পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দেবব্রত সরকারের লেখা "আসলে ফেরার কোন ডেট ছিলোনা"

ছবি
আসলে ফেরার কোন ডেট ছিলোনা আমাদের সঙ্গে একটা মানুষ এসেছিল তুমি জানো বাবা ?  বাবা উত্তর করে, কই না তো !  সেকি ! তুমি দেখোনি ?  কই না তো !  তাহলে আর কিছু বলবার নেই।  আমি মা দিদা দাদা সকলেই তার সঙ্গে কথা বলতে বলতে এসে  গিয়েছি বাড়ি । কখন যে এসে পড়েছি বুঝতেই পারিনি। কি আশ্চর্য বলো!  হ্যাঁ তা ঠিক ! কিন্তু আমি দেখতে পেলাম না কেন ? আমি কি তোদের সঙ্গে ছিলাম না ? না ছিলে না! তুমি তো সারাক্ষন ফোন নিয়ে ব্যস্তই ছিলে ! ভদ্রজন কতবার তোমায় বল এই যে শুনছেন স্যার ! শুনছেন স্যার! তুমি তো শুধু তাকে হাত দেখালে মাত্র।  সে কি ! কখন? ওই তো, যখন তিনি তোমাকে ডাকছিলেন। উনি না থাকলে আমরা যে কোথায় থাকতাম কে জানে !  মানে ?  মানে আর কি তোমার মাথায় তো কিছুই ঢোকে না।  শুধু ফোন ফোন ফোন ! উফ পারিনা   বাপু  !                             ৬  বছরের ছেলেটার  কথা শুনে বাবা হু হু করে  হাসতে হাসতে চলে গেলো ঘরের বেডরুমে।  কিন্তু মাথা থেকে কিছুতেই তার খেয়ালটি পালিয়ে গেলো না।  ঘরে ঢুকেই ল্যাপটপ খুলে দেখতে শুরু করল যে তাদের ফেরার ডেট কবে ছিল।  আসলে তার মাথা থেকে সব হারিয়ে গিয়ে ছিল।  বাচ্চা ছেলে হলে কি হবে !  সে এমন ভাবে বলে গেল কেন

মমতা রায়চৌধুরী'র উপন্যাস "টানাপোড়েন" ১

ছবি
আজ থেকে শুরু হলো অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করবার মতো আকর্ষণীয়  মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" পড়ুন ও অপরকে পড়তে সহযোগিতা করুন   । টানাপোড়েন  ( ১ )                             রে খার সারাদিন এলোমেলো ভাবনার মধ্যে দিয়ে কেটেছে ।বৃষ্টি টাও আজ  যেন জাঁকিয়ে বসেছে। অন্যদিকে সুমিতা কাজে আসেনি। মনোজ বেরিয়েছে নিজের কাজে। কি আর করবে শরীরটা ঠিক আজ ভালো নেই ,না মন ভালো নেই। নিজেই বুঝে উঠতে পারছে না। কদিন ধরেই দীপ্তিদির কথা মনে পড়ছে। কোনোদিন ভাবতে পারিনি দীপ্তিদির এরকম অবস্থা হবে। বর যে ভালো নয়, কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। যদিও দীপ্তিদি সেভাবে কিছু স্পষ্ট করে বলে নি । দীপ্তি দির মারা যাবার পর এখন জানতে পারি। এত তরতাজা মেয়ের জীবনীশক্তি যে  এত দ্রুত ফুরিয়ে যাবে কে ভাবতে পারত? হঠাৎ করে পেটে ব্যথা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে বোঝা গেল সে ক্যান্সারে আক্রান্ত ।তাকে টাটাতে  রেফার করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয় ।যে কটা দিন সে বাঁচবে বাড়ির পরিবেশেই রাখার কথা বলা হয়। কিন্তু জানতে পারি ওই সময়ে হোটেলে থাকাকালিন দীপ্তিদির সঙ্গে ওর হাজবেন্ড যে কাজটি করেছিল সেটি মোটে

পরাণ মাঝি

ছবি
কর্পোরেট কান্না কর্পোরেট তোমাকে দেখেছিলাম রাতের নিয়ন আলোয়  তুমি কাঁদছিলে একান্ত আঁধারে  কিন্তু কেউ দেখতে পায়নি  এরকম অনেকেরই কান্না দেখেছি , আওয়াজ শুনতে পাইনি  না না এসব আন্দাজের কথা বলছি না  এই তো সেদিন একা একা পার্কে বসে সিগারেট টানা মেয়েটিকে দেখে বলেছিলাম  তুমি ও আমার সমানুপাতিক

কবি দেবাশিস সাহার এক গুচ্ছ এক লাইনের কবিতা

ছবি
  এক লাইনের কবিতা ১.গাছ আমার পূর্ব জন্মের মা।  ২.এতো ঈশ্বর আমাদের কোন কাজে লাগে?  ৩.  প্রেমের পথ সর্বদা মেঘলা।  ৪.  তোমার বীজতলা জুড়ে নানা রঙের পায়ের ছাপ।  ৫.  একটাই গ্লাস- কখনো দুধ কখনো মদ ৬.  তোমার সমুদ্রে আমি এক অন্ধ নাবিক  ৭.অন্ধকারে গাছ মায়ের প্রেমিক ৮.কবিরাজের স্পর্শ পেলে গাছ ঈশ্বর ৯.       কয়েনের ওপিঠে তুমি তাই দেখা হলো না  ১০.চাকাহীন গাড়ির নাম নদী  ১১.জোছনা সরে গেলে শংখ লাগে বিছানায় ১২.  সর্ম্পক একটি সাঁকো   ১৩.সর্ম্পকের বুকে নানা রঙের ঢেউ ১৪.   ডুবুরি অথচ পথহারা তোমার সমুদ্রে ১৫.  তুমি- কারো জায়া কারো মায়া ১৬. বহু রঙের আমি নিজেই মিছিল ১৭.   সানাই বাজলে পুড়ে যায় মনখারাপ ১৮.   কোনো কোনো পুরুষ ঘুম হন্তারক কেউ কেউ ঘুমের ঔষধ ১৯.  ঠোঁট লেখে চিঠি তুমি বলো চুম্বন ২০.   গন্ধের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে খিদে।  ২১। এতো ঈশ্বর  আমাদের কোন কাজে লাগে ২২।পাতাদের গ্রামে জেগে থাকে আমাদের আত্মা ২৩।মা - একটি রক্ষাকবচ ২৪.মৃত্যু র ডাক নাম জীবন ২৫.অন্ধ রাস্তা দিয়ে গড়িয়ে  যাচ্ছে ভালোবাসার রং