পোস্টগুলি

জানুয়ারী ১০, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বিকাশ সরকার

ছবি
আত্মজীবনীর পরাবাস্তব থেকে থেকে করাত ও হাতুড়ির শব্দ আসে; আর শুনতে পাই চলন্ত র্যা দার মুখর গান গজালের বাক্সে মাথা রেখে শুয়ে আছে ভাই নধর দুপুর নিয়ে সে খেলছে আর রোদে রোদে পোড়ে ছুতোরের ছেলে সে-ছুতোর একজন জিশু খ্ৰিস্ট তখন আমি চলেছি তোমার পিছনে ঘাস পার হয়ে আরও কত মহাজাগতিক ঘাসে বন পার হয়ে অন্য বনে, এক ত্ৰাস থেকে অরণ্যনিবিড় অন্য কোনও ত্ৰাসে পার হয়ে যাই মধুবনি নদী, পার হয়ে যাই পাতাগুল্মলতাঘাসফুল তোমার সাথেই ছুটছি, তোমার পিছুই বিকাশ এক ভুল থেকে আর ভুল এরপর কী হচ্ছে জানো? উড়ে যাচ্ছে জামা কলার সাদা হয়ে আসা, দিনমজুরের এক মেরুন জামা  তার সেলাইছেঁড়া পকেট থেকে খসে পড়ছে কাগজ সে-কাগজ শূন্য পাতা সে-কাগজ না-লেখা সব বিরল প্ৰেমপত্ৰ সে-কাগজ কালু ডাক্তারের লেখা প্ৰেসক্ৰিপশন তখন আমি ছুটছি আর ছুটছি তোমার সাথে আংরাভাসা-ঠাকুরপাট দেওমালি থেকে ইনডং হয়ে লুকসান ছুঁয়ে ময়নাগুড়ি-বানারহাট আকাশে উড়ছে আজব পাখিরা, পাখাহীন তারা তবু তীক্ষ্ণ যত চঞ্চুময় জলা পার হয়ে অন্য জলা, তোমার সাথেই, ভয়ের পর আরেক ভয় আমি উড়ন্ত জামাকে বলি ফিরে এসো আমি উড়ন্ত পাখিদের বলছি ফিরে এসো উড়ন্ত প্ৰেসক্ৰি

লিমা সুলতানা মায়াবতী

ছবি
তোমায় খুব মনে পড়ে জানো আজ খুব বেশি মনে পড়ছে তোমার কথা,আজ খুব ভোরে যখন পাখির গানে ঘুম ভাঙ্গলো আমার,তখন চোখ খুলতেই ভোরের সূর্যটাকে দেখলাম। তখন কেন জানি মনে হলো সূর্যটাতে তোমার অবয়ব ভেসে উঠলো,জানো তখন আমার কি যে ভালো লাগছিলো। মনে হচ্ছিলো তুমি আমার সূর্য দেবতা বিশ্বাস কর তুমি সেটাই,আজ খুব বেশি মনে পড়ছে তোমাকে। ভোরের সূর্য যেমন আলো দিয়ে রাত্রিকে বিতাড়িত করে,ঠিক তেমনি যেন তুমি আমার সব দুঃখ কষ্ট মুছে দিয়ে একটি প্রভাত প্রভাময় সকাল এনে দিলে।

রুমা বিশ্বাস

ছবি
  অনুকবিতা নেশার মাদকতায় হইনি আমি আসক্ত, নির্লিপ্ত চোখের চাহনিতে আমি আমৃত্যু মাদকাসক্ত। রাতের নির্লিপ্ত অন্ধকার পেরিয়ে অস্ফুট কাব্য ব্যাঞ্জনায়, পৃথিবী দেখবো বলে আমার পরিশ্রান্ত ফোয়ারার মতো দুটি চোখ....

ছবি সিনহা বসু

ছবি
এমন দিন কি আসবে? রাজার কাপড় নেই তা জানি তবুও বলি সূক্ষ্ম অতি! ছেলেটা আজ হারিয়ে গেছে হারিয়েছে জনগণের মতি। যে আসে এই লঙ্কাতে সে হবেই হবে মহীরাবণ। জনগণ আজ আঙুল চোষে রাজনীতিকের সুখযাপন! বাঁদরের চাই মুক্তোমালা যতোই তুমি নারাজ থাকো। বিড়াল বলে মাছ ছোঁবনা গন্ধ শুঁকেই দিন কাটাবো! মূর্খ মন্ত্রীর শ্লোগানেতে  মঞ্চ জুড়ে ঝড় ওঠে! পেটের ভেতর বোমা মারলে ক অক্ষর  ফুটবে না যে! তাদের কতো মিটিং মিছিল  জনগণের ভাল ভেবে ! মূর্খ  নেতা তা দেয় গোঁফে এইবেলাতে গুছিয়ে নেবে। আঁতাত আছে তাদের মাঝে  আমরা কি আর বুঝিনা তা ! জনগণের কাঁধে চড়ে  তোমরা যে দেখাও কেতা। নীচের থেকে উপর তলায় শুধুই  ঘুষের কেরামতি। এমন দিন  আসবে কি আর যেদিন ফিরবে নেতার মতিগতি ?

মিতালি চক্রবর্তী

ছবি
সংকোচ পলাশচারা আছে তোমার আছে পদ্মের নাল তোমার সাথে পালাতে চাই একটা গোটা সকাল। বিল বাঁওরের আশে পাশে মাটির গভীরে ঘুমিয়ে যাব তোমার সাথে বৃষ্টি নিবিড়ে মাঠের মাঝে কেউ কেউ দেখে ফেলতে পারে তোমার আমার কথার টুকরো অসীম আব্দারে। ধরো, কোন ফলন্ত ক্ষেত উর্বরতার গানে তোমাকে আর আমাকে সামিল করতে চায় স্নায়বিক টানে,,, মাটিমাখবে বৃষ্টি ছোঁয়া রং এর আশকারা, আমাদের সঙ্গোপনের পিছুটানের তাড়া

গোলাম কবির

ছবি
কোথাও কেউ থাকে না "     কেউ কী আছে, বেঁচে?   ভালবাসা মরে গেলে!   না, কোথাও কেউ থাকে না!  ভালবাসা মরে গেলে পড়ে থাকে দীর্ঘশ্বাস,    থাকে সাপের খোলসের মতো   শুধুই নিরর্থক দেহ!   নিদ্রাহীন রাত, স্বপ্নেরা সব উধাও!  বিরক্তিকর একটানা অপেক্ষা করতে থাকা    শুধুই অনন্তের দিকে পাড়ি দেবার!   গহীন আঁধারে ডুবে গিয়ে সাপলুডু খেলা  স্মৃতির সমুদ্র তীরে বসে   আছড়ে পড়া ঢেউ এর সাথে!   আবার আসে দিন, আসে রাত!  ভালবাসা হারিয়ে গেলে   সত্যিই, কোথাও কেউ থাকে না!  সাপের মতো পরিত্যক্ত খোলসটাই   শুধু থাকে, আর কিছু নয়, কিচ্ছুই নয়!

মোহাঃ হাসানুজ্জামান

ছবি
  আমরা প্রবীন     আমরা তো চাই সম্মান মাত্র আর একটু সহানুভূতি- দিয়েছি তো মোরা সাধ‍্যমত ভূলেছে কি তাহা জাতি!   যখন তোমরা সদ‍্যজাত  করেছি তোমাদের যত্ন ভূলেছো কি তোমরা সেদিনের কথা তোমরা তো মোদের হৃদয়রত্ন। তোমরা চলো প্রগতির পথে মোরা চাই শুধু একটু স্হান সঙ্গে একটু পোষাক দিও  ঢাকতে শরীরের মান। ক্ষুধার টানে দুমুঠো অন্ন দিও বাঁচার তাগিদে প্রান- তোমরাও হবে প্রবীন একদিন তাই রেখো মোদের মান। আশির্বাদ তোমাদের সদাই করবো  পাবেনা কভূ ভয়- আমাদের একটু সম্মান করো জীবনযুদ্ধে সর্বদা তোমাদের হবে জয়।

প্রেমাংশু শ্রাবণ কবির

ছবি
  ভালোবাসার জন্মদিন এক কখন জানি জানালার পাশে বসে কবিতার বই হাতে বিকেলের গন্ধমাতাল। বুক ভরে বেখেয়ালি বাতাসের ঝড়, আর চিবুকে তোমার কিছু এলোমেলো চুলের আল্পনা। বাহিরে বৃষ্টি, ভেজা পাতায় ভেজা পাখির ঘর, উষ্ণ নিঃশ্বাসে ঝাপসা জানালার কাচ, ধোয়াটে আকাশে টুকরো মেঘ, ঘরের বাইরে আর এক ঘর। আর একদিকে-- আমরা যুবক যুবতী, ছুঁয়ে দেবার সংকোচে বিলীন। অনন্তকালের মুঠোয় কয়েকটি ভেজা মুহূর্ত!  অদ্ভুত ভাবে রাখা শিয়রে তোমার হাত, ঝলমলিয়ে ওঠা হাতের চুড়ি আর লাল,নীল,হলুদ বেলুনের সারি জানান দিচ্ছে আজ এই ঘরে উৎসব। আজ প্রেমের জন্মতিথি।  আজ থেকে বহুকাল আগে, গুহা মানবের রাত্রিরে, অথবা ঠিক এমনি বৃষ্টির ঝাপসা কোনো বিকেলে অথবা সন্ধ্যায় প্রথম কোনো মানব ভালোবেসেছিলো কোনো মানবিকে। ওরা প্রেমিক প্রেমিকা, বিবর্তনের উপহারে আমরা ভালোবাসার মোহ এনেছি, আমরা এনেছি এই পৃথিবীর জন্য স্পর্শকাতর প্রেমের ঐশ্বর্য।  ২ এভাবেই আমরা ------ এভাবেই আমরা চিরটাকাল পরস্পরকে  জড়িয়ে থাকবো তবু মিলবো না কিছুতেই। আমাদের চোখ দুটো দেখবে না আমাদের এতোটা দূরত্বে থাকবো যে জানবো না কখন তোমার দিন অথবা আমার রাত্রি! তোমার শূন্য হাত কখনো  থাকবে না খালি বরাবরের মতো নতুন

শ্যামল রায়ের একগুচ্ছ কবিতা

ছবি
  তোমাকে পেলে যা হতো তোমাকে পেলে এলোমেলো বাতাস হতাম  তোমাকে পেলে বরফের মধ্যে উষ্ণতা খুঁজে নিয়ে নির্মাণ করতে পারতাম একটি সুন্দর দেশ। তোমাকে পেলে যা হতো। তোমাকে পেলে খোলা জানালার পর্দা সরিয়ে দুচোখ দিয়ে শুধুই দেখতাম তোমাকে পাখি আছে আছে নামিদামি নানান গাছ চারিদিক শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ তোমার আঁচল পেতে দুজনা বসতাম আলতো করে ছুঁয়ে দেখতাম তুমি কেমন আছো? দুঃখের মধ্যে সুখ খুঁজে নিতে। তোমাকে পেলে যা হতো উষ্ণতা থাকলে এসব ভাবতে পারতাম তাই অপেক্ষায়---- সুন্দর দেশের জন্য তোমার মুখ দেখবো তোমাকে পেলে যা হতো আজও তাই ভাবি। অনুভব করি অনেকটা দূরে আর থাকতে ইচ্ছে করেনা রোজ গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যায় চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে এসব যন্ত্রণার মাঝে একটু শান্তি পেতে চাই তাই অনুভব করি খুঁজি ফিরি, অচঞ্চল মুখ সুন্দরতা ময় ফুলের বাগান। রঙ ছিলে প্রথম কথা বলার সময় তোমার নানান ধরনের রঙ ছিলো মনের অন্তর জুড়ে ছড়িয়ে দিতে আমি ভেসে বেড়াতাম ঢেউয়ের পর ঢেউ নিয়ে শুধুই উষ্ণতায় উষ্ণতায়। প্রথম কথা বলার সময় শুধুই ভালোবাসা দিতে মনের বৃত্ত জুড়ে। আজও দুঠোটের ছোঁয়া শুধুই স্পর্শ করে যায় দিন লিপির পৃষ্ঠা খুললে-----। সুখস্মৃতি স

ধীমানপূরবী

ছবি
 দুটি লিখিত গোলাপ ১।দুটি লিখিত গোলাপ শুয়ে শুয়ে ভেঙ্গে পড়ে বহুতল রাতে।তাতে তোমার অভিযোগ কোথায়.....? কোন উত্তর নেই। মগজ ভর্তি দিয়াশলাই দপ করে জ্বলে উঠল হঠাৎ বুকের পঙক্তি ছুঁয়ে বললে রাগ করেছ? কোন উত্তর নেই। ২।এ্যাস্ট্রের ধোঁয়ায় আজকাল নেশা হয়।নেশাটা বহুদিনের। ডাক্তার বলেছে আমার হৃদরোগ,যখন তখন মরতে পারি.... ৩।মোমবাতি আর আগুন খরচ করে ফেলেছি অনেক আগেই এখন রোজ বমি হয়.... ৪।কয়েকটা গুচ্ছগ্রাম জ্বালিয়ে রাখি যদি আগুন নিভে যায়? হৃদয় দারুন অসুস্থ। চোখ খাবার মতও আগুন নেই কোথাও,কখন কখন আগুন খুব দরকার মানুষকে বাঁচাতে.....