কবি বর্নালী সেনগুপ্ত'র কবিতা
নারী জনমের পাওনা বর্নালী সেনগুপ্ত সভ্যতার সেই উষালগ্ন থেকে তোমার পরিচয় তুমি পুরুষ, তোমার জন্য গোটা বসুমতী ভোগের খোলা বাজার। আর আমরা ? নারী মানে ভোগ্যপন্য! বাহ! কি সুন্দর বিভাজন, নারীকে মাপো তাই কখনো সুডৌল দৃঢ় গোলাকৃতি মাংসপিন্ডে, কখনো অক্ষত জননযন্ত্রের নিক্তিতে। পুরুষ, নারী তোমার চোখে অবলা। তবে তোমাদের পৌরুষের লাঙলে কি করে করো নারীকে ফালাফালা ? কি করে ছিন্নভিন্ন করে দাও একটা কচি শরীরকে ? রেহাই দাও না বলিরেখা ঘেরা কুঁজো বার্ধক্য পীড়িত সত্তরের বুড়ি কে ? শাস্ত্র মতে নারীকে রক্ষা করা পুরুষের নাকি ধর্ম ! অন্ধকার রাস্তায় একা পেয়ে দলবদ্ধ পশুর মতো ঝাঁপিয়ে পড়ো কোন অসহায়ার দেহে, তখন কোথায় থাকে পুরুষ তোমার বিবেক? কোথায় লুকিয়ে রাখো তোমার দৃঢ় পৌরুষের গাঁথাকে ? অর্জুন ও তো কামন্মতা উর্বশীকে ফিরিয়ে দিয়েছিলো, রাবন ও তো নলকুবেরের অভিশাপের ত্রাসে জানকি কে জোর করে ভোগ করেনি, রাম তো শূর্পনখার দূর্বলতার সুযোগ নেয়নি, ভীষ্ম ও তো অম্বাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলো, তবেভ? মনুর বিধান এর নামে পুত্র ক্রিয়তে ভার্যা বলবে, অথচ নারীকে রক্ষনের দায়িত্ব ধূলোয় গড়াগড়ি খাবে ? চমৎকার তোমাদের ব্যবস্হা। আজ