দাবানলের চিতা
জুঁইকুমারী বাতাসের বাতাবী চুলের দীর্ঘ বেণী ধরে
ভেসে যাব শাকবুনিয়ার দেশে
শস্য-কুয়াশা সুখের লাস্যময়ী নদী
ছুঁয়ে দেব স্নেহার্দ রুমালের সুখেলা হেমন্ত বিলাস
বাসনার নিমগ্ন রোদেলা বিকেল
একে একে থরে থরে সাজাবো বসন্ত -ময়ূর জমিনে
কর্ণফুলীর ঝকঝকে মথুরা মোহনায়
যখন স্বপ্ন-মদির মায়া-তরী ভাসাবে
সম্ভাবনার সাম্পান
কিছুই হল না!
সুস্মিত আকাশনীল শৈবালের বুক ফুঁড়ে সুখ-সজ্জার ঝিনুক কুড়াবো ব্যাপ্ত প্রার্থনায়
আশানিয়া প্রহরে কপাট-কঙ্কন খুলে ছুয়ে দেব অরণ্যের মেঘ-ছায়া বৃষ্টির আরণ্যক শিশির
কিছুই হল না
আমার অরণ্য জুড়ে ব্যার্থ বুনো-পাখালির অবিরাম মৌন অভিসার!
ঝাাঁঝরা সানকিতে বহু বছর সাতরঙ্গা সুখের সঞ্চয় করেছি
অথচ ফুটো গলে রূপোলী পাখায় নীল-পালকের ফাল্গুনী গাংচিল
বেরিয়ে গ্যাছে কোন এক বোশেখের বিকেলে
আর ফেরেনি
আমার পৃথিবী জুড়ে এখন বিউগল বাজে, তৃষ্ণার্ত চাঁদের সরোদ সঙ্গীত
পঞ্চাশ বছর জুড়ে বুকের কাঞ্চনজঙ্গায় জ্বলে চৈতালী তাপের দাবানল চিতা!
ও আকাশ
এবার তুমি মেঘ হয়ে আস
মেঘ ভেঙ্গে ভেঙ্গে হও সুখের তিতাস
বহুযুগ আমি পাঁজরের ভেতরকার মেটালিক চিৎকার মিউট করে রেখেছি
কেউ শোনেনি ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much