীরটাও ভাল ছিল না বেশ কিছুদিন তো আসতেও পারি নি।'
কি হয়েছিল?
বলছিলে তো কোভিদ পজিটিভ
কোয়ারান্টিনে ছিলাম।
এখন নেগেটিভ এসেছে। আমাদের কি আর ঘরে বসে থাকলে চলবে কাজ করে না খেলে আমরা খাব কি বলো।
এই রেখা দি কিছু নাও না?
নেব বল তো তুমি আগে আসলে তাও ভাষা দিবসের জন্য একটা শাড়ি কিনতে পারতাম।
দেখো না আজকে ভাষা দিবসের উপযোগী কিছু শাড়ি এনেছি নেক্সট বার না হয় পরবে।
স্মৃতি স্মৃতি জোরাজুরিতে রেখা শাড়ি দেখতে শুরু করলো।
একটা শাড়ীতে চোখ আটকে যায়।সত্যিই lনজর আছে ভাষা দিবসের উপযোগী একখানা শাড়ি শাড়িটা সাদাকালো ঢাকাই।
স্মৃতি দিয়ে বললো দেখো এই শাড়িটা তোমাকে কত সুন্দর লাগবে।
কত দক্ষিণা?২৮০০
'৩000 করে বিক্রি করছিলাম তোমাদের জন্য কমিয়েছি।'
আর দেখতে হবে না চোখ বুঝে নাও ।শাড়ির কোয়ালিটি দেখো খুব ভালো ।তোমাকে পরে খুব সুন্দর লাগবে। যদি কেউ সুন্দর না বলে  তুমি আমাকে ফেরত দিয়ে দিও ।আমার কথা মত , তুমি নাও।
'ঠিক আছে দিয়ে দাও।'
তাড়াতাড়ি প্যাক করো ।স্টেশনে ট্রেন থামলে  আজকে আমি দাঁড়াবো না ।এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে।আজকে প্রোগ্রাম আছে।'
'কিসের প্রোগ্রাম?'
'ভাষা দিবসের।'
ও ও ও।
সত্যিই গো আজকের দিনটা প্রত্যেকের হৃদয়ে আছে উজ্জ্বল হয়ে। রেখাও মনে মনে গান গাইতে লাগল আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি? ভাষা দিবসের শহীদদের প্রতি থাকলও অকুণ্ঠ বিনম্র শ্রদ্ধা।
হৃদয় জুড়ে থাকুক ভাষা যোদ্ধারা।

কবি গোলাম কবিরের কবিতা




কতোটা আলোকবর্ষ পরে
গোলাম কবির 
  
  কি এক গহীন আঁধার নেমে এলো 
  পৃথিবীর বুকে, দেখি মানুষের মতোই মুখ
  অথচ হৃদয় যেনো তাদের ঘৃণিত বরাহ!
  প্রতিটা রাত অপেক্ষা করি নরম সূর্যোদয়
  দেখবো বলে অথচ দেখি প্রগাঢ় অন্ধকারে   
  ম্লান নিভু নিভু দিনান্তে সূর্য ঢেকে গেছে   
  মানুষের অসহায়তায়, গভীর লজ্জায় 
  চাঁদও যেনো উজ্জ্বলতা হারিয়ে গিয়ে 
  ঘন কালো মেঘে ঢেকে গেছে!  
  তারপর সারাটা দিন কেটে যায় 
  মূল্যবোধের গণকবরে সারিবদ্ধ মানুষের
  লাশ টেনে নিয়ে শেয়াল কুকুরের মচ্ছবে 
  খাবি খাচ্ছি মানবিকতার পচে যাওয়া 
  গলিত লাশের ওপর শকুনির ভয়াল নৃত্য
  দেখে দেখে। বিষাদের প্রগাঢ় অন্ধকারে 
  আবার মুষড়ে পড়ি ভীষণ! 
  এভাবে আর কতোদূর যাবে সভ্যতা! 
  দেশে দেশে অনর্থক যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা,  
   সম্পদের অসম বন্টন, লুটপাট এবং
  বোধের শূন্যতা ঘুঁচে গিয়ে 
  কতোটা আলোকবর্ষ পরে 
   আবার ফিরে আসবে মানবতা!

কবি সুপর্ণা চ‍্যাটার্জ্জীর কবিতা




জীবনের রঙ
সুপর্ণা চ‍্যাটার্জ্জী

আকাশের রঙ নীল,
তবে ঘাসের রঙ সবুজ,
মনের সাথে কোথায় মনের মিল
অভিমানে তা যে বড় অবুঝ। 

ভোরের আকাশে রোজ সূর্য উঠা দেখি,
তাই ইচ্ছে করে প্রিয়জনকে জানাতে সুপ্রভাত। 
কারো কাছে বিরক্তিকর হলেও
আবার কারো কাছে  ঔষধির সমান।  

মানুষ চেনাই বড় দায়,
সরল বন্ধুত্ত্বের অর্থ বোঝা না যায়।
তাদের মনের রঙে নিজেকে রাঙাতে যাওয়া বৃথা।

হয়তো কোনা গোপন রঙে 
সে রাঙিয়েছে তার মাথা।
তাই আকাশের রঙ নীল 
জীবনের রঙ অন্ধ ভালোবাসা।