২৯ ডিসেম্বর ২০২১

শান্তা কামালী/৫২ পর্ব




বনফুল
(৫২ পর্ব ) 
শান্তা কামালী

মনিরুজ্জামান কিছু দাবিদাওয়া করেননি বলে অলিউর রহমান কিছু দিবেন না তা আবার হয় নাকি!  ওনার একমাত্র ছেলে বলে কথা.... 
অহনাদের বাসায় আসার সময় গাড়িতে আধমন মিষ্টি নিয়ে এসেছেন। অহনাদের বাসায় সামান্য চা নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে ড্রাইভারকে বললেন  নিউমার্কেটে যাওয়ার জন্য। মনিরুজ্জামান যতই বলুক কোনো দাবিদাওয়া নেই। সৈকত যে ওনার একমাত্র ছেলে....। অলিউর রহমান বেশ ক'টা দোকান ঘুরে একটা স্বর্ণের সেট পছন্দ করলেন বার বড়ি সামথিং  কার্ড দিলেন... । 
পেমেন্ট বুঝে নিয়ে স্বর্ণ প্যাকেট করে দিলেন দোকানদার। 
অলিউর রহমান সোজা বাসায় চলে আসলেন। সরাসরি স্ত্রী রাহেলা খাতুনের ঘরে ঢুকে প্যাকেট খুলে জিনিস দেখাতেই রাহেলা খাতুন স্বামীর প্রতি খুব খুশি হলেন।কিন্তু দুজনের কেউই এই বিষয় টা কাউকে বললেন না। 
 সৈকত রাতে মাকে খাবার এবং ঔষধ খাইয়ে,বাবাকে নিয়ে  বসে রাতের খাওয়া শেষ করলো।
তারপর  নিজের রুমে এসে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলো অহনা ওকে  তেরো বার ফোন করেছে। সৈকত ফোন ব্যাক করে বললো অহনা তুমি ফোন দিয়েছিলে, কিন্তু আমি..... 
অহনা বললো হুমম আমি বুঝতে পেরেছি, তুমি রুমে ছিলেনা....। 
সৈকত তুমি কি জান আঙ্কেল আজ আমাদের বাসায় এসে আগামী  বৃহস্পতিবার আমাদের বিয়ে ঠিক করে গেছেন?
অহনার মুখে সব শুনে সৈকত আশ্চর্য যায়।বাবা তাকে কিচ্ছু বললেন নি!
সৈকত বললো অহনা এখন ফোন রেখে ঘুমাবো  সকালে উঠে আম্মুকে খাওয়ার আগে পরের ঔষধ গুলো দিতে হয়। তাড়াতাড়ি না ঘুমালে সকালে উঠতে পারি না....
 অহনা আর কোনো কথা না বাড়িয়ে শুধু গুডনাইট বলে ফোন কেটে দিলো।



চলবে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much