সাফিয়া খন্দকার রেখা ( গল্প)
আসবেই দিন সূর্যিত আলোর ভর দুপুরে মজিদ বারে বারে আকাশের দিকে তাকায় সূর্য তার মস্ত ঘড়ি সুর্য দেখে মজিদ একদম সঠিক সময় বলে দিতে পারে সেই ছোট বেলা থেকেই। পূর্ব পুরুষ থেকে জমিজিরাত না পেলেও এই গুণ পেয়েছে, মজিদের দাদা মোবাশ্বের নাইয়ার এই সূর্য দেখে সময় বলে দিতে পারার গুণ ছিলো বিধায় দাদাকে গ্রামের মানুষ জ্ঞানী ব্যক্তি মনে করতো। দিন বদলাইছে মজিদ সূর্য দেখে সময় বলতে পারে এই কারণে গ্রামের বন্ধুরা দুষ্টুমি করে ওকে ডাকে " ঘড়ি মজিদ "। মজিদের বাবার নিজের জমিন ছিলো না মেম্বারের বাড়িতে ফরমায়েশ খাটতো, মেম্বার সাহেবের মা বেগম আয়নামতির খুব দয়ার শরীর ছিলো তিনি মৃত্যুর আগে তার বাগান বাড়ির কিছু অংশ মজিদের বাপের নামে সাফ কওলা করে লিখে দিয়েছিলেন, ঘর তুলতে একটা বড় গাছও দিয়ে বলেছিলে ঘর বান্দিস মফিজ কতদিন মানুষের ঘরে থাকবি সংসার ছেলেপুলে হইলে কি আর আমার বাড়ি থাকতে পারবি? আয়নামতি বেগমের দয়ার কারণেই একখান ভালো ঘরে থাকে মজিদ বউ বাচ্চা নিয়া। সমস্যা হয় যখন বছরের একটা সময় কোন কাজ থাকেনা তখন সুদে টাকা আনতে হয় ভাতের জন্যে। যখন ধান পাটের কাজ থাকে তখন ভালোই আয় হয় কিন্ত সুদের টাকা শোধবোধ করতে সব শেষ হয়ে যায়।