নতুন ধারাবাহিক "ক্যানভাস "
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের পড়তে সহযোগিতা করুন লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম এই লেখার আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে লিখতে সহযোগিতা করবে।
কাল ক্যানভাস / (৩য় পর্ব)
নীলার মনে হচ্ছিল পায়ের নীচে মাটি দুলছে। এই সেই লোকটা, নীলা ঠিক চিনে ফেলেছে। চেহারাটা একটুও বদলায়নি। শুধু মোটা হয়েছে আর কপালের দু পাশে চুলে পাক ধরেছে। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। অধ্যক্ষ সাহেব পরিচয় দিলেন।
- ইনি জনাব ইশতিয়াক আহমেদ, রসায়ন পড়ান।
নীলার তীর্যক দৃস্টির সামনে বিব্রত বোধ করলেন ইশতিয়াক সাহেব। থতমত খেয়ে বললেন,
- আপনি বসুন নীলা।
নীলা পাথরের মূর্তির মত দাঁড়িয়ে রইল। খুব অবাক হয়েছেন অন্যান্য শিক্ষকেরা একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করলেন। নীলার ডানদিকের চেয়ারে বসা অধ্যাপিকা নাজনীন আক্তার তিনি হাত ধরে টান দিয়ে নীলাকে চেয়ারে বসিয়ে দিলেন।
-বসুন তো এখানে। আপনার কি শরীরটা খারাপ ? ইশ্ ! ঘেমে গেছেন দেখছি।
তারপর তিনি উচ্চকন্ঠে পিয়ন কে ডাকলেন
- এই তাজুল। একগ্লাস পানি নিয়ে এস।
পিয়ন পানি নিয়ে এলে গ্লাসটা নীলার ঠোঁটের কাছে তুলে ধরল নাজনীন।
- এই নিন পানিটা খেয়ে নিন।
গ্লাসটা হাতে নিয়ে ঢক ঢক করে এক চুমুকেই সবটুকু পানি খেয়ে নিল নীলা। তারপর নাজনীনের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলল
- সরি মেডাম।
প্রত্যুত্তরে নাজনীনও হাসলেন
- ঠিক আছে ন তো ?
হ্যাঁ সূচক মাথা ঝাঁকালো নীলা।
- যাক বাঁচালেন , খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। প্রথম দিনেই এই অবস্থা । এবার বলুন তো ভয় পেয়েছেন কেন ?
নীলার মন থেকে অস্বস্তি তখনো দুর হচ্ছিল না।
অলঙ্করণ : সানি সরকার
চলবে ...।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much