পোস্টগুলি

জানুয়ারী ২৪, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি রুকসানা রহমান এর কবিতা

ছবি
আমাদের কোন বসন্ত নেই রুকসানা রহমান আজ বসন্তেরজোয়ারে হলুূূদ আর লাল আবিরের প্রজাপতির ঢেউএর মিছিল শহর ময়।  আর ঐ -ফুটপাতের মেয়েটি মাকে বললো ওরা একটা ফুল দিলোনাগো মা।  মাথায় হাত রেখে বলে -ঐদিকে  তাকিওনা,এই যে দেখছো আকাশ  সেই ছাদের নীচে ধুলো মাটি আবর্জনা আমরা আমাদের আকাশের রঙ নেই,স্বপ্ন নেই।  ওদের সাথে আকাশ আর মাটির মতন দুরন্ত  ঐযে চাঁদ, ওটা ও ফ্যাকাসে আত্মার আলো নেই।  এই শহরের, ঝলমলে রাতের শহর ও অন্ধকার  ঐযে দেখছো, ভদ্রলোক যারা আমাদের ঘৃণা করে ওরাই রাতের আঁধারে নারী খেকো হায়না।কখন যে তোকে আমাকে ছিঁড়ে খাবে তাও জানিনা। আমাদের সম্বল শুধু নিংশ্বাস। তাই আমাদের জীবনে কোন বসন্ত কোনদিন আসবেনা।

কবি মীরা সুলতানা'র কাবিতা

ছবি
আধখান শশ মীরা সুলতানা   দিগন্তে বালিয়ারীতে হেঁটে যায় সতর্ক পা চোরাবালির নিমগ্ন  হাতছানি দিগন্ত জোড়া সৌরকিরন  ভরে রাখে  বুক পকেটে  আহ্লাদী জ্যোৎস্নায় গা ভাসিয়ে কেউটেরা আনন্দ খুঁজে! একাকী রাতের প্রহর তাঁরা অবিচল     স্তব্ধতায় খাবি খায় ষোড়শী ঢল! সামুদ্রিক  ফেনা রাশির  ধেয়ে আসা ঘাম শুদ্ধতার প্রমান নিয়ে  এলো নীল খাম।  মায়াবী আকাশের ভেজা ঠিকানায়  আদ্রতা শুষে নেয়া ডাকপিয়ন, নিমিষে  পৌছায়;   মধ্য বয়সী নারীর হৃৎপিন্ডে বুলেট বিঁধে কাঁপে থরথর , করতলে ধীর পায়ে হেঁটে চলে  কুয়াশা যাযাবর।   পৃথিবীর  বুক ঘেষে বয়ে চলা এক সরীসৃপ পাল,  কস্মিন কাল ছুঁয়ে বয়ে আসে এক অতীত মহাকাল!  কেউটেরা স্বর্বেস্বর্বা সর্ব জ্ঞানী, মহাঋষী আঙ্গুলের ফাঁক  গলে  উঁকি মারে  আধখান শশী ।

কবি নীলাঞ্জন কুমার এর কবিতা

ছবি
অভাব   নীলাঞ্জন কুমার   অভাবের ভেতর থেকে যদি  জমে ওঠে হতাশা  তবে নিঃস্ব হওয়ার চিত্রকলা  চোখের সামনে ভেসে ওঠে । অভাবী জীবন নিয়ে আমাকে  কেউ কোন কথা বলে না। শুধু ছুঁয়ে থাকে চোখ বাসনায়  যা অবলীলায় ধরা পড়ে যায় ।
ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়ে ন৯৮ দুঃসহ আঠারো বছর মমতা রায়চৌধুরী নদী অনেকক্ষণ একদৃষ্টিতে মায়ের কেবিনের দিকে তাকিয়েছিল, কখন ডাক্তারবাবু বেরোবেন একটা মনের ভেতরে অশান্ত উদগ্রীব কাজ করছিল ।  তবে  যাই করে থাকুন না কেন মায়ের এই কন্ডিশনে উনি তো পাশে আছেন ।আজকে আর কোনো বিরক্তি, ঘৃণা কিছুই নেই ,লোকটার প্রতি ।আজকে শুধু মনের ভেতরে একটাই প্রতিক্রিয়া তার মায়ের সুস্থ হওয়া। হঠাৎই ডাক্তারবাবুর কথা কানে আসলো মিস্টার মালহোত্রা জিজ্ঞেস করলেন  'কী বুঝছেন ডাক্তারবাবু?' ডাক্তারবাবু বললেন 'আপনাদের তো আগেও বলেছিলাম যে ঠিক আছে, উনাকে এখন টেনশন মুক্ত রাখুন ।কোন অবস্থাতেই যেন কোনো টেনশন না কাজ করে ,হাসি খুশিতে রাখুন আর আমরা তো নার্সিংহোমে রয়েছি..।' মিস্টার মালহোত্রা বললেন ' এবার কী আমরা ভেতরে ঢুকতে পারি?' ডাক্তারবাবু বললেন 'অবশ্যই পারেন তবে এক সঙ্গে কেউ জটলা করবেন না?'  মালহোত্রা বলেন' থ্যাংক ইউ ডাক্তারবাবু।' মিস্টার মালহোত্রা ডাক্তার বাবুর সঙ্গে কথা বলার পর প্রথমে তিনিই এগোতে লাগলেন মায়ের কেবিনের দিকে। নদী  সব দেখতে লাগল। কিন্তু আজ যেন নদী প্রতিবাদ করতে পারলো না  ।নদীর প্রত

মনি জামান এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৬

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল মনি জামান (পর্ব ছয়) আজ সকাল থেকেই যেন মেঘের আনা গোনা গোটা আকাশ জুড়ে,নিলয় মেবিন আর চারু সকালের নাস্তা সেরে নিয়েছে। চারু ড্রাইভার কে ফোন করলো গাড়ি বের করতে,তারপর মেবিন ও নিলয়কে গুছিয়ে নিতে বলে চারু নিজের রূমে চলে গেল।একটু পরে ওরা তিনজন নিচে নেমে এলো ড্রাইভার অপেক্ষা করছিল ওরা এলে গাড়ির দরজা খুলে দিলো সবাই গাড়িতে উঠে সীটে বসে বেল্ট পরলো,ড্রাইভারঃ আপুমনি কোথায় যাবেন, চারুঃ মার্কেটে যাব। গাড়ি স্টার্ট হলো এবার চলতে শুরু করল প্রায় বিশ মিনিট পর গাড়ি মার্কেটে এসে পৌছাল,নিলয় মেবিন আর চারু গাড়ি থেকে নেমে চারুঃ নিলয় এসো ভিতরে ওরা মার্কেটের ভিতরে একটি দোকানে গিয়ে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনলো তারপর বাইরে বেরিয়ে এলো তিনজন, তখন আকাশ মেঘে অন্ধকার হয়ে আছে মাঝে মাঝে বিকট গর্জন করছে আকাশ। চারুঃ মেবিন আকাশের অবস্থা খুব খারাপ চল তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরি, মেবিনঃ চল ঝড় বৃষ্টি হতে পারে,আকাশের অবস্থা খারাপ দেখে ওরা সবাই গাড়িতে উঠে বসলো,ড্রাইভার গাড়ি ছেড়ে দিল আধাঘণ্টা পর ওরা বাসায় ফিরে এলো।তখন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে বিদ্যুত্ চমকাচ্ছে আর বিকট শব্দে বজ্রপাত হচ্ছে।বাসায় এ

কবি তাহমিনা সিদ্দিকা ' র কবিতা

ছবি
প্রেম বিভ্রাট তাহমিনা সিদ্দিকা শব্দের হাটে অপূর্ব তুমি, দু'চোখের বিভ্রাট হয়তো  ভুল ছিল আমার। চাঁদকে ভেবেছি আমার দেবতা, কিন্তু উপমার সব শব্দ অভিধান শূন্য। আকাশ গগনে দেখি প্রিয়তমার মুখ,ভাবনার তরীতে বড় অদ্ভূত। শব্দ বিশেষণে ধৃষ্ঠতা আমার, কবিতার খাতা আজ যেন সব ফাকা। অদ্ভূত সুন্দর ঐ দুটি চোখ,বাহুলতায় পেলবতা মধু মাখা মুখ। ঝিরি ঝিরি বাতাস অপূর্ব দুলুনি,শব্দ বিভ্রাট আজ সব কবিতার খাতা। চঞ্চলতায় অগ্নি পুরুষ, ভিরু ভিরু মনে যেন জ্বলে কামনার আগুন।  অসহনীয় করে রাত্রি দিন, কালপুরুষ সে।  চোখে প্রেম তার প্রেম, অপূর্ব আহবানে সে আমায় ডাকে বারে বারে। শব্দ হাটে সব শব্দ বিভ্রাট,  যেন কবিতার সব উপমার আকাল, আশার রথে কবিতা আজ সব ফাকা। প্রেম খোঁজে শব্দের হাটে, প্রেম বিভ্রাটে।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৫৬

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৫৬) শামীমা আহমেদ  উত্তরা থেকে একঘন্টার মধ্যেই উবার জিগাতলায় পৌছে গেলো।শিহাব উবারের ভাড়া চুকিয়ে শায়লাকে নিয়ে তাদের বাড়ির গেটে নামল। দুজনেই গাড়ি থেকে নামলো।শিহাব দেখলো সবুজ শাড়িতে শায়লাকে খুব সুন্দর লাগছে। শায়লা তাকিয়ে দেখলো বাড়ির গেটটি বেশ বড় আর খুব সুন্দর!  শায়লার প্রথমেই ভালো লেগে গেলো। উপরে তাকাতেই  দেখলো  দক্ষিনমুখী চারতলা বাড়ির সামনের বারান্দা।শিহাব তাকে এগিয়ে নিলো। শিহাব দরজায় নক করতেই বাড়ির কেয়ার টেকার রুহুল আমিন দরজা খুলে দিলো। শিহাব শায়লাকে রুহুল আমিনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। আজ অনেক বছর যাবৎ রুহুল আমিন চাচা আমাদের বাড়িতে।সেই আমাদের ছোটবেলা থেকে।আমাদের বিল্ডিং এর পিছনের যায়গায়  তার ফ্যামিলি  নিয়ে থাকে।মা ওদের ঘর তুলে দিয়েছে। শায়লা খুব মনযোগ দিয়ে শিহাবের কথা শুনছিল। শায়লাকে দেখে রুহুল আমিনের চোখে মুখে বিস্ময় ফুটে উঠেছে! কিন্তু তেমন একটা উচ্ছ্বাস প্রকাশ নেই একেবারে!  রুহুল আমিনকে উদ্দেশ্য করে  শিহাব বললো, চাচা ও শায়লা।আজ আমাদের সাথে সারাদিন বেড়াবে। চাচা মাথা ঝুঁকিয়ে সম্মতি প্রকাশ করলো।  শিহাব শায়লার হাত ধরে বাড়ির ভিতরে সিঁড়ির কাছে নিয়ে গেলো।জান