পোস্টগুলি

নভেম্বর ৭, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি সুবর্ণ রায় এর কবিতা

ছবি
পেরিয়ে এসো      ভেঙে যাক সব রেখার বাধা,এসো পেরিয়ে  ছড়িয়ে পড়ুক আকাশজুড়ে মুগ্ধ কাতরতা সর্বনাশের মাঝে ফের দাঁড়িয়ে দু'জনে ছুঁয়ে দিই আজ একে অপরের ঠোঁটের নীরবতা

সাবানা পারভিন

ছবি
আগ্নেয়গিরি একশ ওয়াটের বাল্বটি  নিজেকে সূর্যের পরিচয় দিয়ে চুপ করিয়ে দিয়েছিল মাটির সমস্ত প্রতিবাদের ভাষা । তারপর সমস্ত শক্তি হারিয়ে মৃত্তিকা তলিয়ে যায় গভীর ঘুমের দেশে। তারপর ক্ষমতার দম্ভে  একশ ওয়াটের বাল্ব  ভূ-বক্ষে পদাঘাত করতে করতে একে একে হাসিল করছিল মত্ত পৃথিবীর যাবতীয় উল্লাস। কিন্তু এত সহজেও সব শেষ হয় না। একটু একটু করে মৃত মৃত্তিকার বুকের ভিতর পলি জমতে থাকে আগুনের। জমতে-জমতে, জমতে-জমতে ভিতরে ভিতরে ফুটতে থাকা লাভাদের বিদ্রোহ নিয়ে একদিন সে জীবন্ত আগ্নেয়গিরি হয়ে ওঠে।

তানভীর আজীমি ( এথেন্স, গ্রিস )

ছবি
একটি ফুল ও আমি  আমি একদিন ফুলকে জিজ্ঞাসা করলাম বলতো তুমি এতো সুন্দর কেন ?? ফুল হেসে বললো সবাই আমাকে পছন্দ করে তাই আমি কারো প্রথম প্রেমের সাক্ষী  কারো মন মন্দিরে মালা বদলের অকুলতা  মধ্যবয়সী প্রণয়ের আলিঙ্গনের সাগরে ভেসে যাওয়া অনুভূতি আমি কারো বাসর শয্যার মনোরোম সুগন্ধ কেউ পড়ে গলায়,কেউ সাজায় কবরে, কেউ আবার অভিমানে পিষে দেয় নির্মম আঘাতে। আমি হয়তো বিচিত্র সুন্দর   তাই আমাকে বিচিত্র ভাবে ব্যাবহার করো।  ফুল আমাকে কানে কানে জিজ্ঞাসা করে !!  আচ্ছা তুমি কি আমাকে পছন্দ করো  আমি নির্দ্বিধায় উত্তর দিলাম হেসে  তোমাকে পছন্দ করি বলেইতো ছুঁয়েদেই আমার নরম ঠোঁটে  তোমাকে পছন্দ করি বলেইতো সাজাই প্রেয়সীর খোঁপায় পরম আনন্দে  তোমাকে পছন্দ করি বলেইতো বেঁধেদেই আঁচলের অলিন্দে  তোমাকে পছন্দ করি বলেইতো তোমায় পেতে চাই বাসরে  প্রিয় মানুষটি যখন এসে কাছে আলিঙ্গন করে নিবিড়ে  তোমার সুভাসে মুখরিত হয় মনের বাগান এক অনাবিল সুখের সাগরে আমি ভেসে যায় স্বর্গীয় অনুভূতি নিয়ে। ফুল অভিমান করে কাছে এসে বলে !! তুমি কবি, তুমি আমায় নিয়ে সাজাও কবিতার বাসর জগতে অজস্র রুপে তুমি অনুভব করো আমায় দিলরুবা পৃথিবীর প্রীতিটি উৎসবে আমায় সাজাও ভক্তি

সজল কুমার মাইতি

ছবি
মানসী পূজোয় তারে দেখেছিলেম নানা রঙের সাজে কোথাও সে বাদ্যি বাজায় কোথাও ব্যস্ত কাজে। কখনো সে অঞ্জলি দেয় কখনো সাজে সিধে রাতের বেলায় ধুনুচি নাচে ঘামে নেয়ে ভিজে। সকাল বেলায় আগমনীর সুরে সবায় করে মাতাল  পংক্তি ভোজের দুপুরেতে সবার খেতে খেতে বিকাল। সিঁদুর মাখা মুখে তোমায় লাগে যে দেবী বিসর্জনের পরও থাকবে তোমার স্মৃতির ছবি। সুখ দুঃখ থাকে সবার থাকবে তাও জানি তারই মাঝে আনন্দরে করি কেবল টানাটানি

কবি বিকাশ সরকার আলোউৎসবে এবং আমরা দুইজন

ছবি
ভালোবাসা থেকে প্রেম  দেবব্রত সরকার  (আজ দ্বিতীয় কিস্তি)                                                  আ লোউৎসবে সকলে যখন বাজি ফাটাচ্ছে তখন কবির কাছে আমরা দুইজন মানে সঙ্গে কবি বন্ধু তথা সাংবাদিক সানি সরকারকে নিয়ে কবিতা গল্প সাহিত্যে আলোর ঝলক দিয়ে গেলেন কবি।  কবি বিকাশ সরকার একজন প্রাণের মানুষ পাঠকের কাছে।  সবুজ মন নিয়ে হৃদয়ে নাড়া দেয়। তাঁর নিজস্ব অনুভূতিকে লেখার মধ্যে এমন ভাবে প্রয়োগ করেন যে , যে কোন পাঠকই ভেবে নিতে পারেন তার জীবনের কথা উল্লেখ করছেন।  কবিতার বই পড়তে পড়তে কালী পুজোর পরদিন সানি আমার ঘরে হাও হাও করে কেঁদে উঠল।  আমি তাকে কোন ভাবেই থামাতে পারিনা।  সানি বলল তোতন বলতো কি করে লেখেন বিকাশ দা ? আমি নির্বাক হয়ে চেয়ে থাকলাম।  সানি চোখের জল মুছতে মুছতে বাইরে ঘরে গিয়ে বসল আমার সঙ্গে তারপর বিকাশদাকে নিয়ে চলল আলোচনা কেটে গেল সারারাত।  কবির গল্প উপন্যাস ও কবিতা নিয়ে কি ভাবে যে রাত কেটে গেল জানতে পারিনি। সকালের পাখি ডাকতেই ব্যাগ কাঁধে কবির বই হাতে ট্যাক্সিতে গিয়ে বসলাম দুইজনে।  রওনা দিলাম শিয়ালদহ রেলস্টেশন এর দিকে।                                                                     কব

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" ৩৮

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " । 'টানাপোড়েন' ( ৩৮ )           ফিকে স্মৃতি                                                           রে খা ভেবেছিল আজকের সন্ধ্যাটা বেশ ভালোই কাটবে । মনোজ বেশ  ভাল ই ছিল ,মাঝখান থেকে ফোনটা এসে যাওয়াতে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেল। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে রেখা টেবিলে বসলো একগাল হাসি নিয়ে, হাসিটা রেখা জোর করেই হাসছে মনোজের মুডটাকে ঠিক করার জন্য।  রেখা বলল  ' কফিটা খুব টেস্ট হয়েছে। না ।তুমি ন্যাচারালি কফি ভালো বানাও। কি গো খাও? এত কি ভাবছো বল তো?' মনোজের হঠাৎ যেন রেখার কথায় চমক ভাঙলো তারপর বলল  'হ্যাঁ, কি বলছো,?' রেখা কফির দিকে তাকিয়ে ইশারায় কফিটা খেতে বলল। মনোজ বলল 'তুমি স্টেশনে গেছিলে কেন?' রেখা বলল  'আর ব'লো না। কালকে খাতা জমা দিতে হবে এ,ই জন্যই তো।' মনোজ  বলল  'একদিনের মধ্যে খাতা জমা?'জিজ্ঞাসু নেত্রে তাকিয়ে রইল রেখার দিকে'। রেখা বলল  'আরে পর্ষদ নির্দেশিত ডেট দেওয়া হয়েছে। তো ,বড়দ

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত"১০

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত                                                (পর্ব ১০ )     শামীমা আহমেদ                                            ছু টির দিনের সকাল। রাস্তা বেশ ফাঁকাই ছিল।শিহাব এক ঘন্টায় ঝিগাতলায় তাদের নিজেদের বাড়িতে পৌছে গেলো।মাঝে পেট্রোল পাম্প থেকে বাইকে তেল নেয়া। পথে আর কোথাও থামল না। মা অপেক্ষায় আছে তাই আর দেরি করতে মন চাইছে না।সারা সপ্তাহ ফোনে কথা হয়, ভিডিও কলে কথা হয়, দেখা হয়।তবুও মাকে ছুঁয়ে না দেখলে সত্যিকারভাবে মায়ের কাছে যাওয়া হয় না। যতই ভিডিও কলে দেখা হউক।অবশ্য শিহাবের বাবা এ ব্যাপারটায় এখনো অভ্যস্ত হয়ে উঠেনি। শুধু পাশে বসে সবকিছু শোনে।শিহাবের বাবামায়ের কাছে অর্থাৎ দাদাদাদীর কাছে বড় হচ্ছে শিহাবের একমাত্র সন্তান  তিন বছর বয়সী  ছেলে আরাফ। সেও তার বাবার জন্য নাস্তা নিয়ে অপেক্ষায় থাকে। শিহাবের বাইকের আওয়াজ শুনলেই দৌড়ে বারান্দায় চলে আসে। শিহাবদের ঝিগাতলার এই চারতলা বাড়িটি  ওদের নিজেদের । তিন আর  চারতলায় এক ইউনিট করে হলেও বাকীগুলি দুই ইউনিটে করা।আর সবই ভাড়া দিয়ে রাখা।তা প্রায় পনের বছর হয়ে এলো বাড়িটার। শিহাবের বাবা আমেরিকায় থাকতেই বাড়ির কাজে  হাত দেয়া। শিহাবের বড় ভ

সাফিয়া খন্দকার রেখা এর গল্প

ছবি
নিলয়ের বয়স তখন বিয়াল্লিশ আর প্রথমা মাত্র অনার্স প্রথম বর্ষে একুশ কিংবা বাইশ বছরের এক সুন্দরী যাকে দেখলেই যে কোন যুবকের মাথা ঘুরে যায়।  প্রথমার বাবার অফিসের কম্পিউটার অপারেটর নিলয়ের যাতায়াত ছিলো মোবিন সাহাবের বাড়িতে কারণ তার পি এর কাজও নিলয়কেই করতে হোত। সে এক আশ্চর্য  লাশের চরিত্র    হেমন্তের এই সময়টা নতুন চালের গন্ধে যেমন বাতাস ভারি হয় ঠিক তেমন ভারি হয়ে ওঠে প্রথমার মনের শরীর।   কতগুলো বছর অথচ কিছুই মুছে যায়না ভেতর ভেতরে কি ভয়ঙ্কর চিৎকার!  শরীর গুলিয়ে বমি আসতে চায়, বিছানা ছেড়ে অন্ধকার ঘরেই আস্তে আস্তে বেশিনের কলের কাছে এসে মুখে জলের ঝাপটা দেয়।  নিলয় গভীর ঘুমে থাকলেও পাশের ঘর থেকে শাশুড়ী মা ঠিক টের পেয়ে উঠে আসেন  তুমি একজন ভালো ডাক্তার দেখাওতো বৌমা আজকাল প্রায়শই দেখি তোমার বমি হয় ঠিকঠাক ঘুম হয়না, নিশ্চয়ই আমার ছেলেটা ঘুমিয়ে থাকে কিছুই জানেনা  কথাগুলো বলছেন আর প্রথমার পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন রওশন বেগম।   মা আপনি রাতে ঘুমান না একদম?  ঘুমিয়ে ছিলাম তোমার বমি করার শব্দ পেলাম,  সরি মা আরে সরি বলার কি আছে তুমি কিন্ত অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাবে কাল, আর আজকাল তো ঘরেই টেস্ট করার কি সব বের হয়েছে নিজে

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ১৯

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস   "বনফুল"  বনফুল                    ( ১৯ তম পর্ব )                                              জুঁ ই উপরে উঠে হাত পা ছেড়ে শুয়ে পড়ল,ঘড়িতে তখন তিনটে বাজে। ফোনটা হাতে নিয়ে পলাশকে ফোন দিল, ওপাশ থেকে পলাশের কণ্ঠে বললো কেমন আছো জুঁই ? স্যরি জুঁই আমি আর তোমাকে ফোন দিতে পারিনি! এপাশ থেকে জুঁই বললো its Okay আমি তো দিচ্ছি, মোট কথা একজন দিলেই হলো। আমিও ব্যস্ত ছিলাম তাইতো তোমাকে ফোন দিতে পারিনি, এখন বল তোমার বন্ধু কেমন আছেন?   হুমমম ভালো আছে, এতক্ষণ পর্যন্ত তোমার গল্পই হচ্ছিল.....  জুঁই হাহাহা হাহাহা হাহাহা  হেসে উঠলো! আমায় নিয়ে আবার গল্প করার কি আছে, আমি সাদামাটা একটা মেয়ে মাত্র,আমি তো ক্লিওপেট্রা নই। আচ্ছা তোমাদের বন্ধুত্বের গল্পে ভাগ বসাতে চাই না, কালকে ঠিক সময়ে চলে এসো। ফোন রাখছি বাই বাই বলে জুঁই ফোন কেটে দিলো। কিছুক্ষণ চুপ করে শুতেই ঘুমিয়ে পড়েছে জুঁই। পাঁচটায় জুঁয়ের ঘুম ভাঙ্গলো, হাতমুখ ধুয়ে নিচে নেমে আসতেই ময়না জিজ্ঞেস করলো আপামনি আপনাকে চা দেবো না কফি?   জুঁই বললো কফি দাও সাথে হালকা কি

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"২৩

ছবি
চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।  উদাসী মেঘের ডানায়                                                    (পর্ব ২৩ )                                                   স মিয়া,সোজা যেয়ে উঠলো তৃষ্ণার বাসায়,তৃষ্ণার মা অবাক কন্ঠে বললো- কি হয়েছে তোমার সুটকেস ব্যাগ নিয়ে কোথাও যাবে মা? সামিয়া - না, খালা কয়টা দিন আমাকে থাকতে দিন। তারপর চলে যাবো বাসা ঠিক করে, দিবেন থাকতে? - ওমা সেকি কথা থাকতে দিবোনা মানে এসো পাগলি মেয়ে কোথাকার,এতো ক্লান্ত দেখাচ্ছে কেন কিছু খাওনি, তৃষ্ণা কোথায়? সামিয়া- খালা আমি অফিস থেকে অনেক আগে চলে এসেছি একটা জরুরী কাজ ছিলো সেটা শেষ করে এসেছি তৃষ্ণা চলে আসবে হয়তো কাছাকাছি চলে এসছে। - যাও হাতমুখ ধুয়ে ঐরুমে যাও আমি খাবার রেডি করি। সামিয়া- তৃষ্ণা আসুক, আমি বরং একটু বিশ্রাম নেই। এইবলে গেষ্টরুমে চলে গেলো। তৃষ্ণা বাসায় এসেই মার কাছে সব শুনে সামিয়ার রুমে এসে দেখে সামিয়া শুয়ে আছে। ওর মাথায়