মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৪৬
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক । তার নিত্যদিনের আসা যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন " । টানাপোড়েন (৪৬) চিরন্তন গন্ধ স বুজে ঘেরা গ্রাম আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা ।ওদের মাটির ঘরগুলো এত সুন্দর করে নিকানো। মনে হতো বারবার দেখি।পাখি ,লতা, পাতা, ফুল সুন্দর করে চিত্রিত করা। জায়গাটির পাশে আসলেই মনে পড়ে যায় ছোট্টবেলার সেই দিনগুলোর কথা। গাড়ি অবশেষে এসে পৌঁছাল আদ্রাহাটিতে। মনোজ বলল, রেখা কতদিন পর তুমি তোমার নিজের গ্রামে আসলে। চিনতে পারছো? রেখা বলল 'চিনতে পারব না?' ওই তো বারোয়ারি ঠাকুর দালান। একসময় এই ঠাকুরদালানে বিকেল বেলায় কত আড্ডা হতো বয়:জ্যেষ্ঠদের। ওতো পঞ্চানন কাকার দোকান। পঞ্চানন কাকাকে দেখতে পাচ্ছি না কেন?' গাড়ি এসে থামল। রেখা আরো বললো 'পাশের বাড়ির বুলু জেঠিমা, বুড়োদা,নীলুদা কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। বাড়ির ভেতরে অবশ্য কারুর কারুর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।' মনোজ বললো 'চলো আগে বাড়িতে।' রেখা বলল ' হ্যাঁ ,ঠিক বলেছ।' রেখা উ