চলছে নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের পড়তে সহযোগিতা করুন লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম লেখার।
আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে লিখতে সহযোগিতা করবে।
উদাসী মেঘের ডানায়
(পর্ব ২৩)
সমিয়া,সোজা যেয়ে উঠলো তৃষ্ণার বাসায়,তৃষ্ণার মা অবাক কন্ঠে বললো- কি হয়েছে তোমার সুটকেস ব্যাগ নিয়ে কোথাও যাবে মা?
সামিয়া - না, খালা কয়টা দিন আমাকে থাকতে দিন।
তারপর চলে যাবো বাসা ঠিক করে, দিবেন থাকতে?
- ওমা সেকি কথা থাকতে দিবোনা মানে এসো পাগলি
মেয়ে কোথাকার,এতো ক্লান্ত দেখাচ্ছে কেন কিছু খাওনি, তৃষ্ণা কোথায়?
সামিয়া- খালা আমি অফিস থেকে অনেক আগে চলে
এসেছি একটা জরুরী কাজ ছিলো সেটা শেষ করে
এসেছি তৃষ্ণা চলে আসবে হয়তো কাছাকাছি চলে
এসছে।
- যাও হাতমুখ ধুয়ে ঐরুমে যাও আমি খাবার রেডি করি।
সামিয়া- তৃষ্ণা আসুক, আমি বরং একটু বিশ্রাম নেই।
এইবলে গেষ্টরুমে চলে গেলো।
তৃষ্ণা বাসায় এসেই মার কাছে সব শুনে সামিয়ার রুমে এসে দেখে সামিয়া শুয়ে আছে।
ওর মাথায় হাত রাখতেই সামিয়া চোখ খুলে উঠে বসে
তৃষ্ণা কে জড়িয়ে ধরে কাদঁতে কাদঁতে বললো -
পারলাম নারে সংসারটা টিকিয়ে রাখতে আমি হেরে গেলাম ভালোবাসার কাছে।
তৃষ্ণা- কেন কি হয়েছে খুলে বলো।
সামিয়া- আমি বাধ্য হলাম আর অপমান,অপবাদ নিতে পারলামনা তাই ডিভোর্স দিয়ে তোর কাছই ছুটে
এলাম,কয়টা দিন থাকি তারপর চলে যাবো।
তৃষ্ণা- অনেক সহ্য করেছো আর কতো, খালা তোমার
ভাাই বোনেরা জানে।
সামিয়া- না বলিনি,আর ভাইয়ের বাসায় গেলে আবার
জোর করে পাঠিয়ে দিবে, মাকে আমার জন্য কথা শুনতে হবে।বোনের কষ্টে ওদের কষ্ট হয়না, ওদের মান-সন্মান অনেক বেশি, তাইতো তোর কাছেই এলাম।
তৃষ্ণা- এসেছ যখন তখন এখানেই থাকবে বাড়ি ভাড়া
নিতে হবেনা আমাাদের কতরুম খালি পড়ে আছে
তাছাড়া আমাকে তো তুমি ছোট বোনের মতন আদর করো, কাজেই আমার কথাই শুনতে হবে।
সামিয়ার মা দরজায় দাঁড়িয়ে সব শুনে সামিয়ার কাছে
এসে বুকে জড়িয়ে ধরে বললো- আজ থেকে আমার
দুটো মেয়ে,তৃষ্ণা অফিসের কাপড় চেন্জ করে হাতমুখ
ধুয়ে আায় দুজন ডাইনিং এ কিছু খেয়ে নাও তারপর
গল্প করো।এই বলে উনি বেরিয়ে গেলো।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much