পোস্টগুলি

2021 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি এরশাদ এর কবিতা

ছবি
একটি কবিতার আত্মহুতি তোমার ভালোবাসার চাতক পাখি কি ঘরে ফিরেছে? অভূতপূর্ব কোন মায়াজাল থেকে নিজের অস্তিত্বটুকু বিলীন হয়েছে কবে আমার!  সেই কবে আমি তোমার পথ থেকে নিজের পথের বাঁক নিয়েছি। তুমি কি দেখো আমার চোখ এখন নির্ঘুম থাকে সারাক্ষন আমি এখন আজন্ম ক্রিতদাস আমার অমানিশার কোঠরে। মুষ্টিমেয় ভালোবাসার চৌকাঠ পেরিয়ে আমার উঠোনে এখন নির্বাসিত পায়রার চাষ। তুমি এখনও উড়ন্ত বলাকা হে প্রিয় আমার? আমি তোমাকে অবাধে দিয়েছিলাম আমার আকাশ এখন আমার নির্মল মেঘ ফুঁড়ে শূন্য ক্যানভাস শুধু আমার রংতুলিতে ধূসর পালক আর মৃত করোটির বিকট হাসি।

শান্তা কামালী/৫৪ পর্ব 

ছবি
বনফুল (৫৪ পর্ব )  শান্তা কামালী অলিউর রহমান বাসায় পৌঁছে লাঞ্চ করে, অনেকটা সময় চিন্তা ভাবনা করছেন কি ভাবে কি করা যায়। বিয়ে বলে কথা....  মাঝখানে মাত্র দুটো দিন, হঠাৎ করে মাথায় এলো কাবিনের বিষয়টা! সাথে সাথে অলিউর রহমান সাহেব মনিরুজ্জামান সাহেবকে ফোন করে অহনার একাউন্ট নাম্বার দিতে বলেছেন। মনিরুজ্জামান সাহেব বললেন ঠিক আছে কাল সকালে আমি মেসেজ করে অহনার একাউন্ট নাম্বার দিয়ে দেবো। তারপর অলিউর রহমান সাহেব স্ত্রীর রুমে ঢুকে অহনার জন্য করা বাজার গুলো একটা একটা করে দেখালেন , উনি বুঝতে পারছেন আজ রাহেলা খাতুন সুস্থ থাকলে কতো আনন্দ উল্লাস হতো এই বিয়েতে।  রাগেলা খাতুন সব বাজার-সদায় দেখে খুব খুশি হলেন, স্বামীকে বললেন আমি ও তোমার মতো এতো সুন্দর জিনিস-পত্র কেনাকাটা করতে পারতাম কি না জানিনা। অলিউর রহমান স্ত্রীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন...।  রাতে খাওয়ার সময় হয়ে গেল, সৈকত মায়ের খাবার নিয়ে আসতেই সৈকতের বাবা বললেন আজ আমি খাওয়াবো তোমার মাকে।  ডিনার শেষে ঔষধ খাইয়ে শুইয়ে দিলেন অলিউর রহমান সাহেব...।  ছেলেকে নিয়ে নিজেও ডিনার শেষ করে আপন মনে কিছুটা সময় পায়চারি করছেন দেখে সৈকত বললেন আব্বু তুমি কি কোনো রকম ডিপ্রেশনে আছ

রাবেয়া পারভীন/৫মপর্ব

ছবি
দুরের বাঁশি  রাবেয়া পারভীন  (৫মপর্ব) অনুমতি পাবার পরে কেবিনের ভিতরে এলেন ডাক্তার  সাথে  গায়ত্রী ।  সেই  দাঁত কেলানো হাঁসি। -বাহ  একদম ভাল হয়ে গেছেন দেখছি।  -আজকে  আমাকে রিলিজ দিয়ে দিন  ডক্টর। -বাড়ী  যাবার  জন্য  খুব ব্যাস্ততা দেখছি !   কপাল কুঁচকে  ডাক্তারের দিকে তাকালো  লাবন্য ।  আবার সেই দাঁত কেলানো হাঁসি -ঠিক আছে  রিলিজ করে দিচ্ছি। যে ওষুধ  লিখে দিচ্ছি ঠিকমত খাবেন। ঠান্ডা লাগাবেন  না । ও  আর একটা কথা  আপনার কন্টাক্ট  নাম্বারটা  দিয়ে যান  যাতে মাঝে মাঝে আপনার  স্বাস্থ্যের খোঁজ  খবর নিতে পারি।  মনে মনে দাঁত কড়মড় করলো  লাবন্য । মনে মনে  বলল - নিকুচি  করি নাম্বারের।  ডাক্তার চলে যাবার পরপরই  শুভকে ফোন করে লাবন্য। - হ্যালো  শুভ  আজকে আমি হাসপাতাল থেকে  রিলিজ হচ্ছি।  খুশি হয়ে উত্তর দিল শুভ - বাহ। খুব ভাল। সুস্থ  হয়ে বাড়ী ফিরে এসো। খুব চিন্তায় ছিলাম  লাবন্য।   এখন  বেশ ভালো লাগছে। - শুভ  আমি বাড়ী এলে আমাকে তুমি দেখতে আসবে তো ?   -  হ্যাঁ  অবশ্যই  দেখতে আসবো। আজকে বাসায় এসো আগামীকাল  তোমার  আর আমার  দেখা হবে।  বাসায় এসে  আনন্দে  আটখানা  হয়ে যায়  লাবন্য।  আগামী কালটা  যে কখন আসবে। উফ্ !  আর

অলোক কুমার দাস

ছবি
  বিনয়   ছিল আমার এক বন্ধু।  খেলাধুলায় ছিলো দক্ষ।  কি টেনিস, কি ফুটবল, কি সাঁতার  আমরা দুজনে সাঁতারে ছিলাম দক্ষ। হঠাৎ সেদিনটা মনে পড়ে গেল।  আমাকে বললো “তুই তো গোলকিপার” বল আমি জোরে মারবো, তুই বুকে ধরতে পারবি না।  আমি বললাম ‘চ্যালেঞ্জ”।  বিনয় সুতীব্র জোরে মারলো সর্ট,  আমি বলটা গ্রীপ করে নিলাম। বুঝলাম ও অনেক বড়ো হবে। হ্যাঁ ও বড়ো হয়েছিল। মোহনবাগান ক্লাবে খেলেছিল, আজ বিনয় নেই। কিন্তু ওর স্মৃতিটা হৃদয়ে রয়ে গেছে।

শিবনাথ মণ্ডল

ছবি
কনেটাকে সাজায়ে দে শিবনাথ মণ্ডল আজ বাজা মাদল বাজা কনেটাকে সাজা বিয়ে বাড়িতে আসবে সবাই  হবে ভাড়ি মজা। পাকড়ী মাথায় আসছে বর চড়ে গরুর গাড়ী ধামসা মাদল বাজিয়ে তারা আসছে সারিসারি। শ‍্যামলা রঙের মেয়ে আমার নাকে নোলক পরা  হলুদ শাড়ী অঙ্গে তার আলতা পায়ে তোঁড়া। বরের সাথে বর যাত্রী মাদল বাজায় তালে হাডিয়ার হাঁড়ি মাথায় আসছে টলেটলে। বিয়ে বাড়িতে জুটেছে সবাই  দুঃখ‍ জ্বালা ভুলে বরকে সবাই বরণ করে নাওগো ঘরে তুলে।।

শামীমা আহমেদ /পর্ব ৪৫

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত (পর্ব ৪৫) শামীমা আহমেদ  পথের দূরত্ব আর যানজট পেরিয়ে শিহাব  বাইকটি জেট বিমানের গতিতে চালিয়ে ওরা প্রায় তিরিশ মিনিটের মধ্যেই পূর্বাচলে পৌছে গেলো। শায়লাকে সাবধানে নামতে বলে খুব সুন্দর একটা যায়গায়  শিহাব বাইকটি থামালো। সামনে একটা বিশাল মাঠ,পাশে জলাশয় আর বড় বড় ঘাস দিয়ে ভরা জায়গাটার চারপাশ  ছোট করে বাউন্ডারী ওয়ালে ঘেরা।নিশ্চয়ই এই প্লট বিক্রয়ের জন্য তৈরি বা ইতিমধ্যে বিক্রয়  হয়ে যাওয়া।  শিহাব সময় নষ্ট না করে কথা বলে উঠলো। শায়লা,বেশ কিছু জরুরী বিষয় নিয়ে তোমার সাথে কথা বলা প্রয়োজন। তাই এমন কোলাহলমুক্ত একটা যায়গায় এলাম।আমার মনের জমানো কথাগুলো বলতে হলে একা একা আমি এখানে এসে চারপাশের আকাশ বাতাসকে কথাগুলি বলি।ওরা সাক্ষী হয়ে থাকে।আজ তুমিও যা বলবে বলে মনস্থির করেছো এখানে সবকিছু মন খুলে তা বলবে। শিহাব বলে চললো, জীবনের এক রকম সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি এতদিন ছিলাম।আজ তা পালটে ফেলতে চাইছি আর তা কেবলি আমার প্রতি তোমার এতটা ভালবাসার কারণে। আমাকে নিয়ে তোমার এতটা আবেগ আর ভালোলাগায় আমিও তোমাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছি। আমার জন্য সেদিন তুমি প্রায় মরতে বসেছিলে। এই বিষয়টা আমাকে ভীষণভাবে আহত করেছে

মমতা রায়চৌধুরী/৮২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৮২ সম্পর্ক মমতা রায়চৌধুরী সকালবেলায় শিখার ফোনে মেসেজ এল 'শিশিরভেজা সকালের উষ্ণ ভালোবাসা থাকলো 'সুপ্রভাত।' শিখা খুব কৌতুহলী হয়ে উঠলো, 'বাব্বা, হঠাৎ করে আমাকে উষ্ণ ভালোবাসার শুভেচ্ছা কে পাঠালো? এ তো মনে হচ্ছে কল্যানদার কাজ।' শিখা নিউজ পেপারে চোখ বুলাচ্ছিল ভাবল' সুপ্রভাত জানাতে মেসেজ পাঠাবে, কি পাঠাবে না?' শেষ পর্যন্ত ভেবেচিন্তে শিখা ঠিক করলএকটা ভদ্রতা বলেও তো কথা আছে।পাঠিয়ে দিল মেসেজ- 'শিশিরভেজা  কোমল হাওয়া, নরম ঘাসের আলতো ছোঁয়া। মিষ্টি রোদের নরম আলো, আঁখি মেলে দেখবে চলো।' কল্যান অনলাইনে ছিল সঙ্গে সঙ্গে রেসপন্স করলো- 'চুপিসারে মেখে নাও, অচেনারে জেনে নাও। উপলব্ধিতে মিশে যাও' অনুরণনে ঢেউ তোলাও।' শিখা আবার টেক্সট করে  বলল 'বাহ, দারুন কাব্য করতে জানেন তো?' কল্যাণ ও টেক্সট করে বলল' তাই বুঝি? শিখা বলল' তাই না তো কি?' কল্যাণ  বলল' কাব্যের উপর কাব্য করেছি।' শিখা বলল' ছাত্র-ছাত্রীরা কিন্তু রোমান্টিক হয়ে যাবে।' কল্যান বলল' বলছো পারব?' শিখা দৃঢ়তার সঙ্গে যেন আড়চোখে তাকিয়ে  বলল &#

কবি সঞ্জয় আচার্য এর কবিতা

ছবি
৮০র গ্রাম:বিকেল যুবতী আলপথ হেঁটে আসে অগ্রহায়ণের খামার বাড়িতে কৃষানীর বাড়া ভাতে ঝুমকো গাঁদার পাশে, দু’পাড়ের ঝুঁকেপড়া ধানের ছায়ায় শিশির খাওয়া আগাছাও চায় বেড়ে ওঠা ঋতুস্রাবে পেটপোরা পুষ্টি চাতালের ঘুম। ওদিকের হাত আসনে বুনে রাখা বিগত যৌবনা আকর্ষ ধরে উঠে যাওয়া বল্লরী বেদনা কবে যেন ফেলে এসে আবার আজ                              আত্মলিপি খুঁজে খুঁজে ফিরে যেতে চায় আটচালা গল্পগাথায়, দাওয়ায় বসেছে ভেবে দেখি এবং বসেছিল পাড়াতুতো দুই প্রৌঢ়া বিকেল। সঞ্জয় আচার্য 20 A/3 শীল লেন, ট্যাংরা কোলকাতা 700015 9830437268
ছবি
অলীক সমীকরণ সুমী শারমীন অদ্ভুত এক রঙের মানুষ কাঁদায় বারো মাস পৌষ ফাগুনী খেলায় মাতে,আমার দীর্ঘস্বাস। কাছে থেকেও ডাকে না সে , করে অবহেলা অভিমানের কষ্ট পুষে,হারাই আমার খেলা। হারতে চাইনা,ছাড়তে চাইনা,নিত্য দিনের মতো বন্দী পাখির ঝাপটানো ডানা,অন্ধকারের মতো।   বুঝবে না জানি,শুধু হয়রানি, তবু্ও আকাশ কাঁদে ব্যাথার কষ্ট, সুখের আশায়,নিত্যদিনের ফাঁদে। পারিনা এড়াতে,ছেড়ে যেতে চাই,চেনা পথ ঘাট সব মনের মাঝেতে বসবাস করে,তারই সব কলরব।   হাত রাখতেই সব ভুলে যাই,সেই তো রঙের মানুষ  সারাটি জীবন কাঁদি তার তরে,উড়াই রঙিন ফানুষ।

মমতা রায়চৌধুরী/ ৮১

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৮১ অনুভূতির উপলব্ধি মমতা রায়চৌধুরী সারাটা  শীতের দুপুর   মনে এক অসহ্য যন্ত্রণা ;হ,কষ্ট ।কাকে বলবে রেখা? মনোজকে বলার মতো নয়। কেন যে নয়, সেটাও বুঝতে পারছে না রেখা।  কাকিমা (মীনাক্ষী দেবী) যখন বললেন 'রূপসার কথা মানে বিপাশার দিদির কথা ।তখন থেকে শুনেই রেখা ভেতরে ভেতরে যন্ত্রণায় দগ্ধ হচ্ছে। কত কষ্ট করে হারু জেঠু দুই সন্তানকে মানুষ করেছেন ।সে তো চোখের সামনেই সবাই দেখেছে। এত অভাব এর মধ্যেও মেয়ে দুটিকে কখনো কষ্ট দেন নি। যতটুকু সামর্থ্য, সেই অনুযায়ী মেয়েদের যথাযোগ্য পড়াশোনা থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু শেখানোর চেষ্টা করেছেন। সুপাত্রস্থ ও করেছেন। রূপসার বর খুব ভালো মানুষ ছিলেন। অথচ তাকেই ভগবান পৃথিবী থেকে সরিয়ে নিলেন। বিপাশা যতটা কোয়ালিটি সম্পন্ন মেয়ে ছিল বিয়েটা ঠিক তেমন হয় নি ।হয়তো বর ভালো একটা চাকরি করতো এইটাই। মানুষ হিসেবে ভালো নয়। ওর বর‌ও তো প্রতারণার কেসে জেল হাজতে।রেখা কাকিমার কাছ থেকে ঘটনাটি শোনার পর থেকে কেমন যেন হয়ে গেল। কাছের মানুষ, ভালোবাসার মানুষ যদি ছেড়ে চলে যায় ,কেমন হতে পারে সে উপলব্ধি ?রেখা ভাবতে পারে না ।ভয়ে আতঙ্কে রূপসাদির ভবিষ্যতের অনিশ্চ

শান্তা কামালী/৫৩ তম পর্ব

ছবি
বনফুল   (৫৩ তম পর্ব )  শান্তা কামালী অহনা অনেক্ক্ষণ চিন্তায় বিভোর ছিলো, অহনা ও একটু বেশি সময় দিতে পারতো, কিন্তু অনার্স ফাইনাল পরিক্ষার জন্য পারেনি। সৈকতের মাস্টার্স শেষ পরিক্ষার আগের দিন আন্টির এই অবস্থা... আল্লাহ পাকই ভালো জানেন সৈকতের পরিক্ষা কেমন হলো? তিন সপ্তাহে'র মধ্যেই রেজাল্ট বেরোবে।  পরদিন সকালে উঠে নাস্তা খাওয়া শেষ করে রেডি হয়ে বেরিয়ে গেলেন অলিউর রহমান। যাওয়ার আগে স্ত্রী রাহেলা খাতুনের মাথায়  হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন কাপড় কেনাকাটার জন্য যাচ্ছি। রাহেলা খাতুন স্বামীকে হতে দিয়ে ইশারায় বুঝাতে চেষ্টা করলেন যেন সবকিছু ভালো দেখে নেন... ।  অলিউর রহমানও সম্মতি জানালেন। অলিউর রহমান বড় একটা শাড়ির দোকানে ঢুকে লেহেঙ্গা পছন্দ করলেন যার দাম প্রায় পয়তাল্লিশ হাজার টাকা,দ্বিতীয় শাড়ি বার হাজার টাকায়......।  সবকিছু এভাবেই মিলিয়ে মিশিয়ে  কিনেছেন।  কেনা কাটা শেষ করে, সৈকতের বড়ো মামার বাসায় গিয়ে বললেন বৃহস্পতিবার সকালে যেন উনি উপস্থিত থাকেন। সৈকতের মা'য়ের ইচ্ছায় সবকিছু হচ্ছে, সঙ্গে করে সৈকতের বড়ো মামানিকে নিয়ে আসার কথা বললেন অলিউর রহমান  সাহেব।তার কারণ খালি বাসায় তো সৈকতের আম্মুকে রেখে যাও

রাবেয়া পারভীন/

ছবি
দুরের বাঁশি   (৪র্থ পর্ব)   রাবেয়া পারভীন -ম্যাম বৃষ্টিতে ভিজছেন কেন?   সিস্টারের ডাকে  সম্বিৎ ফিরে  আসে লাবন্যর। শুভর ভাবনায় একদম ডুবে গিয়েছিল সে,  কখন যে ভোরের উদীয়মান সূর্যটা  ডুবে গিয়ে আকাশ মেঘলা হয়ে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়তে  শুরু করেছে টেরই পায়নি। সিস্টারের দিকে তাকিয়ে  অপরাধীর মত একটু হাসে লাবন্য। তারাতারি  বারান্দা  থেকে  সড়ে এসে কেবিনে ঢুকল। সিস্টার  তোয়ালে দিয়ে ওর চুল মুছে দিতে দিতে বলল -মেডাম আপনার কিন্তু ঠান্ডার অসুখ । যান ভিজা জামাটা বদলে আসুন  ওষুধ  খেতে হবে। সকালের নাস্তাও তো পড়ে রয়েছে দেখছি। লজ্জা পেয়ে  লাবন্য  ওয়াশরুমে গেল । কাপড় বদলে এসে  বিছানায় বসল। সিস্টার নাস্তার প্লেট এগিয়ে দিল  তারপর  ঔষধ। মিষ্টি করে হেসে বলল  -  আপনাকে আজকে অনেক ফ্রেস লাগছে  মেডাম,  একদম ভালো হয়ে গেছেন। ডাক্তার সাহেব  এলে হয়ত আজকে রিলিজ করে দিবে আপনাকে। নার্স মেয়েটাকে  বেশ ভালো লেগেছে লাবন্যর। ওর সাথে আলাপ করতে ভালো লাগছিলো। ওর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন  করল  - আচ্ছা সিস্টার  আপনার নাম  কি ?   - আমার নাম  গায়ত্রী।  নামটা শুনে  লাবন্য চকিতে একবার মেয়েটির সিঁথির দিকে তাকালো।   সেখানে সিঁদুরের। কোন চিন্হ নেই

আইরিন মনীষা 

ছবি
প্রতীক্ষার প্রহর খুব করে জানতে চাই  কেমন আছো তুমি, সেই এক বিকেলে আসি বলে চলে গেলে হয়নি দেখা আর তোমার সাথে কিংবা কথাও হয়নি।  বকুল ফুলের মালা গুলো শুকিয়ে গেছে যেন তোমারই অপেক্ষার প্রহর গুনছে এখনো,  কতদিন দেখিনি তোমার ডাগর কালো চোখের চাহনি যেখানে আমি হারিয়ে যেতাম এক অথৈ সমুদ্রে।  কতদিন হাঁটা হয়নি নদীর তীরে হাত ধরাধিরি করে দেখা হয়নি শরতের বিকেলের কাঁশফুলের সৌন্দর্য,  কতদিন যাইনি সমুদ্রের প্রশস্ত বালুকা রাশিতে দেখিনি ভিজিয়ে নগ্ন পদ যুগল সাগরের নোনা জলে।  বড় সাধ জাগে আবার ও সেই বৈশাখী মেলা দেখতে বিরহী প্রহরে আজ মনটা বড়ই উতলা হয়ে আছে,  সময় যে আর কাটে না একাকী আমার কবে পাবো তোমার দেখা আবার।  মনে পড়ে খুব সেদিনের কথা যখন তুমি আমার দীঘল কালো চুলে সাঁতার কাটতে, আমার খুব করে পেতে চাই সেই মধুময় ক্ষণ যখন তুমি আমার পাশে বসে হারানো দিনের গান গাইতে। আমার বিরহী প্রহরে তুমিই একমাত্র সঙ্গী যার সাথে বেলা অবেলায় কেটে যায় আমার ক্ষণ, মিলনের দিগন্তে ভাসবো বলে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছি শুনছ কি তুমি আমার অব্যক্ত কথা গুলো ?  এসো না আবার দুজন হারিয়ে যাই সেদিনের কাছে যখন শুধু আমি আর তুমি একান্ত সান্নিধ্যে না বলা কথার ফ

শামীমা আহমেদ /পর্ব ৪৪

ছবি
শায়লা শিহাব কথন   অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৪৪) শামীমা আহমেদ  শিহাব আজ অন্য এক শিহাব রূপে নিজেকে তৈরী করে নিচ্ছে।বিগত জীবনের পটভূমি বদলে নেবার মাহেন্দ্রক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে সে। আর পিছুটানে নিজেকে ফেরাবে না স্মৃতিকাতরতায় আবেশিত হয়ে।আজ, এইতো আর কিছুটা  সময় পরই শায়লার সাথে তার দেখা হবে,ভিন্ন ভাবনায়,ভিন্ন আঙ্গিকে, একই পথ রেখায় চলবার অঙ্গীকারে হবে অনেক কথা বিনিময়  হৃদয়ে  ভালবাসা সঞ্চিত রেখে,  অপ্রাপ্তির তালিকাটিকে ক্ষুদ্র করে দিতে। যদিও এর আগেও কয়েকবার তাদের দেখা হয়েছে কিন্তু আজকের দেখা হওয়াটায় অন্য এক ধরনের ভাললাগা,অন্য একটি জীবনের শুরুতে নিজেদের এক হওয়া। একটি সুদূরের বোঝাপড়ায় আগামীর স্বপ্নের বাস্তব রূপ দেয়ার আলাপচারিতা। আজ তাই শিহাব এ প্রসঙ্গ ছাড়া  আর কোন কিছুই ভাবনায় আনতে চাইছে না। সে চট করে লাঞ্চ সেরে সব গুছিয়ে নিলো।আজ লেইট লাঞ্চ হলো।শিহাব সকালে গুলশান মেনজ স্যালুনে গিয়েছিল।একটু নিজেকে তৈরি করে নিতে আর কিছু টুকটাক শপিং করার প্রয়োজনে।  শিহাব আয়নায় নিজেকে দেখছে। আজকের নতুন কেনা শার্টের সাথে প্যান্ট ম্যাচ করিয়ে নিচ্ছে।আজ হলুদাভ ঘি রঙা একটা শার্ট কেনা হয়েছে। শিহাব তাই কফি ব্রাউন একটা প্যান্ট ম্যাচ

রুকসানা রহমান

ছবি
গেঁথেছো সকল মগ্নতা ভেঁজা রোদের ছায়া ধরে ফিরে যাওয়া ক্লান্ত দুপুরের রাত্তি কি জানে, মমতা স্পর্শ পাগল খেলার ছায়ার হৃদয়ে তুমি-আমি মেপে -মেপে পথ চলার ছন্দে চোখস্মৃতি ভালোবাসার আনাগোনা। তবে কি আজও সময়ের হাতে হয়তো রাখা হয়নি হাত শরীরের ভাঁজে আটকে থাকা নীল খাম জীবন মেপে দেয় অপেক্ষা... অন্ধকারে শুনি ওষ্ঠের নিপুণ কথার উপচে পড়া ঢেউ স্নানের বাথটবে বিষাদ নগ্নতায় বকুল ভাসে মোহরাত  জীবনের বুকে অনুভব রাতজাগা স্বপ্নের ঘর। এভাবেই মাখামাখি হোক হাওয়ার স্পর্শে নির্ভুল সংলাপে সত্যি - মিথ্যের মিলনের রথে ফসলের মাঠ ইচ্ছার ব্রতের সাঁকো পেরিয়ে উল্লাসে মাখামাখি লাঙ্গলের ফলায় গেঁথেছো সকল মগ্নতা...

রাবেয়া পারভীন/৩য় পর্ব

ছবি
দুরের বাঁশি  রাবেয়া পারভীন (৩য় পর্ব) সৌন্দর্য  এবং ব্যাক্তিত্ব এই দুয়ের সংমিশ্রণ শুভকে  ভিষন আকর্ষনীয়  করে তুলেছিল  লাবন্যর কাছে । প্রতিটিক্ষন  মনের চোখ দিয়ে খুঁটিয়ে খু্টিয়ে  দেখত  আর মুগ্ধ  হতো। শুভ কথাবার্তায় বেশ সাবলীল। যা বলে খুবি সহজ ভঙ্গিতে। তাই খুব সহজেই  সে বলল কথাটা।   - লাবন্য  আপনাকে  মিস করছি  একটু পরেই আবার বলল - আচ্ছা  আমরা একে অপরকে  তুমি করে বলতে পারিনা ?   ভেতরে ভেতরে ভিষন  চমকালো  লাবন্য । শুভ কি  তাহলে লাবন্যর  দূর্বলতাটা  টের পেয়ে গেছে ?   নাকি নিজের ভালোলাগার কথা বলছে ? তবুও   নিজেকে সামলে নিয়ে  লাবন্য  বলে - কেন  আপনি তে কি সমস্যা ? - সমস্যা  আছে তো  কেমন জানি দুর দুর মনে হয়।  এটাই চাইছিল সে  কিন্তু বলতে পারছিলনা । হেসে বলল -ঠিক আছে  তাহলে তুমি হলে   তুমি । লাবন্যর বলার ভঙ্গিতে এবার শুভও হেসে ফেলে। বলে - একদম। এই কথাটাই বলতে চাইছিলাম । তারপর  দুজনেই হাসে।  হঠাৎ  কোথা থেকে যেন একটা সুখের দমকা বাতাস এসে  মাতাল করে দেয় লাবন্যকে। আপন মনে বার বার বলে   - আমার স্বপ্নের রাজকুমার। আমি তোমাকে পেয়েছি । তোমাকে ভেবে কতরাত  নির্ঘুম কেটেছে আমার। সেই তুমি আজ এলে। লাবন্যর। একটা হ

খাদিজা

ছবি
প্রেম আমার   মহাসাগরের গভীরতার মতো তোমার প্রেমে আমি ডুবতে থাকি- নিজেকে হারিয়ে ফেলি,  বসরাই গোলাপের সুগন্ধি আমায় টানে না,  না গালিবের গজল- আমি ডুবতে থাকি।  তোমাকে হারাবার বেদনা যখন অসহনীয় বিষাদের গর্ত,  যুদ্ধক্ষেত্রে কেটে যাওয়া হাতের মতো। আকাশের নীলে আমি ভেসে যাই- ভাসতে থাকি কোন অজানার পানে ; পরিযায়ী পাখিদের মতো - নিজেকে হারাই।  উজল রবির প্রভায় আমি দগ্ধ হই না- ফসল তোলার পরে খড়কুটো পুড়িয়ে দেবার মতো,  হৃদয়ের গহীনে থাকা সূর্যটা আমায় পোড়ায় অনুক্ষণ- আমি মরতে থাকি।  অতঃপর এক মধুর লগনে তুমি আমার হলে- সাগরের গভীর হতে তুলে নিলে, আকাশের নিলীমা হতে খুঁজে নিলে,  ঠাঁই দিলে প্রেমের দেউলে, বুকে চেপে ধরে বেলোয়ারি রাগে ভাসালে,  ওষ্ঠাধর ছুঁয়ে দিলে ভীরু কপোতীর গালে- বাঁচালে আমায় !

শান্তা কামালী/৫২ পর্ব

ছবি
বনফুল (৫২ পর্ব )  শান্তা কামালী মনিরুজ্জামান কিছু দাবিদাওয়া করেননি বলে অলিউর রহমান কিছু দিবেন না তা আবার হয় নাকি!  ওনার একমাত্র ছেলে বলে কথা....  অহনাদের বাসায় আসার সময় গাড়িতে আধমন মিষ্টি নিয়ে এসেছেন। অহনাদের বাসায় সামান্য চা নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে ড্রাইভারকে বললেন  নিউমার্কেটে যাওয়ার জন্য। মনিরুজ্জামান যতই বলুক কোনো দাবিদাওয়া নেই। সৈকত যে ওনার একমাত্র ছেলে....। অলিউর রহমান বেশ ক'টা দোকান ঘুরে একটা স্বর্ণের সেট পছন্দ করলেন বার বড়ি সামথিং  কার্ড দিলেন... ।  পেমেন্ট বুঝে নিয়ে স্বর্ণ প্যাকেট করে দিলেন দোকানদার।  অলিউর রহমান সোজা বাসায় চলে আসলেন। সরাসরি স্ত্রী রাহেলা খাতুনের ঘরে ঢুকে প্যাকেট খুলে জিনিস দেখাতেই রাহেলা খাতুন স্বামীর প্রতি খুব খুশি হলেন।কিন্তু দুজনের কেউই এই বিষয় টা কাউকে বললেন না।   সৈকত রাতে মাকে খাবার এবং ঔষধ খাইয়ে,বাবাকে নিয়ে  বসে রাতের খাওয়া শেষ করলো। তারপর  নিজের রুমে এসে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলো অহনা ওকে  তেরো বার ফোন করেছে। সৈকত ফোন ব্যাক করে বললো অহনা তুমি ফোন দিয়েছিলে, কিন্তু আমি.....  অহনা বললো হুমম আমি বুঝতে পেরেছি, তুমি রুমে ছিলেনা....।  সৈকত তুমি কি জান আঙ্কেল আজ

শামীমা আহমেদ /পর্ব৪৩

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত ( পর্ব৪৩) শামীমা আহমেদ  সকালে খুব নীরবেই ভাইবোনের নাস্তা পর্ব শেষ  হলো।তবে রাহাত বেশ বুঝতে পারছে শায়লা তাকে যেন কিছু  বলতে উসখুস করছে। টেবিলে মা আছে তাই শায়লার কথাটা বলা হচ্ছে না। বুঝতে পেরে রাহাত চায়ের মগ হাতে ড্রয়িং রুমে চলে এসে বেশ লাউডে টিভি অন করলো।আর শায়লাকে মোবাইলটা টেবিল থেকে দিয়ে যেতে অনুরোধ করলো।শায়লা নিজের চায়ের মগ ও রাহাতের মোবাইল নিয়ে ড্রয়িং রুমে চলে এলো। সোফায় পাশাপাশি ভাইবোন বসলো। রাহাতই নীরবতা ভাঙল। আপু কি কিছু বলতে চাচ্ছো?বলো,কী বলতে চাও? না মানে  কী? শিহাব ভাইয়ার কথা কিছু বলবে? হ্যাঁ,শিহাব বলেছে তোমার আর মায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে রাখতে কিন্তু মাকে কিভাবে বলি? কোন ব্যাপারে আপু।আমাকে আগে বলো শুনি। না মানে, শিহাব বলছিল ও ওর পারিবারিক ব্যাপারে আমার সাথে কিছু কথা বলতে চায়, তাই আজ বিকেলে আমাকে একটু  বাইরে কোথায় বেড়াতে নিয়ে যেতে চাচ্ছে।তা,আমি কি যাবো? হ্যাঁ আপু, অবশ্যই যাবে।তোমাদের এখন বেশি বেশি কথা বলা দেখা করা উচিত।সব ব্যাপারে খোলামেলা কথা বলো।কোন কিছু আড়ালে না রেখে সামনের দিনগুলো কিভাবে সুন্দর হয় সেভাবে আলোচনা করো। কিন্তু মাকে কিভাবে বলবো? কো
ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৮০ হৃদয়াকাশ মমতা রায় চৌধুরী রেখার চোখে শুধু জল আর জল। এ কোন নজর লাগল তার সন্তানদের প্রতি। অবজ্ঞা, অবহেলা উপেক্ষা ছাড়া আর কিছুই জোটে না ওদের ।তাই রেখা ও মনোজ 'ওদেরকে একটা আলাদা জীবন দিতে তার পরিবারের সাথে লড়াই করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। একটা উটকো ঝামেলা হয়ে গেল কোথা থেকে একটা কুকুর এসে  কামড়ে দিয়ে গেল। একটু আগে মন্টু ডাক্তার এসেছিল ভ্যাকসিন দিয়ে গেলো ।তবে হ্যাঁ ডাক্তারবাবু খুব ভালো। কি জানি কেন উনি ভ্যাকসিনের কোন টাকাই নিলেন না। মনোজ যখন বলল 'ডাক্তার বাবু আপনাকে কত দিতে হবে?' মন্টু ডাক্তার বললেন ' কিছু না।' মনোজ অবাক হয়ে বলল 'সে কি ডাক্তারবাবু আপনার ভিজিট , ভ্যাকসিনের দাম নেবেন না?' ডাক্তারবাবু বললেন 'না, না ।আপনারা যে রাস্তার কুকুরগুলোকে এত ভালবাসেন ,রোজ ওদেরকে খেতে দেন ।ওরা তো অনাদরে-অবহেলায় বড় হয়। কে এত ভালবাসে বলুন তো? মনোজ বলল'ডাক্তারবাবু এদেরকে নিয়ে রোজ আমার পরিবারের ভেতরে অশান্তি, বাইরে রাস্তায় খেতে দিলে অশান্তি ।তবুও আমার স্ত্রী কিন্তু এগুলোকে একদমই গায়ে মাখে না।' ডাক্তারবাবু বললেন 'ওদেরকে ভালবাসুন ।ওরা

কবি নিপুন দাস এর কবিতা

ছবি
মোহনায় এসে মোহনায় এসে ক্লান্ত সে নদী  ফেলে আসা পথে চায়, সব পথ আজ শেষ হোলো বুঝি  সাগরের ঠিকানায়। কত পথ সে পার হয়ে এল কত দেশ প্রান্তর, উদ্দাম স্রোতে ভেঙেছে গড়েছে  কতই না বালুচর। আজ নেই তার কূলভাঙা ঢেউ নেই সেই স্রোতধারা, সময়ের স্রোতে ভেসে গেছে সব ফিকে সব স্বপ্নরা। পরিচয় তার ছিল যতটুকু  মুছে যাবে ক্ষনিকেই  অপার সাগর, অ থৈ জলেতে হারাবে সে অচিরেই। সাগরের বুকে জমা হবে তার বয়ে আনা জলরাশি, যা ছিল নিজের, রইবে না আর সব যাবে ঢেউয়ে ভাসি। এ কী আনন্দ, না কী বিষাদ ভাবে সেই স্রোতস্বিনী, নিজেরে হারায়ে সুখ কিছু আছে।  দুঃখ বা কতখানি ? চঞ্চল স্রোতে যারা ছিল সাথী কে কোথায় আজ তারা!  মোহনায় এসে শান্ত তটিনী বোবা কান্নায় সব হারা। জমেছে বুকেতে নুড়ি আর বালি  ধীরে তাই পথ চলা,যা গেছে হারায়ে, যা গেছে ফুরায়ে সকলি থাক শুধু না বলা।

মমতা রায় চৌধুরী/৭৯

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৭৯ মিলির মাতৃত্ব মমতা রায় চৌধুরী স্কুল  থেকে বেরিয়ে টোটোতে উঠতে যাবে, পেছন থেকে রিম্পাদি বলল 'কিরে হনহন করে একাই টোটোতে এসে উঠে পড়লি, আমাকে ডাকলি না?' রেখা বলল' ও ডাকি নি বুঝি?' আমার পাশে এসে বসো জায়গা আছে'। বলেই কেমন অন্যমনস্ক হয়ে গেল। আসলে রেখার মনটা খুবই খারাপ। কিছু ভালো লাগছে না। এটা যেন ওর জীবনের একটা ট্রাজেডি। যাকে বেশি ভালোবেসেছে আপন করার চেষ্টা করেছে, তখনই যেন হঠাৎ করে সবাই দূরে সরে গেছে। রিম্পা দি পাশে এসে বসলো তারপর বলল 'অনিন্দিতার বিয়েতে যাচ্ছিস তো?' রেখার অন্যমনস্কতার জন্য কথাটা শুনতে পেল না। রিম্পাদি আবার একটু ঝাঁকুনি দিল। রেখা রিম্পদির দিকে তাকিয়ে ম্লান হেসে  বলল _কিছু বলছো?' রিম্পাদি বলল 'তোর কী হয়েছে বল তো ?আমি তো কে একটা কথা বলছি ,তুই শুনতে পাচ্ছিস না?' রেখা বলল '  হ্যাঁ ,বলো কি বলছো?' রিম্পাদি বলল' অনিন্দিতার বিয়েতে যাবি তো?' রেখা বললো' ইচ্ছা আছে, দেখি কি হয় ।সব ইচ্ছে আমার  পূর্ণ হয় না।' টোটোতে ফোন বেজে উঠল রেখার। রিং টোন 'সবাই তো সুখী হতে চায় ...'।ব্যাগ থেকে ফোন হ

শামীমা আহমেদ/পর্ব ৪২

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৪২) শামীমা আহমেদ   বেশ কয়েকদিন হলো শায়লা আবার  সেই আগের মতই কর্মচঞ্চলতায় ফিরে গেছে।সেই অনিশ্চয়তার দিনগুলির অবসান হয়েছে।এখন সে  নিয়মিত ফুল গাছগুলোতে পানি দিচ্ছে। খাঁচায় পোষা পাখিগুলোকে গান শোনাচ্ছে।রাতে ঘুমুতে যাওয়া আগে নিজের বেশ যত্ন নিচ্ছে। ভোরে ঘুম থেকে উঠে মায়ের জন্য অপেক্ষা করছে। নাস্তার আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে উঠছে।মায়ের সাথে টুকটাক কথায় কথায় তার অসুস্থতার সময়ে সংসারের যে বেহাল দশা হয়েছিল তা জানছে।শায়লা নিজেও বুঝে উঠতে পারছে না শিহাবের জন্য কেন সে এতটা উতলা হয়ে উঠেছিল! সে কথা ভাবলে কেমন একটা লজ্জাবোধও  কাজ করে। শিহাবতো তাকে আগেই সতর্ক করেছিল যেন দুজনার মাঝে কোন চাওয়া পাওয়ার ইচ্ছেরা উঁকি না দেয়। শায়লা নিজেকে নিজেই চিনতে পারছে না।নাহ! এভাবে কারো ইচ্ছার বাইরে তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা তার ঠিক হয়নি।কিন্তু আজকাল শিহাবের ফোনালাপ, মেসেজ কেমন যেন অন্যকিছুর আভাস দিচ্ছে।কেমন যেন একটা বন্ধনের আলাপন। তবে কি শিহাব নিজের  প্রতিজ্ঞা ভেঙে তার প্রতি দয়া দেখাচ্ছে।যদি সেদিন মরেই যেতাম তবে তো সে-ই দায়ী থাকতো শায়লার এই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার জন্য।তাই কি তার এতটা উদ্বেগ উৎকন্ঠা!