পোস্টগুলি

অক্টোবর ২৪, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৩১

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।                                                                  টানাপোড়েন পর্ব ৩১                                                                     বৃষ্টি ভেজা স্বপ্ন                                             আ জ বিজয়া দশমী মনটা এমনি ভারাক্রান্ত। মা চলে যাবে। তবুও মায়ের আগমনী বার্তা নিয়ে সবাইকে হাসিমুখে বিদায় জানাতেই হয়। ড্রইং রুমে এসে শিখা বসে। আজ আনমনে ম্যাগাজিনের পাতা ওল্টাচ্ছে আর মনে মনে একটা এলোমেলো ভাবনা কাজ করে যাচ্ছে ।আজ সেই  বিজয়া দশমী মায়ের সামনে দিব্যেন্দু কথা দিয়েছিল। কেন যে বারবার দিব্যেন্দুর ভাবনাটা আসে শিখা ভাবতে চায় না। এমন সময় গুন গুন করে গান' ধরিয়া রাখিয়ো সোহাগে আদরে আমার মুখর পাখি তোমার প্রাসাদপ্রাঙ্গণে .. ভালো বেসে সখী নিভৃতে যতনে ,আমার নামটি লিখো তোমার মনেরও মন্দিরে 'গাইতে গাইতে কল্যাণের প্রবেশ।  কল্যাণ বলল  'সখি কার ভাবনায় ব্যস্ত? মন্দিরে কেউ জায়গা নিয়েছে নাকি?' শিখা চমকে উঠলো হে

কবি মিশ্র

ছবি
নবমীর রাত আমায় নিয়ে তুই একটা গল্প লিখবি বলেছিলি ,সে বারের পুজোর সময়... আজও লিখে উঠতে পারলি না! আজকে ও তুই এলি না গল্পটা খাতার মাঝে আটকে গেছে... সে বছর রহিম চাচা, যখন বাঁশ, খড়, দঁড়ি মাটি নিয়ে ঠাকুর গড়বে, প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে ছিলাম তাকে, আমার ও এই ভাবে প্রতিমা গড়বি তুই তোর খাতায় কলমে... আবার ও একটা প্রতিমা গড়ার সময় হয়ে এল ষষ্টি, সপ্তমী, অষ্টমী,গেল  নবমীর রাতে ও তুই এলি না.. তোর প্রতিমা কি বেশ্যা বাড়ির মাটি পায় নি ? রহিম চাচা বলেছে, 'মা দূর্গা তো আমার সামনে' আমি তো হেসে বাঁচিনে, তুই বুঝলি না কেন ? বাঁশের কাঠমায়, খড়,মাটি দিয়ে মৃন্ময়ী রূপ পায় মা আমি তখনও থাকি সেই অন্ধকারে আমি যে বারবনিতা... আমায় নিয়ে গল্প লিখবি.... বলেছিলি... আজও এলি না তুই..!!

সুবর্ণ রায়

ছবি
মৃত্যুহীন     বেঁচে আছো কিনা তাও জানি না! কোনও নাম নেই তোমার— তোমার ভাবনাকে আমি নাম দিই অবেলায় কোনও ছবি নেই তোমার— তোমার ঠিকানা আমি নিত্য লিখি কবিতায় কোনও স্পর্শ নেই তোমার— তোমার স্পর্শ আমি ছুঁয়ে থাকি কেয়াপাতায় তুমি বেঁচে আছো কিনা জানি না, মৃত্যুহীন হয়ে আছো জানি এই অর্বাচীন প্রগলভ ভণিতায়…

গোলাম কবির

ছবি
বাঙালির হৃদয় ভাঙার গল্প    এই হৃদয়ের চেয়ে বড়ো মন্দির, মসজিদ,   কাবা যদি না থাকে কোনো নজরুলের  লিখার মাধ্যমে যা পাই , তা যদি   বিশ্বাস করি বা করো সে কথা,  তবে বলবো -  হৃদয় তো ভেঙে গেছে কবেই,  সেই ১৯৪৭ এর দেশ ভাঙা থেকেই!   যখন আমার পূর্ববাংলা ছেড়ে হিন্দু ধর্মের  লোক হবার অপরাধে সুনীল, শীর্ষেন্দু,  সত্যজিৎ, অমর্ত্য সেনরা রাতের আঁধারে  কাউকে কিছু না বলে চলে যায়  ওপার বাংলায় রিফিউজি অথবা বাঙ্গাল  নামের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার কপাল নিয়ে!  এমনিভাবেই ওপার বাংলা হতেও   যাঁরা এসেছিলো একই করুণ নাটকের   পশ্চিম বাংলা ভার্সনের বাস্তবায়নে  মুসলিম গণ তাঁরাও এখানে এসে  একইভাবে ঘটি নামে কাটিয়ে দিলো   জীবন আজ হবে পঁচাত্তর বছর প্রায়!   দেশ ভাঙা সর্বস্ব হারা বাঙালিদের মতো   এরকমভাবে হৃদয় পৃথিবীর আর   কোনো জাতির ভেঙে ছিলো কিনা   আমি জানিনা তা।   এখনো সেই হৃদয় ভাঙার পাঁয়তারা   চলছে হরদম দুইপারেই   শোনা যায় যখন তখন! যাঁরা এসেছিলো এবং যাঁরা চলে গেলো তাঁদের যদি না দেখা পাও,  তো ওদের উত্তরপুরুষের কাউকে  জিজ্ঞাসা করে দ্যাখো,  বলো তাকে - তোমার ক্ষত কি শুকিয়েছে  নাকি তা আরো দগদগে ঘা'র মতো হলো!

রোজী খান

ছবি
উত্তপ্ত পারদ   তোমার অবহেলার উত্তপ্ত পারদে অঙ্গার হোক আমার পৃথিবী  তোমার দেওয়া এক ঝাঁক কষ্টে  হৃদয় চিরে বৃষ্টি ঝরুক, আমার প্রতি উদাসীনতায় সৃষ্টি হোক তোমার নতুন কবিতার ছন্দ, পৃথিবী কবিতাময় হোক তোমার  রচিত মহাকাব্যে। লিখতে বলবো না আর কখনো আমাকে নিয়ে কাব্য; প্রফুল্ল থেকো বন্ধুর আড্ডায়  আর বইমেলার ফটোসেশনে  বায়না ধরবো না আর  কখনো ছবির মহড়ার অংশ হতে, চাইবো না আর গোলাপের  পরশে ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে জন্মতিথি স্মরণে , রয়ে যাব তবু দুরাশার ধরণীতে অতৃপ্ত ভালোবাসার টানে, ইচ্ছে গুলো দিয়ে দিলাম তাই  আমৃত্যু নির্বাসনে, তুমিহীন বিনিদ্র রাত্রিগুলো  তোমার আঘাতেই বিদগ্ধ হোক, অনুরাগের সুর তুলে  মেঘবালিকার সকাল হোক, নিস্তব্ধ নিথর জনমানবহীন মন কেমন করা বিকেল হোক, অভিমানে এক আকাশ ভেসে যাওয়া মেঘের ভেলায় বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যা হোক। তারপর শ্রাবণের বাদল দিনে  শত সহস্র অভিমান বুকে জমা নিয়ে  আলোকহীন বিষন্ন মলিন হৃদয়ে  জলভরা চোখে এক পৃথিবী স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষা করব বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় , তুমি ফিরবে নকশী কাঁথার  মাঠে বর্ষণভরা নয়নে  সেইদিন আবারো বৃষ্টি হবে  বর্ষণমন্দ্রিত অন্ধকারে  ভাস

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়" ১৬

ছবি
চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।  উদাসী মেঘের ডানায়                                                    (পর্ব ১৬ )                                             শু ক্রবার বেশ আয়োজন করেই ময়নার বিয়ে দিলো ছাদের রুমটি সুন্দর করে সব কিছু দিয়ে তৃষ্ণা ঘুছিয়ে রেখেছিলো। ময়নার মা চার বছরেরে ময়না কে নিয়ে ওদের বাড়িতে এসেছিলো, ময়নার বাবা আর একটি বিয়ে,করে ওদের রেখে পালিয়ে গিয়েছিলে। সেই চার বছরের মেয়ে আজ বড় হয়ে নিজের পছন্দমত বিয়ে করলো।ময়নার মা খুব খুশি ময়না তার কাছেই থাকবে বিয়ের সাজে ময়নাকে  বেশ সুন্দর লাগছিলো। বিয়ের কয়দিন পর মজিদের সাথে হাতির ঝিল ঘুরে এসে বললো - আফা হাতির ঝিলে একখান ও হাতি দেখলাম না, কত মানুষ কত সুন্দর কইরা  মাইয়ারা সাইজা কালা চশমা পইরা কি যে গল্প করলো হেগোর বন্ধু না সেয়ামী জানিনা খুব ভালা লাগলো। তৃষ্ণা,-আরে বোকা জায়গারটার নাম হাতিরঝিল। তোরা কি করলি খুব আনন্দ করলি বুঝি। ময়না-মুখখানি ম্লা

বুশরা হাবিবা

ছবি
মায়াবতীর সন্ধানে  কাজলে লেপ্টে থাকা চোখের কোণে যে এক ফোঁটা মায়াও লুকানো থাকে সে কথা তোমার অজানা, দামী ব্রান্ডের গাঢ় রঙা লিপস্টিকের নিচে ঢাকা পরে যাওয়া  ঠোঁট জোড়ায় যে মায়া লেগে থাকে সে ও তোমার অজানা। তোমার জন্য শখ করে পড়া নীল শাড়িটার প্রতিটি ভাঁজে যে কতটা মায়া লুকানো থাকে সেটাও তোমার ভীষণ অজানা! তুমি গল্পে,আড্ডায় নাকি ভীষণ আক্ষেপে বলে বেড়াও-   একজন মায়াবতীর খোঁজে তুমি আজও নিরুদ্দেশ!   অথচ মায়াবতী যখন নিজের মাঝে লুকোনো মায়ার প্রান্তর নিয়ে তোমার সামনে এসে দাঁড়ায় - তুমি তখন কত সহজে সেই মায়াকে উপেক্ষা করে,  অন্য কোনও দিকে অন্য কারোও দিকে মনোনিবেশ করে যাও! যেখানে একবার,শুধুই একটাবার চোখে চোখ রাখলেই তুমি মায়াবতীকে খুঁজে পেতে, সেখানে তুমি নিরুদ্দেশের মতো এ জগত সংসারে না জানি কোন মায়ার  পেছনে ছুটে চলো!  যে মায়ার সন্ধানে তুমি মায়াবতীকেই দূরে সরিয়ে দাও, সেই মায়ার প্রপাত নিয়ে মায়াবতী তোমার অপেক্ষায় আঁচল বিছিয়ে বসেই আছে! তুমি শুধু একবার পেছন ফিরে মায়াবতী বলে ডেকে দেখো- হয়তো এক জীবনের ধারণকৃত সবটুকু মায়া সে তোমার চরণতলে বিছিয়ে দেবে নিঃশব্দে!  তুমি শুধু একটিবার মায়াবতী বলে ডেকেই দেখো।

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ১২

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায়  লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক   উপন্যাস  " বনফুল "                                                      বনফুল                                                         ( ১২ তম পর্ব )    জুঁই বেশ কিছু সময় ছাদে কাটালো, সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো দেখে জুঁই আস্তে আস্তে ছাদ থেকে নেমে এলো।  মাগরিবের আযান হলো, জুঁইয়ের বাবা-মা নামাজ পড়তে চলে গেল, জুঁই মোবাইল হাতে নিয়ে ফেসবুকে  ঢুকে কিছু সময় কাটাচ্ছিল তখন ময়না টেবিলে চা নাস্তা পরিবেশন করতে করতে জুঁইয়ের বাবা-মা নামাজ শেষ করে চলে এলে। এক সাথে বসে বাবা-মা মেয়ে চা নাস্তা খেতে খেতে খানিকটা আড্ডা মারলেন, জুঁই বললো এবার আমি উপরে যাচ্ছি পড়া শেষ করতে হবে। এই বলে জুঁই উপরে উঠে গেল,পড়ার টেবিলে বসে ভাবতে লাগলো কি ভাবে বাবা-মাকে পলাশের ব্যাপারটা বলা যায়। সে যাকগে যেভাবেই বলি বলবো, এখন পড়া শেষ করতে হবে, হঠাৎ জুঁই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো সাড়ে দশটা বাজে, মনে হলো বাবা-মা নিশ্চয়ই আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। তাড়াহুড়ো করে নিচে নেমে এলো, জুঁইকে মা মনোয়ারা বেগম বললেন মা জুঁই আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অমনি

কাজী ইনাম এর ধারাবাহিক গল্প "একরাত্রি" শেষ পর্ব

ছবি
এই সময়ের অন্যতম স্বনামধন্য উপন্যাসিক কাজী ইনাম এর চতুর্থ উপন্যাস এর প্রস্তুতি চলছে এখন   একরাত্রি  শেষ  হলো  ধারাবাহিক গল্প  ।   " স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকায়  " পাঠকদের কাছে অনুরোধ লেখাটি পড়ে লেখক কে উৎসাহ প্রদান করুন আরো ভালো কিছু পাবার আশায়।  একরাত্রি              (শেষ পর্ব)                                          আ ফসার আজ সারাদিন রাবেয়ার ঠোঁটের কোণে একটু হাসি দেখার অপেক্ষায় ছিল। তার মনের অশান্তিটা কমত তা। আলোটা একটু জ্বালি? রাবেয়া জানে আফসার জেগে আছে। আলো জ্বালবে কেন? আফসার তটস্থ হয়ে জানতে চায়। ঘড়ি দেখব। ঘড়ি দেখতে হবে না।আড়াইটা বাজে। আমার কিছু কথা আছে। রাবেয়া বাতি জ্বেলে দিল।আলো তার চোখে লাগছে।অন্ধকারটাই তো ভাল ছিল।সে একবার বাতি নেভানোর কথা ভাবল। নেভাল না।পা তুলে দিয়ে বিছানায় বসল।তাকে দেখে মনে হয় গল্প করতে বসেছে অথচ সে এসেছে ভীষণ সিরিয়াস কিছু কথা বলতে।কঠিন বক্তব্যের ভূমিকা বুঝি এমনই রসালো হয়।রাবেয়া চুপ করে আছে।যা বলতে এসেছিল আফসারকে দেখার পর আর বলতে পারছে না।ভীষণ অসহায় চোখে আফসার তারই দিকে তাকিয়ে আছে যেন এই মামলার রায় রাবেয়া তাকে পড়ে শোনাবে।রাবেয়া এই দুর্বল মানুষটির স্