বনফুল
শান্তা কামালী
(৫১ পর্ব )
এভাবেই সময় এগিয়ে যেতে লাগলো... সৈকত ঢাকা আসার কিছু দিন পরের কথা, অলিউর রহমান বদলি হয়ে ঢাকায় নিজের বাসায় ওঠেন। মাস দু'য়েক পরে ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করে এক সাইড প্যারালাইস্ট হয়ে যায় সৈকতের মায়ের। অলিউর রহমান সাহেব ভেঙে পড়লেন! একদিকে অফিস অন্য দিকে স্ত্রী। রাহেলা খাতুনের সেবা যত্ন করেন বাপ ছেলে দু'জনেই।
মাঝে মধ্যে অহনাও এসে সেবা যত্ন করে। রান্না ঘরে খালাম্মাকে লোকমা তুলে খাইয়ে,ঔষধ খাইয়ে তবেই অহনা বাসায় যায়।
মধ্যে মধ্যে রাহেলা খাতুন অহনার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন পরম মমতায়....
একদিন অলিউর রহমান অফিস থেকে এসে স্ত্রীর কাছে বসতেই, রাহেলা খাতুন স্বামীকে বললেন অহনা সৈকতের বিয়েটা খুব তাড়াতাড়ি দিয়ে দেন,পুরুষ মানুষ বলে কথা।
এতো কিছু মাথায় আসে না কাজের মধ্যে, তাই অলিউর রহমান সপ্তাহ খানেকের ছুটি নিলেন।পরদিন বিকালে অহনাদের বাসায় গেলেন। অলিউর রহমান যাবেন আগেই বলে রেখেছিলেন। সেই কারণে মনিরুজ্জামান সাহেব, মানে অহনার বাবা বাসাতে ই ছিলেন। অলিউর রহমান পরিচয় পর্ব শেষ করে, কোনো রকম ভনিতা না করে বললেন .... আপনি যদি রাজি থাকেন তাহলে অহনা সৈকতের বিয়েটা অপেক্ষা করে আর ঝুলিয়ে রাখতে চাই না।
অহনার বাবা বললেন ছেলে মেয়ে যেহেতু একে অপরকে ভালোবাসে সেইখানে না করে কি করব বলেন।
সৈকতের বাবা বললেন, আপনাদের কোনো দাবিদাওয়া আছে?
অহনার বাবা মনিরুজ্জামান সাহেব বললেন, জ্বি... না ভাই সাহেব আমাদের কোনো রকম দাবিদাওয়া নেই। সৈকতের বাবা বললেন আলহামদুলিল্লাহ......তাহলে কথা পাক্কা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much