পোস্টগুলি

নভেম্বর ৩০, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

bvn

LOVE

কবি শুভমিতা বিশ্বাস এর কবিতা

ছবি
সে কি জানে? শুভমিতা বিশ্বাস ঘর ভর্তি লোকের মাঝেও  যার দিকে তাকালে, নিমেষেই অভিমান বুঝতে পারি তাকে আমি নিজের প্রতিটা অঙ্গ ভাবি। সে কাদলে মনে হয়, পৃথিবীর সব নদীর জল  আমার বুকে এসে ধাক্কা মারছে আর সে হাসলে, স্বর্গের চেয়েও ওপরে উঠে যাই আমি! বাজার,দোকান,রাস্তায় একটু একা হলেই  তার ভাবনা আমার ভিতর রিনঝিন করে ঝরে যায়... তার শূন্যতাকে, আমি এক মুহুর্ত বইতে পারিনা সে কি জানে?

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" ৫৮

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কথা  নিয়ে  কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   "   চলবে... টানাপোড়েন (৫৮) পরিষ্কার  স্থানে পাবে মুক্ত ঘ্রান রেখা আজ শীতের সকালের প্রথম আলোর স্পর্শ সারা শরীরে মেখে নিল। শ্বশুরবাড়িতে ব্যস্ততায় সূর্যের প্রথম আলোর স্পর্শ মাখার সুযোগই হয় না। আজ রেখা ভীষণ খুশি। মনের গভীরে এত খুশির মাঝে শুধুই উঁকি - নীল সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে  ইচ্ছে করছে, সারা মনটাকে নীল নীলাভ করে নিতে। এমন সময় শুনতে পেল ভোলা কাকা চেঁচিয়ে বলছে'ছোট বৌদি, ছোট বৌদি ,আজকে আমাদের গ্রামে না চাঁদের হাট বসেছে?' কাকিমা বললেন 'কেন রে কি হয়েছে? কোথায় বসেছে?' ভোলা কাকা বলল 'আরে বাবা, আমাদের মিলনের দোকানে।' কাকিমা অবাক হয়ে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে খুন্তি হাতে বললেন  'কার দোকান ?মিলনের দোকান!' ভোলা বললো ' তাহলে আর কি বলছি তোমায়?' ছাদ  থেকে তরতর করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে এসে রেখা সব শুনছে। কাকিমা বললেন  'কেন  রে মিলন কি করেছে?' রেখা মনে মনে ভাবল এই ভোলা কাকা হচ্ছে এবিপি আনন্দের রিপ

মমতা রায়চৌধুরী। ৬০

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কথা  নিয়ে  কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   "   চলবে...  মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" টানাপোড়েন ৬০ চিন্তামুক্ত আজ সকাল থেকেই শরীরটা কেমন ম্যাচম্যাচ করছে মনোজের। মাথা তুলতে কষ্ট হচ্ছে। আজ রেখা যদি পাশে থাকতো? আজ খুব রেখার কথা মনে হচ্ছে। বাপের বাড়ী গেছে বলে আমাকে ভুলেই গেল। হঠাৎই  ফোন বেজে ওঠে। মনোজের ইচ্ছে করছে না ফোনটা তুলতে। আবার ফোন বেজে উঠল। এবার মনোজ বিরক্তির সঙ্গে ফোনটা রিসিভ করে বলল 'হ্যালো'। অপরপ্রান্ত থেকে কণ্ঠ ভেসে আসলো ' কি করছো?' মনোজ বুঝতে পারল রেখার গলা নয়, কিছুক্ষন চুপ করে থাকলো। শরীরটা ভালো নেই বকবক করতে আর ইচ্ছে করছে না। শণি যেন মনোজের পেছন ছাড়ছে না। অপরপ্রান্ত থেকে আবার বলল'কি ব্যাপার উত্তর দিচ্ছ না যে?' মনোজ বললো ' কি উত্তর দেব?' তিথি বলল 'যা জিজ্ঞেস করলাম।' মনোজ বললো 'শুয়ে আছি।' তিথি বলল' কি ব্যাপার অফিস যাও নি।' মনোজ বলল  'না'। তিথি বলল  'যাক ,তাহলে

মমতা রায়চৌধুরী ৫৯

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কথা  নিয়ে  কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   "   চলবে...  মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" টানাপোড়েন (৫৯) স্মৃতিমেদুর দিন গোধূলি বেলায় নদীর ধারে চারিদিকে সবুজের সমাহার ম্লান সূর্যের আলো জলের উপর পড়ে নানা রকম চিত্র অংকিত হচ্ছে ।আপন মনে রেখা চলে গেল সেই নদীর ধারে ।যেখানে শৈশব, বাল্য ,কৈশোর কেটেছে সেই স্মৃতিমেদুর জায়গায় গিয়ে বসেছে আজ রেখা। কত না বলা কথা রয়ে গেছে মনের অজান্তে। আজ বলতে ইচ্ছে করছে আকাশ বাতাস নদীকে সাক্ষী রেখে । নদীর ধারে বসে আপন মনে পাদুটোকে জলে ডুবিয়ে দিয়ে জলকেলি করতে করতে ভাবছিল ভুল করেছে বর্তমানের কথা বর্তমানে বলতে হয় ।কালকে বললে তার কোন মূল্য থাকে না ।শোনার লোকও থাকে না। মনের গভীরে শুধু থেকে যাবে প্রিয় মানুষকে বলার না বলা কথা। পরক্ষণে রেখা ভাবছেন কেন এসব ভাবছে রেখা। স্বামীর সংসার জীবনে ভালোই আছে। তবে তার মনে কি কোন ক্রাইসিস রয়েছে ,যার জন্য আজ বারবার তার শৈশব বিজড়িত গ্রামে এসে পুরনো দিনের কথা বেশি করে মনকে আষ্টেপৃষ্ঠে ব

মমতা রায়চৌধুরী। ৫৭

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কথা  নিয়ে  কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   "   চলবে...  মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" টানাপোড়েন (৫৭)  'জিহুড়' বাপরে বাপ আজকের বিকেলটা যা কাটলো। রেখা কিছুতেই ভুলতে পারবে না। মনের ক্যানভাসে সারাজীবনে আঁচড় কেটে যাবে। বাড়িতে ফিরে এসে কাকুর কাছে বসে বসে রেখা এসবই ভাবছিল।  হঠাৎই কাকু বললেন  'কি রে ননী ? আজকে তো তোর গ্রাম ঘোরা হল না।' রেখা বলল  'দূর কাকু, তুমি ছাড়ো তো ।আজকে কাকিমা যে কাজটা করেছে ,সত্যিই প্রশংসনীয়। স্যালুট জানাই কাকিমাকে?' কাকু বললেন  'কেন রে ,তোর কাকিমা কি করেছে এমন?' রেখা বললো ' কি করে নি সেটা বলো?' কাকু বললেন  'তাহলে বল শুনি?' রেখা বলল ' ডিটেলসে বলব না ।শুধু এইটুকু জানো কাকিমার মতো নারী যদি এইরকম গ্রামে আরো দুজন চারজন থাকে বা প্রতি বাড়িতে থাকে তাহলে কিন্তু সেখানে অন্যায় কাজ কিছুতেই হতে পারবে না ।মানবিকতার চরম বিকাশ ঘটবে, মনুষ্যত্ব অপমৃত্যুর হাত থেকে বাঁচবে?' কাকু বলল

gcn

LOVE d

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" ৫৬

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কথা  নিয়ে  কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   "   চলবে... টানাপোড়েন (৫৬) মানবিকতা মীনাক্ষী কাকিমার রণরঙ্গিনী মূর্তি দেখে রেখা আশ্চর্য হয়ে গেছে। কাকিমার ভেতরে রেখা শুধুই অপার স্নেহ ভালোবাসা আর ক্ষমার এক মহা সমুদ্র দেখতে পেয়েছে ,সেখানে যে প্রতিবাদী, মারমুখী মূর্তি লুকিয়ে থাকতে পারে ?আজকের লালদার  হাত থেকে বুলু জেঠিমাকে বাঁচানোর এরকম সহৃদয়তার, মানবিকতা র প্রকাশ ।সত্যিই প্রশংসনীয়। কি আশ্চর্যের ব্যাপার কাকিমা বুলু জেঠিমাকে যা বলছে তাই শুনছে। একটু খাবার নিয়ে কাকিমা বলু জেঠিমার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে কাছে গিয়ে বললেন''আমার লক্ষী দিদি 'এই খাবারটুকু একটু খেয়ে নাও।'বুলু জেঠিমা কি করুন দৃষ্টিতে কাকিমার দিকে তাকালেন ।তারপর মাথা নেড়ে না করতে লাগলেন।কাকিমা বললেন' কেন তোমার খিদে পায় নি?'বুলু জেঠিমা মাথা নিচু করে থাকলেন। কাকিমা আবার বললেন  'তোমার খিদে পেয়েছে একটু খাও।'বুলু জেঠিমার ভাব ভঙ্গিতে মনে হল খিদে পেয়েছে ।কিন্তু সাহস পাচ্ছেন না খেতে।একবার এদ

ccfb

LOVE