০৫ নভেম্বর ২০২০

দুর্গাদাস মিদ্যা

 অসহায় বলিদান




বেশ কিছুদিন হল 

চোখের সামনে থেমে আছে পথ 

হাত পা শিথিল

অচেনা শত্রুর ভয়ে দরজায় খিল আঁটা।

মুখোমুখি কথা নয় 

যাবতীয় চারণভূমি শশ্মান

এখন শুধু বাঁচার তাগিদে

পথের অনুসন্ধান। 

এত দুর্ভোগ  এত দুর্যোগ

দেখে অন্ধ হয়ে যায় চোখ

নেই সমাধান এ যেন অসহায়

বলিদান সময়ের কাছে।

शोहली बिस्वास

 हर माँ के लीये




शोएली बिस्वास द्वारा इक कविता हर माँ की ली।  गुटनो सें रेंगता-रेंगता, काब पिरो परा खडा हुआ, तेरी ममता का चव माई जाने का बडा हुआ, काला टीका दुधै मलाई, आजि सब खूच वइसा है, माई ही म्है हग जग, प्यार यार तेरा क्या होगा।  सीढा-साधा, भोला-भाला, माई हाय सबेसा हुआ, किटना भी हो जाउ बाड़ा मा!  मां अजभी तेरा बच्चा होउ।

অংশুমান কর

 প্রস্তাব



সেই একই বিচ্ছু হাওয়া

সেই একই বুড়ো বুড়ো রোদ

সেই একই কচি ডাব

সেই একই লাল সালু, খাতা

সেই একই এসএমএস

সেই একই চেনা চেনা ফোন

সেই একই মিছিলে পা

সেই একই 'ছাড়ব না হাল'

এসেছে নূতন তবু

সবই যেন ভীষণ পুরনো...

শোনো কন্যা তুমি পারো

মুহূর্তে রঙিন করতে

যা কিছুই লাগে কালো-ধলো

যদি দ্বিধা ঝেড়ে ফেলো

যদি দাঁতে ঠোঁট চেপে

যে কথা বলোনি আগে

এ বছর সেই কথা বলো...

সুরভি জাহাঙ্গীর

 মুক্তির বৃষ্টি---



ধুম বৃষ্টি চাই...  ধুম বৃষ্টি!

বৃষ্টির দাপটে ভেঙ্গে যাক লম্পট ভ্রমরের পাখা! ভেসে যাক লোক ঠকানো.. চোখ ধাঁধানো যাত্রাপালার ঝলমলে পোশাক!

ভেসে যাক ভণ্ড মজিদের..ভণ্ডামির লালশালু ঢাকা মাজার!


মুক্তির বৃষ্টিতে ভিজে যাক জমিলা চরিত্র!

জাগ্রত হোক বৃষ্টিস্নাত জমিলার প্রতিবাদ।


(বাংলাদেশ/ ঢাকা)

আশিস চক্রবর্তী

 লক্ষ্মীর ভাঁড় 

মেঝেতে আছাড় মেরে আবার সুতপা দেবী লক্ষীর ভাঁড় টা ভেঙে ফেললেন। ওনার মেয়ে শব্দ শুনে এগিয়ে এসে বললো -- মা ! এই নিয়ে কতবার তুমি ভাঁড় ভাঙলে বলতো! সেই ছোট্ট থেকে দেখছি। টাকা জমিয়ে ভালো কিছু করবে বলে ,শেষ টাই আমার জন্য টাকা গুলো খরচ করো ! 

সুতপা দেবী মিচকি হেসে বললেন -- কোথায় খরচ করছি ! আমি তো শুধু আমার মা লক্ষ্মীর কাছ থেকে টাকা গুলো কিছু সময়ের জন্য চেয়ে নিয়ে ,আমার ছোট  লক্ষ্মীর কাছে জমা রাখছি । আমি জানি তুই নিশ্চয় মা লক্ষ্মীকে সে টাকা আবার ফেরত দিয়ে দিবি ।

সাইফুল আলিম

 দর্শনেই ধর্ষিত 



দর্শনেতে কতো যে নারী,

ধর্ষিত হয় আজ

বেপরোয়া চলছে সেথায় 

কি মনোরঞ্জন  সাজ ।


শালীনতার বস্ত্র বিতান

নগ্ন ডি জে ফ্যাশনে

কুন্ঠিত আজ জাতির বিবেক

ইউরোপিয়ান সেশনে ।


উত্যক্ত আজ হচ্ছে পুরুষ

নোংরা চলন স্বভাবে

জাতি এখন ধ্বংসের দিকে

সুশাষনের অভাবে। 


নারী যদি স্বচ্ছ থাকে 

শ্রেষ্ঠ মানুষ হবে

ধর্ষণ করে পার পাবে না 

ধর্ষক কোথায় রবে । 


মা বোন যে সবার আছে

হয়ে মধ্যে মনি 

আইনের শাসন মানতে হবে

যতোই হোক না ধনী। 


বন্ধ যদি না করা যায় 

ডেটিং,চেটিং ফেক

শান্তি কুন্জে ঘটবে তবে

ভাঙ্গা গড়ার রেক।

শেখ মোহাম্মাদ জিয়াউল হক

 আকাঙ্ক্ষার চাঁদ



যে চাঁদ আজ উঠেছে গগনে,

সে রূপ লেগেছে মননে,

শয়ণে দেখেছি যারে 

দেখি নিদ্রালোকে-

কল্পলোকে  সে-ই থাকে সারাক্ষন 

চাঁদ মুখ চাঁদ হয়ে উঠে রোজ

চারিদিকে দেখি তাঁর সাজ সাজ রব!

চাঁদও যেন  লাজে মরে এই রূপ দেখে

মেঘ রাখে নীলাকাশ তখন ঢেকে।

শর্মিষ্ঠা মজুমদার

 তোমার পৃথিবী




তোমার পৃথিবী

দুহাতের মায়া দিয়ে গোটা পৃথিবীর

ঠান্ডা শরীরটাকে, বুকের ওমে

উষ্ণ করেছ তুমি।

এক নিঃশ্বাসে শুষে নিয়েছ

যত কালো,অন্ধকার, স‍্যাঁতস‍্যাঁতে অনুভূতি।


পৃথিবীর মুখটা এখন সামান‍্য

একটু তোলা আছে তোমার মুখের কাছে,

শহুরে আলোগুলো নিভে গেলে

জোছনা আর হাজার জোনাকীর আলো,

সাজিয়ে দেবে বাসর রাত।

সে মায়াবী আলোয় ঘুমিয়ে পড়বে

তোমার পৃথিবী,তোমার আলিঙ্গনের খাঁচায়।।

অরু চট্টোপাধ্যায়

 হাসপাতাল থেকে কয়েকটা প্রলাপ 

 


(১)

সিঁড়িটা ঝক ঝকে, উঠে যাচ্ছে উপরের দিকে,

কিছুটা থমকে যাই, আমিও, নিষ্প্রাণ পুতুল ,

রক্ত কিছু দিতেই হবে l শার্সির  ওপরে কিছু মেঘ -

আমি বাধ্য শিশুর মতো অসহায় এক নিস্তব্ধতা -


ডাক্তারবাবু এখন ঈশ্বরের মতো আবেগহীন পুতুল 

কি যে বললেন ? মাথার উপর দিয়ে উড়ে চলে যায় -

বসেই রয়েছি l কখন যে ডাক আসবে ...

এখন ঢুকে যাবো, কি সব পরীক্ষা নেবে, যন্ত্রের মন-

একটা লাইন কবিতা নেই 

কার কাছে আয়ু চাইবো দশটা বছর l 


যন্ত্রের ভাষা এ জীবনে শেখাই হলনা l 


(২)

আমাকে বসিয়ে রেখে, কারা যেন চলে গেছে দূরে -

পাশে যে বসে আছে, তাঁর ভাষা আমি বুঝতে পারিনা ,

হাসপাতাল কোন কালে মন্দির ছিলোনা l 

একটা কথা বলছেনা কেউ, সারি সারি স্টিলের চেয়ার -

শুশ্রূষার ভাষা এখন অভিধানে নেই -

মুখ ফেরানো কার অভিমান ?

দেখা যাক যন্ত্র কি বলে ?


আমি বসেই রয়েছি l 

আশ্চর্য এক অপেক্ষায় কাল, আমাকে অপদার্থ অচল করেছে l 


(৩)

আমার চারপাশে কবিতার বই নেই,

শব্দ আছে রোগহীনতার, এখানে ভাষণ নেই l 

কাউন্টারে টাকার বান্ডিল I 

রিপোর্ট বগলে করে ঢুকে যাই ঈশ্বরের ঘরে l 

কয়েকটা ওষুধ লিখে দেন l 


শরীর থেকে কেন যে বেরিয়ে যাচ্ছে সমস্ত আমিষ ?


আমি সারাদিন নিরামিষ কবিতার কাছে থেকে থেকে 

আমিষ শব্দ শিখতেই পারিনি l 


ঝকঝকে স্টিলের চেয়ারটা আমার ব্ন্ধু মনে হয় l 


(৪)

বেরিয়ে এসেছি রাস্তায় l এক কাপ কফি চলতে পারে -

দ্রুত গতিতে ধাবমান রাস্তার সময় -

আমি এখন গতিমান কোনো বস্তু পৃথিবীর নই,

হতাশার জল বিন্দু নেই, আকাংখার সিঁড়ি নেই আর -

এই মুহূর্তে শুধু কফির কাপ এবং চিনিহীন উষ্ণতা, 


সামনে হাসপাতালের বিসাল বিল্ডিং , তাজমহলের মত জেগে আছে l 

আমি সব গেট পার হই l তেঁতো কপি রক্তের ভিতর -

সাদা এ্যাপ্রোন ডেকে নেয় , দেখি বোবাদের ঘর -

সচল হয় USG মেশিন l পর্দায়  নীল ছবি কবিতা আঁকেনা 


কয়েকটা মুহূর্ত আমি কফিনের শব -

য়ার স্বপ্ন l কয়েকদিন বাঁচা ছাড়া আর কিছু নেই 


সামন্য সময় , মনে হয় অনন্ত আলোকবর্ষের কোন জীব l 


(৫)

তিনটে ওষুধ ছমাস খাবেন,

আমি তিন ভুবনের কথা ভাবি -

আমার ভ্রমণে হাসপাতাল যুক্ত ছিলনা ,

কবিতার বইয়ের বদলে ,দিন গুনে গুনে ,নিতে হবে নিম ক্যাপসুল -


আমার ব্ন্ধু প্রেমিকা কি গান পাঠালো ? 

আকাশে কান পেতে, জানাই হলো না ,


তপ্তদিনের উদ্দেশ্যে বলি , আমি ভালো আছি কিনা বোঝাতে অক্ষম ,

তোমার চন্দন গন্ধ জ্যোৎস্নায় ভিজিয়ে দিও l 


বাইরে বেরিয়ে দেখি , দিনের কুসুমে স্বপ্নের গন্ধ লেগে আছে -

সাদা এ্যাপ্রোন পরে কে যেনো দাঁড়িয়ে অদৃশ্য ছায়ায় 


(৬)

হাসপাতাল সৌন্দর্য নেই , সাধ আছে বেঁচে থাকবার -

নিভু নিভু প্রদীপের মতো l 

শরীর মহাশয় ছিলো l  আরও কিছু যত্ন যত্ন খেলা !

এবেলা ওবেলা কিছু করেছি কি ?

মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে , কথাহীন , কি যে বলবে ?

আধুনিক যন্ত্রের ভাষা ?

কিছুই বুঝিনা আমি ,

পড়ে আছে মন খারাপের খাতা , শূন্য স্থান নেই -


বোবা আয়নার কাঁচে দুটো কথা লিখে রাখি -

যে কথা উচ্চারণ হয়নি জীবনে -

লেখা হয়নি , লেখা হয়নি ,জীবন্ত গাছের মতো আয়ু .....


(৭)

রাষ্ট্রের মতো প্রতিশ্রুতি দিতে শিখেছে 

হাসপাতলের নিজস্ব প্রতি রক্তের কনা ,

গিলছে সবাই l এ জীবন , এই বেঁচে থাকা খুবই সুন্দর l 

তাই এই ছোটা ছুটি l দুরন্ত আবেগ l 


এখানে জমিয়ে আছে মহাজাগতিক বেচা কেনা , ভালো হয়ে যাবে -

যন্ত্র বলছে, দেবে শত বর্ষের আয়ু ....


বেঁচে থাকা বড় বিস্ময় l 

ব্যাসদেব লিখেছেন কবে ? তার চোখে ছানি নেই 

তার দেখা স্থির হয়ে আছে l 


লাল এবং সবুজ আলো সর্বত্র ছড়ানো -

আমি ধীরে ধীরে সবুজ আলোর কাছে যাই l

সঞ্জয় আচার্য

 রুদ্ধদল মুক্তদল 




এখানে কি তুমুল বৃষ্টি   আজ

নাকি তরজা শুরু হলো আবার?


তোমাদের আবাসন এবং চারপাশ থেকে তো

সারি সারি বিতর্ক উড়ে যায়

মেঘেদের গায়ে রোজ,

ঘনীভূত হলে ফিরে আসে শিলাবৃষ্টি নাম নিয়ে

দেশি বিদেশি শব্দ কখনো বা কিনারায়

রুদ্ধ কি মুক্ত দলের অহংকারে।


কার সংসার তবে শব্দে ভেসে যায়?

ওই যে ভিজে ভিজে চলেছে দ্যাখো

ওপাড়ার অনিতা বউদি

এই ধোঁয়া ধুসরতা তার ভাষা বোঝে না

দোভাষী হীনতায়  কেউ কি ভেবে নেয় তার বাঁকা শরীর?


তোমাদের আবাসন থেকে কিছুটা দূরে

তুমুল বৃষ্টি এসে নিয়ে গেছে তার ছাতাটুকু ।


ওখানে কি তুমুল বৃষ্টি আজ 

নাকি তরজা শুরু হলো আবার?


বৃষ্টির ফোঁটা গায়ে এসে বিঁধলে

অনিতা বউদি হিসাব করে

কিনারা থেকে ভেসে আসা সেইসব শব্দের 

রুদ্ধ ও মুক্ত দলের মাত্রা।


তখনও দোভাষী হীনতায় কেউ কেউ ভেবে নেয় তার বাঁকা শরীর।