পোস্টগুলি

জানুয়ারী ৯, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সমিত মণ্ডল

ছবি
দুনিয়াদারি কারবারি দেখাও তোমার দুনিয়াদারি। অস্থির মেঘ উড়ে শালুক পাতায় শীত ভোর প'ড়ে নীরব একটা  নদী ভেজায় এ মনভূমি যদি! শুনি মেঘেদের সংলাপ  স্পর্শ দাও,আহা!মন-আলাপ কত না অবকাশ প'ড়ে সারা বালুচর জুড়ে। ভেসে বেড়ায় হৃদি ভাষা কী আছে তোর নীরব নদী? যাদুকর বাঁশিওয়ালা মেঠো সুর ভাঁজে তিরতির হাওয়াতে ধান ক্ষেত সাজে। কাব্য করি,কাব্য করি ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখি  জেগে উঠেই মরি! হাজারো বিদ্যুৎলতা আলপথ জুড়ে  পাব কী তোমার দেখা আলো আঁধারি ফুঁড়ে । কারবারি এ কেমন দুনিয়াদারি!

মোফাক হোসেন

ছবি
চিনতে পারবে? দরজা বন্ধ বলে যেতে পারিনি সারাদিন কূলুকুলু শব্দে, বয়ে চলেছি আপন ছন্দে, কেউ খোঁজ রাখেনি। বেঁধেছি ঘর পালকের নীচে টুপটুপ বৃষ্টির মাঝে। দমকা হাওয়ায়, নুপুর, ধূসর আকাশ চুপিচুপি বলে গেলো আমি তোমার দ্বিবেনী....। বাগানের জানালা খুলে দেখি বুক চাপা কান্না। মৃত্যুকে সাথে নিয়ে আজও রাত জাগা সূর্যের হাঁটে বসে, যদি তুমি চিনতে পারো অবশেষে!

মধুমিতা রায়

ছবি
পদ্ম..…. পুজোর সময় গ্রামের বাড়িতে গেলে মোতিবিলের পদ্ম দেখতে যেতাম। থকথকে কাদার মধ্যে রূপকথার আলো কি স্নিগ্ধ কি পবিত্র! ফেরার পথে মণিদির বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়তাম মণিদি বলত.... আয়, তারপর মুঠো ভরে দিত শিউলিগন্ধ আমি তখন বিভোর হয়ে পদ্ম দেখতাম,শিশিরভেজা নরম পদ্ম। যে  লোকটা ভালবাসবে বলেও মণিদিকে ছেড়ে গেছে, যে বন্ধু বিশ্বাসের  সুযোগে হাতিয়েছে মণিদির শেষ সম্বল আজ তারা কেউ ভালো নেই। মোতিবিল দেখতে গিয়েই শিখেছিলাম পদ্মের গায়ে কেন পাঁক লাগে না।

ফাতেমা ইসরাত রেখা

ছবি
অনুভূতির ছোঁয়া  ঘুম আসছে না তোমার কথা ভেবে  ঘুম নেই এই দেশ আর এই সময়ের কথা ভেবে।  মুঠো ভর্তি দুঃস্বপ্ন দু'চোখের পাহারাদার  রাতের আকাশে এখন আর চাঁদ হাসে না আগের মতো  কেমন করে ঘুমাই এত মন খারাপের ভিড়ে, বলো!  শরতের নীল আকাশে টুকরো টুকরো মেঘ ভেসে বেড়ায় চারিদিকে থমথমে অন্ধকার, যাত্রা বিরতি সুসময়ের। সভ্যতার নিলামে একটি নাটকীয় অসভ্যতার হাতছানি কেবল এমন পীড়নে আমি যে ঘুমাতে পারি না,আমার ঘুম আসে না।  চুপিসারে দূরে রাখা সম্পর্কের ভিত  ক্ষয়ে যায় ধীরে ধীরে, ভেঙে পড়ে ভিতরে ভিতর। শহরের অলি গলিতে, পদশব্দে কেঁপে ওঠে বহুতল ঘুম হারানো শোকে কিংবা হারানোর ভয়ে আঁৎকে ওঠে রোজ  রোদ খোঁজে একটু ওম পেতে, খোঁজে কিছুটা সবুজ।  সবুজ রাষ্ট্র খোঁজে দীন রাজপথ, সুখ খোঁজে জীর্ণ মানবতা  হাহাকার, চিৎকারের এত সোরগোলে ঘুম আসে না আজকাল দু'চোখে কেবলই কেতাবী অন্ধকার, ঘুমহীন রাত।  অকাল বিপ্লব এখন সভ্যতার সুনামে দুর্নামে জীবন শব্দটাও খেলা করে মৃত্যুর কুট কৌশলে  কি করে এড়াবে তুমি সংকেতে সম্ভোগের নিদারুণ চিত্রমালা!  যদি জীবনের অধিকার এতই নির্জীব ছায়া ফেলে জলে  যৌবন ঘুমিয়ে থাকে নিস্ফল মাইলফলক বুকে চেপে,  তবে এই পৃথিবীর

লুৎফুর রহমান চৌধুরী রাকিব ( ইংল্যান্ড )

ছবি
চোখ ধাঁধানো গ্রামটি চোখ ধাঁধানো গ্রাম  আমার দেখতে ভারী চমৎকার  প্রতিটি বাড়ির উঠোন জুড়ে  বইছে সোনালী ধানের জোয়ার। নিখুঁত মায়া মমতায় ভরা গ্রাম্য কৃষকের মনের দুয়ার  একটু শান্তির ছোঁয়া পেতে মন যেতে চায় বারেবার। গ্রাম্য মায়ের হাতের পিঠা কত যে মজাদার ---- তার চেয়েও বেশী মজা করতে পান্তা ভাত আহার। আহা কি অপরূপ ছিলো গ্রামের প্রতিটি পথপ্রান্তর কুয়াশার  ফুটে উঠতো এক মায়াবী সাদা চাদর। সারি সারি গাছ গাছালি  দেখতে কত যে সুন্দর  অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা  কাঁচা মাটির ঘর। কারো মাঝে নেই ভেদাভেদ  আপন কিংবা পর ভালোবাসায় পরিপূর্ণ আজ প্রতিটি মানুষের অন্তর।

আইরিন মণীষা

ছবি
অন্ধগলির বাসিন্দা বিচিত্রতাই ভরা মোদের জীবন নদীর ঢেউ তারিই মাঝে দু:খের দহন দেখে নাতো কেউ, পতিতা নামক তকমা নিয়ে অন্ধগলিতে ঠাঁই ইচ্ছে হউক বা অনিচ্ছায় ফেরার পথ তার নাই । সভ্য সমাজে হয়না ঠাঁই  যুগে যুগে দেখা দু:খে গড়া জীবন তার বিধির খাতায় লেখা, হাসি খেলার জীবন তার অন্ধকারে দোলে দু:খের রাশি  জীবন পটে দু:স্বপ্নের পাল তোলে । ভোগ্য পণ্য পরিচয়ে ব্যবহার  কেবল হয় সাধ আহলাদ সব খানেতে অপূর্ণতাই রয়, নিত্য নতুন খদ্ধের নিয়ে চলে তাদের খেলা অভিনয়ের রঙ্গমঞ্চে কাটে তাদের বেলা । মেকাপ গেট আপ নিয়ে সাজে তারা সঙ ধনী গরীব সবাই আসে দেখতে তাদের ঢং, জীবন যুদ্ধের পরাজিত এই পতিতা ক্ষুধার রাজ্যে টিকতে তাদের ভনিতা ।

সোহেল রানা

ছবি
ভালোবাসি তোমায় জীবনের প্রথম প্রেমটা তোমার সাথে হয়েছিল।  গোলাবারুদের মতো ছুড়ে দিলে জাপানের টোকিও শহরের ডাস্টবিনে।  হৃদয়ের গভীরে ক্ষত গুলো জমাট বেঁধে আছে।   ভালোবাসার স্মৃতি গুলো নিয়ে মনকে শান্তনা দিলেও,  একটিবারের দেখার জন্য অনেক খুঁজেছি এই ধরণীর তলে।  হৃদয় স্পর্শ করে তুমি চলে গেছ বহুদূরে,  বহুমাত্রিক বহু ব্যঞ্জনায় তোমাকেই খুঁজে পাই হৃদয় খুঁড়ে।  কভারেজে মতো নিকোটিনের গন্ধে তুমি মগ্ন থাকি। ভগ্ন হৃদয়ের সুপ্ত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো এখনো তোমায় বড্ড ভালোবাসি।  সেই ভালবাসাটা না বলাই থাক,  তবুও ক্ষমতাশীল পাখির নীড়ের মতো শান্তি খুঁজে পায় , পিয়া তোমার ঐ ছোট্ট কোলে মাথা রেখে।  আজও তোমায় ভালোবাসি, ভুলতে পারিনি স্মৃতি মুখর দিন গুলো।  আজও ভালোবাসি তোমায়।

মনি জামান

ছবি
আজ আমি স্বাধীনতা দেবো এই যবুক দাঁড়াও!আমার হাতটি ধরো, আজ আমি তোমাকে স্বাধীনতা দেবো। তুমি ইচ্ছে মত শৃঙ্খলিত কর আমাকে, তোমার ভালোবাসায় আমার নারীত্ব ক্ষতবিক্ষত কর। আমার হাতটি ধরে তোমার আকাশে উড়াও যতক্ষণ পারো,ছিন্ন ভিন্ন কর প্রজন্মের জননীকে। এই যবুক দাঁড়াও! যত বাধা ভয় আজ অতিক্রম কর,তোমার নীন্মাঙ্গ উদ্ধত কর সতিত্ব খুনের তাজা রক্তে তুমি আজ জ্যোস্না ছিনিয়ে নাও। তোমার পৃথিবী আলোকিত কর,পূর্ণ করো তোমার পুরুষত্ব। এই যবুক দাঁড়াও!এবার চলো অন্ধকারের বুক চিরে সজ্জিত ঐ অন্ধকার বাসরে,ভয় নেই তোমার। আজ মনের যত আস্ফালন জ্বালা মিটিয়ে নাও,যেন আর কোন জননী ধর্ষিত না হয়,কারণ আজ আমি তোমাকে স্বাধীনতা দেব। যত পারো স্বাধীনতা উপভোগ কর আমার কোমল শরীর ছুঁয়ে,তারপর রাখালের পদপিষ্ট পরিত্যাক্ত ঘাসফুলের মত রক্তের নদী বেয়ে পৌছে যাবো,ঠিক সূর্য উঠার আগেই পুরুষ তোমার আলোর পৃথিবীতে।একজন ধর্ষিতা জননী হয়ে চিরায়ত এই বাংলার বুকে ।

বিশ্বজিৎ দেবনাথ হৃদয়

ছবি
পবিত্র প্রেমে পাওয়া আলতা রাঙা পায়ে রিনিঝিনি নূপুর বাজে,  আমি কান পেতে রই,প্রেমময়ী কখন সে গৃহ হতে হবে বাহির।আলাভোলা উড়নচণ্ডী যায় সে কোন পথ ধরে, সে কি ফিরবে এই বসন্তের শিউলি ফোটা ভোরে? হারিয়ে কি যাবে কোন সে শিশিরের জলকন্যা হয়ে। নিয়ম করে আসতো সে পুকুর পাড়ে জলকেলি দেখতে-- দ্যাখে বেঁচে-থাকার মানে খুঁজতো। বিশাল আকাশটার নীলকে সে প্রচন্ড ভালো বাসতো... চঞ্চলা মন কখনো ডুবে যেত কবিতার মাঝে  আর রঙিন প্রচ্ছদে ছোট্ট একটা শহর বুনতো ভালোবাসার নীল খামে... কতো চিঠির প্রদর্শন হতো টেবিলের বুক জুড়ে।  কতো না বলা ভালোবাসা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে নিরুৎসাহিত হতো মনে,বেদনা বিধুর বুক ফেটে  চৌচির। আজও প্রেম কাঁদে বসে কোন চৌরাস্তার বাঁকে  শীতঋতুর সকালের শিশিরের ভেজা ঘাসে  বিকেলের ফিরে আসার অপেক্ষার প্রহর গুনে সাঁকো-অধীর আগ্রহে পথ পানে চেয়ে। বারংবার কারণে অকারণে জল ভরার ছলে এক পলক দেখার উচাটন দেহ মনে বায়না ধরে। অপলক দৃষ্টিতে নয়নের পানে চেয়ে থেকে আবেগে আপ্লুত ক্ষণ কখনও ভুলার নয়! ফিরে ফিরে তাকিয়ে উতালপাতাল ঢেউ যায় জাগিয়ে,হৃদয় পুড়ে আজ সেই স্মৃতি চারনে। তবো রুপ যৌবনে মনোমুগ্ধকর সদা ব্যাকুল ছিল যতো পড়শী। মায়াবী মুখে হরিণী চোখে

ফিরোজ আহমেদ জুয়েল

ছবি
প্রেয়সী ব্যস্ত সারাটি বেলার মাঝে,  তোমার ঐ চোখ দুটি হৃদয়ে ভাসে,  আনমনে চেয়ে থাকি, তোমারি পানে;  চেতনায় অনুভবের ঘন্টা বাজে। ডাকবে কখন তুমি, আমায় কাছে, হৃদয়ের আঙ্গিনায়, সুর যে বাজে, গোলাপি ঐ ঠোঁটের রাঙা হাসিতে, দুচোখে যে আমার স্বপ্ন ভাসে। কথার ঐ ফুলঝুরিতে,           কতোনা শব্দ আসে, ভালোলাগার উপমাগুলো,   তোমার ঐ হৃদয়ে আছে। হৃদয়ের এ শূন্যতায়,   তোমার ঐ পৃষ্ঠ ভাসে, তোমাকে পেয়ে যে আমার,       প্রণয়ের তুষ্টি মেলে। তুমি রবে চিরদিন, আমার এ হৃদয়ো মাঝে, তোমায় নিয়ে ফুল ফোটাবো, বাগানের ঐ আস্তরণে।।

A

 Bbb