পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শামীমা আহমেদর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৬০

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৬০) শামীমা আহমেদ   শিহাব হাতের ঘড়ির দিকে এক নজর দেখে নিলো।ঘড়ির কাঁটায় তখনো চারটা বাজতে আরো প্রায় দশ মিনিট বাকী। গাড়িতে বসেই শিহাব শায়লাকে জানালো, সন্ধ্যে হতে এখনো বেশ সময় আছে। চলো,এখানে একটু বসি। এই রেস্তোরাঁটিতে আমি প্রায়ই আসি। খোলামেলা পরিবেশে সাত তলার উপরে আলো বাতাসে খুব ভালো লাগে। শায়লা শিহাবের অনুরোধ রাখতে উবার থেকে বেরিয়ে এলো। শিহাব উবার ভাড়া মিটিয়ে গাড়ি থেকে নামল। যদিও শায়লার একটু কেমন যেন ভয় ভয় করছিল তবুও শিহাবের প্রতি যখন বিশ্বাস এনেছে এখন আর পিছিয়ে যাওয়ার কিছু নেই। যদিও বিশ্বাসটা সময়ের সাথে সাথে ভেতরে বেশ শক্ত একটা জায়গা করে নিয়েছে। ধীর পায়ে হেঁটে  দুজনেই লিফটে উঠল। শিহাব সেভেন বাটনে পুশ করে গন্তব্য স্থির করলো।এ সময়টা একটু ফাঁকাই আছে। লিফটে মানুষের যাতায়াত কম । ছোট্ট লিফটে খুব হলে চারজনের জায়গা নিবে। শায়লা শিহাব খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে কিন্তু মনের ভেতরে দুজনারই অতীত ভবিষ্যৎ আর বর্তমানের হিসেব নিকেশ চলছে সে বুঝা যায়। চারপাশে কাঁচঘেরা লিফটের ভেতর দুজন দুজনকে স্পষ্টই দেখতে পাচ্ছে। দুজনেরই চোখে চোখ পড়তেই শিহাব শায়লার হাতটি শক্ত করে ধরে চোখে অভয়  জ

মমতা রায় চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১০৭

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১০৭ ভ্যাকসিন পর্ব মমতা রায় চৌধুরী রেখা কলম থামালো আর মনে মনে বলল  'যাক বাবা ,সম্পাদকের কথা রাখতে  পেরেছি ।অবশেষে উপন্যাসের আজকের পর্ব টা লিখে শেষ করা গেল ।ক'টা বাজে দেখি তো? তাড়াতাড়ি টাইম টা দেখল ওরে বাপরে, রাত্রি 12:30। এখনই তো পাঠাতে হবে লেখাটা। এ বাবা ফোনটাই খুলে দেখা হয়নি। ওরে বাপরে কতগুলো মেসেজ এসেছে। লাস্ট মেসেজ এসেছে 'আমি আপনার জন্য ওয়েট করছি ।তাড়াতাড়ি লেখা পাঠান।' রেখা মনে মনে ভাবল ছি: ছি: ছি: একবারও দেখা হয়নি ফোনটা খুলে। রেসপন্স করে নি। ভদ্রতা বলেও তো একটা কথা আছে।' রেখা ভাবল' না, আগে উপন্যাসের আজকের পর্ব টা পাঠাই তারপর ক্ষমা চেয়ে নেব।' গল্পটা পাঠিয়ে দিল। সঙ্গে সঙ্গে মেসেজ আসলো 'থ্যাংক ইউ সো মাচ 💕' রেখা মেসেজ পাঠালো "খুবই দুঃখিত।' আবার মেসেজ আসলো' আমার মেসেজের জন্য?' রেখা মেসেজ পাঠাল' আরে বাবা, না ,না,  না ।এসব বলে লজ্জা দেবেন না। সম্পাদক লিখলেন 'তাহলে?' রেখা লিখল'আমার লেখা পাঠাতে দেরি হলো ,আপনাকে অনেকক্ষণ ওয়েট করতে হলো এজন্য।' তিনি লিখলেন' ভালো লেখার জন্য হাজার বছর ধরে

কবি আইরিন মনীষা'র কবিতা

ছবি
নিঃসঙ্গতা   আইরিন মনীষা  আজ কতদিন হয়ে গেলো  একাকীত্বের সাথে আমার নির্লিপ্ত বসবাস যেখানে ধুসর বিবর্ণ আকাশের হাতছানি  এভাবেই বেদনায় আশাহত অন্যায্য সহবাস।  রঙ্ধনুর সাত রঙ আজ বড়ই ফিকে যেখানে আর রাঙেনা আমার অধরা স্বপ্নের পালক, একসাথে পথ চলার সেই আকাঙখিত আশার প্রতীক্ষায় নিঃসঙ্গতার পথ চলায় আমিই আমার চালক।  নগ্ন পায়ে শিশিরের সাথে স্পর্শ  যেখানে ছিলে তোমার অবাধ বিচরণ,  বিমুগ্ধ নয়নে আমার হাত দুটি ধরে হাঁটতে শিহরণে যেথায় তোমাতেই চাইতাম বাঁচতে।  বাদল দিনের রিমঝিম ছান্দিক বারিধারায়  কি দারুণ এক সুখানুভুতি হাতছানি দিতো, যেথায় আমার আরাধ্য হারানো দিনের গান বাজতো গ্রামোফোনে যেথায় আমার মন কেড়ে নিতো।  বসন্তের মাতাল সমীরণে সেই উদ্দীপনা  এখনো আমায় কাছে টানে একান্ত একাকীত্বে ভুলা কি যায় তারে মধুময় স্মৃতি মাখা ক্ষণ আমার নিঃসঙ্গতার সঙ্গী তব বিরহী বিস্মৃতির   সম্ভিতে।

কবি জান্নাতুল ফেরদৌস  এর কবিতা

ছবি
লেনাদেনা জান্নাতুল ফেরদৌস   কিছু প্রাপ্তি আর কিছু অপ্রাপ্তি কিছু শান্তি আর কিছু অশান্তি কাটছে সময় দূর-বহুদূর। কিছু আশা আর কিছু নিরাশা কিছু তৃপ্তি আর কিছু পিপাসা ঢেউয়ে ঢেউয়ে বিশাল সমুদ্দুর। কিছু দেনা আর কিছু পাওনা কিছু লেনা আর কিছু বায়না চকচকে ভাসে হৃদয়ের আয়নায়। কিছু কান্না আর কিছু আনন্দ জীবনের ভাজে থাকে মৃদু মন্দ কখনোও আবার হয় নিরানন্দ।  কখনোও আলো কখনোও আঁধারে ভেবে যায় মন সদা চরাচরে ভালো,মন্দ হয়ে কভু ধরা পড়ে। কখনোও আকার,কখনোও নিরাকার খুঁজে ফিরে মন সকল ঠিকানায় ধরা পরে কখনোও শুধু মরিচিকায়। যতক্ষণ বায়ু থাকছে আনাগোনা প্রত্যাশা তাঁর কভু শেষ হবে না। নিয়তির খেলায় থাকবে লেনাদেনা।

কবি সেলিম সেখ এর কবিতা

ছবি
আমার কবিতা   সেলিম সেখ   ভুবন মাঝে ধরেছি কলম লিখব বলে তাই, প্রকৃতির কোলে লিখে সদা  মনের সুখ পাই। মোর কবিতায় ফুটছে দেখো  প্রকৃতির সেই ফুল, পাঠক সমাজ বলছে তাই পায় না খুঁজে কূল। একটি একটি করে দেখি জমেছে শত কবিতা, এগুলো দিয়ে গড়ছি জীবন হৃদয় মাঝে রবে তা। মোর কবিতা পাঠে পাবে  বাস্তবতার ছাপ,  এভাবেই চলবে জীবন কমবে সবার চাপ।  কবিতা হলো সন্তানসম যত করোনা কেউ তা চুরি, জানলে তুমি অবাক হবে আছে সেথা প্রাণ জুড়ি।

মনি জামান এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১০

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল ( ১০ম পর্ব )  মনি জামান এ দিকে সংবাদিক ফিরোজ বাড়ি এসেই ছুটলো জিকুদের বাড়ি,তারপর কাকিমা ককিমা বলে ডাকতে শুরু করলো,জিকুর মা মোমেনা বেগম ঘর থেকে বের হয়ে এসে দেখলো ফিরোজ দাঁড়িয়ে আছে,মোমেনা বেগম জিজ্ঞেস করলো কিরে ফিরোজ ডাকছো কেন কি হয়েছে। ফিরোজঃ কাকিমা খুশির সংবাদ দিতে এলাম,মোমেনা বেগমঃ কিসের খুশির সংবাদ ফিরোজ ? ফিরোজঃ কাকিমা জিকুর ছেলে হয়েছে জিকুর মা খবরটা শোনার সাথে সাথে হাস্যউজ্জ্বল মুখে ফিরোজেকে জিজ্ঞেস  করলো জিকুর ছেলে হয়েছে?কবে হলোরে ফিরোজ?দেখতে কেমন হয়েছে আর আমার দাদু ভাইয়ের শরীর কেমন,জিকু  কেমন আছে। ফিরোজঃ জিকুর ছেলে খুব সুন্দর হয়েছে কাকি মা ঠিক আপনার বৌমার মতো সুন্দর আপনার দাদু ভাই ও ভালো আছে, জিকুর মা পুতা ছেলের খবরটা প্রথমে শুনে যতটা সহাস্যমুখ ছিল বৌমার আসমার কথা শুনে ততোটাই মুখটি ভার হয়ে গেলো,মোমেনা বেগম নিজের ছেলের খোঁজ খবর নিলো ফিরোজের কাছ থেকে,কিন্তু মোমেনা বেগম এক বারও জানতে চাইলো না ফিরোজের কাছে তার বৌমা আসমা কেমন আছে। মোমেনা বেগম যখন আসমার কথা একবারও জিজ্ঞেস করলো না ফিরোজের কাছে,তখন ফিরোজের মনটা ভিষণ খারাপ হয়ে গেলো,এটা ভেবে যে জিক

কবি কপিল কুমার ভট্টাচার্য্য এর কবিতা

ছবি
মহামারীতে প্রকৃতির প্রতি    কপিল কুমার ভট্টাচার্য্য      প্রকৃতি তুমি আগের মত     আবার ওঠো হেসে,    কালিমালিপ্ত দিনগুলি সব     যাবেই তাতে ভেসে------    মানুষেরা উঠবে জেগে     উঠবে হেসে ফুল,     ভ্রমর-পাখি উঠবে নেচে      গাইবে প্রাণীকুল।।

কবি মোঃ ইসমাঈলের কবিতা

ছবি
অধিকার মোঃ ইসমাঈল   ১৯৭১ এ করেছি যুদ্ধ হয়েছি স্বাধীন আজ ২০২২ এ এসেও নিজ দেশে পরাধীন। স্বাধীন আমরা হয়েছি যে কেবল কাগজে কলমে নিজ দেশে নিজেরাই হচ্ছি শোষিত বর্তমানে।  চাইনি তো আমরা হতে এমন স্বাধীন বাকরুদ্ধ হয়ে চেয়ে থাকতে হয় মনে হয় যেন পরাধীন। সমাজের প্রতিটি ধাপে শোষিত হয় গরীব অসহায় মানুষ মনুষ্যত্ব বিহীন লোকেরা চোষণ করে, হয়ে নিষ্ঠুর ফানুস।  যেখানে গরীব পারেনা বাঁচতে, খেতে পায় না ভাত অসহায়ত্ব এবং দরিদ্রের জন্য পেটে যে পড়ে থাকে শূন্য হাত। যেখানে গরীব শীতে পায় না বস্র শয়ে বেড়ায় অনড় শীত তবে গুচবে না কভু শীতের কষ্ট শোনাও যত গীত।  যেখানে বিত্তশালী কেড়ে নেয় অসহায়ের সর্বঃস্ব সেখানে গরীব পৈতৃক ভিটেমাটি হীন নিঃস্ব। যেখানে গরীব স্বাধীন হিসেবে পায়না সঠিক বিচার তবে সইবে না কভু এই ভূবন এমন নির্মম অবিচার।  কোথাও গিয়ে পায়না ঠায় আজ গরীব বলে তাই তো গরীব ভূবনে সয়ে যায় লাঞ্চনা জঠর অনলে। তবে কি এই মহীতে কখনোও কি গরীব পাবে না কোথাও দাম আর কতকাল সইবে এইসব- দেখতে তো ধনী গরীবের সমান চাম।  তবে কি আজ ভুলে গেলে ১৯৭১ এর কথা হয়ে স্বাধীন এই গরীব,অসহায়,দিনমজুর,জেলে,তাঁতি না করলে যুদ্ধ থাকতে হয়ে পরাধীন। কই! তখন ছিল ১৯৭১ সা