২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"১৫

কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন "। 




                       টানাপোড়েন (১৫)

                                 সুখের মাঝে চোরা দুঃখ


সারা রাস্তা রেখা শুধুমাত্র সোমদত্তার কার্যকলাপ নিয়ে ভেবে আসছিল, আরো ভেবে একসার হচ্ছিল পার্থ এমন কি করেছে ,যার জন্য তাদের সাত বছরের সংসার ভেঙে চুরমার হয়ে গেল, তাসের ঘরের মতো। মেয়েরা তো সবকিছু মানিয়ে নেয়। সোমদত্তা অন্তত ছেলেটির কথা চিন্তা করে তো পারতো ,সংসার টিকিয়ে রাখতে। পার্থর চোখের জল দেখে তো মনে হচ্ছে না ,যে পার্থর ভেতরে এমন কিছু অপরাধবোধ আছে; যার জন্য সোমদত্তা ওকে ছেড়ে দিচ্ছে। ওর চোখের অভিব্যক্তি দেখে তো বোঝা যাচ্ছে সোমদত্তাকে  কতটা ভালবাসে। চোখ বুজে এই ভাবনাগুলোই রেখাকে কুকুর তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। মনোজ রেখাকে আলতো করে ধাক্কা দিয়ে বলল  'রেখা নাও নেমে পড়ো  ।বাড়ি এসে গেছ।'
 রেখা বলল  'ও এসে গেছি ।চলো।'
মনোজ বলল ''তুমি যাও। তোমাকে আজ খাবার করতে হবে না ।আমি হোম ডেলিভারি অর্ডার দিচ্ছি ।এসে দিয়ে যাবে। কি খাবে বল? বিরিয়ানি অর্ডার দেব?
রেখা বলল 'আমি কিছু জানি না। যা ভালো বোঝো তাই করো। '
মনোজ বলল  তুমি  বিরিয়ানি খেতে ভালোবাসো তো। তাই দুটো মটন বিরিয়ানি অর্ডার দিয়ে দিলাম সোনা। আর শোনো কোন ঘরের কাজ এখন তোমায় করতে হবে না। কালকে আমি ছুটি  নিয়ে পুটুর বাড়িতে যাব ‌। ও যদি কাজে না আসে তাহলে, অন্য ব্যবস্থা করে আসব ।ঠিক আছে। তুমি একটু ফ্রেশ হয়ে পারলে একবার রিম্পাদিকে ফোন করে নাও ।এতবার করে ফোন করেছে তো ,খারাপ দেখায়।'
রেখা মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়।'সত্যি মনোজ খুব কেয়ারি।এজন্যই তো কখনো রেখা অন্য কোন কিছু ভাবতে পারে নি ।জীবনে তো তার কম প্রপোজাল আসে নি ।কি বিয়ের আগে, কি পরে। হ্যাঁ মনোজের ভেতরেও কিছু নেগেটিভ গুন আছে কিন্তু ওর যা পজিটিভ গুন আছে তাতে সব ঢাকা পড়ে যায়। আর তাছাড়া এটাই তো জীবনে বড় জিনিস যে মানিয়ে নেওয়া।'এত অবসাদ এত ক্লান্তি তার পরেও মনোজের দিকে হেসে তাকিয়ে রেখা ঘরে ঢুকে গেল।
মনোজ পার্থকে ডেকে বলল ' কত দিতে হবে?'
পার্থ বলল ' আপনি তো জানেন দাদা। দিন না ।আপনাদের সঙ্গে কোন অসুবিধা হয়েছে কোন ব্যাপারে।'
মনোজ হেসে বলল 'আচ্ছা ,ঠিক আছে। রাখ । বলে ভাড়া মিটিয়ে দেয় ।
পার্থ হেসে বলে ' দাদা ,বৌদির কোন অসুবিধা হয় নি তো রাস্তায় ?আসলে নতুন ড্রাইভার ছিল তো আর বৌদি বরাবর হাদুর গাড়িতে যাতায়াত করেছে ।ফলে বৌদি একটু ভয় পাচ্ছিল ।'
মনোজ ব্যাঘ্র ভাবে বলল 'না, না ।কোন অসুবিধা হয় নি ।খুব ভালো ড্রাইভার।ঠিক আছে অনেক উপকার করেছ পার্থ ভাই।'
পার্থ বলল 'না ঠিক আছে দাদা ।এটা তো আমাদের ডিউটি।'
মনোজ পার্থর হাতে হাত রেখে বলল 'ঠিক আছে পার্থ ।অন্য সময় এসো। আমি একটু ফ্রেশ হয়ে নিই কেমন।তোমার কিন্তু চা পাওনা রইল।'
পার্থ হেসে বলল 'ঠিক আছে দাদা ।আসুন।'
মনোজ  ঘরে ঢুকেই রেখা ,রেখা ‌‌..খা.আ..আ ডাকতে লাগল।
বাথরুম থেকে রেখা সাড়া দিলো  'কি বলছ..? '
মনোজ বলল 'ও আচ্ছা ,ঠিক আছে ।আজকে স্পেশাল কফিটা আমি বানাবো তোমাকে করতে হবে না।'
রেখা বলল ' কেন তুমিও তো টায়ার্ড না? '
মনোজ বলল 'ঠিক আছে। আজকে আমি করি না ? আজ কফি খেতে খেতে গল্প করবো ।মনে হচ্ছে যেন তোমার সঙ্গে বসে গল্প করি।'
রেখা বাথরুম থেকেই সাড়া দিলো ' ঠিক আছে।'ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে রেখা টাওয়াল দিয়ে চুল মুছতে মুছতে এসে বলল 'তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও ।আমি সন্ধ্যেটা দিয়ে দিই।'
মনোজ   বললো  'ওকে ম্যাম। জো হুকুম (চিবুক ধরে)। 
রেখা হেসে ফেলল আর বলল 'যাও যাও যাও।'
মনোজ বাথরুমে ঢুকতে গিয়ে আবার ফিরে এসে বলল  ' একটা কথা বলবো রেখা ?'
রেখা বলল 'হ্যাঁ ।বলো না ,কি বলবে?
মনোজ'বলল 'তুমি কখনও সমুর মতো বলবে না তো ,আমাকে ছেড়ে দেবে? '
রেখা অবাক ও জিজ্ঞাসু কন্ঠে বলল 'এমনি মন মেজাজ ভালো নেই ।তার মধ্যে তুমি অলক্ষুনে কথা কেন বলছ? '
মনোজ বলল  'না  চিন্তা হয়।'
 রেখা বললো  'যদি তাই হয়। তুমি নতুন করে নিজের জীবনটাকে সাজাবে ।তুমি অন্যের জন্য কেন নিজের জীবনটাকে স্যাক্রিফাইস করবে?'
মনোজ  কেমন অবাক হয়ে যায়। সে ভাবতে পারে নি এ ধরনের কোনো কথা শুনবে। বলে-' না ,না ,রেখা ।আমার জীবনে একজন ই  রেখাপাত করেছে ।সেটা তুমি ভালোই জানো। আমার মাথায় হাত রেখে বলো কখনো এসব কথা বলবে না । একদম কাছে গিয়ে মনোজ রেখার হাত দুটি ধরে হাঁটুগেড়ে মিনতি জানায়।'
রেখা বলল  'বাহ রে ,আমি কোথায় বলতে গেলাম। তুমি বললে, তাই বললাম। আর আমাকে কি পাগলা কুকুরে কামড়েছে? '
মনোজ বলে 'আসলে সমাজ ,পরিস্থিতি, সময়,মন, মানুষকে কোথায় কখন নিয়ে যায় কে বলতে পারে বল রেখা ? আরও বলল যে  সমুর কথা কখনো ভাবতে পেরেছ?'
রেখা একটু রেগে গিয়ে বলল  'ওর মতো বাজে মেয়ের কথা  ছাড়ো।নিজের বোন বলে নয় ,সত্যিই চিরকাল এমন কি  আমার সঙ্গে হিংসে করে এসেছে। কাকু কাকিমা আমাকে একটু ভালবাসত বলে। যাও আমার সন্ধ্যে দিতে দেরি হয়ে যাবে। তুমিও ফ্রেশ হয়ে নাও।' সদ্য স্নান করে রেখার চুলে তখনো জলটা লেগে রয়েছে ।একটা অসাধারণ তৃপ্তি, স্নিগ্ধ ভাব ওর মুখে মুখে চলে যাওয়ার সময় জলের ছিটে মনোজের  চোখে মুখে ছড়িয়ে গেল । এখনো যেন আগের মতো পাগল হয়ে যায়।আর যতবার দেখে ততবার রেখাকে মনে হয় যেন , ওকে নতুন করে আবিষ্কার করে।এই দুটো দিন বাড়িতে না থাকার জন্য যেন মনে হচ্ছে কত যুগ রেখাকে দেখে নি ।কেন হয় যে ওর এরকম তার সে জানে না ,ভাবতে ভাবতে মনোজ বাথরুমে চলে যায়। ফ্রেস হয়ে বেড়িয়ে ব্ল্যাক কফি করে নিয়ে আসে ।তখন রেখা ঠাকুর ঘর‌ থেকে সদ্য পুজো করে বেরিয়েছে ।ওকে হাত দুটো ধরে সোফায় বসিয়ে দিয়ে  কাপটা সামনে ধরে।'
রেখা কেমন যেন ফুরফুরে হয়ে উঠল ক্ষণিকের জন্য ।এই কফির গন্ধে যেন মাথা ধরা ছেড়ে গেল সে‌ thanks জানাল।
 মনোজ  বলল ' এত ফরমালিটি কেন?'তখন হেসে বলে না না না সরি লটস অফ লাভ। ক্ষণিকের জন্য যেন কেমন হয়ে গেল রেখাকে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে বুকের কাছে টেনে নিল বলল  এই ভালোবাসা থাকুক নিরন্তর তোমার আমার জন্য ,বলে গাল দুটো টিপে দিল আর নাকে নাক ঘষে দিল। রেখাও যেন কেমন হয়ে গেল ও  যে অবসাদ, ক্লান্তি ,অনুভব করছিল এক নিমিষে মনোজ সবকিছু যেন দূরে সরিয়ে দিল। মনোজ  রেখাকে আদর করে বারবার ডাকতে লাগলো আর চুম্বনে চুম্বনে ভরিয়ে দিল। মনোজ যেন অনুভব করে রেখার পা গরম হয়ে উঠছে ,হাত উষ্ণ।মনোজের ভেতরে যেন আরো ব্যাকুলতা বেড়ে যায়। তার শুধু মনে হয় সে রেখাকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায় সুখের সাগরে। যেখানে তারা দুজন সাঁতার কাটবে। এমনি সময়ে আবার ফোন বেজে ওঠে। ফোনটা রিসিভ করতেই ভেসে আসে রিম্পাদির গলা'রেখা তুই ঠিক আছিস?
'হ্যাঁ রিম্পাদি 'রেখা বলে।
রিম্পাদি বলে ' যাক তাও ভাল। কি করছিলি ?তার আগে কতবার তোকে ফোন করেছি। তুই তো জানিস তোর গলা শুনতে না পারলে আমার ভালো লাগে না।
সত্যিই যে বিষাদ যে দুশ্চিন্তা তার মনকে  গ্রাস করেছিল ।সেজন্যেই সে রিম্পাদির ফোনটা রিসিভ করে নি।।এখন যেন সে একটা আলাদা সুখ অনুভব করছে সেই মানুষটির জন্য। তার স্বামী মনোজ সেই পারে রেখাকে আদরে যত্নে সোহাগে তাকে ভরিয়ে দিতে।
 রিম্পা দি আবার বলে কিরে তুই বেশি কথা বলছিস না? 
রেখা অনুভব করে আর জন্মে রিম্পাদি যেন রেখার দিদি ছিল। তা না হলে এই আত্মিক সম্পর্ক কখনো গড়ে উঠত না। তাই রিম্পা দি  চলে যাওয়ার ঘটনাটা তাকে সুখের মাঝেও বড্ড পীড়া দেয়। রেখার জীবনের সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয় নি। সর্বদাই তার ভয় যাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে উঠতে থাকতে চেয়েছে, তারা সবাই তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে গেছে। এখন চলে যাবে রিম্পা দি। ভাবতেই রেখার চোখে জল চলে আসলো সে চোখ মুছে নিল তারপর বলল  'তোমাকে পরে সব বলব।
রিম্পাদি ।ঠিক আছে ভালো থাকিস ফোন রাখছি।
বুক জোড়ায় অশান্ত অন্ধ সংগ্রাম যেন রেখাকে কুরে কুরে খেতে লাগলো। রেখা ডাইনিং টেবিলে এসে বসলো এতক্ষণ ধরে তার যে কান্নার বাদ চেপে রেখেছিল সেই বাঁধ ভেঙে যেন কান্না ছিটকে বেরিয়ে আসতে চাইছে টেবিলে মাথা রেখে সে প্রায় কেঁদে উঠলো। ওদিকে মনোজ এসে রেখাকে বলল ' কি হয়েছে রেখা? তুমি আমার সঙ্গে শেয়ার করো।রেখা উঠে গিয়ে জানলার কাছে দাঁড়িয়ে যতটুকু আকাশ দেখা যায় সেটুকু দেখার চেষ্টা করছিল তার মনে হয়েছিল আজকের আকাশে যেন দীপ্তিময়ী নয়। রেখার চোখ ভিজে ।হঠাৎ মনোজ এসে তাকে কাছে টেনে নিল ।রেখা ঝাঁপিয়ে পড়ে মনোজের বুকের উপর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে ।সোমদত্তাকে নিয়ে যে ঝড় উঠেছে সেই ঝড়ে এক পশলা বৃষ্টি কি পার্থর জীবনটাকে ভিজিয়ে দেবে? রুক্ষ শুষ্ক প্রাণ কি আবার সজীব  হয়ে উঠবে? আশেপাশের যারা আছে. তারা কি সেই আনন্দযজ্ঞে সামিল হতে পারবে?তার সুখের মাঝে চোরা দুঃখ কি এভাবেই থেকে যাবে?





       অলঙ্করণ : সানি সরকার 


ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"১৫ ক্রমশ

আমিনা তাবাসসুম




মায়া চাদর 
 


আস্কারা নিয়ে যায় ভুল পথে
যেখানে ভূমিষ্ঠ হয় মিথ্যে শব্দ
কল্পনার দূষিত বাহুডোর!

অথচ এ অন্ধকার নিবিড়তা ডাকে
লুব্ধ চাতকের মতো...

বেলাশেষে জন্ম নেওয়া এ চাঁদের
সব আলো জীবন দেয় না
যেটুকু নিঃশেষিত
যেটুকু ছুটে আসে ভোর

তাতে মিশে থাক কোনো লালদীঘি
কোনো মায়া দীঘল চাদর।




     অলঙ্করণ : প্রীতি দেব 

সুবর্ণ রায়



সম্পর্ক 


সম্পর্ক অহেতুক এক মাত্রা-- 
মায়া আর বিস্তারেই সব ঘনত্ব। 
ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যেখানে যেখানে 
আমি হ্রস্ব আর দীর্ঘ নিঃশ্বাসে 
কাটিয়ে গেলাম সম্পর্কহীন এক গরমিলের বেঁচে থাকা।


               অলঙ্করণ : প্রীতি দেব 

রাবেয়া পারভীন এর ধারাবাহিক ছোট গল্প "কালো ক্যনভাস" ৩য় পর্ব

  নতুন  ধারাবাহিক "ক্যানভাস "
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন  লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম এই লেখার আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।  





কাল ক্যানভাস / (য় পর্ব)

 
                                     নীলার মনে হচ্ছিল  পায়ের নীচে মাটি  দুলছে। এই সেই লোকটা, নীলা ঠিক চিনে ফেলেছে। চেহারাটা একটুও বদলায়নি।  শুধু মোটা হয়েছে আর কপালের  দু পাশে চুলে পাক ধরেছে। চোখে মোটা ফ্রেমের  চশমা।  অধ্যক্ষ সাহেব পরিচয় দিলেন।
- ইনি  জনাব ইশতিয়াক  আহমেদ,  রসায়ন পড়ান।
নীলার তীর্যক দৃস্টির সামনে বিব্রত বোধ করলেন ইশতিয়াক সাহেব। থতমত খেয়ে বললেন,
- আপনি বসুন নীলা।
নীলা  পাথরের মূর্তির মত দাঁড়িয়ে রইল। খুব অবাক হয়েছেন অন্যান্য  শিক্ষকেরা  একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করলেন। নীলার  ডানদিকের চেয়ারে বসা  অধ্যাপিকা নাজনীন আক্তার  তিনি হাত ধরে টান দিয়ে নীলাকে চেয়ারে বসিয়ে দিলেন।
-বসুন তো  এখানে।  আপনার কি শরীরটা খারাপ ? ইশ্ !  ঘেমে  গেছেন দেখছি।
তারপর তিনি উচ্চকন্ঠে  পিয়ন কে ডাকলেন
- এই তাজুল। একগ্লাস পানি নিয়ে এস।
পিয়ন পানি নিয়ে এলে গ্লাসটা  নীলার ঠোঁটের কাছে তুলে ধরল  নাজনীন।
- এই নিন  পানিটা  খেয়ে নিন।
গ্লাসটা হাতে নিয়ে ঢক ঢক  করে এক চুমুকেই সবটুকু পানি খেয়ে নিল নীলা। তারপর নাজনীনের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলল
- সরি মেডাম।
প্রত্যুত্তরে  নাজনীনও হাসলেন
- ঠিক আছে ন তো ?
হ্যাঁ সূচক  মাথা ঝাঁকালো নীলা।
- যাক বাঁচালেন , খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। প্রথম দিনেই এই অবস্থা । এবার বলুন তো  ভয় পেয়েছেন  কেন ?   
নীলার মন থেকে অস্বস্তি  তখনো দুর হচ্ছিল না। 
  


      অলঙ্করণ : সানি সরকার 

                                                                                                                               চলবে ...।

জাফর রেজা'র ছোট গল্প "ক্ষণিক বসন্ত "৫

     
স্বমহিমায় লিখে চলেছেন নতুন ধারাবাহিক লেখক জাফর রেজার ছোট গল্প "ক্ষণিক বসন্ত 
মতামত দিন  আপনাদের  একটি  কমেন্ট লেখকের ১০০ লেখার  সমান মূল্যবান। 



                  ক্ষণিক বসন্ত 
                                                                                  ৫ম   পর্ব 


                ফোনের শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো, বুলার ফোন। 
বললাম আমিই কল দিতাম ভাবলাম আপনি হয়তো ব্যাস্ত তাই আর দেইনি।
-- তেমন ব্যাস্ত না, রান্না শেষ করে  দেশে মায়ের সাথে কথা বলছিলাম, আপনার ঘুমের প্রয়োজন তাই কল । এখন কেমন লাগছে ? 
-- আগের চেয়ে অনেক ভালো।
-- সকালে অফিসে যাবার সময় দেখে যাব। খাবার সব সাজিয়ে রেখেছি শুধু ওভেনে গরম করে নেবেন। খাওয়ার পর সাইড টেবিলে যে ট্যাবলেট রেখে এসেছি সেটা খাবেন তারপর দুধ। 
-- বুলা এতো অত্যাচার কেন ? 
-- হেসে বললো, অত্যাচার!   অত্যাচার তো এখনো শুরু হয়নি। আর কোন কথা নয় এবার খেতে যান, বুলা ফোন রাখলো না, কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো একটা প্রশ্ন করি ? 
-- করুন।
-- আপনার শরীর যে এতো খারাপ 
আমাকে জানাননি কেন ? 
- কাউকে কষ্ট দিতে আমার ভালো লাগে না বুলা,
অনেকটা অভিমানী কণ্ঠে বল,  আমি কে, আমি কি অন্য কেউ।
বুলা আপনি রাগ করেছেন ? 
-জানিনা, মনে রাখবেন এখন থেকে আর এলোমেলো জীবন নয়, আমি আপনার জীবনটা গুছিয়ে দেবো, জানেন গতরাতে খুব চিন্তা হচ্ছিল, লোকটা গেলো কোথায়, একটা কলও করলো না, জানিনা কখন যে চোখে জল এসে পরেছিল। অনেক হয়েছে এবার ঘুমান, সকালে কি খাবেন       
..বুলা আপনার কষ্ট করে আসার দরকার নেই, আমি কিছু একটা খেয়ে নেব।
__ আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করেছি কি খাবেন।
__ কিছু একটা হলেই হলো। 

বুলা এলো ওর সহজাত স্নিগ্ধতা নিয়ে, কপালে হাত রাখল, বলল__ জ্বর নেই। এখন ঝটপট খেয়ে নিন আমার অফিসে যেতে হবে, ও হ্যা টিকেট কেটেছেন ? 
__ এখনো কাটিনি, তবে সিট বুকিং হয়ে গেছে, কেন বুলা ?
__ আপনি কয়েকদিন দেশের থেকে ঘুরে আসুন, ভাল লাগবে।
__ বুলা আমি কাল অফিসে যাব।
বুলা মিনতি ভরা গলায় বলল কাল না গিয়ে পরশু গেলে হয়না।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম, ও ব্যাস্ত ছিল আমার খাবার নিয়ে, হায়রে মমতাময়ী নারী।
__আমি চললাম, বিকালে এসে শরীর মুছে দেব।
বুলা চলে গেল। 

একটু দেরি করেই বুলা এল।
দরজা খুলে যাকে দেখলাম সে আমার পরিচিত বুলা নয়, এ অন্য এক বুলা। এই প্রথম ওকে আমি শাড়ি  পড়া  দেখলাম, সাধারণ শাড়ি,  সামান্য সাজ। আমার মনে হল যে আমার সামনে দাঁড়িয়ে সে আমার সমস্ত সত্বাকে, অনুভুতিকে অবশ করে দিয়েছে, পৃথিবীর সব রূপ  নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল__ অফিস থেকে বাসায় গিয়েছিলাম, স্নান সেরে এলাম, আজ একটু বেশি সময় থাকব।
আমি তখনো ওকে মুগ্ধ চোখে দেখছিলাম, বললাম __ আপনি শাড়ি  পড়েন না কেন ?
__ হেসে বলল, এখানে এতো ঠান্ডায় শাড়ি পড়ে কি চলা করা যায়।
__ বুলা আপনার সাথে আমার আরও আগে দেখা হলনা কেন।
__ আবারো হাসি, আগে দেখা হলে কি হত ?
__ কি হত জানিনা, তবে জীবনটাকে নিয়ে অন্য ভাবে চিন্তা করতে পারতাম।
আমার পাশে এসে বসল, বললো ভাবার সময় শেষ হয়ে যায়নি জীবন আপনি যখন থেকে শুরু করবেন, তখন থেকেই শুরু হবে, মনে করুন অন্য আর একটি নতুন জীবন শুরু হয়ে গেছে।
বুলা কফি নিয়ে এল।
ও বেশ কিচ্ছুক্ষণ চুপ করে রইলো।
__ কবে যাচ্ছেন ? 

দেশে যাবার দিন বারন করা সত্তেও বুলা এয়ারপোর্টে এলো। বোডিং পাস নিয়ে বললাম__ ভাল থাকবেন।
_ শরীরের উপড় অত্যাচার করবেন না, কবে আসবেন ? 
আমি চার সপ্তাহের জন্য যাচ্ছি, মনে হয় থাকতে পারবনা, ওর একা সামলাতে অসুবিধা হবে ( আমার পার্টনারের কথা বললাম)।
বুলা হঠাৎ গম্ভীর হয়ে গেল।
__ আপনি হঠাৎ  চুপ হয়ে গেলেন কেন।
__ কিছুনা এমনিই।
__ না, বুলা কিছু একটা হয়েছে, আমাকে কি বলা যায়না ?
বুলা মাথা নিচু করে বলল__ শুধু কি ব্যাবসার জন্যই তারাতাড়ি  আসতে হবে ?
আমি হেসে ফেললাম__ না শুধু ব্যাবসার জন্য নয়, অন্য কারণ আছে, আর সেটাই বেশী জরুরী।
__ কি কারন।
__ এই প্রশ্নের উত্তর আপনার কাছেই আছে, নিজেকে নিজে প্রশ্ন করুন উত্তর পেয়ে যাবেন।
বুলা আমাকে এখন যেতে হবে, শেষ কল করা হয়ে গেছে, আমি যাই। 



          অলঙ্করণ : সানি সরকার 

                                                                                                                                                চলবে....

মোঃহা‌বিবুর রহমান এ‌র লেখা "সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা"১০

ঘরের ভিতর থেকে কবি ধরেছেন দৃশ্যকথা গদ্যের ভাষায় ধারাবাহিক ভাবেই প্রকাশিত হয়ে চলেছে তাঁর অসাধারন সৃষ্টি। লিখতে সহোযোগিতা করুন লাইক ও কমেন্ট করে । পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল পাঠক পাঠিকা লেখক লেখিকা সকলের জন্য রইলো অনন্ত শুভেচ্ছা




সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা 
                                                                                              (১০ম পর্ব)


স্বামী স্ত্রীর দম্পতি সম্পর্ক নিয়ে কবি সাহিত্যিকগণ যে কত ধরনের মজার মজার বাণী ও উ‌ক্তি উপহার দিয়েছেন তার কোন ইয়ত্তা নেই।

বিশ্বক‌বি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব‌লে‌ছেন, "যে স্বামী সকালে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট জড়িয়ে ধরে রাখে তাঁর কর্মক্ষেত্রে বিপদের আশংকা থাকে কম"। সুনীল গঙ্গপাধ্যায় ব‌লেন, "স্ত্রীদের যথেষ্ট পরিমাণে সময় দিন, নাহলে যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্বাস করুন। সংসার আর যুদ্ধক্ষেত্র মনে হবে না" ।

‌বি‌দ্রোহী ক‌বি কাজী নজরুল ইসলাম উ‌ক্তি করেন, "সেই কাপুরুষ যে স্ত্রীর কাছে প্রেমিক হতে পারেনি"। আবার সত‌্যজিৎ রায় ব‌লেন যে, "প্রতিদিন একবার স্ত্রীকে ”আমি তোমাকে ভালোবাসি” বললে মাথার সব দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায়"।

সম‌রেশ মজুমদার ব‌লেন "স্ত্রীকে সপ্তাহে একদিন ফুচকা খাওয়াতে এবং মাসে একদিন ঘুরতে নিয়ে গেলে স্বামীর শরীর সাস্থ‌্য ভালো থাকে"। 

বড় বড় বিশ্বন‌ন্দিত ক‌বি সা‌হিত‌্যকগণ এভা‌বেই স্বামী ও স্ত্রী তথা সহধ‌র্মিণীর সম্পর্ক রক্ষার বিষ‌য়ে নানা ধর‌নের হাস‌্যরসাত্মক উ‌ক্তি ক‌রে‌ছেন। আস‌লে ভাল ব‌্যবহার ও আচর‌ণের কোনই বিকল্প নেই। বি‌শ্বের বড় বড় শ‌ক্তিশালী দেশগু‌লির ম‌ধ্যে পরস্পর সুসম্প‌র্কের অভাবে তা‌দের ম‌ধ্যে মা‌ঝে মা‌ঝে নানা টানা‌পে‌ড়েন দেখা দেয়। আর বি‌শ্লেষণ কর‌লে দেখা যা‌বে যে, দুদু‌টি বিশ্বযু‌দ্ধের অন‌্যতম কারণটিও হ‌লো বোধ ক‌রি দেশগু‌লোর ম‌ধ্যে সুসম্পর্কহীনতা।

আজ‌কের পর্বটি লেখার সময় সহধ‌র্মিণী একনজর প‌ড়ে মুচ‌কি হাস‌লে আ‌মি তা‌কে জি‌জ্ঞেস করলাম- তাঁর হাসার কারণ কি? তি‌নি বল‌লেন সবগু‌লিই তো পুরুষ ক‌বি কিংবা সা‌হি‌ত্যিকের উ‌ক্তি তোমার লেখায় স‌ন্নি‌বে‌শিত কর‌লে কিন্তু কোন নারী লেখ‌কের উ‌ক্তি তো তোমার লেখায় কোথাও দেখলাম না। উত্ত‌রে বললাম যে, আ‌মি তো একজন নারীর হু‌ঁ‌শিয়ারী বার্তা নি‌য়ে আজ দশম পর্ব লিখ‌ছি। তু‌মি সেটা ভু‌লে গে‌লে না‌কি? আর এজন‌্যই তো যত পুরুষ ক‌বি সা‌হি‌ত্যিকের উ‌ক্তি আমার এ লেখনী‌তে ঠাঁই পে‌য়ে‌ছে। সহধ‌র্মিণী বল‌লেন- ওহ্ আচ্ছা! 

সারা‌দিন অ‌ফি‌সের কা‌জে সময় ক‌রতে পা‌রি‌নে আর তাই আমার যত লেখা‌‌লে‌খি শুরু হয় রাত নয়টার পর। স্বভাবতই শু‌তে শু‌তে অ‌নেক রাত হ‌য়ে যায়। এমন এক প‌রি‌স্থি‌তি‌তে সহধ‌র্মিণীর মূল‌্যবান উ‌ক্তিটি ছিল এমন যে, "রাত জাগ‌লে শরীর খারাপ হ‌বে আর শরীর খারাপ হ‌লে লেখা চা‌লি‌য়ে যা‌বে কিভা‌বে"? 

একজন আদর্শ সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা বোধ ক‌রি এমনই হয়।


     অলঙ্করণ : প্রীতি দেব 



ক্রমশ

রুকসানা রহমান




সতী দাহ 


উত্তুরে হাওয়া তখনো যৌবন ছোঁয়নি
তবু লাল বেনারশি আর সিঁথীতে সিঁদুর পড়ে
চলে যেতে হলো অচেনা সংসারে।

যৌবনের কড়া নাড়তেই, সাদাথান আর ঘটি ভর্তি
জলের ধারায় ধুয়ে দিলো সব সিঁদুর।
তারপর প্রস্তুতি নিতে হলো সহপমরণের।

ধর্মের নামে চলে নারী হত্যার মহাজজ্ঞ
সতীত্ব রক্ষার নামে জীবন্ত তুলে দেয় জলন্ত চিতায়। মানুষ তো নই ছিলাম যেন পুরুহিত তন্ত্রের দাসী 
ওরা মানুষ হওয়ার আগেই পুরুষ হয়ে ওঠে, ধার্মিক হওয়ার আগে পুরুহিত সাজে।

নিষ্ঠুর-নির্মম প্রথার বলি হতে সাজালো বিধবাকে লালশাড়ি আর সিঁদুর পড়িয়ে টানতে টানতে নিয়ে গেলো গঙ্গার পাড়ে,
যেখানে সাজানো চিতায় স্বামীর মরদেহ,
ওখানে ছুঁড়ে ফেলা হবে লেলিহান আগুনের কুন্ডে
জীবন্ত শরীর।

তখনই তোমাকে খুব মনে পড়ছিলো মা, আর
চিৎকার করে ডাকছিলাম তোমায়, 
মা দেখো, তোমার আদরের মেয়ে বিয়ে নামক দাসত্বের বলি, জীবন্ত পুড়ছি আমি আর আমার নারীত্ব।

বাচঁতে বড় ইচ্ছে করে মা,
এখনো হয়নি যাওয়া মল্লিকা বনে, মেঘচুলে জড়াইনি শিউলির মালা।

তুমি শুনবে না জানি, পৌঁছুবেনা অস্ফুট স্বর,
তবু তোমার নামের জপ করি।
হয়তো,সেদিন ঈশ্বরের চোখে ছিলো জল।
তাইতো নির্মম-নির্দয় আর নিষ্ঠুর প্রথার অবসান করতে ঈশ্বর পাঠালেন এক মানব দূত।

নারীর আর্তনাদ তাকে ব্যথিত করে তুলেছিলো,
এই জঘন্য কুপ্রথার বিরুদ্ধে বিল্পব করে বন্ধ করেছিলেন সতীদাহ,
দেখালেন আলোকিত সমাজের দিশা,
এনে দিলেন বেঁচে থাকার অধিকার।
তাইতো হে রাজা রামমোহন তুমি আজও নারীত্বের অলঙ্কার।


              অলঙ্করণ : সানি সরকার 

মিঠুন চক্রবর্তী




স্মৃতি



ঘর নেই, পাশাপাশি মাথাউঁচু ইটের দেয়াল
প্রতিটি একাকী শ্বাস
অরণ্য মাড়িয়ে যেন চলে যায় দীর্ঘ শীতকাল

চাঁদ নেই, চাঁদোয়ায় পরিপাটি ডানা
ভেতরে বিষণ্ণ দ্বীপ, ছাদে দীপাবলি

তবু, এসো, দেখে যেও
ভীষণ কুয়াশা চিরে উঠোনের মাঝে
এখনো দাঁড়িয়ে আছে পাখির কূজন জানা গাছ





শহিদ মিয়া বাহার




দু:খগুলো নুপুর হয়ে বাজে


অনুগামি কিছু দু:খ নেমে গ‍্যাছে 
কোন এক  যুবতির গাল বেয়ে পায়ের  নুপুরে
তারপর বিরহ-ছন্দ, 
ব‍‍্যথার আবহ রিদম--
দু:খ- নুপুর ! 

শুনতে কী পায় কেউ
পৃথিবীর ছায়াপথে অকাশের দুয়ারে         
এস্রাজ-রাগিণীর কান্নার মত 
দু:খগুলো নুপুর হয়ে বাজে  ; 

আমি মহুয়ার বনে শুনি ছন্দিত নুপুরের সাঁওতালি সুর
পাখির আওয়াজ
পাতার কাঁপনে। 

অনাচারী কিছু লাল শরাবী গাঙচিল  
কফির আলাপন নিয়ে এসেছে 
শান্ত এ চরের বালু আর বনের প্রান্তিকে---
তারা সব মেতেছে দু:খ দাদনের উৎসব মিলনে! 

কলমিলতার নরম ঠোটের তিরতির জৌলুস নিয়ে
উৎসবে উৎসবে
যুবতীরা চলে গ‍্যাছে হেঁটে হেঁটে বহুদূর---
শপিংমল, জনারণ‍্য আর বেদনার সাঁকো পেরিয়ে 
সমুদ্রের কাছে নীল আর লবনের উন্মাদ গহীনে
ঢেউয়ের অবাধ‍্য নাগরদোলার অনন্তে। 

আলোর ইশারা নিয়ে কেউ আর ঘরে ফেরেনি। 

এখনো সারারাত দু:খের খেয়াল দিয়ে নুপুরের ভাটিয়ালী বাজে ।

জাভেদ জাভেদ




মায়ার কথা 


পড়ে রইলো লম্বা নিশি-
দীপক নিভু নিভু!
স্বাধের সকাল মেঘাচ্ছন্ন! 
কার প্রেমেতে মগ্ন মজনু! 
লাইলি কি জানে তাঁর প্রেমের-
মজনু হাই হাই,,,,,,,,!
আগুন  ও নাই রৌদ্র ও নাই
তনু মনে একি জ্বালা? 
কোন্ খেলাতে কাদা মাখলাম-
সারা গায়,
যাবি যদি এই নিষ্ঠুর খেলাতে-
জড়ালে কেন আমায় -
প্রাণের মজনু , 
যাসনে তুই কালো করে
আমার দিন, 
দীপক নিভু নিভু,,,,,,,, 
আমি ও দুর্বল প্রায়-
ক্লান্ত রে তোর প্রেমে!
বলে যা যাবি যদি-
কি ছিল কমি!
জানিনা তোর মন কেন-
এত লোভী! 
আমার চেয়ে কই পাবি-
এত আপন  
ক্ষণিকের সুখে হারালি অনন্ত প্রেম,
ছলনা ভরা ছিলো তোর মন-
তুই হতে পারবিনা কারো আপন
কলংকিত মজনুরে তুই মধু পিয়াসী ভোমর যেমন।

adafdad

LOVE