পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ২৮, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি নিপুন দাস এর কবিতা

ছবি
মোহনায় এসে মোহনায় এসে ক্লান্ত সে নদী  ফেলে আসা পথে চায়, সব পথ আজ শেষ হোলো বুঝি  সাগরের ঠিকানায়। কত পথ সে পার হয়ে এল কত দেশ প্রান্তর, উদ্দাম স্রোতে ভেঙেছে গড়েছে  কতই না বালুচর। আজ নেই তার কূলভাঙা ঢেউ নেই সেই স্রোতধারা, সময়ের স্রোতে ভেসে গেছে সব ফিকে সব স্বপ্নরা। পরিচয় তার ছিল যতটুকু  মুছে যাবে ক্ষনিকেই  অপার সাগর, অ থৈ জলেতে হারাবে সে অচিরেই। সাগরের বুকে জমা হবে তার বয়ে আনা জলরাশি, যা ছিল নিজের, রইবে না আর সব যাবে ঢেউয়ে ভাসি। এ কী আনন্দ, না কী বিষাদ ভাবে সেই স্রোতস্বিনী, নিজেরে হারায়ে সুখ কিছু আছে।  দুঃখ বা কতখানি ? চঞ্চল স্রোতে যারা ছিল সাথী কে কোথায় আজ তারা!  মোহনায় এসে শান্ত তটিনী বোবা কান্নায় সব হারা। জমেছে বুকেতে নুড়ি আর বালি  ধীরে তাই পথ চলা,যা গেছে হারায়ে, যা গেছে ফুরায়ে সকলি থাক শুধু না বলা।

মমতা রায় চৌধুরী/৭৯

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৭৯ মিলির মাতৃত্ব মমতা রায় চৌধুরী স্কুল  থেকে বেরিয়ে টোটোতে উঠতে যাবে, পেছন থেকে রিম্পাদি বলল 'কিরে হনহন করে একাই টোটোতে এসে উঠে পড়লি, আমাকে ডাকলি না?' রেখা বলল' ও ডাকি নি বুঝি?' আমার পাশে এসে বসো জায়গা আছে'। বলেই কেমন অন্যমনস্ক হয়ে গেল। আসলে রেখার মনটা খুবই খারাপ। কিছু ভালো লাগছে না। এটা যেন ওর জীবনের একটা ট্রাজেডি। যাকে বেশি ভালোবেসেছে আপন করার চেষ্টা করেছে, তখনই যেন হঠাৎ করে সবাই দূরে সরে গেছে। রিম্পা দি পাশে এসে বসলো তারপর বলল 'অনিন্দিতার বিয়েতে যাচ্ছিস তো?' রেখার অন্যমনস্কতার জন্য কথাটা শুনতে পেল না। রিম্পাদি আবার একটু ঝাঁকুনি দিল। রেখা রিম্পদির দিকে তাকিয়ে ম্লান হেসে  বলল _কিছু বলছো?' রিম্পাদি বলল 'তোর কী হয়েছে বল তো ?আমি তো কে একটা কথা বলছি ,তুই শুনতে পাচ্ছিস না?' রেখা বলল '  হ্যাঁ ,বলো কি বলছো?' রিম্পাদি বলল' অনিন্দিতার বিয়েতে যাবি তো?' রেখা বললো' ইচ্ছা আছে, দেখি কি হয় ।সব ইচ্ছে আমার  পূর্ণ হয় না।' টোটোতে ফোন বেজে উঠল রেখার। রিং টোন 'সবাই তো সুখী হতে চায় ...'।ব্যাগ থেকে ফোন হ

শামীমা আহমেদ/পর্ব ৪২

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৪২) শামীমা আহমেদ   বেশ কয়েকদিন হলো শায়লা আবার  সেই আগের মতই কর্মচঞ্চলতায় ফিরে গেছে।সেই অনিশ্চয়তার দিনগুলির অবসান হয়েছে।এখন সে  নিয়মিত ফুল গাছগুলোতে পানি দিচ্ছে। খাঁচায় পোষা পাখিগুলোকে গান শোনাচ্ছে।রাতে ঘুমুতে যাওয়া আগে নিজের বেশ যত্ন নিচ্ছে। ভোরে ঘুম থেকে উঠে মায়ের জন্য অপেক্ষা করছে। নাস্তার আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে উঠছে।মায়ের সাথে টুকটাক কথায় কথায় তার অসুস্থতার সময়ে সংসারের যে বেহাল দশা হয়েছিল তা জানছে।শায়লা নিজেও বুঝে উঠতে পারছে না শিহাবের জন্য কেন সে এতটা উতলা হয়ে উঠেছিল! সে কথা ভাবলে কেমন একটা লজ্জাবোধও  কাজ করে। শিহাবতো তাকে আগেই সতর্ক করেছিল যেন দুজনার মাঝে কোন চাওয়া পাওয়ার ইচ্ছেরা উঁকি না দেয়। শায়লা নিজেকে নিজেই চিনতে পারছে না।নাহ! এভাবে কারো ইচ্ছার বাইরে তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা তার ঠিক হয়নি।কিন্তু আজকাল শিহাবের ফোনালাপ, মেসেজ কেমন যেন অন্যকিছুর আভাস দিচ্ছে।কেমন যেন একটা বন্ধনের আলাপন। তবে কি শিহাব নিজের  প্রতিজ্ঞা ভেঙে তার প্রতি দয়া দেখাচ্ছে।যদি সেদিন মরেই যেতাম তবে তো সে-ই দায়ী থাকতো শায়লার এই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার জন্য।তাই কি তার এতটা উদ্বেগ উৎকন্ঠা!

শান্তা কামালী/৫১ পর্ব

ছবি
বনফুল শান্তা কামালী (৫১ পর্ব )  এভাবেই সময় এগিয়ে যেতে লাগলো... সৈকত ঢাকা আসার কিছু দিন পরের কথা, অলিউর রহমান বদলি হয়ে ঢাকায় নিজের বাসায়  ওঠেন। মাস দু'য়েক পরে ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করে এক সাইড প্যারালাইস্ট হয়ে যায় সৈকতের মায়ের। অলিউর রহমান সাহেব ভেঙে পড়লেন!  একদিকে অফিস অন্য দিকে স্ত্রী। রাহেলা খাতুনের সেবা যত্ন করেন বাপ ছেলে দু'জনেই।  মাঝে মধ্যে অহনাও এসে সেবা যত্ন করে।  রান্না ঘরে খালাম্মাকে লোকমা তুলে খাইয়ে,ঔষধ খাইয়ে তবেই অহনা বাসায় যায়।  মধ্যে মধ্যে রাহেলা খাতুন অহনার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন পরম মমতায়....  একদিন অলিউর রহমান অফিস থেকে এসে স্ত্রীর কাছে বসতেই, রাহেলা খাতুন স্বামীকে বললেন অহনা সৈকতের বিয়েটা খুব তাড়াতাড়ি দিয়ে দেন,পুরুষ মানুষ বলে কথা। এতো কিছু মাথায় আসে না কাজের মধ্যে, তাই অলিউর রহমান সপ্তাহ খানেকের ছুটি নিলেন।পরদিন বিকালে অহনাদের বাসায় গেলেন। অলিউর রহমান যাবেন আগেই  বলে রেখেছিলেন।  সেই কারণে মনিরুজ্জামান সাহেব, মানে  অহনার বাবা বাসাতে ই ছিলেন। অলিউর রহমান পরিচয় পর্ব শেষ করে, কোনো রকম ভনিতা না করে বললেন .... আপনি যদি রাজি থাকেন  তাহলে অহনা সৈকতের বিয়েটা অপেক্ষা করে আর

শহিদ মিয়া বাহার

ছবি
পরখ কর এ আমাকে  এখানে একটুখানি বস, চোখের শার্শিতে রাতের পল্লবী হৃদয় ছুঁয়েছে আমার শরীর  ওখানে  হাত রাখ, ছুঁয়ে দেখ  তোমাকে পাবে কত যতনে  তোমাকে রেখেছি  শো-কেসে যেমন রাখে প্রিয় প্রসাধনগুলো একটুখানি বসলেই পেয়ে যাবে বাসন্তিক চোখের শালুক,  তোমার চুলের তরঙ্গ নহর আমার অতনু শরীর,   থরে থরে সাজানো  সুগন্ধি ভালবাসার পূর্ণ-পেয়ালা শিশির শিশিরের ভাঁজে ভাঁজে   মুক্তা  দানাদের আলোকিত জলমহল । একটুখানি হাত ধরো  অথবা যতটুকু তুমি চাও  ছুঁয়ে দেখ এ আমাকে  দেখ তুমি আছো এ হাতে,  হাতের তালু, তর্জনিতে... হৃদয়ে-হৃদয়ে ছুঁয়ে দেখ পরখ কর এ আমাকে যতখানি তুমি চাও আমি তাই আছি কিনা।  এখানে একটুখানি বস  বৈষ্ণবী হাতে ছুঁয়ে দেখ বুকের চৌকাঠ  তোমার প্রতীক্ষায় মন্জিলে মন্থিত চন্দ্রিমা নিলয় আমার।

রাবেয়া পারভীন/২য়পর্ব

ছবি
দুরের বাঁশি  রাবেয়া পারভীন ( ২য়পর্ব) প্রথম  দেখাতেই  শুভকে ভালো লেগে গিয়েছিলো লাবন্যর।  শুভর সাথে যখন প্রথম কুশল বিনিময়  হচ্ছিলো  কি যেন এক অজানা ভালোলাগায় বুক কাঁপছিলো  লাবন্যর। তারপর  কখন সেটা ভালোবাসা হয়ে গেছে  লাবন্য বুঝতেই পারেনি। অথচ  শুভর খুব নিঃস্পৃহ  ভাব। যখনি শুভর দেখা পেত কথা হতো  লাবন্যর চোখের পাতায় কাঁপন  ঠোঁটে কাঁপন  যা বলতে চাইত তা না বলতে পারার কষ্ট  লাবন্যকে উদাসীন  করে তুলতে লাগলো। মনে মনে বলত -আচ্ছা শুভ  তুমি কি আমার কিছুই বোঝ না ?  নাকি অন্য  কোথাও  ডুবে আছো তুমি ?    ইচ্ছে করেই কিছুদিন  খবর নেয়না  শুভর । নিজেকে ভুলিয়ে রাখতে চেষ্টা করে । সে আর খবর নিবেনা। দেখবে ওর মনে পড়ে কিনা লাবন্যকে। একসপ্তাহ কেটে গেল  শুভর দেখা নেই।  অভিমানী চোখে জল গড়ায়। নিজেকে বোঝায় লাবন্য  - দুর কোথাকার কে ?  না নিল খোঁজ তো বয়েই গেল। সে আমার কে ? মন বলে কিছু নেই লোকটার। মনটা  যখন ভেংগে পড়ছিলো তখন হঠাৎ শুভর  সাথে দেখা। সেই  সদা  হাস্যময়  মুখ।  - কেমন  আছেন  লাবন্য ?  মুহূর্তেই  সব অভিমান  উধাও হয়ে গেল। - ভালো আছি  আপনি ভালো আছেন তো ?  স্মিত  হেসে উত্তর দেয় শুভ - ভালো আছি । তবে অনেকদিন  আপনার দ