পোস্টগুলি

নভেম্বর ১৮, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৪৬

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " । টানাপোড়েন (৪৬) চিরন্তন গন্ধ                                                                           স বুজে ঘেরা গ্রাম আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা ।ওদের মাটির ঘরগুলো এত সুন্দর করে নিকানো। মনে হতো বারবার দেখি।পাখি ,লতা, পাতা, ফুল সুন্দর করে চিত্রিত করা। জায়গাটির পাশে আসলেই মনে পড়ে যায় ছোট্টবেলার সেই দিনগুলোর কথা। গাড়ি অবশেষে এসে পৌঁছাল আদ্রাহাটিতে। মনোজ বলল, রেখা কতদিন পর তুমি তোমার নিজের গ্রামে আসলে। চিনতে পারছো? রেখা বলল  'চিনতে পারব না?' ওই তো বারোয়ারি ঠাকুর দালান। একসময় এই ঠাকুরদালানে বিকেল বেলায় কত আড্ডা হতো বয়:জ্যেষ্ঠদের। ওতো পঞ্চানন কাকার দোকান। পঞ্চানন কাকাকে দেখতে পাচ্ছি না কেন?' গাড়ি এসে থামল।  রেখা আরো বললো 'পাশের বাড়ির বুলু জেঠিমা, বুড়োদা,নীলুদা কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। বাড়ির ভেতরে অবশ্য কারুর কারুর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।' মনোজ বললো  'চলো আগে বাড়িতে।' রেখা বলল ' হ্যাঁ ,ঠিক বলেছ।' রেখা উ

কবি সানি সরকার এর দুটি কবিতা

ছবি
বৃহস্পতিবার, মধ্যরাত্রি, দৌড় সানি সরকার       চৌকো গর্তের মতো পরিপাটি এই বিছানা   এত আলো      এত সুগন্ধী                         জলের দিকে নেমে যাচ্ছি, জঙ্গলের দিকে                 পাহাড়ের দিকে…   আমাকে ধরো   এত ঘুর্ণন এত গানগন্ধী শামকোল এখানে আমাকে ঘিরে ধরছে, চক্কর দিচ্ছে                 মাথার ওপর   চৌকাঠ পেরিয়ে যাব কীভাবে আসলে কী চৌকাঠ পেরোইনি এই যে ব্ল্যাকবোর্ডের ভেতর নেমে আসলাম এখান থেকেই দৌড়বিদ তাঁর দৌড় শুরু করবেন   চৌকো গর্তের ভেতর            অনন্ত বাঁক,                 জোনাকির টিপটিপ   চকের ওপর স্থির ওই মূর্তি তাকেও ঘুরতে হবে, ঘুরতে ঘুরতেই ছোট্ট টিপের ভেতর আমরা হাঁটব, ঘুমব না   তুমি তো সত্যি মানুষ মানুষ কখনও ঘুমোন না কখনও শুধু আলাপ জমান একটি নক্ষত্র থেকে আরেকটিতে তাল ওঠে, গভীর নির্জন তাল, গভীর আরাম   আমাদের বিশ্রাম এমনিই, চলমান, মুহূর্ত থেকে মুহূর্তান্তরের   চৌকো গর্তের মতন এই মাটির বিছানা শীতের, গ্রীষ্মের, তুলসীপাতার, নিমগন্ধ বড় আরাম এখানে, বড় নাতিশীতোষ্ণ, আমি সেই মৃৎশিল্পীকে খুঁজছি ওঁর জন্যে অন

গোলাম কবির

ছবি
  নিঃসঙ্গ পার্কের বেঞ্চে একদিন    হেমন্তের প্রায় শেষদিকে নিঃসঙ্গ পার্কের  বেঞ্চে বসে আছি একা। মাথার ওপর   আম গাছটার ওপরে বসে একটা কাক  একটানা কা কা করতে করতে একসময়  উড়ে চলে গেলো। একটু পরেই আমার   সামনে পার্কের ন্যাড়া ঘাসের ওপর একটা   লোমওঠা এবং পিঠের ওপর গভীর     ক্ষতচিহ্ন সগৌরবে বয়ে বেড়ানো    একটা সারমেয় বসলো আমার খুব গা ঘেঁষে।    আমি তার দিকে তাকাতেই কেমন জানি   একটু নড়েচড়ে বসলো এবং নিজে নিজেই   কিছুক্ষণ গজরাতে গজরাতে চলে গেলো   আমাকে ফেলে একা। ভাবছিলাম ও    কেনো গজরাচ্ছিলো অমন করে!    তারপর হঠাৎ করেই মনে হলো ওর   গজরানো এবং শরীরের ভাষা বলে দিচ্ছে   আমার প্রতি তার এরকম চরম    অবজ্ঞাসুলভ আচরণের কারণ হয়তোবা   আমি মানুষ বলে! ওর শরীরের   ক্ষতচিহ্নের জন্য হয়তো আমার মতোই  কোনো মানুষ দায়ী, যে কিনা ওর শরীরের  ওপরে গরম কিছু ঢেলে দিয়েছে এবং   সেইজন্যই তাকে এই গভীর ক্ষত বয়ে  বেড়াতে হচ্ছে, ওর তীব্র ঘৃণা মানুষের প্রতি  হয়তো সেইজন্যই! হায়, মানুষ হিসেবে  একটা সারমেয়র কাছেও হেরে গেছি  আমরা! মনের ভিতরে এই প্রচণ্ড কষ্টের  বোধ নিয়ে পার্ক ছেড়ে বেরিয়ে এলাম  উন্মুক্ত আকাশের নীচে একটুকু সান্ত্বনা পাবা

শিবনাথ মণ্ডল

ছবি
বাবুইয়ের বাসা ঐ যে দেখি বাবুই পাখি তাল গাছেতে     বাসা, দর্জি পাখি নামটি তোমার ঘরটি বড়ো খাসা। ঝড় বৃষ্টি বুঝে তুমি ঘোরাও ঘরের    দোর, জ‍্যোনাকির আলো নিয়ে রাত্রি করো ভোর। পাতা চিরে তৈরী করো সুন্দর বাসা খানি, সুখে তোমরা বাস করো যেন রাজা রানী। বাসা তৈরীতে শ্রেষ্ঠ বাবুই সবাই মানে হার, এমন বাসা তৈরী করার সাদ্ধ আছে কার?

ফরমান সেখ

ছবি
বন্ধু আমার প্রিয়ার সাথে          পূর্বাকাশে  রবি ওঠে চারিদিকে  আলোকিত, বন্ধু আমার, প্রিয়ার সাথে হয়েছে আজ  অবির্ভুত। মিলেমিশে  খায় যে খানা- পাশাপাশি  গোলটেবিলে, হেঁসে ভাসায়  আনন্দতে গল্প জমায়  দুজন মিলে। কি হয়েছে  ফোনে কথা- উদাত্ত মনে  নিশিরাতে, সে কথা আজ  সামনা- সামনি উঠেছে আজ  জম জমাটে। কথা তাদের  ভাসছে যেন- ভালোবাসার  বাঁশির সুরে, চোখের কোণে  ফুটছে যেন- সর্ষের ফুল  দিন-দুপুরে। প্রিয়া বলে, তুমি আমার- ভালোবাসার  প্রিয় হরি, বন্ধু বলে, তুমি প্রিয়া- আমার ডানা  কাটা পরী।

agga

LOVE

adgfg

LOVE

affg

LOVE

fzsd

LOVE

hgd

LOVE

শহিদ মিয়া বাহার

ছবি
দাবানলের চিতা জুঁইকুমারী বাতাসের বাতাবী চুলের দীর্ঘ বেণী ধরে  ভেসে যাব শাকবুনিয়ার দেশে শস‍্য-কুয়াশা সুখের লাস‍্যময়ী নদী  ছুঁয়ে দেব স্নেহার্দ রুমালের সুখেলা হেমন্ত বিলাস বাসনার নিমগ্ন রোদেলা বিকেল একে একে থরে থরে সাজাবো বসন্ত -ময়ূর জমিনে কর্ণফুলীর ঝকঝকে মথুরা মোহনায়  যখন স্বপ্ন-মদির মায়া-তরী ভাসাবে   সম্ভাবনার সাম্পান কিছুই হল না! সুস্মিত আকাশনীল শৈবালের বুক ফুঁড়ে সুখ-সজ্জার ঝিনুক কুড়াবো ব‍্যাপ্ত প্রার্থনায় আশানিয়া প্রহরে কপাট-কঙ্কন খুলে ছুয়ে দেব অরণ‍্যের মেঘ-ছায়া বৃষ্টির আরণ‍্যক শিশির কিছুই হল না  আমার অরণ‍্য জুড়ে ব‍্যার্থ বুনো-পাখালির অবিরাম মৌন অভিসার! ঝাাঁঝরা সানকিতে বহু বছর সাতরঙ্গা  সুখের সঞ্চয় করেছি  অথচ ফুটো গলে রূপোলী পাখায় নীল-পালকের ফাল্গুনী গাংচিল  বেরিয়ে গ‍্যাছে কোন এক বোশেখের বিকেলে আর ফেরেনি আমার পৃথিবী জুড়ে এখন বিউগল বাজে, তৃষ্ণার্ত চাঁদের সরোদ সঙ্গীত পঞ্চাশ বছর জুড়ে বুকের কাঞ্চনজঙ্গায় জ্বলে চৈতালী তাপের দাবানল চিতা! ও আকাশ  এবার তুমি মেঘ হয়ে আস মেঘ ভেঙ্গে ভেঙ্গে হও সুখের তিতাস বহুযুগ আমি পাঁজরের ভেতরকার মেটালিক চিৎকার মিউট করে রেখেছি  কেউ শোনেনি ।