পোস্টগুলি

নভেম্বর ১৪, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সাফিয়া খন্দকার রেখা ( গল্প)

ছবি
আসবেই দিন সূর্যিত আলোর ভর দুপুরে মজিদ বারে বারে আকাশের দিকে তাকায় সূর্য তার মস্ত ঘড়ি সুর্য দেখে মজিদ একদম সঠিক সময় বলে দিতে পারে সেই ছোট বেলা থেকেই।  পূর্ব পুরুষ থেকে জমিজিরাত না পেলেও এই গুণ পেয়েছে,  মজিদের দাদা মোবাশ্বের নাইয়ার এই সূর্য দেখে সময় বলে দিতে পারার গুণ ছিলো বিধায় দাদাকে গ্রামের মানুষ জ্ঞানী ব্যক্তি মনে করতো।  দিন বদলাইছে মজিদ সূর্য দেখে সময় বলতে পারে এই কারণে গ্রামের বন্ধুরা দুষ্টুমি করে ওকে ডাকে " ঘড়ি মজিদ "। মজিদের বাবার নিজের জমিন ছিলো না মেম্বারের বাড়িতে ফরমায়েশ খাটতো, মেম্বার সাহেবের মা বেগম আয়নামতির খুব দয়ার শরীর ছিলো তিনি মৃত্যুর আগে তার বাগান বাড়ির কিছু অংশ মজিদের বাপের নামে সাফ কওলা করে লিখে দিয়েছিলেন,  ঘর তুলতে একটা বড় গাছও দিয়ে বলেছিলে ঘর বান্দিস মফিজ কতদিন মানুষের ঘরে থাকবি সংসার ছেলেপুলে হইলে কি আর আমার বাড়ি থাকতে পারবি? আয়নামতি বেগমের দয়ার কারণেই একখান ভালো ঘরে থাকে মজিদ বউ বাচ্চা নিয়া।  সমস্যা হয় যখন বছরের একটা সময় কোন কাজ থাকেনা তখন সুদে টাকা আনতে হয় ভাতের জন্যে।  যখন ধান পাটের কাজ থাকে তখন ভালোই আয় হয় কিন্ত সুদের টাকা শোধবোধ করতে সব শেষ হয়ে যায়।

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ২৩

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস   "বনফুল"  বনফুল                    ( ২৩ তম পর্ব )  জুঁইয়ের বাবা-মা বেশ খুশিই হলো মেয়ের পছন্দ দেখে, জুঁইয়ের বাবা বললেন মেয়ের আমার পছন্দ আছে বলতে হবে। জুঁইয়ের মা মনোয়ারা বেগম বললেন কার মেয়ে দেখতে হবে তো,আমিই কি তোমাকে মন্দ পছন্দ করেছিলাম...? ঐদিকে বাসায় পৌঁছে পলাশ সৈকত দুজনেই হাত মুখ ধুয়ে হাল্কা ডিনার খেয়ে  বিছানায় শুয়ে আলোচনা শুরু হলো। সৈকত বললো জুঁই মেয়েটি বেশ লক্ষ্মী, কি বলিস?  পলাশ মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো,  সৈকত আরো বললো তোর ভাগ্য অনেক ভালো যে, পড়াশোনায় নাম্বার ওয়ান স্কলারশিপ এবারেও তুই পাচ্ছিস। ওদিকে, রাত দশটা বাজতেই জুঁই নিচে নেমে এলো, জুঁইয়ের বাবা-মা দুজনেই গল্প করছেন আর টিভি দেখছেন। জুঁইও এসে ওদের সাথে যোগ দিলো, প্রায় এগারোটা বাজতেই ময়না টেবিলে খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা  করে এসে বললো, খালাম্মা খেতে আসেন। খাওয়া শেষ করে জুঁই বাবা-মাকে গুডনাইট বলে উপড়ে উঠে গেল। দাঁত ব্রাশ সেরে, পোশাক চেঞ্জ করে মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে বিছানায় শুয়ে পলাশকে ফোন করলো। ওপাশ থেকে পলাশের কণ্ঠস্বর, কে

মোঃ সেলিম মিয়া

ছবি
চাঁদের বুড়ি চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে মেঘ গেছে সব ছুটি! চাঁদে বসে কাটছে বুড়ি রঙিন সূতোর ঘুড়ি।  ঘুড়ির পিঠে বসে বুড়ি নামবে নাতির দেশ, সাত সাগর আর তেরো নদী  খাল পেড়োবে বেশ। সুন্দর বনের তরু সুন্দরী   বাঁধবে বুড়ির ক্ষুপা, শাপলা ফুলে গাঁথিয়ে বেনী  গলে পড়াবে মালা। পাহাড় পর্বত উঁচু টিলা  চুম্বন দিবে গালে! ময়না টিয়া কোকিল দোয়েল গাইবে মনের টানে। বানর বাবাজী বাজাবে ঢুল বেশম বাজনার তালে। ময়ূর পঙ্খী পেখম মেলে নাঁচবে হেলেদুলে।   হাতি ভাল্লুক বাঘ শিয়াল সব সাহস যোগাবে মিলে; তাই শুনে সব হরিণের দল লাফিয়ে ছুটে চলে।  তিড়িং বিড়িং লাফায় হরিণ  বড্ড খুশির লাজে, চাঁদের বুড়ি কাটবে ছড়া খুশির আমেজে!  চাঁদের বুড়ি দৃশ্য পটে অবাক তাকিয়ে রয়, দুনিয়া দারি এতো সুন্দর  অবাক বিশ্বয়! চরকা কাটা ছেড়ে দিবো মিশবো গানের তালে, জীবন করবো আরও রঙিণ বুড়ি বলবে না সকলে। ভালো বাসার প্রতিদান কেমনে সুধাই আজ? নিত্য নতুন ছড়া কেটে ভাসাবো উল্লাস!  বয়স আমার অনেক বেশি  আদতে হয়েছি বুড়ি, আমার জন্য নয়তো দুনিয়া  চরকা কাটায় সুনাম কুড়ি!!!

শারমিন সুলতানা

ছবি
  মনোহর কল্যাণী হেমন্ত  বাংলা বর্ষ পঞ্জিতে হেমন্তের বিলম্বিত রূপ  যেনো শুরু হয় কার্তিক অগ্রহায়ণে, ক্ষেতে খামারে, রাশি রাশি ধানে ভরে দিয়ে যায়  স্নিগ্ধ শিশিরের মতো নিঃশব্দ চরণে। চারদিকে অন্তহীন কর্ম ব্যস্ততা হেমন্তের মনোহর আহ্বানে,  সে চতুর্থ শিল্পী উদাসীন, পৌঢ় বিষণ্ন  ধূসর কুয়াশায় নয়ন ঢেকে ফসল ফলানোর  বৈচিত্র্যে, নিঃসঙ্গ সাধনায় থাকে নিমগ্ন।  শরৎ রাণীর বিদায়কালে হেমন্ত এসে হাজির হয় হিমের ঘন ঘোমটায় আবৃত হয়ে, কৃষকের পরিতৃপ্তির সুর ভাসে সার্থকতায়  যেনো নবান্নের ধুমধাম আনন্দ উৎসব নিয়ে।

মাহমুদা মৌ

ছবি
এক মুঠো রোদ্দুর  নীলাকাশ পাহাড় সমুদ্র  পাহাড়ি জলধারার শব্দ   বয়ে চলা নদ-নদী সবুজ বন-বনানী  ওরা সন্নিকটে টানতে জানে । ধূসর মলিন সময়কে  সতেজ করে তোলে ।  রাত জাগা ডাহুক ভোর দেখায়  হেরে যাওয়া নিয়তিকে ডেকে তুলে  এক মুঠো ঝলমলে রোদ্দুর উপহার দেয় ।  বলে না ভুলের পদ্মপুকুরে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করতে ।  করে না আহত ছুরির মুকুট চালিয়ে  চায় না জখম করতে তিক্ততা বাড়িয়ে । ওরা পৃথিবীর বুকে স্নিগ্ধতা ছড়ায়,  অসময়ে বসন্ত বাতাস ছড়ায় সর্বত্র । ওদের ফুরফুরে বাতাসে ঢেউ তোলে মিষ্টি প্রেমের স্বপ্নগুলোয় উম্মীলিত  ভালোবাসার ছায়াতলে  সময়ে অসময়ে ঘুরে ফিরে ।

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৪২

ছবি
টানাপোড়েন (৪২) জ্বলুনি                                                   ক তদিন পর রেখাকে মনোজ বাহু বন্ধনে জড়াল। মনোজের বুকে মাথা রেখে মনে হচ্ছে জীবনটা এভাবেই কাটিয়ে দিতে পারলেই সার্থক । মনে হচ্ছে যেন প্রশস্ত আকাশের অফুরন্ত ভালোবাসা। এ ভালোবাসা আদি-অন্তহীন। 'প্রেমের ও জোয়ারে ভাসাবে দোঁহারে ,বাঁধন খুলে দাও ।দাও দাও দাও...। রেখা গুনগুন করে গান গেয়ে ওঠে।' হঠাৎই মনোজ  বলে ওঠে'আমার নাটোরের বনলতা সেন )'।রেখার মুখটা নিজের মুখের কাছে তুলে ধরে চেয়ে থাকে)। রেখা  বলে ' কি দেখছ'? মনোজ  বলে  ''তোমাকে‌। আরো বলে জানো তো রেখা, তোমাকে দেখার যেন আদি, অন্ত নেই ।সীমাহীন।' রেখা বলে ' তাই?' এবার মনোজ গান গেয়ে ওঠে'ভুলিবো  ভাবনা, পিছনে চাবো না। পাল তুলে দাও..। হঠাৎই রেখা মনোজের দুই বাহু বন্ধন থেকে ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টা করে। মনোজ বলল ' কি হলো? এত সুন্দর রোমান্সের মুহূর্ত আর তুমি...?' রেখা ব্যগ্রভাবে বলল' আওয়াজ পাচ্ছ না কিছুর?' মনোজ বলল 'কই না তো ।'(কান খাড়া করে) রেখা বলল  'আরে বাবা, বাচ্চাগুলোর আওয়াজ পাচ্ছ না?' মনোজ বলল

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত"১২

ছবি
ধারাবাহিক  শামীমা আহমেদ এর  ধারাবাহিক গল্প  "অলিখিত শর্ত" শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত                                                (পর্ব ১২ )     শামীমা আহমেদ                                 বি য়ের পরে যেখানে সবাই হাসি আনন্দে দিন কাটায় সেখানে তাদের দুজনকে সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়েছে। কি জানি কখন বাবা তার লোকবাহিনী পাঠিয়ে মেয়েকে তুলে নেয়। কিন্তু বেশ অবাক করে দিয়ে রিশতিনার বাবা বিয়ের একমাসের মাথায় বিয়েটা মেনে নেয়। সবাই ভেবে নিলো যতই হউক মেয়ের জন্য পিতার হৃদয়তো কাঁদবেই।নিশ্চয়ই মেয়ের সুখের চেয়ে বেশি কিছু বাবা মায়েরা চাইবে না। একদিন বেশ আয়োজন করেই মেয়ের বাড়ি এসে মেয়ে জামাইকে নিয়ে যেতে চায়।কিন্তু শিহাব একেবারেই যেতে রাজী হলোনা। আর এখানেই একটা বিরাট বড় ভুল করে ফেললো শিহাব। সেই যে রিশতিনা বাবা মায়ের হাতে বন্দী হলো আর তাকে নিজের করে পাওয়া হলো না। রিশতিনাও অভিমানে শিহাবের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিলো। আড়ালে শিহাবকে রিশতিনার বাবা ভীষণভাবে অপমানিতও করেছিল আর যেন তার মেয়ের কাছে না আসে। তাই শত ইচ্ছা থাকা সত্বেও নিজের স্ত্রীর অধিকারে আর রিশতিনাকে ফিরে পাওয়া হলো না।এমন জাঁদরেল ব্যারিস্টার

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"২৬

ছবি
চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।  উদাসী মেঘের ডানায়, ( ২৬ তম পর্ব  ) অপু ও তৃষ্ণার মা দুজনে বিয়ের তারিখ ঠিক করা নিয়ে,ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। অপুর মা বললো- বিয়ান আমরা সকাল ১০টার,দিকে  কলমাটা পড়িয়ে ফেলবো কি বলেন?  তুষ্ণার মা-,তাহলে তো খুবই ভালো হয়। বিয়ে, বৈভাত যখন একসাথে হচ্ছে। এমন সময় তৃষ্ণা অফিস থেকে এসে দেখে দুই মা বেশ গল্প করছে, মাকে আর ডাকলো না রুমে ঢুকে অফিসের ড্রেস চেন্জ করে হাতমুখ ধুয়ে বিছানায় এসে বালিশে হেলান দিয়ে বসলো, কিছুক্ষণ পর সামিয়া,এসে ঢুকে বললো - বিয়ের মার্কেটিং কবে করবি তৃষ্ণা মাত্র তো হাতে একটি মাস। তৃষ্ণা- হবে এতো চিন্তা করোনা তিনদিনে সেরে ফেলবো। সামিয়া - খালা ডাকছে চা খেতে আয়। তৃষ্ণা - তুমি যাও আমি আসছি। চা খেয়ে মায়ের সাথে কিছুটা সময় গল্প করে রুমে চলে এলো বিয়ের সময় এগিয়ে আসছে যত তৃষ্ণা কেমন জানি একটি ঘোরের ভিতর আজকাল ডুবে থাকে। অপুকে ফোন করতে ইচ্ছে করছে আবার কেন জানি একটু ল

dfgzdfg

LOVE

hhf

LOVE