চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"
বনফুল
( ১২ তম পর্ব )
জুঁই বেশ কিছু সময় ছাদে কাটালো, সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো দেখে জুঁই আস্তে আস্তে ছাদ থেকে নেমে এলো।
মাগরিবের আযান হলো, জুঁইয়ের বাবা-মা নামাজ পড়তে চলে গেল,
জুঁই মোবাইল হাতে নিয়ে ফেসবুকে ঢুকে কিছু সময় কাটাচ্ছিল তখন ময়না টেবিলে চা নাস্তা পরিবেশন করতে করতে জুঁইয়ের বাবা-মা নামাজ শেষ করে চলে এলে। এক সাথে বসে বাবা-মা মেয়ে চা নাস্তা খেতে খেতে খানিকটা আড্ডা মারলেন, জুঁই বললো এবার আমি উপরে যাচ্ছি পড়া শেষ করতে হবে। এই বলে জুঁই উপরে উঠে গেল,পড়ার টেবিলে বসে ভাবতে লাগলো কি ভাবে বাবা-মাকে পলাশের ব্যাপারটা বলা যায়। সে যাকগে যেভাবেই বলি বলবো, এখন পড়া শেষ করতে হবে, হঠাৎ জুঁই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো সাড়ে দশটা বাজে, মনে হলো বাবা-মা নিশ্চয়ই আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। তাড়াহুড়ো করে নিচে নেমে এলো, জুঁইকে মা মনোয়ারা বেগম বললেন মা জুঁই আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অমনি জুঁই বললো স্যরি মা কখন যে ঘড়িতে সাড়ে দশটা বেজে গেল বুঝতে পারিনি!
মা বললো চলো এখনই খাওয়া শেষ করে ফেলি তোমার বাবার ঔষধ খেতে হবে সময় মতো। যথারীতি খাওয়া শেষ করে জুঁই উপরে উঠে এসে ফ্রেস হয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে বিছানায় শুয়ে ফোন হাতে নিতেই ফোন বেজে উঠল, আশ্চর্য কি টেলিপ্যাথি পলাশের ফোন! ওপাশ থেকে পলাশের কণ্ঠে কি করছো জুঁই?
-জুঁই না কিছু না, তোমাকে ফোন দেবো বলে ফোন হাতে নিতেই তোমার ফোন! পলাশ প্রশ্ন করলো তুমি খুশি হওনি? জুঁই হয়েছি মানে রীতি মতো ভাবছিলাম আমাদের কি টেলিপ্যাথি.....!
জুঁই বললো আমি ভাবছিলাম কি করে আমাদের সম্পর্কটা বাবা-মাকে জানাব।
পলাশ বললী,না জুঁই এখনোও সময় হয়নি,তিনমাস পরে আমার ফাইনাল পরিক্ষা। তার পরে যা বলার বলবে, এখন না।
জুঁই জিজ্ঞেস করল তুমি খেয়েছো উত্তরে হ্যাঁ বললো পলাশ।
জুঁই তুমি এখন কি করছো? শুয়ে আছি। তাহলে লক্ষ্মী
মেয়ের মতো ঘুমিয়ে পড়ো।
জুঁই বললো হুম, গুডনাইট সুইট হার্ট।
পলাশও গুডনাইট বলে ফোন কেটে দিলো।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much