পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"১১

ছবি
অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করবার মতো আকর্ষণীয়  মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" পড়ুন ও অপরকে পড়তে সহযোগিতা করুন   ।                                                 টানাপোড়েন ( ১১ )                                                                    অস্পষ্ট ধ্বনি রেখার বৃষ্টি ভেজা রাতে একটা দুশ্চিন্তা তো মনকে গ্রাস করেইছিল। কিন্তু হঠাৎই পাশের বাড়ির ছেলেটার আবার গলা পেল  'রিমঝিম গিরে শাওন।সুলাগ সুলাগ যা এ মন।.. মরসুম মে ...।'গানটা কেমন মাদকতা এনে দিল রেখার শরীরে ও মনে। রেখা আস্তে করে জানলাটা খুলে বাইরের পরিবেশটা দেখার চেষ্টা করল। বৃষ্টির ছাট এসে চোখে মুখে পড়ছে।রেখা হাতটা জানলা দিয়ে বার করলো কি অসাধারণ একটা অনুভূতি রেখাকে নিয়ে গেল ছয় বছর আগের জীবনে। অনেক পুরুষ তার জীবনে এসেছে। সেভাবে কারো ডাকে সাড়া দিতে পারে নি। কি বিয়ের আগে ,কি বিয়ের পরে। ঘটনাটা বিয়ের পরে ঘটেছে। সবেমাত্র স্বামীকে ছেড়ে স্কুল-কলিগদের সঙ্গে কাটিয়ে এসেছে বিষ্ণুপুর ।বিষ্ণুপুর এর ঐতিহাসিক ঘরানায় আর সঙ্গে মুকুটমণিপুরে গিয়ে বসন্ত মরসুমে লাল পলাশের সমারোহ ,আদিবাসীদের আনাগোনা। নির্জন বন

জাফর রেজা'র ছোট গল্প "ক্ষণিক বসন্ত "

ছবি
আজ  থেকে শুরু হলো নতুন ধারাবাহিক লেখক জাফর রেজার ছোট গল্প  " ক্ষণিক বসন্ত "  ক্ষণিক বসন্ত ( ১ ম পর্ব )                          সা রাদিন গুড়িগুড়ি বৃষ্টির পর, এখন যেন আকাশ ভেঙে পরেছে। এয়ারপোর্টে কিছু কাজ ছিল, কাজ শেষ করতে একটু রাত হয়ে গিয়েছিল। বাসায় ফিরছি, বৃষ্টির  জন্য গাড়ি আস্তে চালাচ্ছিলাম। লন্ডনের ফাকা রাস্তা বৃষ্টির জন্য মনে হয় আরও ফাকা হয়ে গেছে। হটাৎ চোখে পরলো বাস ষ্টপে একটি মেয়ে হাত তুলে লিফট চাইছে। দ্বিধা দন্ধ নিয়ে গাড়ি থামালাম, আমি কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই মেয়েটি জিজ্ঞেস করলো আপনি কোন দিকে যাবেন, কোথায় যাব বলতেই সে বললো তার বাসাও ঐ দিকেই, বাসের জন্য অনেক্ষন অপেক্ষা করছে কিন্তু বাস পাচ্ছেনা, এখন আমি যদি দয়া করে তাকে লিফট দেই খুব উপকার হয়। দরজা খুলে দিয়ে বললাম উঠুন। মেয়েটির দিকে তাকালাম, সম্ভবত বাংলাদেশী অথবা ভারতীয় হবে। আলাপচারিতায় জানলাম উনি ভারতের জলপাইগুড়ির মেয়ে, এখানে পড়ালেখা করতে এসেছে। দেশ থেকে যা শুনে এসেছে এখন দেখছে তার সাথে কোন মিলই নেই। এখানে থাকার মতো মুটামুটি একটি জায়গাও নেই, এক রুমে ওরা ৪ জন থাকে।  একটা চাকুরীও যোগার করতে পারেনি। ওর কথা শেষ হতে হতে তার বাসার

হা‌বিবুর রহমান এ‌র লেখা "সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা"৬

ছবি
ঘরের ভিতর থেকে কবি ধরেছেন দৃশ্যকথা গদ্যের ভাষায় ধারাবাহিক ভাবেই প্রকাশিত হয়ে চলেছে তাঁর  অসাধারন  সৃষ্টি।  লিখতে সহোযোগিতা করুন  লাইক ও কমেন্ট করে । পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল পাঠক পাঠিকা লেখক লেখিকা সকলের জন্য রইলো অনন্ত শুভেচ্ছা সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা  ( ৬ ষ্ঠ পর্ব)                                    আ জ অ‌ব্দি সহধ‌র্মিণীর কোন কা‌জেই খুব একটা সাহায‌্য কর‌তে পা‌রি‌নি। তি‌নি সব সময় আমার স্বাস্থ‌্য রক্ষার ব‌্যাপা‌রে নানান পরামর্শ দেন আর সম‌য়ে সম‌য়ে নিয়‌মিত সুষম খাবার গ্রহ‌ণের কথা ব‌লে ভগ্ন স্বা‌স্থ্যের কুফল সম্প‌র্কে সতর্ক ক‌রে থা‌কেন। ত‌বে এবার তাঁ‌কে সতর্ক করার পালা আমার নি‌জের। গতকাল তাঁর স‌হোদর ভাই‌বো‌নেরা এ‌সে একরকম মন খারাপ ক‌রে গে‌ছে তাঁর শরী‌রের এমন দূরাবস্থা দে‌খে। এমন‌কি ছোট ভাই‌দের সহধ‌র্মিণীগণও তাঁর এমন ভগ্নস্বা‌স্থ‌্য দর্শনে মনক্ষুন্ন হ‌য়ে‌ছেন।  সারা‌দিন সাংসা‌রিক কাজকর্ম যথা রান্নাবান্না সহ ছে‌লেমে‌য়ের দেখভাল করা‌র মধ্যেই যেন তাঁর পরমান্দ নি‌হিত আ‌ছে। বাস্ত‌বে দিন‌শে‌ষে যা ঘট‌ছে তা হ‌লো- একজন গৃ‌হিণী বা গৃহকত্রী হি‌সে‌বে ‌একটু সময় ক‌রে নি‌জের উপর যেন খেয়াল করার মত

সুবর্ণ রায়

ছবি
  তোমার জন্য   তোমার জন্য আকাশপ্রদীপ  তোমার জন্য সন্ধ্যেবেলা  তোমার জন্য করবীগুচ্ছ  তোমার জন্য রথের মেলা  তোমার জন্য সেই প্রতিধ্বনি  তোমার জন্য মিথুনময়  তোমার জন্য কী হাপিত্যেশ  তোমার জন্য এই নিশ্চয়  তোমার জন্য রোদন রাত্রি  তোমার জন্য রাত্রিবেলা  তোমার জন্য হা-হুতাশ লেখা তোমার জন্য এমনি খেলা   তোমার জন্য আকাশগঙ্গা  তোমার জন্য নেবুলা জয়  তোমার জন্য কবিতাগুচ্ছ  তোমার জন্য-ই আয়ুক্ষয়                        অলঙ্করণ : সানি সরকার

রিক্তা হাসান

ছবি
এই আমি এই যে আমি  এমন কেমন,এমন আমি ছিলাম না তো! সকাল সকাল হাসির টোপর,দুপুর বিকাল দূরুন্ত মন রাতের চাঁদে আলসে ঘুমে একশ একটা ভুল স্বপন! তারপরে যে কি হলো হঠাৎ করে বক্ষজুড়ে প্রজাপতির পাখনা পেলো উড়ে উড়ে কেবল দূরে তারপরে যে কি হলো মন হারালো,চোখ জুড়ালো আস্ত একটা আকাশ ছেলে সামনে এসে  কেবল হাসে! আমি কি আর এমন ছিলাম দুষ্টু হাসির মিষ্টি কথার  বৃষ্টি জলে ভিজতে যেতাম! তারপরে যে কি হলো- চোখের পরে,মুখের পরে আকাশ ছেলের আদর পেতে আমার মনের পা বাড়ালো; আমি কি আর এমন ছিলাম! হাত বাড়ালেই প্রেমিকা হতেম? সেই ছেলেটা আকাশ হয়ে সকাল বিকাল রোদের বুকে  মেঘ উড়িয়ে মেঘ ভাসিয়ে  জল নামিয়ে কেমন করে  চোখ পাকিয়ে প্রেম গুঁজে দেয়  কানের ফুলে দুঃখ নীলে একশ ভুলে! আমি কি আর এমন ছিলাম? প্রেমিক বললেই প্রেমিকা হতাম! তারপরে যে কি হলো আকাশ ছেলের  চতুর্দিকে মন আগালো হাতের আঙুল তাও আগালো আমায় রেখে আমার শরীর ভিড় জমালো আমি এখন শূন্য একা কোথায় যাবো!কার আদলে! আমি কি আর এমন ছিলাম বসতে বললেই  মন বিছাতাম! তারপরে যে কি হলো মন বিছালাম চোখ বিছালাম প্রেম বিছালাম আর যা ছিল  আমার একার  একে একে সব নুয়ালাম; তারপরে যে কি হলো ভালোবাসা'র অভিশাপে আকা

শানজানা আলম

ছবি
ছোট্ট কিছু ইচ্ছা ছোট্ট একটা বাসা হোক, দু কামরা হোক না, এক চিলতে হেঁসেল, এক টুকরো বারান্দা আর আর আর আর, বিশাল একটা আকাশ! ছুটির বিকেলে দু পা হেঁটে একটা আইসক্রিম অথবা দূরে কোনো নদীর ধারে একটু বসা! অথবা অচেনা রাজপথে গন্তব্যহীন একটু রিক্সা যাত্রা!! রোজকার রুটিনে পোলাও না হোক! ডাল ভাতের সাথে ছোটো মাছের চচ্চড়ি, শাক ভাজা সাথে কুমড়োর ছক্কা!! আচ্ছা, এসব কি খুব দামী কোনো চাওয়া ছিল? কেউ কেউ সবটা পায়, আর কেউ কিচ্ছু পায় না! চাওয়া পাওয়ার হিসেবটা এত বেশি গোলমেলে কেন!! কী পেয়েছি, তার হিসেব না করি! ছোট্ট করে বলি, পেয়েছি অনেক তবে তা চাইনি মোটেও! চেয়েছি এক সমুদ্র ঢেউ! এককাপ চায়েও দোলা দেয়নি কেউ!

সফিক ইসলাম

ছবি
দ্বৈত মন                    পাখি ও পরাগের কী অবাধ স্বাধীনতা!                                কী অসীম পরাগায়ন আর যৌনাচার!   বাতাসে ভেসে যায় পরাগ রেনু, উড়ে যায় পাখি  আমার এই মন আমি  কেমন করে বেঁধে রাখি!   বসন্ত এসেও  যাই যাই করে হয়ে যায় পার পাখি ও পরাগ হতে নিভৃত মনে শুধু হাহাকার।  এই মন  কখনো পাখি হয়, কখনো পরাগ ফুল খুঁজে খুঁজে দিন চলে যায় কান পেতে থাকি অপেক্ষায়, কবে দেবে পাখি ডাক! সাইবেরীয় হিম লেগে থাকে পাখির ডানায়,  তবুও পালকে নিরন্তর মেখে রোদ পাখি তার জীবনের সন্ধানে নিজেরে হারায়। আমার আমারে করি দুই ভাগে ভাগ  এক ভাগে করি শুধু ফুলেরই চাষ   অন্তরে মাখি রোজ  ফুলের সুবাস ফুলের সাথেই  তাই যত সংরাগ। অন্যভাগে কাঁটাতারহীন উড়ুক্কু এক পাখিমন করে বাস                             ঠিকানা  অজানা জানি, তবুও খুঁজি মুক্তির আশ্বাস।

গৌরীশংকর মাইতি

ছবি
  শরতে ফুলের মেলা সাদা মেঘের আনাগোনা নীল আকাশের কোলে সবুজ লতানো গাছের ডালে অপরাজিতা ঝোলে। জল ভরা টলটলে দিঘি শাপলা শালুকে ভাসি বিলের জল পাতায় ঢাকা শতদল রাশি রাশি। ভোরের বেলায় শিশির বিন্দু রোদ্দুরে হীরক ছটা শিউলি তলায় ঝরা শিউলি কমলা সাদা ফোঁটা। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে  কামিনী থোকায় থোকায় সন্ধ্যায় ফোটে ভোরে ঝরে কামিনী সুগন্ধ ছড়ায়। সবুজ পাতা ঢাকা পড়ে সাদা টগর ফুলে কাশের বনে কাশের মেলা হাসে নদীর কূলে। জুঁই, কেয়া, মালতি, মল্লিকা রাধাচূড়া, নয়নতারা শরৎকালের ফুলের মেলায় হৃদয় আপন হারা।

গোলাম কবির

ছবি
এলোমেলো ভাবনার কবিতা     খাশির চামড়া ছিলার মতো অত্যন্ত     ক্ষীপ্রতার সাথে পাকা কসাই এর মতো    মানুষের বিবেক নিলামে উঠে যাচ্ছে!      রোদের তীব্রতাকে কুচিকুচি করে কেটে    নিয়ে এখন ভয়াল কোনো সন্ত্রাসী যেনো    পুরো পৃথিবীকে অন্ধকারাচ্ছন্ন একটা    বিষাক্ত বিষাদের নগরী বানিয়ে ফেলছে    সহসাই। এদিকে চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে    একদল গৈরিক আলখেল্লাধারী ব্যক্তি    সম্মিলিত ভাবে চিৎকার করছে, ওরা    মানুষের হৃদয় ন্যায্যমূল্যে কিনে নেবে    বলে বারবার আশ্বস্ত করছে কতোগুলো   বোকাটে  লোককে, যদিও ঐ লোকগুলো   আরো বেশি দাম পাবার আশায় ওদের   সাথে দর কষাকষি করছে, হায় রে   মানুষের হৃদয়! এদিকে একজন কবি   অভিমানে আর কখনোই প্রেমের কবিতা   লিখবেন না বলে নিজেই নিজেকে বারবার   বলছেন, তবুও কে শোনে কার কথা!    এরই মধ্যেই কখন যে সকাল হয়ে গেলো,    আবার সন্ধ্যায় সূর্য ডুবে গিয়ে একাদশী   চাঁদের আলোয় ঝলমল করে উঠলো   উঠোন, নদীর বুকে জলের ঢেউয়ে   চিকচিক করে উঠতে থাকলো মানুষের     আগামী সকালের ভাবনা গুলো!

দেলোয়ার হোসেন সজীব

ছবি
এসো বন্ধু হই এসো বন্ধু হই বন্ধুত্বের হাত বাড়াই, এসো কল্যানে এসো ভালোবাসা বিলাই। এসো প্রভুর ধ্যানে দিনরাত্রি যাপন করি, এসো মানুষের জন্য সুস্থ্য সুন্দর সমাজ গড়ি। এসো ভুল বুঝাবুঝি ভুলের ঘরে ভুল ঝেরে, এসো মানুষ হই ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত করে। এসো ভালোবাসি মানুষ মানুষ ভাবি এসো ভেদাভেদ ভুলে মানবতার জয়গান করি।।