পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"১৫

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।                         টানাপোড়েন ( ১৫ )                                  সুখের মাঝে চোরা দুঃখ সারা রাস্তা রেখা শুধুমাত্র সোমদত্তার কার্যকলাপ নিয়ে ভেবে আসছিল, আরো ভেবে একসার হচ্ছিল পার্থ এমন কি করেছে ,যার জন্য তাদের সাত বছরের সংসার ভেঙে চুরমার হয়ে গেল, তাসের ঘরের মতো। মেয়েরা তো সবকিছু মানিয়ে নেয়। সোমদত্তা অন্তত ছেলেটির কথা চিন্তা করে তো পারতো ,সংসার টিকিয়ে রাখতে। পার্থর চোখের জল দেখে তো মনে হচ্ছে না ,যে পার্থর ভেতরে এমন কিছু অপরাধবোধ আছে; যার জন্য সোমদত্তা ওকে ছেড়ে দিচ্ছে। ওর চোখের অভিব্যক্তি দেখে তো বোঝা যাচ্ছে সোমদত্তাকে  কতটা ভালবাসে। চোখ বুজে এই ভাবনাগুলোই রেখাকে কুকুর তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। মনোজ রেখাকে আলতো করে ধাক্কা দিয়ে বলল  'রেখা নাও নেমে পড়ো  ।বাড়ি এসে গেছ।'  রেখা বলল  'ও এসে গেছি ।চলো।' মনোজ বলল ''তুমি যাও। তোমাকে আজ খাবার করতে হবে না ।আমি হোম ডেলিভারি অর্ডার দিচ্ছি ।এসে দিয়ে যাবে। কি খাবে বল

আমিনা তাবাসসুম

ছবি
মায়া চাদর    আস্কারা নিয়ে যায় ভুল পথে যেখানে ভূমিষ্ঠ হয় মিথ্যে শব্দ কল্পনার দূষিত বাহুডোর! অথচ এ অন্ধকার নিবিড়তা ডাকে লুব্ধ চাতকের মতো... বেলাশেষে জন্ম নেওয়া এ চাঁদের সব আলো জীবন দেয় না যেটুকু নিঃশেষিত যেটুকু ছুটে আসে ভোর তাতে মিশে থাক কোনো লালদীঘি কোনো মায়া দীঘল চাদর।      অলঙ্করণ : প্রীতি দেব 

সুবর্ণ রায়

ছবি
সম্পর্ক  সম্পর্ক অহেতুক এক মাত্রা--  মায়া আর বিস্তারেই সব ঘনত্ব।  ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যেখানে যেখানে  আমি হ্রস্ব আর দীর্ঘ নিঃশ্বাসে  কাটিয়ে গেলাম সম্পর্কহীন এক গরমিলের বেঁচে থাকা।                অলঙ্করণ : প্রীতি দেব 

রাবেয়া পারভীন এর ধারাবাহিক ছোট গল্প "কালো ক্যনভাস" ৩য় পর্ব

ছবি
  নতুন  ধারাবাহিক " ক্যানভাস  " লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন   লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম এই লেখার  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।    কাল ক্যানভাস / ( ৩ য় পর্ব)                                         নী লার মনে হচ্ছিল  পায়ের নীচে মাটি  দুলছে। এই সেই লোকটা, নীলা ঠিক চিনে ফেলেছে। চেহারাটা একটুও বদলায়নি।  শুধু মোটা হয়েছে আর কপালের  দু পাশে চুলে পাক ধরেছে। চোখে মোটা ফ্রেমের  চশমা।  অধ্যক্ষ সাহেব পরিচয় দিলেন। - ইনি  জনাব ইশতিয়াক  আহমেদ,  রসায়ন পড়ান। নীলার তীর্যক দৃস্টির সামনে বিব্রত বোধ করলেন ইশতিয়াক সাহেব। থতমত খেয়ে বললেন, - আপনি বসুন নীলা। নীলা  পাথরের মূর্তির মত দাঁড়িয়ে রইল। খুব অবাক হয়েছেন অন্যান্য  শিক্ষকেরা  একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করলেন। নীলার  ডানদিকের চেয়ারে বসা  অধ্যাপিকা নাজনীন আক্তার  তিনি হাত ধরে টান দিয়ে নীলাকে চেয়ারে বসিয়ে দিলেন। -বসুন তো  এখানে।  আপনার কি শরীরটা খারাপ ? ইশ্ !  ঘেমে  গেছেন দেখছি। তারপর তিনি উচ্চকন্ঠে  পিয়ন কে ডাকলেন - এই তাজুল। একগ্লাস পানি নিয়ে এস। পিয়ন পানি নিয়ে এলে গ্লাসটা 

জাফর রেজা'র ছোট গল্প "ক্ষণিক বসন্ত "৫

ছবি
      স্বমহিমায় লিখে চলেছেন নতুন ধারাবাহিক লেখক জাফর রেজার  ছোট গল্প  " ক্ষণিক বসন্ত  "  মতামত দিন  আপনাদের  একটি  কমেন্ট লেখকের ১০০ লেখার  সমান মূল্যবান।                    ক্ষণিক বসন্ত                                                                                     ৫ম    পর্ব                  ফো নের শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো, বুলার ফোন।  বললাম আমিই কল দিতাম ভাবলাম আপনি হয়তো ব্যাস্ত তাই আর দেইনি। -- তেমন ব্যাস্ত না, রান্না শেষ করে  দেশে মায়ের সাথে কথা বলছিলাম, আপনার ঘুমের প্রয়োজন তাই কল । এখন কেমন লাগছে ?  -- আগের চেয়ে অনেক ভালো। -- সকালে অফিসে যাবার সময় দেখে যাব। খাবার সব সাজিয়ে রেখেছি শুধু ওভেনে গরম করে নেবেন। খাওয়ার পর সাইড টেবিলে যে ট্যাবলেট রেখে এসেছি সেটা খাবেন তারপর দুধ।  -- বুলা এতো অত্যাচার কেন ?  -- হেসে বললো, অত্যাচার!   অত্যাচার তো এখনো শুরু হয়নি। আর কোন কথা নয় এবার খেতে যান, বুলা ফোন রাখলো না, কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো একটা প্রশ্ন করি ?  -- করুন। -- আপনার শরীর যে এতো খারাপ  আমাকে জানাননি কেন ?  - কাউকে কষ্ট দিতে আমার ভালো লাগে না বুলা, অনেকটা অভিমানী কণ্ঠে বল,  আমি কে

মোঃহা‌বিবুর রহমান এ‌র লেখা "সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা"১০

ছবি
ঘরের ভিতর থেকে কবি ধরেছেন দৃশ্যকথা গদ্যের ভাষায় ধারাবাহিক ভাবেই প্রকাশিত হয়ে চলেছে তাঁর  অসাধারন  সৃষ্টি।  লিখতে সহোযোগিতা করুন  লাইক ও কমেন্ট করে । পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল পাঠক পাঠিকা লেখক লেখিকা সকলের জন্য রইলো অনন্ত শুভেচ্ছা সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা                                                                                                ( ১০ ম পর্ব) স্বামী স্ত্রীর দম্পতি সম্পর্ক নিয়ে কবি সাহিত্যিকগণ যে কত ধরনের মজার মজার বাণী ও উ‌ক্তি উপহার দিয়েছেন তার কোন ইয়ত্তা নেই। বিশ্বক‌বি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব‌লে‌ছেন, "যে স্বামী সকালে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট জড়িয়ে ধরে রাখে তাঁর কর্মক্ষেত্রে বিপদের আশংকা থাকে কম"। সুনীল গঙ্গপাধ্যায় ব‌লেন, "স্ত্রীদের যথেষ্ট পরিমাণে সময় দিন, নাহলে যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্বাস করুন। সংসার আর যুদ্ধক্ষেত্র মনে হবে না" । ‌বি‌দ্রোহী ক‌বি কাজী নজরুল ইসলাম উ‌ক্তি করেন, "সেই কাপুরুষ যে স্ত্রীর কাছে প্রেমিক হতে পারেনি"। আবার সত‌্যজিৎ রায় ব‌লেন যে, "প্রতিদিন একবার স্ত্রীকে ”আমি তোমাকে ভালোবাসি” বললে মাথার সব দুশ্চিন

রুকসানা রহমান

ছবি
সতী দাহ  উত্তুরে হাওয়া তখনো যৌবন ছোঁয়নি তবু লাল বেনারশি আর সিঁথীতে সিঁদুর পড়ে চলে যেতে হলো অচেনা সংসারে। যৌবনের কড়া নাড়তেই, সাদাথান আর ঘটি ভর্তি জলের ধারায় ধুয়ে দিলো সব সিঁদুর। তারপর প্রস্তুতি নিতে হলো সহপমরণের। ধর্মের নামে চলে নারী হত্যার মহাজজ্ঞ সতীত্ব রক্ষার নামে জীবন্ত তুলে দেয় জলন্ত চিতায়। মানুষ তো নই ছিলাম যেন পুরুহিত তন্ত্রের দাসী  ওরা মানুষ হওয়ার আগেই পুরুষ হয়ে ওঠে, ধার্মিক হওয়ার আগে পুরুহিত সাজে। নিষ্ঠুর-নির্মম প্রথার বলি হতে সাজালো বিধবাকে লালশাড়ি আর সিঁদুর পড়িয়ে টানতে টানতে নিয়ে গেলো গঙ্গার পাড়ে, যেখানে সাজানো চিতায় স্বামীর মরদেহ, ওখানে ছুঁড়ে ফেলা হবে লেলিহান আগুনের কুন্ডে জীবন্ত শরীর। তখনই তোমাকে খুব মনে পড়ছিলো মা, আর চিৎকার করে ডাকছিলাম তোমায়,  মা দেখো, তোমার আদরের মেয়ে বিয়ে নামক দাসত্বের বলি, জীবন্ত পুড়ছি আমি আর আমার নারীত্ব। বাচঁতে বড় ইচ্ছে করে মা, এখনো হয়নি যাওয়া মল্লিকা বনে, মেঘচুলে জড়াইনি শিউলির মালা। তুমি শুনবে না জানি, পৌঁছুবেনা অস্ফুট স্বর, তবু তোমার নামের জপ করি। হয়তো,সেদিন ঈশ্বরের চোখে ছিলো জল। তাইতো নির্মম-নির্দয় আর নিষ্ঠুর প্রথার অবসান করতে ঈশ্বর পাঠালেন এক মান

মিঠুন চক্রবর্তী

ছবি
স্মৃতি ঘর নেই, পাশাপাশি মাথাউঁচু ইটের দেয়াল প্রতিটি একাকী শ্বাস অরণ্য মাড়িয়ে যেন চলে যায় দীর্ঘ শীতকাল চাঁদ নেই, চাঁদোয়ায় পরিপাটি ডানা ভেতরে বিষণ্ণ দ্বীপ, ছাদে দীপাবলি তবু, এসো, দেখে যেও ভীষণ কুয়াশা চিরে উঠোনের মাঝে এখনো দাঁড়িয়ে আছে পাখির কূজন জানা গাছ

শহিদ মিয়া বাহার

ছবি
দু:খগুলো নুপুর হয়ে বাজে অনুগামি কিছু দু:খ নেমে গ‍্যাছে  কোন এক  যুবতির গাল বেয়ে পায়ের  নুপুরে তারপর বিরহ-ছন্দ,  ব‍‍্যথার আবহ রিদম-- দু:খ- নুপুর !  শুনতে কী পায় কেউ পৃথিবীর ছায়াপথে অকাশের দুয়ারে          এস্রাজ-রাগিণীর কান্নার মত  দু:খগুলো নুপুর হয়ে বাজে  ;  আমি মহুয়ার বনে শুনি ছন্দিত নুপুরের সাঁওতালি সুর পাখির আওয়াজ পাতার কাঁপনে।  অনাচারী কিছু লাল শরাবী গাঙচিল   কফির আলাপন নিয়ে এসেছে  শান্ত এ চরের বালু আর বনের প্রান্তিকে--- তারা সব মেতেছে দু:খ দাদনের উৎসব মিলনে!  কলমিলতার নরম ঠোটের তিরতির জৌলুস নিয়ে উৎসবে উৎসবে যুবতীরা চলে গ‍্যাছে হেঁটে হেঁটে বহুদূর--- শপিংমল, জনারণ‍্য আর বেদনার সাঁকো পেরিয়ে  সমুদ্রের কাছে নীল আর লবনের উন্মাদ গহীনে ঢেউয়ের অবাধ‍্য নাগরদোলার অনন্তে।  আলোর ইশারা নিয়ে কেউ আর ঘরে ফেরেনি।  এখনো সারারাত দু:খের খেয়াল দিয়ে নুপুরের ভাটিয়ালী বাজে ।

জাভেদ জাভেদ

ছবি
মায়ার কথা   পড়ে রইলো লম্বা নিশি- দীপক নিভু নিভু! স্বাধের সকাল মেঘাচ্ছন্ন!  কার প্রেমেতে মগ্ন মজনু!  লাইলি কি জানে তাঁর প্রেমের- মজনু হাই হাই,,,,,,,,! আগুন  ও নাই রৌদ্র ও নাই তনু মনে একি জ্বালা?  কোন্ খেলাতে কাদা মাখলাম- সারা গায়, যাবি যদি এই নিষ্ঠুর খেলাতে- জড়ালে কেন আমায় - প্রাণের মজনু ,  যাসনে তুই কালো করে আমার দিন,  দীপক নিভু নিভু,,,,,,,,  আমি ও দুর্বল প্রায়- ক্লান্ত রে তোর প্রেমে! বলে যা যাবি যদি- কি ছিল কমি! জানিনা তোর মন কেন- এত লোভী!  আমার চেয়ে কই পাবি- এত আপন   ক্ষণিকের সুখে হারালি অনন্ত প্রেম, ছলনা ভরা ছিলো তোর মন- তুই হতে পারবিনা কারো আপন কলংকিত মজনুরে তুই মধু পিয়াসী ভোমর যেমন।

adafdad

LOVE