সৌমিত বসু
মেঘদুটো অসুখ পেরোলো একটা মানুষ হেঁটে চলেছে আকাশের দিকে তার পেছনে পেছনে সমস্ত পৃথিবী গাছপালা থেকে বের হয়ে আসছে কান্নার মতো রোদ ভোরগুলো ঝুলি থেকে বের করে আনছে পোকামাকড় রাতের পর রাত গেঁথে তৈরি করা বাড়িগুলো হাত বাড়িয়ে মুখের মধ্যে পুরে নিচ্ছে ঝাঁক ঝাঁক পাখি একটা মানুষ ক্রমাগত একা হতে হতে নদীর তীরে এসে দাঁড়িয়েছে। সম্পর্কের নদী। ওপারে দাঁড়িয়ে তুমি মেপে নিচ্ছ জমিজিরেত দুহাতে আপ্রাণ রিফু করে চলেছ ফুটো ফাটা পুরোনো রাতগুলো খুঁজে খুঁজে এনে সাজিয়ে তুলছো তাকে যে মেঘ একদিন বাষ্প হয়ে নেমে এসেছিলো তোমার চোখে যে চোখ দিয়ে তুমি নিজের মতো বানিয়ে নিতে সাঁকো যে সাঁকো ধরে একদিন তোমার কাছে পৌঁছে যাবে অঝোর শ্রাবণ তুমি ভিজবে, আর চোখ থেকে গলে গলে মুদ্রাগুলি নেচে উঠবে ছাদে, আকাশে, গ্রহতারকায় একটি নিঃস্ব মানুষের আঙুলগুলো সম্বল করে তুমিও মিলিয়ে যাবে ভোরের বাতাসে। চারিদিকে অজস্র গন্ধ। শুঁকে শুঁকে এগিয়ে চলেছে দুটি প্রাণ মানুষ চিনতে চিনতে এগিয়ে চলেছে মরাবিকেলের দিকে সন্ধ্যা নামার আগেই তারা পূর্ণ হবে নাগাল এড়িয়ে।