পোস্টগুলি

জানুয়ারী ২৩, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি সালমা খান এর কবিতা

ছবি
অধরা সালমা খান তুমি  যদি  হও নদী   তোমার  স্রোতের  ধারায় চলবে আমার  গতি দুকূল ভেঙে যায়  যদি, তবু  ও চলবো নিরবধি ।  তুমি  যদি  হও শিশির বিন্দু  ভোরের  আলোয় চুষে  নেব তোমার অশ্রু বিন্দু । ধুলাঝরা কুয়াশায় খেলবে রোদের পাতা মনের গহীনে লুকিয়ে  রাখি  বুক  ভরা  সব ব্যথা । যদি হও বৃক্ষ  ,আমার  নিঃশ্বাসে তোমার  নির্যাস । তোমার সবুজ  পাতায় জমানো রয়েছে আমার দীর্ঘশ্বাস ।  যদি  হও মৃত্তিকা তোমার  জঠরে শস্য দানা হয়ে  জড়িয়ে  রাখবো আমার  গায়ে । নিখাদ বিশ্বাস নিয়ে নির্জীব মাটির  রুক্ষতাকে সাজাই সরেস ফুলে। যদি হও শুষ্ক মরুভূমি  আমি  লু - হাওয়ায় ধুলো উঠা ঝড় , হয়ে, ভরিয়ে  দেব আকাশ  চূমি। ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণি  পাকে  কাটবে  আমাদের  বেলাভূমি । সমুদ্র হয়ে যদি  এসো   ঢেউ হয়ে তোমার বুকে ভাসবো  সারাবেলা  পর্যটক রা করবে ভিড়,শিশু রা  করবে খেলা । মাছের নেশায়, পাখিরা করবে  মেলা ।

কবি অভিজিৎ রায় এর কবিতা

ছবি
সাধন-সঙ্গী অভিজিৎ রায়  মৌনতা চরম ধর্ম!  এই মেনে চুপ আছ তুমি? নাকি এসব সাধনা? তুমি কি বলতে পারো বোষ্টমী? আমার সাধনসঙ্গী হবে বলে জন্ম নিয়েছিলে? অথচ ভরেছ মুঠো শুধু গর্ভ নিরোধক পিলে। যন্ত্রণা শব্দের আর ছন্দ চিনে মায়াবী পৃথিবী  ভিখারিকে প্রশ্ন করে, বল আর কী কী নিবি? চুপ করে আছে সব; চারপাশে কত লোভ, মোহ অথচ শব্দের খেলা হৃদয়ে চলছে অহরহ। এত কথা কোন পথে হারানোর রাস্তা খোঁজে জানো? তুমি কি সাধন সঙ্গী নাকি শুধু পথ হাতড়ানো?  শব্দ শুধু প্রশ্ন করে; উত্তর দেবে কি নীরবতা?  অথচ কান্নার দাম লিখে রাখে চেনা কথকতা।  অনন্ত মুহূর্ত নিয়ে গর্ব করে, যদিও মুহূর্ত  ঈর্ষার ডানায় ভর দিয়ে রোজ পরজন্মে উড়ত। ধাতব মাটির সুরে বেজে ওঠে সব আর্তনাদ  মৌনতার প্রবঞ্চনা নিয়ে বাঁচে সাধন-প্রমাদ।

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস ৯৭

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৯৭ অসহায়তা মমতা রায়চৌধুরী নদী উদভ্রান্তের মতো ছুটে এসেছিল নার্সিংহোমে। সমুদ্র দ্রুত বাইক চালিয়েছিল কিন্তু তাতে কি হবে ট্রাফিক জ্যাম ও প্রচুর।  নদী শুধু সমুদ্রকে বলতে লাগলো 'একটু তাড়াতাড়ি চল?' সমুদ্র বলল 'আমি চেষ্টা করছি তো বাবু।' নদী আপন মনে বিড়বিড় করে বলতে লাগল 'আমার জন্যই বোধহয় সবকিছু হলো।' সমুদ্র মেডিকেল কলেজ থেকে  ছুটে গিয়েছিল নদীকে ধরার জন্য ।তারপর দ্রুত বেগে গাড়ি নিয়ে উডল্যান্ড নার্সিং হোম এর দিকে।  রূপসার হঠাৎ ভীষণভাবে গল গল করে ঘাম  দেখে ঝরনা ঘাবড়ে  যায় ঠিকই কিন্তু দ্রুত ছুটে এসে বলতে থাকে 'বৌদি ,বৌদি ,কি হয়েছে তোমার? কি হয়েছে বলো ,একবার আমাকে বল?' রূপসার তখন বুকের ভেতরে একটা তীব্র যন্ত্রণা যেন কাঁকড়া বিছের  মত কামড় তার হৃদপিন্ডে বসিয়েছে। কোনমতে তার নিজের বুকটাকে হাত দিয়ে দেখাতে পেরেছে ঝর্নাকে। ঝরনা অত্যন্ত উপস্থিত বুদ্ধির অধিকারিণী। সে কাল বিলম্ব না করে তার বৌদির ফোন থেকে ফোন করেছে তাদের অফিসের বস মিস্টার মালহোত্রাকে।' রূপসার ফোন থেকে ফোন যেতেই মিটার মালহোত্রা অত্যন্ত প্রসন্ন কণ্ঠে বলেন 'হ্যাঁ রেস্ট

কবি আলেয়া ফয়সাল এর কবিতা

ছবি
বাবাদের ইতিকথা আলেয়া ফয়সাল নিয়ে কাঁধে সংসারের বোঝা  দাঁড়িয়ে যিনি থাকেন সোজা  বাবা তাঁর নাম।  সয়ে কষ্ট হাসি মুখে লুকিয়ে দুঃখ রাখতেন বুকে শ্রমে তাঁর রক্ত হয়েছে ঘাম। বাঁচতে ভুলে নিজের জন্যে আরাম, অবসর করে পণ্য বিকিয়ে দিতেন রোজ। কার,কখন,কি প্রয়োজন  সেই বিষয়ে সারাক্ষণ   ঠিকই রাখতেন খোঁজ।  ধরে হাল শক্ত হাতে  সামলিয়েছেন সংসার দিনেরাতে  উফফফ করেন নাই তবু। আশা-ভরসার শীতলছায়া  ছড়িয়ে দিতে স্নেহের মায়া   ক্লান্ত হয় নাই কভু। সকল বাবা থাকুক ভালো  সঙ্গে নিয়ে খুশির আলো  দুঃখ করুক জয়।  আছে  বাবা  যত আমার বাবার মত  যেন তাঁরা সেরা বাবা হয় !  বাবা তুমি ভালো  থেকো  ঐ  আকাশের বুকে।  মিস করি বাবা তোমায় আমি তুমি নাই বলে।

কবি জাবেদ আহমেদ এর কবিতা

ছবি
নবোদয়   জাবেদ আহমেদ  এই  বারবার শতবার লক্ষকোটি বার উদয় হও আমার আকাশে।  এই নিশিতে পূর্ণিমার চাঁদ শুভ্র তারা  প্রাণবন্ত সকাল হও। বেলিফুলের মালা হও বর্ষার আকাশে মেঘ কেটে হাসো। শরতের সকালে দূর্বাঘাসের উপরে ছিকছিক করো বসন্তের বাগে ফুল ফোঁটাও। নদীর খুলে জলমল জল হয়ে গীস্মে থাকো। বারবার সুখ ষাতনায় তোমারই নবোদয় হোক প্রাণের চাওয়া এই আমার নন্দিনী।  ভালোবাসা'র নবোদয় তুমি এই,,,শুনছো কি তুমি! অনুভূতির পাগলিনী।

শামীমা আহমেদ এর ধারা বাহিক উপন্যাস পার্ব ৫৫

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৫৫) শামীমা আহমেদ  রাহাতের সাথে কথা শেষ  করে তাকে বাসায় নামিয়ে ঘরে ফিরতে ফিরতে শিহাবের  প্রায়  রাত সাড়ে দশটা বেজে গেলো। সপ্তাহ শেষে   দুজনে  একসাথে আজ বেশ কিছুটা সময় কাটালো  "টেবিল টপ" রেস্টুরেন্টটায়। শিহাব রাতের মত কিছু খাবার খেয়ে নিয়েছে। সেখানে রাহাতকে ডিনার করাতে চাইলেও একেবারেই রাজি  করানো গেলো না।রাহাত জানালো,সারাদিনের ক্লান্তির পর সে বাসায় ফিরবে।মা আর শায়লা আপুর সাথে রাতের খাবার খাবে।শিহাব জানালো,আমার জন্যতো এখানে আর কেউ অপেক্ষায়  নেই। আমাকে এভাবেই জোড়াতালি দিয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে।এভাবেই মানিয়ে নিতে হচ্ছে। রাহাত শিহাবের কষ্ট  বুঝতে পারলো।তাকে আশ্বাস দিলো, শীঘ্রই আপু আপনার জন্য খাবার নিয়ে অপেক্ষায় থাকবে। দিনশেষে আপনি যখন ঘরে ফিরবেন আপু আপনার দরজা খুলবে। আপনাকে অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতে কাপড় এগিয়ে দিবে।আপনার পছন্দের খাবার রান্না করবে।আপনারা একসাথে বসে কফি খাবেন।একসাথে ঘুরে বেড়াবেন! রাহাতের কথায় শিহাবের চোখ চকচক করে উঠছিল!  সুন্দর আগামীর আশায় তার মনে স্বপ্নেরা উঁকি দিচ্ছিল।শিহাব বুঝতে পারলো হয়তো এতদিন সে রাহাতের মতই কাউকে মনে মনে খুঁজছিল যার

কবি সেলিম সেখ এর কবিতা

ছবি
গ্রামের ছেলে   সেলিম সেখ    ওই যে চলে গ্রামের ছেলে মেঠো পথ বেয়ে, মনের সুখে কাটায় দিন পল্লী গীতি গেয়ে। গ্রামের ওই পুকুরেতে  দিচ্ছে তারা ডুব, গ্রামের ছেলেরা মিলে  করছে মজা খুব। গ্রামের ওই ছেলেরা দেখি করছে কৃষিকাজ আজ, এভাবে দিন কেটে যায়  নেইকো তাদের লাজ। গ্রামের ওই রাস্তা ঘাট সবই তাদের চেনা, গ্রামের ওই ছেলেগুলো হয় যে দেশের সেনা। গ্রামের ওই গাছগাছালি মেটায় মনের সুখ, এভাবেই যায় গো দিন  থাকেনা কোন দুঃখ। গ্রামের ছেলের মনেতে থাকে না কোন খেদ, সকল কাজের পিছেই থাকে  তাদের উদ্যম-জেদ। গ্রামের ছেলে বলে আজ  করছো তাদের হেলা, ভেবে দেখো ওদের সাথেই  কাটিয়েছ শত বেলা।

মনি জামান এর ধারাবাহিক উপন্যাস ৫ম পর্ব

ছবি
উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল (৫ম পর্ব) মনি জামান নিলয় আর মেবিন সারাদিন ঘুমিয়ে সন্ধ্যার একটু আগে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে তারপর চারুর সাথে বের হলো ওরা তিনজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে দুটো রিক্সা ডেকে রিক্সায় উঠে পড়লো চারুঃ নিউ মার্কেট মোড় যাবো,কিছুক্ষণ পর ওরা তিনজন রিক্সা থেকে নেমে শহরের একটি কফি হাউজে ঢুকলো,ঢুকেই চারু মেবিন ও নিলয় একটি টেবিলের পাশে চেয়ারে বসলো। চারু তিনটে কফির অডার করলো বয় একটু পর কফি দিয়ে গেলো,ওরা কফি খেয়ে আবার বের হলো কফি হাউজ থেকে, তারপর শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরলো ঘুরতে ঘুরতে সময় কখন পার হয়ে গেল ওরা বুঝতেই পারিনি। চারুঃ ঘড়ি দেখে বলল অনেক রাত হয়ে গেছে মেবিন,চল বাড়িতে যায় মা আবার অস্থির হয়ে পড়বে কালকে দিনের বেলায় এসে আমরা আবার ঘুরবো। মেবিনঃ চল চারু বলেই ওরা বাড়িট দিকে রওনা হলো,কিছুক্ষণ পর রিক্সা থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করলো তখন রাত নয়টা বাজে।বাসায় এসে ওরা যার যার মত ফ্রেস হয়ে সোফায় এসে বসলো,চারুর মা ওদের খেতে ডাকলো ওরা খাবার টেবিলে এসে বসে পড়লো অনেক খিদে পেয়েছে মেবিনের। চারুর মা খাবার টেবিলে খাবার পরিবেশন করলো,চারু ওর মায়ের সাথে নিলয় ও মেবিনের সম্পর্কের কথা নতুন কর