পোস্টগুলি

অক্টোবর ৫, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শারমিন সুলতানা রিনা

ছবি
মেলেনা হিসেব বিরহ আগুনে পুড়ে যদি মরি ভয় তাতে বলো কিসে তুমিতো থাকবে চিরকাল এই আমার ভূবণে মিশে  নিভৃত প্রেমের বিনিময়ে কেউ কখনো পেয়েছে সুখ তবু জ্বলে পুড়ে ভালোবেসে কেউ মিছেমিছি বাঁধে বুক  সেই কবে কোন এলোমেলো ক্ষনে  চোখ ছিলো টলমল সেই অশ্রুতে আজ পূর্ণ দীঘি ঝলমল করে জল  প্রেমিক হৃদয় হিসেব করে কি কখনো বেসেছে ভালো অনেক হিসেব মেলেনা জীবনে  যতো পুড়ে হোক কালো

নীলাচল চট্টরাজ

ছবি
অনন্তদর্শন  প্রকৃতি আমায় বলেছিলো তাদের কথা শুনতে প্রকৃতি আমায় শিখিয়েছিল তাদের কথা লিখতে প্রকৃতি আজ হাতের মুঠোয় অচেনা রূপ দেখছি অজানা তার বহু পরিবার হাওয়ায় পাখা মেলছি

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়,৬

ছবি
 চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় " আজ তৃতীয় দিন।  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।                     ঊদাসী মেঘের ডানায়                                                                                ( পর্ব ছয় )                      জ ঙ্গল ঘেরা গ্রামগুলি ঘুরে ঘরে দেখছে গ্রামের চাষের মাঠে আদিবাসি মেয়েরা লাঙ্গল টানছে নীলগিরি হিলস দেখে মনে হচ্ছে বিধাতার কি নিপূণ সৌদর্ষে নিজ হাতে সাজিয়েছেন এই অসামান্য প্রকৃতি সব ক্লান্তি ধুয়েমুছে এক ধরনের মগ্নতায় আচ্ছন্ন করে রেখেছেন,মনে জাগে রোমান্স। আদিবাসীদের ভাষা রীতিনীতি  সমাজ ব্যাবস্হার মধ্যদিয়ে এসব জায়গা কল্পকথার বিষয়বস্তুু জঙ্গলাকীর্ণ অন্ঝল এখানটায় কম চাষের মাঠ ও খুব কম কিছুটা যেনো শহরে রূপান্তরিত হয়েছে কেবল প্রকৃতির মনোলোভা দৃশ্যগুলো এখনো রয়েছে বিধায় পর্ষটকরা ছুটে আসেন। ঘুরতে ঘুরতে খেয়াল হলো সন্ধ্যার মুখে সূর্য চলে গিয়েছে,পাহারের কোল থেকে মেঘেরা উদাও পূর্ণিমা তার আগমনি বার্তা জানাচ্ছে

হামিদ সরকার

ছবি
কাব্যের দেহে সৌরভ   কবিতাকে নিয়ে সবাই মাতে রাত্রি কাটে কবিতারই সাথে, ঘুমকাতুরে জাগে সারারাত কাব্যেরবুকে প্রেমিকার হাত।  স্বপ্নে বিভোর কবিতার ঘ্রাণে অসমদোলা লেগেছে প্রাণে, শৃঙ্খল হৃদয়ে এলোমেলো ঝড় কী অদ্ভুত শক্তি কবিতা তোমার।  কবিতার দেহে বর্ণিল সৌরভ রাত্রিনিশিথে প্রাপ্তিতে গৌরব, রাগ-অভিমান কবিতার সাথে ধরা দিয়েছে জ্যোসনা রাতে।  চাঁদের আলোয় কবিতার স্নান আচমকা মেঘ করে দিল ম্লান। নগ্ন কবিতা সারা রাত্রি জুড়ে তৃপ্ত করেছে হৃদয় উজাড় করে। ১৫.৯.২০২১ প্রথম প্রহর।

রাবেয়া পারভীন এর ধারাবাহিক ছোট গল্প "কালো ক্যনভাস"শেষ পর্ব

ছবি
                                           কালো ক্যনভাস                                                                         ( শেষ পর্ব )  - এখন কি একটু সুস্থ বোধ করছেন? হঠাৎ প্রশ্নটি শুনে চমকে ইশতিয়াকের  মুখের দিকে তাকালো  নীলা। কোন উত্তর না দিয়ে  তীর্যক দৃষ্টিতে  ইশতিয়াকের  দিকে তাকাল সে। মনটা তেতো হয়ে গেছে তার। লোকটা কি নির্লজ্জ নাকি তাকে চিনতে পারেনি ?  কাকে জিজ্ঞেস করবে  নীলা ? ইচ্ছে করছিলো ইশতিয়াকোর দুই গালে কষে দুইটা থাপ্পর মারতে ।  দাঁতে দাঁত চেপে  কড়মড় করে তাকিয়ে রইল নীলা।  তাঁর কপালে বিরক্তির ভাঁজ পরেছে। ব্যাপারটা  লক্ষ্য করে  ইশতিয়াক একটু অপ্রস্তুত  হলো। সেও ভাবছিলো  মেয়েটি তার দিকেই বিরক্তি  প্রকাশ করছে কেন ?  ও আসলে কে ?  কত মেয়েকেই তো সে চেনে  ঘনিষ্ঠ ভাবে। সে কি তাদের কেউ ?  তবে যেই হোক  মেয়েটি কিন্তু দারুন সুন্দরী। একবার তাকিয়ে চোখ ফেরানো যায়না। মনে মনে একটু খুশিই  হলো  তাঁকে সহকর্মী  হিসেবে পেয়ে । সুযোগ বুঝে  একদিন  খুব করে তাঁর  রূপের প্রশংসা করতে হবে। কারন  রূপের প্রশংসা করলেই মেয়েরা গলে যায়। ইশতিয়াক কে নির্লজ্জের মত তাকিয়ে থাকতে দেখে  এবার নীলা মুখ খুলল - আমাকে 

গোলাম কবির

ছবি
প্রকৃত মানুষ     প্রকৃত মানুষ একলা ভীষণ,    সমুদ্রের এক একটি আছড়ে পড়া    ঢেউয়ের চেয়েও একা,    মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা    তালগাছের চেয়েও একলা ভীষণ!    প্রকৃত মানুষ মানেই দুঃখী মানুষ,    প্রকৃত মানুষ মানেই নিদ্রাহীন মানুষ,   প্রকৃত মানুষ মানেই এখন    সবার চোখেই ব্যর্থ মানুষ!

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ৫

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায়  লেখক  শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক   উপন্যাস  "বনফুল"                                                                       বনফুল                                                                             ৫ ম পর্ব                                        জুঁ ই গাড়িতে উঠে বসলো, কতরকম ভাবনারা দোল খেলে যাচ্ছে জুঁইয়ের মনে। পলাশের সাথে দেখা হওয়ার পর কোথা থেকে শুরু করবে ইত্যাদি।  এই ভেবে ভেবে কখন যে এজিবি পয়েন্ট চলে এসেছে জুঁই বুঝতেই পারেনি, ড্রাইভার বললো মেমসাব আমরা এজিবি পয়েন্ট চলে এসেছি, জুঁই বাস্তবে ফিরে এলো। জুঁই এদিক ওদিক দেখতে লাগলো পলাশ নির্দিষ্ট  পয়েন্টে এলো কি না, জুঁইয়ের চোখ পড়লো সামনেে গলির দোকানের পাশেই পলাশ দাঁড়িয়ে আছে। জুঁই ড্রাইভারকে বললো ঐ দোকানটা সামনে যান,পলাশের সামনে গাড়ি থামতেই জুঁই গাড়ির দরজা খুলে পলাশকে গাড়িতে উঠে আসতে বললো, পলাশ ও কোনো রকম সংকোচ না করেই জুঁইয়ের পাশের সিটে বসলো। জুঁই ড্রাইভারকে হাতিরঝিলে যান।  পলাশ বেশ আশ্চর্য হয়ে জুঁইকে দেখছে ….. এর আগে অনেক বার জুঁইকে দেখেছে কিন্তু জুঁই এতো সুন্দরী, সেটা

শহিদ মিয়া বাহার

ছবি
প্রেমের পরাগায়ন কে যায় উড়ে উড়ে উত্তরের বাউল চাদর দুলে দুলে তার সাদা সাদা মেলেছে পেখম আকাশের পয়ার গীতিকায় এঁকেছে নরমে  গীতিকাব‍্যের মাধবী চুম্বন। আহা এ যে শরতের মেঘ-ভেলা ভাসা  বাউল আদলে তরঙ্গ রাহাত যমুনার মতন! মেঘের শারদ লিপিকা নিয়ে ছুঁয়েছে আমায়  আশ্বিন বিকেলের মোহলগ্ন রোদ ছুঁয়েছে নদীর কিনারে  সাদা দোপাটি আঁচলে কাশেদের ইতিকথা বাতাসের মিলিত যাপন  ঐ নদী জলে ফেনাদের লাবন‍্য ছুঁয়েছে  হলুদ মিনজিরি ফুলের শিল্পীত কথন! নদী-জল সংলাপে উঠেছে মেতে সন্ধ‍্যামতি গাংচিল সমাগত সন্ধ‍্যার রূপোলী মায়ায়! উচ্ছাস মাতাল সুরে বেঁধেছে লহরী ধ্রুপদ  চাঁদের সানকিতে ধরে শরত-রাতের সুরমন্দ্র জোছনা  পরাগ  আরো কিছু রাত্রি নিশীথে যখন সরে যাবে সব কোলাহল আঁধারের রূপ ছুঁয়ে ছুঁয়ে হবে  ঐ দূর নীহারিকার মিটি-মিটি বাসর! তারাদের তখন থোকা থোকা প্রেমের  তুমুল পরাগায়ন!

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"২০

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।                                                     টানাপোড়েন ( ২০ )                                                             দুর্ভোগ                           ভো র পাঁচটার সময় হঠাৎই কলিংবেলের আওয়াজ। বেলটা বেজে চলেছে। রেখা মনোজকে বলল  'দেখ না কে এসেছে?" মনোজ ঘুম জড়ানো চোখে বলল  ' তুমি যাও'। রেখা জানে ঘুম কাতুরে মনোজকে ভোর বেলায় ঘুম থেকে তোলা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আবার কলিংবেল ক্রিং ক্রিং ক্রিং। কি ঝামেলা হলো বাবা ,সাতসকালে কে?হঠাৎই রেখা হুড়মুড় করে উঠে পড়ে।,তখনও চোখ দুটো ঘুমে আরষ্ট হয়ে আছে। তবুও রেখা বলে 'আ্যই মনোজ,একটু  ধাক্কা দিয়ে ।' মনোজ বলে উঠলো 'কি হল রেখা?' রেখা বলল ' নতুন কাজের মেয়েটা আসে নি তো?' মনোজ বলে ' যাও দেখো গিয়ে। বলেই আবার ওপাশ ঘুরে শুয়ে পড়ল।' রেখা বলল ' তা আমি কি মেয়েটাকে চিনবো নাকি?' 'মনোজ নাক ডাকতে শুরু করেছে।  রেখাকে  বাধ্য হয়ে উঠতে হলো।